সংস্কার কমিশন
দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জুলাই সনদ করতে চাই: আলী রীয়াজ
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে নিয়ে রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে ৩৪টি দল ও জোটের কাছে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনগুলোর হার্ড ও সফটকপি পাঠানো হয়েছে। এরপর ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা তিন দফা বৈঠকে মিলিত হন এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো প্রতিবেদনগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো চিহ্নিত করেন।’
‘পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোকে ছকের আকারে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এসব ছকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যুক্ত করা হয়নি। পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘গেল ৬ মার্চ দেশের ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই ছকগুলো। এতে মোট সুপারিশ রয়েছে ১৬৬টি। এরমধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপরিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।’
“প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে—সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কিনা। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো—‘একমত,’ ‘একমত নই,’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এই তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে দলগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়টি হলো—প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময় ও বাস্তবায়নের উপায়। এ ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে, নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে, গণপরিষদের মাধ্যমে, নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এবং গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে।’
এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিকচিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এরবাইরে প্রতিটি সুপারিশে পাশে দলগুলোর মন্তব্য দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী ১৩ মার্চের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত আমাদের জানাবে। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সেই সময় থেকেই আলোচনা শুরু হবে।’
‘দলগুলোর কাছ থেকে তাদের মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করব। এজন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি,’ যোগ করেন তিনি।
রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোতে যতদ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে অনুরোধ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই, দ্রুত আলোচনা শুরু করে এগিয়ে যেতে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘসূত্রতা চাই না: আলী রীয়াজ
সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি বাদে বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সেখানে ছিলেন।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এই ছয়টি কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করতে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে ১২ জানুয়ারি ৭ সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই কমিশনের সভাপতি ও অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাসের।
গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করেছে। কমিশনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওই দিন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌজন্য সভা হয়েছে। এ সভায় সভায় ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের ১০৪ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
সেসব প্রতিনিধি সংস্কার এগিয়ে নিতে তাদের সংকল্পের কথা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন আলী রীয়াজ।
৪১ দিন আগে
৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের (প্রথম খণ্ড) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এসব কমিশনের সুপারিশ করা আশু করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে। সেদিন কমিশনগুলোর প্রধানরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ৬ অক্টোবর গঠিত হয় সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন। সবগুলো কমিশনকে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়। তবে পরে সেই সময় কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
৭০ দিন আগে
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে একক ইউনিয়ন গঠনের পরামর্শ সংস্কার কমিশনের
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই কমিশনের কাজ হলো, স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সংস্কার সুপারিশ করা। সে কারণে আমরা বলতে পারি, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো—আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশন প্রধান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অমরা প্রতিবেদন পেশ করব। এরপর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের ওপর সাংবাদিকদেরই চাপ দিতে হবে। সাংবাদিকরা চাপ না দিলে এই সংস্কারের একটিও বাস্তরায়ন হবে না।
কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গেছে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে তাদের পক্ষ থেকে একক ইউনিয়নের জন্য চাপ দিতে হবে। সংস্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমের বাস্তবতা সম্পর্কে আমরা এর আগেও সাতটি জায়গায় শুনেছি। একই কথা বলা হয়েছে।
ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কার কমিশনের আওতাভুক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতামতের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঠক ও দর্শক-শ্রোতা, তাদের মতামতও বিবেচানায় নেব। এ কারণে আমরা জাতীয় ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যম সমীক্ষা ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে করেছি। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার বাড়িতে গিয়ে আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা মানুষের মতামত নিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, গণমাধ্যম সম্পর্কে তাদের কী প্রত্যাশা রয়েছে। এগুলোর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ এগোবে। সেভাবেই আমরা আমাদের সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরব।’
এ সময় কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ ও আক্তার হোসেন খানসহ সাংবাদিক বাবুল হোসেন, দেলোয়ার খান, সুলতান মাহমুদ কনিক, হারুনুর রশিদ, আবু সালেহ মো. মুসা, হোসাইন শাহিদ, কামাল হোসেন, নজীব আশরাফ, এম এ জলিল, কিবরিয়াসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
৮১ দিন আগে
মেয়াদ বেড়েছে ৬ সংস্কার কমিশনের
সরকার পতনের পর প্রথম দফায় গঠিত ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ জন্য মোট ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
৮৯ দিন আগে
সংস্কার নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে পারে অন্তবর্তীকালীন সরকার।’বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।এরআগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় চারটি সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলো হলো—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন। এ বিষয়েই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টাএ সময়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।‘আমি মনে করি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে,’ বলেন রিজওয়ানা।আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘যদি প্রাথমিক কাজগুলো দ্রুত সেরে ফেলা যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবো।’সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কমিশনগুলোতে সমন্বয়সহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যেই এই চার কমিশনসহ মোট ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জানিয়ে দেওয়া হবে।বাকি দুটি কমিশন হলো বিচার বিভাগ সংস্কার ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: পরিবেশ উপদেষ্টাসরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রস্তাবগুলো নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রস্তাবগুলো কবে কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে, তার একটি রূপরেখা আসতে পারে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে।
৯৪ দিন আগে
এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি ৬ সংস্কার কমিশন
সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুদক, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন- এই ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো কমিশন প্রতিবেদন জমা দেননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, কমিশনগুলো সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে তারা। এর মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান বদিউল আলমের
নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘৩ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
দুদক সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘৩ অক্টোবর সংস্কার কমিশন গঠন করা হলেও তারা কাজ শুরু করেছে ৭ অক্টোবর। তাই ৭ জানুয়ারির মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।’
সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি ৬ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেবেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
১১০ দিন আগে
জনগণের মতামত চেয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন (এলজিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে এটির কার্যক্রম শুরু করে জনসাধারণের মতামত ও সুপারিশ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে (এলজিআরসি)।
চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এলজিআরসি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিম্নলিখিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে উৎসাহিত করেছে:
ওয়েবসাইট: www.lgrc.gov.bd
ফেসবুক: facebook.com/lgrc24
ইমেইল: lgrcbd@gmail.com
মোবাইল ফোন: ০১৩২৫২১২৪৭৫
কমিশন এই যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মমগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য টেলিভিশনের স্ক্রলসহ সকল প্রকার গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিৎ: ড. তোফায়েল
১৩৬ দিন আগে
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, 'কমিশনগুলো ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে আশা করছি।’
ড. আসিফ জানান, প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে বিস্তৃত সংলাপ ও পরামর্শ আয়োজিত হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ৬ কমিশন গঠনের ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, যারা গণহত্যায় জড়িত ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এবং যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাস শেষে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান ও পাঁচটি মূল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।
কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সচিব বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে কাজ করা। এটি একটি জনসেবামূলক কাজ। অতীতে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে ছিল এবং জনগণ নানাভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা আমাদের কাজ এবং সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেয়েছি।’
মাহফুজ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব রয়েছে।
সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
২১২ দিন আগে