আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই কমিশনের কাজ হলো, স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সংস্কার সুপারিশ করা। সে কারণে আমরা বলতে পারি, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো—আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশন প্রধান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অমরা প্রতিবেদন পেশ করব। এরপর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের ওপর সাংবাদিকদেরই চাপ দিতে হবে। সাংবাদিকরা চাপ না দিলে এই সংস্কারের একটিও বাস্তরায়ন হবে না।
কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গেছে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে তাদের পক্ষ থেকে একক ইউনিয়নের জন্য চাপ দিতে হবে। সংস্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমের বাস্তবতা সম্পর্কে আমরা এর আগেও সাতটি জায়গায় শুনেছি। একই কথা বলা হয়েছে।
ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কার কমিশনের আওতাভুক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতামতের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঠক ও দর্শক-শ্রোতা, তাদের মতামতও বিবেচানায় নেব। এ কারণে আমরা জাতীয় ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যম সমীক্ষা ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে করেছি। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার বাড়িতে গিয়ে আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা মানুষের মতামত নিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, গণমাধ্যম সম্পর্কে তাদের কী প্রত্যাশা রয়েছে। এগুলোর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ এগোবে। সেভাবেই আমরা আমাদের সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরব।’
এ সময় কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ ও আক্তার হোসেন খানসহ সাংবাদিক বাবুল হোসেন, দেলোয়ার খান, সুলতান মাহমুদ কনিক, হারুনুর রশিদ, আবু সালেহ মো. মুসা, হোসাইন শাহিদ, কামাল হোসেন, নজীব আশরাফ, এম এ জলিল, কিবরিয়াসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।