নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পুলিশ-জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন জরুরি: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি। যেকোনো উপায়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ছাত্ররা পুলিশকে সাহায্য করছে। তারা ট্রাফিক সামলানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করছে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে থানায় থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নাগরিক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স’র (এসআইপিজি) উদ্যোগে ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বর্তমান সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি। এছাড়া ৮ আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল, তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না।
উপদেষ্টা বলেন, এক ‘দানবিক পুলিশের’ থেকে ‘মানবিক পুলিশ’ গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। এই স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে এবং এ কমিশন পাঁচ সদস্যের অধিক না হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা তার মতামত তুলে ধরেন। এ সময়ে উপদেষ্টা পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ থেকে কমিয়ে দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত কম। তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে (কনস্টেবল) যোগদান করে আর সেই পথ থেকেই অবসরে যায়। যা কাম্য নয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন আর পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না। তখন সে হতাশ হয়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।
নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি অভিমত দেন।
তিনি আরও বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে তার অধঃস্তন পুলিশ ডিউটি করে। দায়িত্ব পালন করতে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এজন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের জন্য থানায় সংযুক্ত করে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে পুলিশ কাজ করে সেটি জানার ও বোঝার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জেলাভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমার মতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
সেমিনারের সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসআইপিজি পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম. হক।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম এবং পলিটিক্যাল সাইন্স এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা এ সেমিনারে দেশের পুলিশ সংস্কারের একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ এবং একটি সম্ভাব্য পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সেশনের সমাপনী বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে গবেষণা ও সংলাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্য পরিবহনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
২ বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের পুরোনো মোংলা বন্দরে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বন্দরে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যেভাবে তৈরি হবার কথা, তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি এই বন্দর।
মোংলা বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মোংলা বন্দরকে নিয়ে বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর এতদিন প্রচারের বাইরে ছিল। আপনারা যদি এই বন্দরকে নিয়ে প্রচারণা করেন, তাহলে এটি দেশ-বিদেশে আরও অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করবে।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রচারণার পদক্ষেপ হিসেবে প্রচারপত্র তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রচারপত্র তারা আমাদের দেশের বাইরে যে কূটনৈতিক মিশন রয়েছে, সেখানেও পাঠাবে। এছাড়া, মোংলা বন্দরকে দেশে বিদেশে তুলে ধরার লক্ষ্যে চলতি মাসে (নভেম্বর) টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘ইত্যাদি’ মোংলা বন্দরে ধারণ করা হবে।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই। আশা করছি অতি সত্তর একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। চীনের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো খরচটাকে কিভাবে কমানো যায় এ বিষয়ে কমিটি কাজ করেছে। বাংলাদেশে বোধহয় এটি প্রথম যেখানে চুক্তি হবার পরও পুরো বাজেটকে কম করা হয়েছে। প্রায় ২৭৫ কোটির মতো বাজেট কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি ৭ দিন ধরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। দুইটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আশাকরি দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর যে বিশাল চাপ রয়েছে, তা কমে আসবে। বর্তমান বিশ্বে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি খুব দরকার। এ জন্য মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতিবেশী ল্যান্ড-লকড দেশ যেমন নেপাল, ভুটান তাদের জন্য এই বন্দর ব্যবহারের উপযোগী হবে। এখানে রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বন্দর হিসেবে ব্যবহার করার বিষয় আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুটি স্থলবন্দর যা আঞ্চলিক সংযোগের জন্য তৈরি হচ্ছে, একটি আখাউড়া আরেকটি সিলেটে। সিলেটে যেটি হবে সেটা নেপাল ও ভুটানের কাছাকাছি। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের ওপর নির্ভর করবে যে তারা এই স্থলবন্দরটিকে ব্যবহার করতে দেবে কিনা। আমি আশা করি, তারাও চাইবে এই আঞ্চলিক সংযোগটি যেন হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতের অর্থায়নে আরেকটি প্রকল্প আছে যেটি এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। দুইটি ইয়ার্ড ও আনুষঙ্গিক রাস্তা তৈরি হবে। ভারত এ প্রকল্পে কনসাল্টটেন্ট নিয়োগ করলেও ঠিকাদার নিয়োগ করেনি, তাই কার্যক্রম শুরু হয়নি। আশা করি চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
মোংলা বন্দরের বেশ কিছু জায়গা আছে অব্যবহৃত, এই অব্যবহৃত জায়গাগুলো কাজে লাগাতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইকোপার্ক তৈরি করা হলে দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে ঘুরতে আসবে।
এছাড়া মোংলা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কাজের মান ও অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। চলমান সকল প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
নৌপথে পণ্য পরিবহনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নৌপরিবহন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নৌপথে পণ্য পরিবহনে তথাকথিত মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় দ্রুততম সময়ে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ জারি করা হবে। একইসঙ্গে এই নীতিমালার যাতে সঠিক প্রয়োগ হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
দেশের নদীপথে নৌযানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের আমদানি ও রপ্তানির ৮০ ভাগ পণ্য স্বল্প খরচে নৌপথে পরিবহন করা হয়। অর্থনীতিতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমান সরকার নৌপরিবহন শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের সকল সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। নৌপরিবহন খাতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিরিয়াল প্রথাকে ভেঙে একতরফা পণ্য পরিবহন করে নৌ সেক্টরে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এ সময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দরসহ নৌ সেক্টরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নৌপথে ফিটনেসবিহীন ভেসেল সম্পর্কে তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোস্ট গার্ডকে এ সকল নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপদেষ্টাকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ দ্রুত জারি ও প্রয়োগ করার অনুরোধ জানান।
তারা বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে নৌ সেক্টরে নবদিগন্তের সূচনা ঘটবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
১ মাস আগে
মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার একটি বিরাট ক্ষেত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি দেশের বড় সম্পদ। মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ পান।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের প্যারেড পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মেরিন ক্যাডেট ও নাবিকরা দেশি-বিদেশি জাহাজে চাকরি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, যা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক, নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদসহ একাডেমির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এম টি বাংলার জ্যোতি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ নাবিক তৈরিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে বাংলার জ্যোতি নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এই দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির হয়েছে।
মর্মান্তিক এ অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের ক্যাডেট সৌরভ সাহা, ফোরম্যান নুরুল ইসলাম, ডেক ক্যাজুয়াল সদস্য হারুনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১ মাস আগে
দক্ষ নাবিক তৈরিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বাংলাদেশ দক্ষ নাবিক তৈরিতে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার সক্ষমতা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ওয়ার্ড মেরিটাইম ডে- ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জুলাই আগস্ট বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী সকল বীর ছাত্র জনতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলেই আজ দেশকে নতুন করে গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জন্য শুধু বিশেষ একটি দিবসই মেরিটাইম দিবস নয়, প্রতিটি দিনই মেরিটাইম দিবস। আমাদের সামুদ্রিক মানচিত্র অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। আমাদের রয়েছে বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নৌপথ, বিশাল বঙ্গোপসাগর এবং অবশ্যই আমাদের রয়েছে দক্ষ নাবিক।
তিনি বলেন, আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের রয়েছে শত শত বছরের ঐতিহ্য। একসময় এখানেই নির্মাণ করা হতো পাইরেট শিপ যাকে, বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বলা হয় সাম্পান।
উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামেই পর্তুগিজরা বসতি গড়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের পর আরও দুটো সমুদ্র বন্দর যথা মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর যাত্রা শুরু করেছে।
ড. সাখাওয়াত বলেন, আমাদের মেরিন একাডেমিগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের। বাংলাদেশের পাঁচটি মেরিন একাডেমি থেকে দক্ষ ও মেধাবী নাবিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানকে আরও কিভাবে উন্নত করা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা প্রতিদিনই কাজ করছি।
বাংলাদেশ মেরিনার তৈরিতে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থান অর্জনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে বিশেষ কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সাম্পান বা জাহাজ নির্মাণে আমাদের যে ঐতিহ্য রয়েছে তা পুনরুদ্ধারে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। এছাড়াও মেরিনারদের জন্য দূতাবাসগুলোতে পদ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, আইএমও কর্তৃক সি ক্যাটাগরির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন বাংলাদেশের জন্য মেরিন সেক্টরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। আগামী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবে।
এ সময়ে উপদেষ্টা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশাংসা করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম দিবস উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
এবারের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নেভিগেটিং দ্য ফিউচার: সেফটি ফার্স্ট’। প্রতিপাদ্যটি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নৌ নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূল কনভেনশন সোলাস ১৯৭৪’র ৫০ বছর পূর্তিতে যথার্থভাবে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা, সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা এবং নৌ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আইএমও’র অবদানকে প্রতিফলিত করেছে এবং এই প্রতিপাদ্যটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সভাপতিত্ব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিবের ধারণকৃত বাণী প্রচার, মূলপ্রবন্ধ ও পেপার প্রেজেন্টেশন, মেরিটাইম সেক্টরে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
১ মাস আগে
উন্নয়নমূলক কোনো কাজ বন্ধ করা হবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, উন্নয়নমূলক কোনো কাজ বন্ধ করা হবে না। নির্মাণ কাজ ধীরগতিতেও চলবে না। ধীরগতিতে কাজ চললে ব্যয় বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, কোনো কারণে হয়তো অনেকে ভাবছেন কাজ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু কাজ বন্ধ হয়নি। এটি অর্থনৈতিক কার্যক্রম এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।
আরও পড়ুন: বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পায়রা বন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি। এছাড়া বিআইডব্লিউটিসি অনেক জাহাজ কিনেছে। যা এখন চালাতে পারছেন না তারা। তাই চিন্তা করা হচ্ছে অপারেটরদের দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, এক নদীর ওপর ৫টি সেতু। যেই নদীতে সেতুর প্রয়োজন সেখানে তদবির করার মতো কেউ নেই, তাই সেতু হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীসহ বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে