গ্রামবাসী
ভোলায় যুবকের হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে ফেলল গ্রামবাসী
ভোলায় সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির অভিযোগে মো. হাসান নামের এক যুবককে পিটুনি দিয়ে, হাত-পা ভেঙে, দুই চোখ খুঁচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দেউলা ইউনিয়নের ঝিটকা বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হাসান একই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মো. রতন মাঝির ছেলে।
রতন মাঝি বলেন, ‘দুদিন আগে হাসানের সঙ্গে এলাকার রুবেলের মারামারি হয়। এর জেরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে হাসানকে ঝিটকা বাজারের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ২০-২৫ জন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে, ছুরি দিয়ে চোখ খুঁচে দেয়।’
আরও পড়ুন: আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনের কর্মকর্তা বরখাস্ত
হাসানের বাবা আরও বলেন, ‘পরে গ্রাম-পুলিশ ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
হাসানের দাবি— ‘তিনি নির্দোষ। পূর্ব শত্রুতার জেরে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করা হয়।’
ভোলার বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম-পুলিশ আব্দুল মান্নান চৌকিদার বলেন, ‘হাসান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ চলাফেরার জন্য পরিচিত।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে হাসান এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেন। পথচারী এবং অটোরিকশা থামিয়ে টাকা আদায় করতেন। সম্প্রতি এক অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা শুক্রবার রাতে হাসানকে ধরে গণধোলাই দেয়। তার হা-তপা ভেঙে, চোখ খুঁচে দেয়, যাতে আর এ ধরনের কাজ করতে না পারেন। তাকে মারধরের এক পর্যায়ে মারা গেছেন ভেবে রাস্তার পাশে রেখে যাওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রাম-পুলিশকে নিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা নিরুপম সরকার বলেন, ‘ছুরি দিয়ে হাসানের চোখ খুঁচে দেওয়া হয়েছে। তার হাত ও পায়ের অবস্থাও ছিল গুরুতর।’
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কেউ থানায় মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘তবে হাসান চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসাবে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় দুটি মামলা রয়েছে,’ বলেন ওসি।
২৮ দিন আগে
সুনামগঞ্জে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে গরুর খেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা গ্রামের উত্তরে ও কামরূপদলং মাদরাসার পূর্ব পাশে পশ্চিম বন্দে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আস্তমা গ্রাম ও কামরুপদলং গ্রামের এই সংঘর্ষে আহতরা সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন— আক্তার হোসেন, দুলাল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শামসুজ্জামান, নাছির আলী, আবদুল জলিল, খাইরুল আমীন, এমরান হোসেন, সাদিক মিয়া, নুরুজ্জামান ও সৌরভ হোসেন।
এ ছাড়াও ওই গ্রামের পক্ষ থেকে আরও ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অপরদিকে, কামরুপদলং গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন— বাতির আলী, সুন্দর আলী, সুজন মিয়া, কালাই মিয়া, মতিউর রহমান, শওকত আলী, নবী হোসেন ও শাফি আহমেদ।
তাদের পক্ষের আহত আরও ৭ থেকে ৮ জনের নামও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ বিষয় নিয়ে দুই কৃষকের মধ্যে মারামারি হয়। পরে এই ঘটনার জেরে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষে আজগর মিয়া দাবি করেন, গরু অবুঝ প্রাণী। তাকে কেউ বলে দেয় না যে, অমুকের জমিতে গিয়ে ধান খেয়ে আয়। গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে জমির মালিক সুরুজ মিয়া। এতে আমাদের গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যায় কামরুপদলং গ্রামের পক্ষে নুরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এসেছিলেন ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিতে। আমরাও তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলাই ভালো। কিন্তু আজ (রবিবার) সকালে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে শেষ করে দেই। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার না মেনে সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে আক্রমণ করে। পরে আর কোনো কিছুই কন্ট্রোলে থাকেনি। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৭৬ দিন আগে
ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত, ২৫ বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুজারপুর গ্রামের ওহাব ভুঁইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার রাতে তুজারপুর বাজারে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে ওহাব ভুঁইয়ার সমর্থক ইমন ভুইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বরের সমর্থক মানিক ও তামিমের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়। এরই জেরে দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ডাল, কাতরা, টেঁটা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ১০
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮২ দিন আগে
শেরপুরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ১০
শেরপুরে বনভোজনের বাসে থাকা এক নারীকে ইভটিজিং করায় যুবককে মারধরের জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে প্রায় দেড় ঘণ্টা শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন— কান্দাশেরীরচরের হোসেন আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৩০), লাল মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া (২৫), ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল আলিমসহ (২৬) অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে বসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করেন কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই ইভটিজিংকারী যুবককে মারধর করেন। এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সময় কুসুমহাটি বাজারে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও পলাশ টেলিকম নামে একটি মোবাইলের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এরপর শনিবার সকাল ৭টা থেকে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দুপক্ষ কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুপাশে অবস্থান নেওয়া শুরু করলে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বেলা ১১টা থেকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০
এ সময় আবারও শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
শেরপুর সেনাক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। একইসঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪টা) কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮৪ দিন আগে
মুন্সিগঞ্জে গুলিতে ডাকাত নিহত, গ্রামবাসীসহ আহত ৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ মামলার আসামি বাবলা চৌধুরী খালাসি ওরফে বাবলা ডাকাত গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীসহ আরও অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে (২২ অক্টোবর) গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটে। এসময় ১৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে র্যাব-সেনাবাহিনী পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতি, থানায় মামলা
নিহত বাবলা ডাকাত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসীর ছেলে।
এদিকে আহত গুলিবিদ্ধ রহিম বাদশাকে ঢামেকে এবং আহত গ্রামবাসী আক্তার হোসেন ও লিটন মিয়াজীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রহিমেরর দ্বিতল ভবনে সংঘর্ষ হয়। গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসলে দুটি ট্রলারে দুই দল ডাকাত পালিয়ে যায়।
এ সময় ভবনটিতে থাকা ৯ ডাকাতকে তালাবদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে তালা ভেঙে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আর পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের মধ্যে ৫ ডাকাতকে উপজেরার হোসেন্দি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মেঘনা তীরের মল্লিকের চরে সকালে লুন্ঠিত মালামালের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ (বন্ধুক যুদ্ধ) হয়।
তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে বাবলার প্রাণ যায়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া দুর্গম মল্লিকের চরকেও আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন নৌডাকাতরা বলে জানান ওসি মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: ডাকাতের কবলে পড়ে করাচিতে ৯ মাসে নিহত শতাধিক
১৯৩ দিন আগে
গাড়িচালক থেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও দানশীল আবেদ আলী, যা বলছেন গ্রামবাসী
পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টির বেশি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে এই সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেটের পরিচয় প্রকাশ হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর বাড়ি মাদারীপুরের দাসার উপজেলার বটলা গ্রামে। স্থানীয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও আবেদ আলীর কথিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তার এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলেই রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
বটলা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, দরিদ্র পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় আবেদ আলী আট বছর বয়সে ঢাকার সদরঘাটে কুলির কাজ শুরু করেন। পরে তিনি গাড়ি চালানো শেখার পর পিএসসিতে একটি চাকরি পেয়েছিলেন। আর এর মাধ্যমে সম্পদ আহরণের সূচনা করেছিলেন তিনি।
এই কেলেঙ্কারি মাদারীপুর এবং এর বাইরেও বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হক (৪৫) বলেন, ‘সৈয়দ আবেদ আলী দান-খয়রাতের জন্য বেশ পরিচিত। গত ঈদে তার ছেলে সিয়াম একটি বিলাসবহুল গাড়িতে করে এলাকার বাসাবাড়িতে গরুর মাংস বিতরণ করেন। তাদের এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। সুষ্ঠু তদন্তের পর ন্যায়বিচার হওয়া উচিত।’
সিয়াম নিজেকে 'বড় ব্যবসায়ীর ছেলে' বলে পরিচয় দিতেন।
আবেদ আলী কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজ গ্রামে বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি। তিনি গবাদি পশুর খামার ও বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দখল করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, 'জনগণের উচিৎ তাদেরকে প্রশ্ন করা, যারা সন্দেহজনকভাবে সম্পদ অর্জন করে।’
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস: পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার
২৯৮ দিন আগে
সুন্দরবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের সঙ্গে গ্রামবাসী
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে পান বরজে আগুন, ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
শনিবার (৪ মে) বিকালে সুন্দরবনের লতিফের ছিলা নামে একটি জায়গায় আগুন দেখতে পায় বন কর্মীরা।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, শনিবার বিকালে সুন্দরবনে আগুন লাগার খবর আসে। এর পর বন বিভাগের স্টাফরা, সিপিজি, মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নেভানোর কাজে আংশ নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কাপড়ের মার্কেটে আগুন, ৮ লাখ টাকার ক্ষতি
৩৬৪ দিন আগে
ভাঙ্গায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫
পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
জানা যায়, ছোট খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর দুইটি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
ওই ঘটনায় কাওছার মাতুব্বরসহ তার দলের ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন জলিল মাতুব্বর। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন কাওছার মাতুব্বরসহ আসামিরা। সম্প্রতি জামিনে বের হন কাওছার মাতুব্বরসহ অন্যরা।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন কাওছার মাতুব্বরের সমর্থক পান্নাল মাতুব্বরকে মারতে এলে তখন কাওছার মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
তিনি আরও জানান, দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
৪৭৭ দিন আগে
রাণীশংকৈলে নীলগাই জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নিলেন গ্রামবাসী
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে জবাই করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকালে এলাকার পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে ছোটাছুটি করছিল একটি নীল গাই। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তাঁরা নীলগাইটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। এক সময় গ্রামবাসী নীলগাইটিকে জবাই করে খাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে নীলগাইটি জবাই করে গ্রামবাসী গোশত ভাগাভাগি করে নেয়।
রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় জানান, গ্রামবাসী একটি নীলগাই আটক করে জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে আমি শুনেছি। কাজটি তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নীলগাইটি জবাই করা ঠিক হয়নি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
খবর পেয়ে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে জেলায় ৮টি নীলগাই উদ্ধার হয়। তবে সেগুলোর একটিও বেঁচে নেই।
৪৮১ দিন আগে
চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি কুমির।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে কুমিরটি ধরেন।
এর আগে চিত্রা নদীতে কুমির ভাসতে দেখা গেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে রাখা হয়। এসময় কুমির দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
পরে বনবিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যান কর্মীরা।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির
জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর কুমিরটি স্থানীয়দের নজরে আসার পর চিত্রা নদীতে কুমিরের আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়। কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে এবং অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। অনেকে সেটি দেখতে ছুটে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে জনৈক জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন নদীর পাড়ের চরে শ্রমিকরা বৃহৎ আকৃতির কুমির দেখতে পেয়ে আৎকে ওঠেন। এরপর গ্রামবাসী সবাই মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করে।
এসময় কুমিরের কামড়ে খড়রিয়া গ্রামের সরোয়ার বিশ্বাস (৬০), আমিনুর রহমান (৪৫), টুলু শিকদার (৩৫) সহ সাতজন জখম হয়।
আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, কুমিরটি প্রায় পাঁচ/সাত ফুট লম্বা হবে। চিত্রা নদীতে কয়েকমাস ধরে এটিকে বিভিন্ন স্থানে ভাসতে দেখা যায়।
ইতিমধ্যে নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।
এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বলেন, সোমবার দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। এরপর খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করে। এরপর সেটি ইউপি চত্তরে নিয়ে আসলে আমার হেফাজতে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সহযোগিতায় বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা রেঞ্জ অফিসারের নিকট সন্ধ্যার পূর্বে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়।
কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বলেন, কুমিরটিকে আটক করতে পারার খবর পেয়ে বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে কুমিরটি সন্ধ্যার পূর্বে নিয়ে গেছেন।
এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘড়িয়ালটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এরপর কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সঙ্গে কথা বললে তারা বন্যপ্রাণী সস্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের নিকট সেটি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
৮৬৫ দিন আগে