গ্রামবাসী
ভাঙ্গায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫
পূর্ব শত্রুতা ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
জানা যায়, ছোট খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর দুইটি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
ওই ঘটনায় কাওছার মাতুব্বরসহ তার দলের ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন জলিল মাতুব্বর। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন কাওছার মাতুব্বরসহ আসামিরা। সম্প্রতি জামিনে বের হন কাওছার মাতুব্বরসহ অন্যরা।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন কাওছার মাতুব্বরের সমর্থক পান্নাল মাতুব্বরকে মারতে এলে তখন কাওছার মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
গুরুতর আহত আদম, কাওছার, জাকারিয়া ও অহিদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
তিনি আরও জানান, দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
রাণীশংকৈলে নীলগাই জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নিলেন গ্রামবাসী
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে জবাই করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকালে এলাকার পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে ছোটাছুটি করছিল একটি নীল গাই। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তাঁরা নীলগাইটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। এক সময় গ্রামবাসী নীলগাইটিকে জবাই করে খাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে নীলগাইটি জবাই করে গ্রামবাসী গোশত ভাগাভাগি করে নেয়।
রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় জানান, গ্রামবাসী একটি নীলগাই আটক করে জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে আমি শুনেছি। কাজটি তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নীলগাইটি জবাই করা ঠিক হয়নি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
খবর পেয়ে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে জেলায় ৮টি নীলগাই উদ্ধার হয়। তবে সেগুলোর একটিও বেঁচে নেই।
চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি কুমির।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে কুমিরটি ধরেন।
এর আগে চিত্রা নদীতে কুমির ভাসতে দেখা গেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে রাখা হয়। এসময় কুমির দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
পরে বনবিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যান কর্মীরা।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির
জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর কুমিরটি স্থানীয়দের নজরে আসার পর চিত্রা নদীতে কুমিরের আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়। কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে এবং অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। অনেকে সেটি দেখতে ছুটে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে জনৈক জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন নদীর পাড়ের চরে শ্রমিকরা বৃহৎ আকৃতির কুমির দেখতে পেয়ে আৎকে ওঠেন। এরপর গ্রামবাসী সবাই মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করে।
এসময় কুমিরের কামড়ে খড়রিয়া গ্রামের সরোয়ার বিশ্বাস (৬০), আমিনুর রহমান (৪৫), টুলু শিকদার (৩৫) সহ সাতজন জখম হয়।
আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, কুমিরটি প্রায় পাঁচ/সাত ফুট লম্বা হবে। চিত্রা নদীতে কয়েকমাস ধরে এটিকে বিভিন্ন স্থানে ভাসতে দেখা যায়।
ইতিমধ্যে নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।
এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বলেন, সোমবার দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। এরপর খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করে। এরপর সেটি ইউপি চত্তরে নিয়ে আসলে আমার হেফাজতে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সহযোগিতায় বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা রেঞ্জ অফিসারের নিকট সন্ধ্যার পূর্বে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়।
কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বলেন, কুমিরটিকে আটক করতে পারার খবর পেয়ে বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে কুমিরটি সন্ধ্যার পূর্বে নিয়ে গেছেন।
এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘড়িয়ালটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এরপর কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সঙ্গে কথা বললে তারা বন্যপ্রাণী সস্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের নিকট সেটি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোরের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে এক দুর্ধর্ষ চোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উলিপুর পৌরসভার পূর্ব শিববাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে ।
চোর চাঁন মিয়া (৫৫) ওই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলী ডাকাতের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, একই গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের পুত্র লাল মিয়ার (৩৮) বাড়িতে পেশাদার দুর্ধর্ষ চোর চাঁন মিয়া (৫৫) সহ আরও কয়েকজন গোয়াল ঘরে ঢুকে গরু বের করার সময় গৃহকর্তা টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী চোরকে ধাওয়া করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীর মৃত্যু: পাল্টা অভিযোগ রাবি প্রশাসনের
ধাওয়া খেয়ে অন্য চোরেরা পালিয়ে গেলেও চাঁন মিয়া ধানখেতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজির পর তাকে ধানখেত থেকে উদ্ধার করে গৃহকর্তার বাড়ি সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় রেখে ৯৯৯ এ ফোন করে থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের স্ত্রী শাহেরা বেগম জানায়, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগে ভূগছিলেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁন মিয়া পেশাদার চোর ইতোপূর্বে তার নামে চুরির মামলা রয়েছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৯
মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
মাগুরার শ্রীপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের ছোনগাছা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) প্রিটন সরকার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছোনগাছা গ্রামের চাঁদ আলী মেম্বার ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে হাবিব গ্রুপের শাওন ইসলাম শান্ত (১২) ও স্বাধীন মন্ডল (১৩) নামের দুই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় চাঁদ আলী মেম্বার গ্রুপের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে হাবিব গ্রুপের লোকজন ঢাল, সরকি, রাম দা, ছ্যান দা নিয়ে চাঁদ আলী গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত আশরাফুল(৩০), খলিল সর্দার(৩৫), মিলন সর্দার(৩২), আক্কাছ(৫০), মনিরুল শেখ(৩০), জুয়েল শেখ(৩০), রুহুল মণ্ডল(৫০), শের আলী মন্ডল(৪০), নুরুল মন্ডল (৪২), তাইজো মণ্ডল (৪৮), রেজাউল মণ্ডল (৩৫), শাহীনুর মণ্ডল (৩২), পান্নু শেখ (৪০), শাওন ইসলাম শান্ত(১২), স্বাধীন মণ্ডলকে(১৩) মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রুহুল মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে ওসি প্রিটন সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
নীলগাইটি ধরে জবাই করলো গ্রামবাসী!
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই ধরে জবাই করে ফেলেছে গ্রামবাসী। মাংস খাওয়ার জন্য তারা নীলগাইটি ধাওয়া করে ধরে জবাই করে।
এ নিয়ে জেলায় ছয়টি নীলগাই উদ্ধার হলেও একটিও বেঁচে নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধর্মগর ইউনিয়নের উত্তর মণ্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার ফসলের খেতে ছোটাছুটি করছিল অপরিচিত একটি প্রাণী। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তারা প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। একসময় গ্রামবাসী প্রাণীটিকে জবাই করে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তারা প্রাণীটির গলায় ছুরিও চালাতে শুরু করেন। সে সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মগড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উত্তর মণ্ডলপাড়া এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে একটি বিলুপ্ত প্রজাতির নীলগাই প্রবেশ করে। এলাকাবাসী ১২ মে দুপুরে সেটিকে আটক করে। নীলগাইটি অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী সেটি জবাই করে দেয়। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও নীলগাই উদ্ধার
প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উত্তর মণ্ডলপাড়া গ্রামের কিছু লোক খেত থেকে ভুট্টা তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় তারা হঠাৎ একটি নীলগাই দেখতে পান। তারা সেসময় তাড়া করে নীলগাইটিকে ধরেন তারা। একপর্যায়ে নীলগাইটি অসুস্থ হয়ে গেলে স্থানীয়রা মাংস খাওয়ার জন্য নীলগাইটিকে জবাই করে ফেলেন। নীলগাইটি ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে এসেছে।
রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বিলুপ্ত হওয়া নীলগাই জবাই করা ঠিক হয়নি। তবে গ্রামের মানুষের বক্তব্য গাইটি খুব অসুস্থ ছিল। তাই তারা এটিকে জবাই করেছে। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান ইউএনও।
বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নীলগাই বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় একটি বন্য প্রাণী। গাই হিসেবে পরিচিত হলেও নীলগাইটি কখনোই গরু শ্রেণির নয়; বরং এটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হরিণবিশেষ প্রাণী। যার বৈজ্ঞানিক নাম বোসেলাফুস ট্যাগোক্যামেলাস। শত বছর আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের মাঠে-ঘাটে একসময় নীলগাইয়ের দেখা মিলত। এখন দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আসা ঠাকুরগাঁওয়ে আহত নীলগাইয়ের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষের ধাওয়ায় বিরল নীলগাইয়ের মৃত্যু
শিয়াল আতঙ্কে গ্রামবাসীর রাত জেগে পাহারা!
বগুড়ার শাজাহানপুরে আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোর্ট গ্রামে শিয়ালের আক্রমণে গত চার-পাঁচদিনে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে শিয়াল আতঙ্কে গ্রামবাসী লাঠি হাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত নামলেই গ্রামের পাশের ঝোপঝাড় ও জঙ্গল থেকে দল বেঁধে শিয়াল বের হয়ে মানুষকে আক্রমণ করছে। আত্মরক্ষার জন্য মানুষ লাঠি সোঁটা দিয়ে শিয়াল পিটিয়ে মারছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম নয়ন বলেন, গত রাতে ফুলকোর্ট গ্রামের চায়ের স্টলে বসে ছিলেন গ্রামের পাঁচ-ছয়জন লোক। পাশের জঙ্গল থেকে দল বেঁধে আসা শিয়াল হঠাৎ তাদের ওপর আক্রমণ করে। শিয়ালের কামড়ে সাইদুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও আব্দুর রহমান নামের তিনজন আহত হয়। এর আগের দিন ভোরে ফুলকোর্ট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চারজন শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন। আহতরা উপজেলা হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এভাবে গত চার-পাঁচদিনে কমপক্ষে ৩০ জন মানুষ শিয়ালের হামলায় আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ক্ষুদ্ধ্ব গ্রামবাসী চার-পাঁচটি শিয়াল পিটিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষার্থে মানুষ দল বেঁধে রাত জেগে নিয়মিত পাহারা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারি সার্জন কানিছ ফারজানা বলেন, বাসস্থান ও খাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে এবং সম্ভবত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে শিয়ালের দল কয়েক দিন ধরে ওই গ্রামে মানুষ দেখলেই আক্রমণ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
তবে শিয়াল মেরে না ফেলার জন্য স্থানীয় জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৭
বগুড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৫
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নারী নিহত
মাংস সমিতি: সীমিত আয়ের মানুষের ঈদ আনন্দ
১২ বছর আগে ছোট ছোট দুয়েকটি সমিতি গঠনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলায় মাংস সমিতি উদ্যোগটির উদ্ভাবনা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সারা বছর ধরে নিজেদের জমানো টাকায় পশু কিনে মাংস ভাগাভাগি করে নেন এই সমিতির সদস্যরা। গ্রামের কতক সীমিত আয়ের মানুষ একত্রিত হয়ে গঠন করেন এই সমিতি। উদ্দেশ্য- নিজেদের ঈদ উদযাপনে কিছুটা বাড়তি আনন্দ যোগ করা।
বিগত বছরগুলোতে উদ্দেশ্যটি যথাযথ ভাবেই সুনিশ্চিত করে আসছে এই সমিতি।
মাংস সমিতি থেকে সদস্যরা যে সুবিধা পাচ্ছেন
গ্রাম পর্যায়ে এ ধরণের ছোট ছোট সমিতির কারণে গ্রামবাসীদেরকে ঈদের সময় বাজার থেকে মাংস ক্রয় করতে হয় না। কোন কোন সমিতিতে সপ্তাহে আবার কোথাও প্রতি মাসে তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সমিতির ভারপ্রাপ্ত একজনের নিকট জমা করেন। অতঃপর বছর শেষে সবার জমানো টাকা থেকে একটি পশু কেনা হয়। তারপর সেই পশু জবাই দিয়ে সমিতির সদস্যদের মাঝে বন্টনের মাধ্যমে শেষ হয় এর কার্যক্রম। এ থেকে একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ঠ মাংসের যোগান হয়, যা ঈদের বাজার থেকে কিনতে গেলে অনেক বেশী খরচ হোতো।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে ঈদের পরে বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
সাধারণত ঈদের মৌসুমে নতুন জামা-কাপড়, সেমাই সহ নিত্য খাবার কেনার পর খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মাংস কেনার অবস্থা থাকে না। মাংস সমিতি করার ফলে তারা প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ঈদের সময় ৬ থেকে ৮ কেজি মাংস পাচ্ছেন। এই পরিমাণের মধ্যে নিজেরা আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে খাওয়ার পরেও অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করাতে পারছেন।
প্রতি মাসের রোজগার থেকে কিছু টাকা আলাদা করে সমিতিতে জমা করতে তাদের কষ্ট কম হয়। উপরন্তু ঈদের আগের দিন সবাই মিলে নিজেদের পছন্দ মত পশু কিনতে পারেন।
পুরুষদের পাশাপাশি এ ধরণের সমিতিগুলোতে মহিলারাও অংশ নিচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে ঈদের সময় পরিবারগুলো মুক্তি পাচ্ছে আর্থিক চাপ থেকে। সংসারের খরচে বজায় থাকছে সমতা। আর মাংসের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঈদ পালনে যুক্ত হচ্ছে বাড়তি আনন্দ।
দেশ জুড়ে মাংস সমিতির জনপ্রিয়তা
প্রথম দিকে দুয়েকটি করে শুরু হলেও এখন এ ধরণের সমিতির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কসাই ও পেশাদার মাংস বিক্রেতাদের মাধ্যমে সূত্রপাত ঘটলেও এখন সব ধরণের পেশাজীবী মানুষেরা মাংস সমিতি গঠন করছেন। শুধু তাই নয়, স্বল্প আয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে এ ধরণের সমিতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে শহরাঞ্চলের স্বচ্ছল মহলগুলোতেও।
আরও পড়ুন: করোনার চেয়ে শক্তিশালী ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৩২৩ প্রাণ
রাজশাহীর বাঘা, টাঙ্গাইলের সখীপুর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভাগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে মাংস সমিতির কার্যক্রম। প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য নিয়ে গড়ে উঠতো এ ধরণের সমিতি। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। এমনকি এখনো প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সদস্য সংখ্যা।
রাজশাহীর কুশাবাড়িয়া, হামিদকুড়া, জতরঘু, গোচর; শুধু এই চার গ্রামেই মাংস সমিতির সংখ্যা ৫০ এর বেশী। ঈদের আগের দিন এখানে জবাই হয় ৩৮ টি গরু ও দুই শতাধিক ছাগল। টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভায় চলতি বছর মাংস সমিতির সংখ্যা হাজার খানেক ছাড়িয়েছে। নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ৩১৬ টি গ্রামে সমিতি সংখ্যা দাড়িয়েছে সর্বমোট এক হাজারেরও বেশী।
আরও পড়ুন: ঈদে করোনামুক্তি ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য তথ্যমন্ত্রীর প্রার্থনা
এলাকাগুলোতে ধনী গরিব নির্বিশেষে সবাই এখন এ সমিতির সদস্য। একসাথে অনেক লোকের অংশগ্রহণের দরুণ পশু কেনা থেকে শুরু করে ভাগ বাটোয়ারা সব কিছু সহজতর হয়। তাছাড়া এ ঐক্য ঈদের আনন্দ আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
পশু ভাগাভাগির পর পশুর চামড়া বিক্রির টাকা জমা হয় সমিতির ফান্ডে, যা পরবর্তীতে ব্যয় হয় সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায়।
পরিশেষ
একের চেয়ে সমষ্টিগত প্রচেষ্টার সুফলের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই মাংস সমিতি। উদ্দেশ্য শুধু ঈদ আনন্দ হলেও এ কাজের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের একসাথে কাজ করার প্রবণতা, পুরণ হচ্ছে নিম্নবিত্তদের মাংসের চাহিদা এবং সংসারে বজায় থাকছে ভারসাম্য।
নেত্রকোণায় জলাশয় ইজারা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি
পূর্ব শত্রুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সরকারি খাস জমির জলাশয় (ফিসারী) দখলকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ৭৩ রাউন্ড র্শটগানের ফাঁকা গুলি এবং ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।
জানা যায়, মঙ্গলার সন্ধ্যায় উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা ভাটিপাড়া ও চংনওগাঁও গ্রামবাসীর মাঝে এই ঘটনা ঘটে। দুই গ্রামের সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ভারত ফেরত ২ জনের করোনা শনাক্ত
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাট্টা ভাটিপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী আতাউল হক মিন্টু গংদের সাথে চংনওগাঁও গ্রামের শাহীন গংদের পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সরকারি খাস জমির জলাশয় (ফিসারী) ইজারা নিয়ে তাদের বিরোধ তুঙ্গে উঠে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে বাট্টা ভাটিপাড়া এবং চংনওগাঁও গ্রামের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাঠে নামে। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে চংনওগাঁও ও বাট্টা ভাটিপাড়ার কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) একেএম. মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) জোনাঈদ আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ্ নেওয়াজ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৭৩ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতদেরকে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় স্ত্রীর কুড়ালের কোপে স্বামী নিহত
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এবাদুর রহমান জানায়, কেন্দুয়া হাসপাতালে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহ্ নেওয়াজ বলেন, ‘পূর্বশত্রুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জলাশয় ইজারা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০/৩৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৭৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।