নির্বাচনি সংস্কার
নির্বাচনি সংস্কারের সুপারিশ করা আমাদের কাজ, বাস্তবায়ন নয়: বদিউল আলম
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের (ইসি) প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, তারা নির্বাচনি ব্যবস্থার সব দিক পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনি ব্যবস্থার সব দিক পর্যালোচনা করব এবং তার ভিত্তিতে সুপারিশ তৈরি করব। কিন্তু বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব নয়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক মজুমদার এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল আলম
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কন্যা শিশুদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, তার কমিশন সুপারিশ করবে এবং তা করার জন্য ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমি জানি না। আমার মনে হয় আরও সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে সংলাপ হবে। ‘একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে এবং সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস পূর্ণ উপলক্ষে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান ও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।
কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা বদিউল আলমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ মাস আগে