জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে ড. ইউনূস আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর অব্যাহত অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি সেনাবাহিনীর এই ভূমিকা সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে স্পষ্ট কমান্ড কাঠামো ও সব বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জরুরি।
পড়ুন: নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছি যে এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করব— যা ভোটার উপস্থিতি, নতুন ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা এবং বিশ্বব্যাপী আস্থার দিক থেকে আলাদা হবে। এটি হবে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের এক উৎসব।’
প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, গুজবে কান দেবেন না। সরকারের সব উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফল করতে পুরো সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৯৪ দিন আগে
সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। দেশটির জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট তাকে এই পদকে ভূষিত করেন।
সফর শেষে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এসময় তিনি মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন।
সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুজাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামফ্রি নয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক আর্মড ফোর্সের প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট এবং সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফস্টিন আরচাং টুডেরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেনাপ্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।
২৭৩ দিন আগে
কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বলেছিলেন, ‘নিজেরা কাদা-ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের সবার, আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই।’
সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। বাকিটা ইন্টারপ্রিটেশন কী—আপনারা জানুন।’
আরও পড়ুন: নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
‘আমি যতটা উনাকে চিনি, ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রধান কী বলেছেন না বলেছেন, সেটার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। সেটা উনিই বলতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি যেভাবে সম্বোধন করেছেন, সেটা পারেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আপনারা উনাকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
২৮১ দিন আগে
সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন থেকে নবীন কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। সামরিক চেতনামূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অধীনস্তদের সামনে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন কর্মকর্তাদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: ‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকা শক্তি। এখানে সকল নির্ধারিত নিয়ম প্রথা ও অনুশাসন পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিবেকের দারস্ত হবে। তোমরা ভুলে যাবে না তোমাদের গড়ে তুলতে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
৮৭তম বিএমএ'র দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৯তম বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ২৪ জন নারীসহ ২৩১ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
সকাল ৯টায় ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুরু হয় কুচকাওয়াজ।
প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সকালে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান- জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্টেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে মা-বাবা-অভিভাবকরা নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকতাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৩ জন ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স থেকে ১৪ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট অফিসার ও ৪ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেছেন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
৩৬৬ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। পরে আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন।
এছাড়াও সব পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশের সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার জন্য গর্বিত।
এরপর দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান।
পরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা দেওয়াসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসিসহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৩৬ দিন আগে