রাজধানী ঢাকা
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন
রাজধানী ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নিবেদিত প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন-২০২৪' সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ল’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আলী আসগর খান। এসময় তারা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রশাসক ও বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর সভাপতিত্বে এবিইউ’র ট্রেজারার ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন- সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন আহমেদ।
কনভেনশনে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের রিট করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা ও ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, রিটের বাদী বিএসএস’র বিশেষ প্রতিনিধি আইনজীবী দিদারুল আলম, আনিসুর রহমান মীর ও তাদের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়াকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, লায়ন ড. হারুনুর রশীদ, অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, অভিনেতা ডিএ তায়েব, ড. সৈয়দ আবদুল, লাহ আল মামুন চৌধুরী, ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ মীর বারেকে ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ড. হামিদা খানম, প্লানচেট লেখক কাপ্তান নূর, মুদ্রন ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসময় নাচ, গান, অভিনয় করে কনভেনশনকে উৎসবমুখর করে তোলেন পালকী শিল্পীগোষ্ঠী, আলফ্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
১ সপ্তাহ আগে
রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
রাজধানী ঢাকায় কয়েক দশক ধরেই ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড গটে চলেছে। পর্যবেক্ষণ ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বার বার প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ক্রমাগত অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবের ফল এসব ঘটনা।
রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। এসব ভবনে অগ্নিসংকেতের ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে নিজেও পুড়ে মরল যুবক
আগুনের ঘটনায় গাফিলতির জন্য রাজউকসহ সংশ্লিস্ট সংস্থা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত নজির সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির কারণে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে বলে নগর পরিকল্পনাবিদদরা মনে করেন।
প্রায় প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেন বললেই চলে।
নানা অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন এবং রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদনের বাইরে ভবন ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ, গুলিস্তান ট্রাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে ঢাকার বাসিন্দাদের। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডি। নতুন করে মারা গেছেন ৪৬ জন। এসব প্রতিটি ট্রাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই মুখেই ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় ইমারত অনুমোদন ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্হা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে, না হলে অতীতের মতো ছাড় দিলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে।’
এসব অগ্নিকাণ্ডের দায় রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা, ভবন মালিকের পাশাপাশি জেনে শুনে ভাড়া নেওয়া দোকান মালিকদের নিতে হবে বলে জানান তিনি।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মিশ্র ব্যবহার রাজধানীকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীর কোথাও ঢাকার মতো মিশ্র ব্যবহারের উদাহরণ নেই। রাজউক বাইরের দেশের উদাহরণ দিচ্ছে, কিন্তু বাইরে হয়তো আবাসিক জোনে ছোট্ট একটা কফি শপ বা ছোট্ট কোনো দোকান আছে। কিন্তু ঢাকায় রাজউক যেভাবে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকে রূপান্তরের বৈধতা দিচ্ছে, এতে রাজধানীকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৭ মাস আগে
ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
ভোলা জেলার ইলিশা-১ কে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ (সোমবার) ঢাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইলিশা-১ এর ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এই এলাকাসহ পুরো ভোলা এলাকায় তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য এটি একটি সুসংবাদ।
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮২ কিলোমিটার দূরে ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ইলিশা-১ অবস্থিত।
চলতি বছরের ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ইলিশা-১ খনন কাজ শুরু হয় এবং গত ২৪ এপ্রিল তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে তিনটি স্তরে ড্রিল স্টেম টেস্টের মাধ্যমে সফলভাবে খনন কাজ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বলেন, ভোলা উত্তর ও ভোলা দক্ষিণ কাঠামোর আওতাধীন বিভিন্ন কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভোলা এলাকা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে অনেক শিল্প-কারখানা গ্যাসের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা পরিচালিত হয়েছিল এবং এখন বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি বড় ট্রেলারের মাধ্যমে ভোলা থেকে মোট ২৫ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘন ফুট) গ্যাস আনার জন্য একটি বেসরকারি কোম্পানি চুক্তি করেছে। প্রাথমিকভাবে যা পাঁচ এমএমসিএফডি দিয়ে শুরু হবে।
তিনি জানান, ভোলা, বরিশাল ও ঢাকা জুড়ে পাইপলাইনের রিং-ফেন্স তৈরির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে এবং ঢাকা, সিলেটসহ অন্যান্য জেলাজুড়ে আরেকটি রিং-ফেন্স তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় মূল্যে ভোলায় গ্যাসের বাণিজ্যিক মূল্য দাঁড়াবে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং আমদানি করা গ্যাসের মূল্য ২৬ হাজার কোটি টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রয়োজনীয় খনন ও অন্যান্য কাজ শেষে ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় দুই হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি'র চাহিদা মেটাতে প্রায় ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে, ঘাটতি থাকছে প্রায় এক হাজার এমএমসিএফডি।
ইলিশা-১ ছাড়াও ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ, যেখানে উৎপাদন ৮০-৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে।
ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ উদ্বৃত্ত ক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
পাইপলাইন ও সঞ্চালন সুবিধা না থাকায় ভোলা ক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ অন্যান্য জ্বালানি চাহিদাসম্পন্ন শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি সরকার।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
হবিগঞ্জ বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট ৪র্থ দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
ধর্মঘট চলাকালে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সোমবারও পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে থাকে।
রুট গুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ-–মাধবপুর, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ- আউশকান্দি, হবিগঞ্জ-বাহুবল, হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট ও হবিগঞ্জ ভায়া চুনরুঘাট-মাধবপুর, এছাড়া হবিগঞ্জ-ঢাকা পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে।
ধর্মঘট চলাকালে দূরপাল্লার যাত্রীরাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
১ বছর আগে
ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু মানের শহরের তালিকায় ৪২ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বায়ুর গুণমান সূচকে (একিউআই) শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার স্কোর ৫৭।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘গ্রহণযোগ্য’ বা ‘মধ্যম’ বলে বিবেচিত হয়। তবে, বায়ু দূষণের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল মানুষের জন্য এ বায়ু মাঝারি স্বাস্থ্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং চীনের বেইজিং যথাক্রমে ১৬৯ ও ১৬৬ এবং ১৬১ একিউআই স্কোর সহ তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে। একিউআই স্কোর ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে ওই বায়ুকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
এছাড়া এ মান ২০১-৩০০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩০১-৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
দৈনিক বায়ুর গুণমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক হলো একিউআই। একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা নিরাপদ বা দূষিত এবং এ বায়ু তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিরকম প্রভাব ফেলবে সরকারি সংস্থাগুলো জনগণকে তা জানাতে একিউআই ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ এবংপিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তাঘাট, ইটভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণা ব্যাপকভাবে নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে মানুষের হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন-স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে
২ বছর আগে
মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় শনিবার মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম মো. সুমন (৩৮) এবং আহত রকি (৩৫)।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল হোসেন জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট এলাকার ঈদগাহ গেটের সামনে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ১
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সুমন ও রকিকে ছুরিকাঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই জানান, গুরুতর জখম নিয়ে আহত রকি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
২ বছর আগে
দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
প্রাণের শহর ঢাকার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত যে বিষয়টি তা হচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনসাধারণের জীবনের মতই মূল্যবান সময়কে উপেক্ষা করে মুহুর্মুহু বেড়ে চলেছে ট্রাফিক জ্যাম। বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতার দরূণ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যখন মানুষের জীবন-জীবিকা কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে, তখন ছোট্ট দেশটির ছোট্ট রাজধানীবাসীদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে অমূল্য সময়গুলোকে অর্থপূর্ণ করতে না পারার আফসোস নিয়ে। কিন্তু চরম এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আরও সময় নষ্ট করার চেয়ে অবস্থার সঙ্গে জীবনধারণকে মানিয়ে নেয়াটা উত্তম। জেনে নিন ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার সময়গুলোকে কী করে ফলপ্রসূ করা যায়।
ট্রাফিক জামে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়লে সময় পার করবেন কিভাবে?
আসন্ন কাজের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া
শিক্ষার্থী বা কর্মজীবী সকলেই নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার সময়টিতে সেই কাজের নিমিত্তে শেষবারের জন্য নিজেকে একবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে। শিক্ষার্থীদের হরহামেশা পরীক্ষার জন্য রিকশায় বসেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিড়বিড় করতে দেখা যায়। কর্মজীবীরা অফিসের মিটিংয়ের এজেন্ডা, প্রেজেন্টেশন বা ক্লায়েন্টের সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি এ সময় ভালো করে একবার দেখে নিতে পারেন। এছাড়াও কোন বন্ধু-বান্ধব এমনকি আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। যে কোনো নিক্ষুত যোগাযোগ বা কথোপকথোনের জন্য এরকম পূর্বপ্রস্তুতি অনেকটা সময় বাঁচিয়ে দেয়।
আগামীকালের পরিকল্পনা করা
জীবন সংসারের কাজগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তার অনুকূলে কর্মপরিকল্পনাগুলো মানুষের অভ্যস্ততার সঙ্গে মিশে যায়। আর এর জন্যেই বেশি রাত করে ঘুমানোর পরেও সকাল ৭টার ট্রেন ধরতে কেউ মিস করে না। তবে আগের রাতে কাপড়-চোপড়গুলো ঠিকঠাক ব্যাগে গুছিয়ে রাখতে হয়। ঠিক তেমনি আগামী দিন কার কার সঙ্গে দেখা করতে হবে, কোথায় কোথায় যেতে হবে, লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়গুলো ট্রাফিক জ্যামে বসেই ঠিক করে ফেলা যায়। যেহেতু আগামীকালও ট্রাফিক জ্যাম থাকবে, সেহেতু সেই কাজগুলোর জন্য সময়ের সঠিক হিসাব করে রাখা জরুরি। আর তার জন্য আজকের ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা মুহুর্তগুলোই সেরা সময়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
অনলাইনে খবর পড়া
রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে স্থানীয় খবর থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ব্যাপারে সর্বশেষ খবরটি জানা থাকা উচিত। নিদেনপক্ষে, আগামীকাল নির্দিষ্ট কোনো কারণে শহরের অধিকাংশ রাস্তায় অধিক জ্যাম থাকবে কিনা তার জন্যও খবরের পোর্টালগুলোতে চোখ বুলানো দরকার। পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলোতে প্রায়ই অনেককে খবরের কাগজ পড়তে দেখা যায়। তাছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও হালনাগাদকৃত খবরগুলো পাওয়া যায়।
ডিআইওয়াই (ডু ইট ইয়োরসেল্ফ) ভিডিও দেখা বা আর্টিকেল পড়া
ইউটিউবের কল্যাণে এখন এই ধরনের ভিডিওগুলো পাওয়া খুব সহজ হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ছোট-খাট কাজ থাকে, যেগুলোর জন্য অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায় যে কাজগুলো আসলে অতটা কঠিন নয়। একবার দেখে নিলেই যে কেউ নিমেষেই কাজগুলো করতে পারে। বাসা থেকে বেরনোর সময় হয়ত কোনো ফার্নিচারের ছোট একটি অংশ বেকায়দায় আলাদা হয়ে গেছে, দরজার নব খুলে গেছে, বেসিনের সিঙ্কের পাইপে লিক হয়েছে ইত্যাদি। এগুলোর কীভাবে ঠিক করতে হয় তা জ্যামে বসে নিজেই শিখে ফেলা যায়। এতে খরচও বাঁচবে আর সাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রেও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
২ বছর আগে
একিউআই: ঢাকার অবস্থান তৃতীয়
বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৯ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
ভারতের কলকাতা ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৯১ ও ১৯০ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম দুটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি৷ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
২ বছর আগে
কোভিড-১৯: হঠাৎ ‘আকর্ষণ’ হারিয়েছে পছন্দের শহর ঢাকা
উন্নত জীবনযাপনের আশায় মাত্র ছয় মাস আগেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ ঢাকায় আসলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এখন রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই।
৪ বছর আগে
একিউআই: ঢাকার বাতাসের মান ফের ‘অস্বাস্থ্যকর’
টানা কয়েক দিন ধরে উল্লেখযোগ্য উন্নতির পর শুক্রবার সকালে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় খারাপ অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা।
৪ বছর আগে