৪ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ফারুক তালুকদার হত্যার ঘটনায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। এ সময় দুজন উপস্থিত থাকলেও দুইজন পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আনিছ মল্লিক, সহিদ শেখ, পলাতক শাহজাহান শেখ এবং মো. শামীম ওরফে ভাগ্নে শামীম। পরে উপস্থিত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ মার্চ ফারুক তালুকদার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করার পর ৭ মার্চ সকালে ফরিদপুর জেলার লক্ষ্মীদাসের হাট এলাকায় রাস্তায় ফারুক তালুকদারের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলা : পাপিয়ার কারাদণ্ড, খালাস পেলেন স্বামীসহ ৪ জন
এই ঘটনায় নিহতের ভাই হান্নান কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের মামলা করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, "হত্যার মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।"
১৯১ দিন আগে
রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এছাড়া, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৯ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই বাড্ডায় স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলাটিতে আদালত অভিযোগত্রভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
এদিকে, দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৪২৩ দিন আগে