জড়িত
গণহত্যায় জড়িতদের কখনোই বিএনপিতে জায়গা হবে না: ফখরুল
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের কখনোই বিএনপিতে জায়গা হবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেষ দেওয়া আছে, যারা সন্ত্রাসী ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়েছিল, তাদের কাউকেই যেন বিএনপিতে না নেওয়া হয়।’
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতি ফ্যাসিবাদ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। আর গণতন্ত্র রক্ষার একমাত্র উপায় সুষ্ঠু নির্বাচন। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংসদই হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠান।’
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
‘জনগণের শাসনকে স্থাপন করতে হবে। জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া আর অন্য কোনো উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। আমি জানি, সব প্রতিষ্ঠানে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে এটিই হবে সব থেকে বড় রক্ষাকবচ।’
উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষদের দ্রুত সহায়তার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপটা বেশি। সরকারিভাবে উত্তরবঙ্গের শীতের বরাদ্দ দ্রুত আসবে- এমনটাই আশা ছিলো। তবে এখনও যেহেতু আসেনি, তাই জেলা বিএনপি নিজস্ব অর্থায়নেই শীতার্তদের মাঝে কিছু কম্বল বিতরণ করছে। আশা করছি, অসহায় এসব মানুষ দ্রুত সরকারি সহযোগিতা পাবে।’
এ সময় জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
৯২ দিন আগে
‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি’
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমাদের সর্বপ্রথম দাবি হলো, আজকের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করবেন না। কোনো অপরাধী ছাড় পাবেন না। আমরা তাদের এ আশ্বাসের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব এ কথা জানান।
মামুনুল হক বলেন, আমরা একেবারে স্পষ্ট যে এটি কোনো সংঘর্ষ ছিল না, বরং এটি ছিল এক পক্ষীয় হামলা। সাদপন্থিরা এখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকদের হতাহত, খুন ও অসংখ্য মানুষকে জখম করেছে।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
তিনি আরও বলেন, আমরা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদারভাবে জানিয়েছি— এই হামলার আগে থেকে কারা কারা জড়িত সেই প্রমাণ ইতোমধ্যে জনসমক্ষে চলে এসেছে। কারা সেখানে গেট, বাউন্ডারি ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকছে সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিতেও সেগুলো রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বসেন উপদেষ্টাদেরা।
৯৮ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে প্রশাসন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে সহিংসতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
১৬৮ দিন আগে