দৃষ্টিভঙ্গি
নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম
তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ নদী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফ্যাসিস্টদের হাতে শহীদ হয়েছেন। নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে।
তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ নদীর কথা বলতে গিয়ে শহীদ হন। ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে বিগত ১৬ বছরে নদীর যে বিপর্যস্ত অবস্থা তার সমাধান কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। নদী, কৃষি এবং পরিবেশ নিয়ে জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: নাহিদ ইসলাম
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে নদী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। ঢাকার চারদিকে চারটা নদী রয়েছে এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হত। বিভিন্ন মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। দখলদারদের প্রতিহত করতে রুপরেখা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি রূপরেখা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখি হাওরের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয় পরবর্তীতে সেই রং গিয়ে পানিতে পড়ে এতে অনেক মাছ মারা যায়, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে বিষয়ে কথা বলা লোকের সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই কম। তাই নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
৩ সপ্তাহ আগে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। তাহলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বংশানুক্রমিকভাবেই আমাদের অন্তর সংকীর্ণ এবং অন্যদের স্থান দিতে পারি না। এদেশে বসবাসকারী সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
বুধবার (৯ অক্টোবর) সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পূর্বের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুই কোটি বরাদ্দ দিত। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর চার কোটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া, এবারই প্রথম প্রথাগত নিয়ম ভেঙে দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহমানকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করে থাকে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এবছরও তারা আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারবে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশকিছু মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি মন্দিরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। পরেও আমি বিভিন্ন উপাসনালয় পরিদর্শনে যাব। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছি, আগামী দিনেও রক্ষা করব।
তিনি বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ আমাদের ছোট করে দেয়। বাংলাদেশ আমাদের সবার। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চাইলে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, গুজব ছড়ানো হয়েছে
১ মাস আগে