সার্চ কমিটি গঠন
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করবে সরকার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সার্চ কমিটি গঠন করবে সরকার।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ' দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি ও গণফোরামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থনকারী ১৪ দলের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
গত তিনটি নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং অবৈধভাবে সংসদে গেছেন তাদের কথাও বলেন তিনি।অনেক আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তারা অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাহফুজ বলেন, এটি স্পষ্ট যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে তাদের অংশগ্রহণের (নির্বাচনে) ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে এবং কীভাবে এই বাধা কার্যকর করা হবে তার আইনগত ও প্রশাসনিক দিক রয়েছে। "আপনারা শিগগিরই দেখতে পাবেন। নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু হলে এসব বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
১৪ দলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। মাহফুজ বলেন, সরকার এটি পর্যালোচনা করছে এবং সরকার একা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন, সংস্কার, আওয়ামী লীগের আর্থিক অপরাধ, মানুষ হত্যার দায়ে তাদের বিচার এবং আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করা শরিকদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছে।
বিগত তিনটি সংসদকে কীভাবে অবৈধ ঘোষণা করা যায় এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।
মাহফুজ বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক তরুণ তাদের ভোট দিতে পারেনি এবং নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে তাদের কীভাবে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা দেখবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, তৈরি পোশাক খাতের স্থিতিশীলতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার ১০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দলগুলো হলো- গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ জাসদ (শরীফ নুরুল আম্বিয়া), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
২ মাস আগে