পুনরুত্থান
আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের পুনরুত্থান ঠেকাতে ছাত্র-জনতাকে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে, তা অবশ্যই উন্মোচিত রাখতে হবে। তাদের দোসরদের সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বা পুনরায় উত্থান ঠেকাতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে প্রতিহত করতে হলে মুক্তিকামী ছাত্র ও জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ক্ষেত্র তৈরিতে দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পরবর্তীকালে, ছাত্র-জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় এবং এই গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার শুধু পরাজিতই হয়নি, কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন প্রমাণ করেছে সত্য ও ন্যায় শেষ পর্যন্ত অন্যায়, দমন ও নীপিড়নের ওপর জয়ী হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও তাদের শপথ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, যা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সেটা অনুষ্ঠিত হলে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা দেশের শাসনভার নিলে এই আন্দোলনের সফলতা অর্জিত হবে।’
পরে ড. মঈন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন আহত রোগীদের দেখেন এবং তাদের মধ্যে ৫১ জনকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
১ মাস আগে
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রুখে দিতে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব যত দ্রুত সম্ভব পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা ও সাবেক এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। পরে দলের জাতীয় কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে যারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা অনুশোচনা প্রকাশ করেনি, অনুতাপ প্রকাশ করেনি এবং তারা দেশের ক্ষতির জন্য কাজ করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অবিচল রেখে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো- এত দমন-পীড়ন সহ্য করেও আমরা শিক্ষা নিইনি।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করতে দেশে ফেরানোর দাবি বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, শুধু সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে একটি গণতন্ত্রপন্থি দল আরেক দল সম্পর্কে কটূক্তি করছে, যা কোনো কাজে আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে গণঐক্য গড়ে তুলেছি তা দিয়ে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে পারি। এই ঐক্যের সঙ্গে যদি কোনোভাবে আপস করা হয়, তাহলে সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আমাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এজন্য আমাদের একতা বিপন্ন করা উচিত নয়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশ গঠন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ডান, বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামি সব শক্তিকে নিয়ে কাজ করাই বিএনপির লক্ষ্য। ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশের মানুষ যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের শিকার না হয়। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষেও কথা বলি, কিন্তু এর অপব্যবহারের পক্ষে নই।’
স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দোসররা গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সব অশুভ প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সহায়তা করাই তাদের দলের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা। ফ্যাসিবাদ দূর হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা আশা করি, তারা এটি সঠিকভাবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারকে একটি যৌক্তিক সময়সীমা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ‘তবে সরকারের লক্ষ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি আমাদের বুঝতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ‘তারা যেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাহিনীকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আর ফিরে আসেননি।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি না তারা বেঁচে আছেন কি না। তাদের সন্তান, বাবা-মা ও স্বজনরা এখনো প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অসংখ্য ছাত্র ও নাগরিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। ‘জনগণ যাতে আর এ ধরনের শাসনের মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার তৃণমূল বিএনপি চেয়ারম্যান শমসের মবিন
২ মাস আগে