বাংলাদেশ হাইকমিশন
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘মুজিব’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী
ভারতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীমূলক এই চলচ্চিত্র ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন’র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এবং ভারতের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত এই চলচ্চিত্র শুক্রবার (৩১ মে) নয়াদিল্লিতে স্থানীয় জনপ্রিয় সিনেপ্লেক্স পিভিআর প্রিয়াতে বাংলায় দেখানো হয়।
প্রদর্শনীর শুরুতে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান এবং আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
৬ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান- মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেসকো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান নাহিদা রহমান সুমনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে অবিহিত করেন এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ নামে এই সুন্দর দেশটির অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্দীপিত হয়ে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার, ব্রুনাইয়ের আইন-কানুন মেনে চলার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার উপদেশ দেন।
এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১১ মাস আগে
‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ফিজি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ তুলে দেওয়া হয়েছে হাইকমিশন থেকে।
জাতীয় প্রবাসী দিবসকে সামনে রেখে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী পুরস্কারপ্রাপ্তদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নাঈম, মোহাম্মদ কাজী আবদুল কাদের, মো. মাহাতাব উদ্দিন খান ও সিফাত বিন আজাদ এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শাহিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউ জিল্যান্ড প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরা মাতালো সোলস
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মদ আজিজ রহমান ও ফিজি প্রবাসী এ বি এম শওকত আলীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনার সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন বলে তিনি আশবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর জোর দেন হাইকমিশনার।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এ বি এম শওকত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও মো. শাহিনুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করবে।
হাইকমিশনের মিনিস্টার ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরির শ্যাডো মালটিকালচারাল মিনিস্টার পিটার কেইন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩ পালন করেছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে হাইকমিশনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এ বছরের জাতীয় সংবিধান দিবসের প্রতিপাদ্য- 'বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, সংবিধানের বর্ণনা'।
এ সময় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩’- উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এরপর উপস্থিত ব্যক্তিদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ণ বাঙালির জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস ও সংবিধানের চেতনা ধারণের জন্য জাতীয় সংবিধান দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা -কর্মচারি ও মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিনিউটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে শনিবার (২১ অক্টোবর) শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়'- প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
এসময়, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট এন্ড সিভিলাইজেশন ফ্যাকাল্টির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দাতুক ড. ওয়ান আহমেদ ফৌজি বিন ওয়ান হোসেন, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সকল শিশু-কিশোরের জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
এসময় শেখ রাসেলের আত্মত্যাগকে শক্তিতে রুপান্তর করে শেখ রাসেলের স্বপ্নের সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তীতে, হাইকমিশনার বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
১ বছর আগে
ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় শুক্রবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী ও তাদের সন্তানরা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, হাজার বছরে বাঙালি জাতি সত্তার সৃষ্টি হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার মাধ্যমে এ জাতিসত্তার পরিপূর্ণতা দেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর নারকীয় ও বীভৎস গণহত্যার মধ্যে বাংলাদেশে ৭১’র ২৫ মার্চের গণহত্যা অন্যতম। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং এদেশের অধিকাংশ মানুষকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় হলো বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সামাজিক ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কয়েকজন খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করা করা হয়।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবস পালিত
৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত
২ বছর আগে
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজয় দিবস উদযাপন
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
মিশন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে জাতির ঐতিহাসিক বিজয়ের এক গৌরবময় উদযাপনে স্বাধীনতা যুদ্ধের লাখো শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে।
হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
হাইকমিশনার রহমান ও অন্যরা মিশনের মুজিব কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। এ.কে.এম. আতিকুল হক (বাণিজ্যমন্ত্রী); উইং কমান্ডার এস এম রাগিব সামাদ (সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা - বিমান); মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (কাউন্সেলর - রাজনৈতিক), জাকারিয়া বিন আমজাদ (দ্বিতীয় সচিব) ও সেলিম মো. জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী - কনস্যুলার) আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাতের পর ৫২ বছরের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটি হবে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দেশ। গত পাঁচ দশক ধরে আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ক্রমাগত পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী তত্ত্বাবধায়নে হাইকমিশনার বলেন, তারা এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নত, প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করে বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামিকে দেশে ফেরাতে বিকল্প পথ খুঁজতে অনুরোধ
কানাডায় পলাতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে দেশটিকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ অনুরোধ জানান।
পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডা আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেনহাই কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি একজন খুনিকে আশ্রয় দেয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
সফরে তারা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র, গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আস্থাশীল থাকার আহ্বান কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের শোক
বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরের `পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল' যাত্রা শুরু
২ বছর আগে
গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আস্থাশীল থাকার আহ্বান কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের
মিথ্যা বা বানোয়াট সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে দূতাবাসের প্রতি আস্থাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, একটি অসাধু মহল কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপ্রপচার চালাচ্ছে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সালে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিতে আসা একজন প্রবাসী বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় দূতাবাসের আম্পাংস্থ পাসপোর্ট অফিসে আসার পথে গাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুনা
সম্প্রতি একটি অসাধু মহল সেই মৃত ব্যক্তির ছবিকে উপজীব্য করে ভুয়া তথ্য দিয়ে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে, দূতাবাসের অসহযোগিতার কারণে উক্ত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেতরে সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ ধরনের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে দূতাবাসের প্রতি আস্থাশীল থাকার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
দূতাবাস এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চেয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বদা বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাক্ষাৎ
২ বছর আগে