বন্যার্ত কৃষক
উত্তর-ময়মনসিংহের বন্যার্ত কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে বিএনপি
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা, প্রণোদনা ও সুদমুক্ত ঋণসহ সার্বিক সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার এখনও দৃশ্যমান কোনো ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় গত মাসের শেষ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ভারী বন্যায় প্লাবিত হয়। লাখ লাখ মানুষ বন্যায় অসহায় হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে এই বিপর্যয়কর বন্যার জন্য মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলকে দায়ী করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় আমন ধান চাষি, সবজি চাষিদের পাশাপাশি মাছ ও পোল্ট্রি খামারের মালিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার সময় যে ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে তা বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। বাজারে চাল, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ও ডিমের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে অবশ্যই সক্রিয় হতে হবে। কৃষকদের সার, কীটনাশক এবং বীজের প্রাপ্যতা বাড়ানো বা প্রণোদনার মাধ্যমে সহায়তা পাওয়া উচিত।
বন্যায় যাদের ফসল ও জমির ক্ষতি হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ফসল কাটার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ত্রাণ সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তী ফসলের জন্য বিনা সুদে কৃষি ঋণ, বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা। পরবর্তী ক্রমবর্ধমান মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য তাদের রবি ফসল উৎপাদনের বীজও পাওয়া উচিত।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারের তালিকা তৈরি করে খামার পুনঃস্থাপনে সুদমুক্ত ঋণ ও অন্যান্য অতিরিক্ত সহায়তা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যোগ্য ইসির অধীনে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান গণফোরামের
২ মাস আগে