সাত কলেজের শিক্ষার্থী
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
ছয় দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গেল রাত থেকে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ ৪০ জনের উপরে আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গেল রাতের ঘটনায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবি পেশ করেছেন, যার প্রথম দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরো সংঘাতের দায় নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত রাতের সংঘাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় থানার এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংঘাতের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইডেন কলেজ এবং বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ঢাকা কলেজের ছাত্র সজীব জানান, বিকাল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বর্তমানে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নতুন করে কোনো সংঘাত সৃষ্টি না হলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপ উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে জুতা প্রদর্শন এবং স্লোগান দিয়েছেন।
৮১ দিন আগে
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ
অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজে জড়ো হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবির সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির কারণে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের শাহবাগ অবরোধ
বিশেষ করে পরীক্ষা মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বা ক্লাস করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহসিন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম চাই এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শ্রেণিকক্ষে জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। শিক্ষকরাও সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, যা একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের ফলাফলকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এছাড়াও ঢাবির রেজিস্টার ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথাও তুলে ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি চান এই শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ছাত্র রাহাতুল ইসলাম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কেউ নজর দেয়নি। এই প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ ও পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নই। এই জনদুর্ভোগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঢাবি উপাচার্য দায়ী।’
অবরোধের কারণে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
১৭৯ দিন আগে