ঘূর্ণিঝড় দানা
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
বাতাসের মান যাচাই করে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা হয়ে থাকে। এই তালিকায় ৭৭তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। বর্তমানে এ শহরের বাতাস 'মাঝারি' পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের একিউআই স্কোর ৫৪।
অন্যদিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ২৬৫, ১৯৮ ও ১৯২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১ মাস আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘দানা’, উপকূলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৮.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: ভোলায় প্রস্তুত ৮৬৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। এদিকে ঝড়ের পূর্বাভাসে বেড়িবাঁধ ও চরাঞ্চল এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবার (২৩ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
এসময় জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, গঠন করা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে মজুদ রয়েছে ৫৮৪ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ রয়েছে ৯ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয় এই সভা থেকে।
আরও পড়ুন: উত্তর-ময়মনসিংহের বন্যার্ত কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে বিএনপি
১ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’তে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
১ মাস আগে