ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। এদিকে ঝড়ের পূর্বাভাসে বেড়িবাঁধ ও চরাঞ্চল এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবার (২৩ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
এসময় জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, গঠন করা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে মজুদ রয়েছে ৫৮৪ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ রয়েছে ৯ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয় এই সভা থেকে।
আরও পড়ুন: উত্তর-ময়মনসিংহের বন্যার্ত কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে বিএনপি