ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের পৃথক বিধিমালা প্রণয়ন, বিভক্ত ব্যাংকাররা
দেশে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পৃথক বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিধিমালা প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রস্তাবিত বিধিমালায় প্রচলিত ব্যাংকগুলো এখন থেকে সরাসরি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে না। এর পরিবর্তে ব্যাংকগুলোকে ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কর্মকর্তা বলেন, ‘এ আইন কার্যকর হলে প্রচলিত ব্যাংকগুলো শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে না।’
তবে কিছু ব্যাংকার যুক্তি দেখিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) অধীনে বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
১৯৮০-এর দশকে আইডিবিতে সইকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ। যা প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে প্রবর্তনকে সহজতর করেছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রস্তাবিত নীতিমালার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের জন্য ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর পরিবর্তে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে নতুন আইন (বিধিমালা) আইডিবির ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।’
তিনি বলেন, আইডিবির ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোতে শরিয়াহ পরিপালন ও তহবিল ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগ স্থাপন করতে পারে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো ও শাখাসমূহের বর্তমান সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘উইন্ডোজ বা শাখার মাধ্যমে যেসব ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং করছে তাদের সবার অবস্থা ভালো। একটি ইসলামি অন্যটি প্রচলিত ব্যাংকিং করে তুললেই ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। আমরা যদি পৃথক ব্যালান্সশিট ও আয় বিবরণী প্রস্তুত করি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করি, তাহলে এটি আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী হবে।’
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, 'তারা যদি সঠিকভাবে মনিটরিং করে এবং শরিয়া বোর্ড যদি যথাযথভাবে থাকে, তাহলে আমার মনে হয় এখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তবে কিছু বিশ্লেষক পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রচলিত ব্যাংকগুলোর অধীনে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আর্থিক সক্ষমতার কথা স্বীকার করে তারা শরিয়াহ পরিপালনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বর্তমান চর্চার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ‘প্রচলিত ব্যাংকের ব্যালান্স শিটও ইসলামী শাখার মতোই। এটি কতটা শরিয়া ভিত্তিক ও সঠিক?'
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বর্তমান রূপের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পৃথক বিধিবিধানের ধারণাকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে আলাদা আইনের পক্ষে। এখানে আমরা আসলে ব্যবসা পরিচালনার জন্য শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং করছি না। আমরা এটা করছি টাকা কামানোর জন্য। ইসলামের নামে মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকা নিচ্ছি। যখন চালু হয়, তখন কি এটা আসলেই ইসলামী ব্যাংকিং? মোট পোর্টফোলিওর ১.০ শতাংশও পিএলএস নয়। তাহলে এটাকে ইসলামী ব্যাংকিং বলা হচ্ছে কেন?’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, খসড়া আইনটি এখনও পর্যালোচনাধীন। কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনেয়ারা শিখা বলেন, আইনটি চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা জরুরি।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, 'আইন প্রণয়নের সময় অংশীজনদের সঙ্গে নানা ধরনের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ করতে হয়। আন্তর্জাতিক নীতিগুলো কী? আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচলিত ব্যাংকগুলো কখনো ইসলামিক শাখা খোলে না।’
সব অংশীজনদের মতামত নিয়ে ইসলামিক ব্যাংক কোম্পানি আইন চূড়ান্ত করা হবে।
ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামের চেতনা, নীতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যা ইসলামী শরিয়াহর নীতি অনুসারে পরিচালিত হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০টি প্রচলিত ব্যাংক ছাড়াও ১০টি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। প্রচলিত এসব ব্যাংক ৩৩টি ইসলামি ব্যাংকিং শাখা এবং শরিয়াহভিত্তিক সেবার জন্য প্রায় ৭০০ উইন্ডো পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
৪ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ছয়জন।
এরা হলেন- মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে উনার সবাই ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসাবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ মাস আগে
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির এক আদেশে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিনে ডিএসইতে ২৪৬ কোটি টাকার লেনদেন
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, উল্লেখিত স্ক্রিপের ইউনিটের এমন অস্বাভাবিক ওঠানামার পেছনে বাজার কারসাজি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন, অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ এবং কারসাজিসহ বিভিন্ন কারণ উদঘাটনে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা তদন্ত করবে ডিএসই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছে, তাই তারা বড় অঙ্কের শেয়ার কিনছেন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে এ ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
২ মাস আগে
ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসা পরিচালনা ও এলসি খোলায় বাধা নেই: গভর্নর
ইসলামী ব্যাংকে এখন থেকে ব্যবসা পরিচালনা ও লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে আর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবের দৈনিক ইতিবাচক ব্যালেন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম গ্রুপ: চেয়ারম্যান
গভর্নর বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানত নিরাপদ। ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। তবে প্রয়োজনে তারল্য সহায়তার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।’
সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক গভর্নরের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছ। ব্যাংকের পারফরম্যান্স ও ব্যবসায়িক সাফল্যের মাধ্যমে কোটি কোটি গ্রাহকের আস্থার কারণে ইসলামী ব্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খেলাপি
৩ মাস আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম গ্রুপ: চেয়ারম্যান
ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি এককভাবে নিয়েছে এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো, যা আদায় করাই ব্যাংকের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে আল মাসুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে এস আলম গ্রুপ এককভাবে নিয়েছে অর্ধেকের বেশি বা সাড়ে ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
তবে এটি চূড়ান্ত হিসাব নয়, পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রুপটি সম্পদের অবমূল্যায়ন করেছে এবং ঋণ নিয়েছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ঋণের বিপরীতে জামানত আওতাভুক্ত হবে না। তাই জামানত বহির্ভূত সম্পদের সন্ধানে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, নতুন বোর্ড যখন দায়িত্ব নেয় তখন ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা কম ছিল। এটি প্রতিদিনই কমছে।
মাসুদ উল্লেখ করেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তা কমে ২ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যেই ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে। আজকের পর অনেক গ্রাহকের টাকা উত্তোলনের সমস্যা হবে না। কারণ উত্তোলন গত সপ্তাহে জমা পড়া অর্থের চেয়ে কম।’
এস আলমকে সহযোগিতা করা বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখনই কর্মকর্তাদের সরাতে চাই না। কারণ আপনি যদি এখন নিচে আঘাত করেন তবে সবকিছু ভেঙে পড়বে। উপরের কিছু ইতোমধ্যে অপসারণ করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব সরিয়ে ফেলা হবে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংককে ঘুরে দাঁড়াতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই রোডম্যাপটি তিনটি পর্যায়ে করা হয়- প্রথমে নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত, ২০২৫-২৬ সালকে পরিবর্তনের বছর (টার্নঅ্যারাউন্ড) হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ২০২৭-২৯ সাল হবে এগিয়ে যাওয়ার(লিপ ইয়ার) বছর।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ
৩ মাস আগে
এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৪ এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের একটি হোটেলে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেকিউএম হাবিবুল্লাহ এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দিন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইং চিফ মো. মাকসুদুর রহমান।
মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ১৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা জমা রেখে দেশব্যাপী ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট আউটলেট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
২০২৩ সালে এজেন্ট আউটলেটগুলো নতুন করে জমা পড়েছে ৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই এজেন্ট আউটলেটগুলো প্রবাসীদের সেবা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে নিয়োজিত দেশের মোট এজেন্টের ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ব্যাংকটি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
১০ মাস আগে
ইসলামী ব্যাংকের আরও ১২টি উপশাখা উদ্বোধন
সকল ধরণের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধাসম্বলিত আরও ১২টি উপশাখা উদ্বোধন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই শাখাগুলোর উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) মুহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপশাখাগুলোর উদ্বোধন করেন।
উপশাখাগুলো হলো- ঢাকার ইসিবি চত্বর, রাজশাহীর উপশহর ও তানোর, পটুয়াখালীর গলাচিপা, বরগুনার আমতলী, মাগুরার মহম্মদপুর, দিনাজপুরের হিলি, সিলেটের জকিগঞ্জ, নওগাঁর আত্রাই, পাবনার আতাইকুলা, কক্সবাজারের কালারমারছড়া ও চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার।
আরও পড়ুন: আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান।
মুহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের সব সূচকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ ৫০ হাজার কম্বল দিলো ইসলামী ব্যাংক
১১ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ ৫০ হাজার কম্বল দিলো ইসলামী ব্যাংক
দেশের দুস্থ ও শীতার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ ৫০ হাজার কম্বল অনুদান দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার কাছ থেকে কম্বল গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
আমরা যা গড়ি বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ইসলামিক অপারেশন ক্যাটাগরিতে প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকে 'বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২২' পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
বুধবার(৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: `কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’পেল ইসলামী ব্যাংক
মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিএমএবি কর্পোরেট এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল মওলার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, আইসিএমএবির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান খান, আইসিএমএবির কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান আরিফ খান, ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, এফসিএসসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক-মেডিক্স স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চুক্তি সই
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক
১ বছর আগে
আলমডাঙ্গায় ব্যাংক থেকে টাকা চুরির অভিযোগ, যুবককে মারধর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইসলামি ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে ব্যাংকের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম উজ্জল হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দুধপাতিলা গ্রামের নুরু বাঙ্গালের ছেলে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১
এবিষয়ে ব্যাংকের সহকারী কর্মকর্তা কায়সার আলম বলেন, ক্যাশ সেকশনে হঠাৎ লাল গেঞ্জি পরা অপরিচতি যুবককে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তার কাছে টাকার বান্ডিলের ছোট ব্যাগ রয়েছে। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি। পরে ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকরা তাকে মারধর করে। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।
ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াদুদ আলী জানান, কর্মকর্তারা সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে যুবকটি ক্যাশ সেকশনে ঢুকে টাকা নিয়ে দ্রুত বের হতে চেষ্টা করে। তখন কর্মকর্তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে