চীনা রাষ্ট্রদূত
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বাংলাদেশকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে অতীতের মতো সমর্থন দিতে চীনের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন।
বেলা ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, 'অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমাদের আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর চীনা রাষ্ট্রদূতকে আমাদের অফিসে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি বলেন, বিশেষ করে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে তাদের দল।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি চীনের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। ‘তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করে না। তারা এর আগে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং এখন তারা সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানসহ চীনের উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক ভূমিকার প্রশংসা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ইয়াও ওয়েন বিশ্বাস করেন বিএনপি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
ফখরুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেব।’
ইয়াও ওয়েন বলেন, বিএনপি মহাসচিব ও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বৈঠকে আমরা আমাদের সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছি এবং আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও বিনিময়ের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা উভয়ে এই চমৎকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যতে বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে চীনের সমর্থন দেওয়ার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করুন, বিচারের মুখোমুখি করা হোক: ভারতকে ফখরুল
২ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
৯ মাস আগে
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অভিন্ন উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং বিভাজন বা সংঘাত এড়ানোর জন্য নেয়া যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে চীন সমর্থন করে।
তিনি বলেন, একটি দেশের যে কোনো উদ্যোগ শুধু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে বা কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে না হয়ে ‘উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হওয়া উচিত।
সোমবার একজন সাংবাদিক ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক উদ্যোগ সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছেন বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজের চীন অভিমুখে যাত্রা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছেন এবং আশা করছেন যে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ এবং কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে প্রভাবিত করবে না।
তিনি আরও বলেছিলেন যে সেগুলোর ওপর ‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি।
বাংলাদেশ রুশ পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৬৯টি জাহাজ বাদে, অন্য যেকোনো জাহাজ পাঠাতে পারে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজ উরসা মেজর (স্পার্টা-৩) গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে নোঙর করার এবং পাবনার রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ পক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানোর পর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
রিয়েল-টাইম জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী ভেসেলফাইন্ডার ডটকম-এর তথ্যানুসারে, বর্তমানে জাহাজটি চীনের সাংহাই বন্দরের দিকে যাচ্ছে। ১০ দশমিক ৪ নট গতিতে জাহাজটি যাচ্ছে এবং ৩১ জানুয়ারি সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
রওশন এরশাদের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গুলশানের একটি হোটেলে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
সাক্ষাৎকালে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় বিরোধীদলীয় নেতা চীনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি (সাদ) এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ, জাপায় ঐক্যের ডাক
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়ানো দরকার এবং গণমাধ্যম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য ও গণচীনের অগ্রযাত্রা বিষয়ে ঢাকার রেনেশাস হোটেলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চায়না স্টাডিজ বিভাগ খোলা হলে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুদ্রা বিনিময় ও বাংলাদেশকে আর্থিক সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চায়না মিডিয়া গ্রুপ বিভিন্ন তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে তথ্য ও সাংস্কৃতিক আদান প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতি দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চীন বিষয়ে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনের আহ্বান জানান।
চীনের বর্তমান অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ও কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকাও তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে বেইজিং থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন এবারের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি, চায়না মিডিয়া গ্রুপের এশিয়া ও আফ্রিকান ভাষা প্রচার বিভাগের মহাপরিচালক আনসিয়াওইয়ু।
আনসিয়াওইয়ু বলেন, 'সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেস শেষ হয়েছে। এ সম্মেলনে চীনের পরবর্তী উন্নয়নের সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চীনকে সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার নতুন যাত্রা উন্মোচিত হয়েছে। চীনের নতুন যাত্রা মানে চীনের নতুন উন্নয়ন। চীনের নতুন উন্নয়ন বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগও বটে।'
তিনি আরও বলেন, 'চীনা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আধুনিকায়ন হচ্ছে বিশাল জনসংখ্যার আধুনিকায়ন, সকল জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধির আধুনিকায়ন, বস্তুগত সভ্যতা ও আধ্যাত্মিক সভ্যতার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ আধুনিকায়ন, মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থানের আধুনিকায়ন ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে যাওয়ার আধুনিকায়ন।'
অনুষ্ঠানে ‘চীনের নতুন যাত্রা’ কে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এ ধারাবাহিক তথ্যচিত্রে একাধিক প্রাণবন্ত গল্প বলা হয়েছে। এসব গল্প চীনের প্রাণশক্তিপূর্ণ উন্নয়নের ‘পাসওয়ার্ড’প্রকাশ করে; চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের পথে চীনা জনগণের নিরন্তর চলার চিত্র তুলে ধরে।
বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে চীনের নতুনযাত্রার বৈশ্বিক তাৎপর্য আরও ভালোভাবে তুলে ধরার জন্য এই তথ্যচিত্র।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনাদূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর ইয়ুলি ওয়ান,বাংলাদেশে চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খ্য ছাংলিয়াং, বাংলাদেশে অবস্থিতত চায়না শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ ত্বরান্বিত অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি ছাই ছুন লেই, সিনহুয়া বার্তাসংস্থার ঢাকা ব্যুরোর প্রধান লিউছুন থাও, বাংলাদেশে প্রবাসী চীনাসংস্থার মহাসচিব চেনছি হুয়া, বাংলাদেশে প্রবাসী চীনাসংস্থার যুবকমিটির সভাপতি চাংছিংপিন প্রমুখ।
বেইজিং থেকে সরাসরি যুক্ত হন চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী এবং বেইজিংয়ের বাংলা বিভাগের কর্মীরা। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগের ফেসবুকপেজ ‘সিআর আই বাংলা’র বর্তমান ফলোয়ার এক কোটি ছাড়িয়েছে। এই সাফল্যকে উদযাপন করাও এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগের তথ্য ও লেখার মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ও সংস্কৃতির বিনিময় আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নে তা প্রভাব রাখছে। বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা চীনের তথ্য পাওয়ার জন্য পশ্চিমা মিডিয়ার দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি তথ্য পেতে পারেন।
চায়না ফোকাস, চায়না আওয়ার, দ্য গ্রেটওয়াল শো, চায়নাবুলেটিন, জানা অজানা চীন, সবুজ পৃথিবী হলো সিএমজি বাংলার কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠান যা নিয়মিত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে এগুলোর প্রোমো প্রচার হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মিডিয়া হাউজ গুলোর উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, চীনারাষ্ট্রদূত লি জিমিং, চীনাদূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর ইয়ু লি ওয়ান, বাংলাদেশে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খ্য ছাংলিয়াং, সিনহুয়া বার্তাসংস্থার ঢাকা ব্যুরোর প্রধান লিউ ছুন থাও।
আরও পড়ুন: বাহরাইনকে আরও দক্ষ কর্মী ও আইটি পেশাদার নিয়োগের অনুরোধ বাংলাদেশের
ঢাকা-সিউল সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অব্যবহৃত প্রতিভা খুঁজবে: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত লি বৃহস্পতিবার সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জয়নুল বারী, প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. কামরুজ্জামান এবং সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সান জিজি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের তথ্যায়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: বীমা সেবায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতার আরেকটি বড় পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের ‘চীনা স্বপ্ন’ ও বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’ লক্ষ্যগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও ভিশন ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা আরও একীভূত হবে।
তিনি এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন এবং আশা করেন যে দুই দেশ প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়াতে এবং জনগণকে আরও ভালো সেবা প্রদানে একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
জয়নুল বারী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বড় প্রকল্প এবং প্রযুক্তিতে চীনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকায় চীনা দূতাবাস তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় চীনের আপত্তি নেই: রাষ্ট্রদূত
উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কোনো আপত্তি নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
লি জিমিং সোমবার উত্তরায় ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন বলে বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কোম্পানির পক্ষে তদন্ত করতে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্রাজেডি: ক্রেন চালকসহ গ্রেপ্তার ৯
কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে সচিব জানান।
প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার, বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের গার্ডারটি উত্তরার জসিমউদ্দিন রোডের কাছে একটি গাড়ির ওপর খসে পড়ে। এতে রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২) গার্ডারের নিচে পড়া গাড়ির ভেতরে পিষ্ট হয়।
সৌভাগ্যবশত, নিহত রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও তার স্ত্রী রিয়া মনি (২১) এ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
একই দিন দুর্ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে। আগামী দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে প্যানেলকে।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, উত্তরা ট্র্যাজেডির জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড দায়ী বলে তদন্তকারী সংস্থাটি খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
২ বছর আগে
ঈদে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং মঙ্গলবার উদযাপন হতে যাওয়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সময় বয়ে যাচ্ছে। মহামারি শুরুর পর এটি তৃতীয় ঈদুল ফিতর। মহামারি বিশ্ব ও আমাদের জীবনকে বিভিন্নভাবে বদলে দিয়েছে। সৌভাগ্যবশত, পরিস্থিতি এখন উন্নত হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশ সফলভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং করোনা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমি গর্বিত যে চীন এই মহান অর্জনে যথাযথ অবদান রেখেছে।’
মহামারি ছাড়াও বিশ্ব এখনও অস্থিতিশীলতা ও ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের প্রস্তাব করেছেন এবং অভিন্ন, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দিয়েছেন এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন।’
বাংলাদেশি ভাই ও বোনদের উদ্দেশে দেয়া ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনা দূতাবাস ও আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। ঈদ মোবারক।’
তিনি বাংলাদেশি ভাই ও বোনদের আবারও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আনন্দ ও সুস্বাস্থ্য আপনার ও আপনার পরিবারের সঙ্গে চিরকাল থাকুক।’
২ বছর আগে
করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।
বুধবার ইকোনিমক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্সে এন্ড ইন্ডাসিট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আরও পড়ুন: টিকা ইস্যুতে চীনের সাথে কোনো জটিলতা নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিকেল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রয়োজনের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন।’
তিনি জানান, চীন সরকার খুব দ্রুতই দ্বিতীয় দফায় উপহার স্বরূপ আরও টিকা পাঠাবে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশাব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত লি।
এর আগে গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে আসার ৯ দিনের মাথায় চীন সরকার দ্বিতীয় দফায় উপহার স্বরূপ টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
চীন এই কার্যক্রমকে দুই দেশের মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, গত ২৭ মে মন্ত্রিপরিষদ চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। চলমান জুন ও আগামী জুলাই, আগস্ট মাসের মধ্যে চীন থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: চীনের ‘করোনাভ্যাক’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, উক্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব-উজ-জামান, বিসিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল এবং যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা, ইকোনিমক রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি শারমিন রিনভি এবং অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
৩ বছর আগে