চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হক নান্নুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করা হয়।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিনিময় আরও জোরদার করার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষের জন্য বেশি সুফল নিশ্চিত করার বিষয়েও তারা মতবিনিময় করেন।
সাক্ষাতকালে চীনা দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লি শাওপেং উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘সুশৃঙ্খল, সফল ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন চায় চীন
১২৬ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের চীন সফরের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাদের আন্তরিক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে বিএনপির নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে পাঁচ দিনের সফরে চীন গিয়েছিল।
১৪৯ দিন আগে
চীনা বাজারে বাংলাদেশি আমের প্রবেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চীনের বাজারে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশি আম। এটি শুধু চীন-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিই করবে না, ভারসাম্য উন্নত করবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশের তাজা আমের প্রথম চালানের বিমান পরিবহনের বিদায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এই পদক্ষেপ বাণিজ্যের ভারসাম্য উন্নতির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘উইন-উইন‘ অবস্থা সৃষ্টি করবে। যেখানে দুই পক্ষই জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশি আম চীনা ভোক্তাদের টেবিলে ঠিকঠাকভাবে পৌঁছাবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক উচ্চমানের বাংলাদেশি কৃষিপণ্য চীনা বাজারে প্রবেশ করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আনোয়ার হোসাইন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, গঙ্গার বদ্বীপ এলাকার উর্বর মাটিতে উৎপাদিত বাংলাদেশি আম সবুজ ও উচ্চমানের কৃষিপণ্য হিসেবে পরিচিত।
চীনা ভোক্তাদের সবজির ঝুড়িতে এটি বৈচিত্রপূর্ণ বিকল্প সরবরাহ করবে এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চীনা বাজারের বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের আম শিল্পে সরাসরি উন্নয়ন আনবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি এ উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলেও মত দেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বহুবার উল্লেখ করেছেন, চীনের উন্মুক্ত হওয়ার দরজা কখনো বন্ধ হবে না, বরং ক্রমশ আরও বিস্তৃত হবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, ‘চীনে বাংলাদেশি আমের রপ্তানি কেবল একটি সূচনা মাত্র। ইতোমধ্যে দেশটির বাজারে বাংলাদেশি পেয়ারা ও কাঁঠালের প্রবেশ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে বেইজিং।’
বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পশম আমদানি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ থেকে চীনে ইলিশ মাছ রপ্তানির প্রত্যাশাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান চীনা রাষ্ট্রদূতের
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আশা করছি শিগগিরই আরও বেশি সংখ্যক উচ্চমানের বাংলাদেশি কৃষিপণ্য চীনের সুপারমার্কেটে জায়গা করে নেবে, যা দুই দেশের মানুষের জন্য বাস্তবিক সুবিধা বয়ে আনবে।’
ইয়াও বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে অস্থিরতা ও অনিশ্চিয়তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে ব্যাহত করেছে।
চীন ও বাংলাদেশসহ সব দেশ শান্তিপূর্ণ বিশ্ব ও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিবেশ কামনা করে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান, সমর্থন, সমতা ও উইন-উইন সহযোগিতা বজায় রাখতে চায় বেইজিং।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোতে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করব এবং দুই দেশের শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সমন্বিত উন্নয়ন ঘটাবো।’
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বেইজিং সফরের কথা উল্লেখ করে ইয়াও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সফলভাবে সফর সম্পন্ন করেছেন এর ফলাফল প্রত্যাশার বাইরে। বাংলাদেশের আম চীনে রপ্তানি হওয়া এ ফলাফল বাস্তবায়নের একটি দৃশ্যমান পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
১৯০ দিন আগে
মানবিক করিডর ইস্যুতে চীন জড়িত নয়: রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন ‘তথাকথিত মানবিক করিডর’ ইস্যুতে জড়িত নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, চীন যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের পাঁচ দশক: নতুন উচ্চতায়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘করিডর ইস্যু—তথাকথিত মানবিক করিডর ইস্যুতে আমি বলব, চীন এতে জড়িত নয়। আমি যতটুকু বুঝি, এটি (মিয়ানমারে) সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সরবরাহে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর একটি উদ্যোগ। এ বিষয়ে চীন জড়িত নয়।’
তিনি জানান, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার যথাযথ সমাধান করবে এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের (টিআরসিএমআরপি) হালনাগাদ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ সংবাদ বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন ওয়েন। ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশ চীনা কোম্পানিগুলোকে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান চীনা রাষ্ট্রদূতের
তিনি বলেন, ‘আমি বলব, এ বিষয়ে চীন প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। এখন বাংলাদেশ এগিয়ে আসতে চায় কিনা, সে সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’
‘দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক না কি আন্তর্জাতিক জোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে—সে বিষয়ে বলা যায়, এই প্রকল্পটি কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে চীন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই প্রকল্পটি শুরু করা যেতে পারে। এটুকুই আমি বলতে চাই।’
২১০ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান হামলা: নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান চীনা রাষ্ট্রদূতের
ভারত-পাকিস্তানকে প্রতিবেশী আখ্যায়িত করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বেইজিং কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন করে না।’
এ সময়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে এ ঘটনায় তিনি একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশ দুটিকে সংযত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন এই রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের পাঁচ দশক: নতুন উচ্চতায়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই চীনের প্রতিবেশি। শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় পক্ষকেই আমরা শান্ত থাকার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই।’
পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে— এমন যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দুই দেশকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এ সময় পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘আজকের বিশ্ব অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলায় ভরা। তবে চীন সবসময় ইতিহাসের সঠিক ও মানবজাতির অগ্রগতির পক্ষে অটল থাকবে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কে কী বলল
চীনকে বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল, নির্ভরযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ শক্তি হিসেবেও দাবি করেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অর্থনীতির মধ্যে চলমান আলোচনার কথা উল্লেখ করে ইয়াও বলেন, আপস নয়, বরং নীতিনিষ্ঠতা, ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতায় অটল থেকে দেশগুলো তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস
দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগ রক্ষায় এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চীনের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় বাংলাদেশসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। মুক্ত বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিকতা রক্ষায় তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ন্যায় ও সুবিচার রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুবিধার নীতি অব্যাহত রাখবে চীন। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ, সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের সমাজ গঠনেও কাজ করবে।’
‘দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতা, আঞ্চলিক সংযোগ, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে একতরফা সুরক্ষা ও আধিপত্যবাদী আচরণের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন,’ বলেন এই রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়াও জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামে সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ইতিবাচক প্রভাব সারা অঞ্চল ও বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চায় বলেও জানান তিনি।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার রক্ষায় চীন অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
তিনি জানান, ‘ভবিষ্যতে নিজ নিজ জাতীয় উন্নয়নের পথে পাশাপাশি হাঁটবে চীন ও বাংলাদেশ। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যেসব ঐকমত্য হয়েছে, তা অনুসরণ করে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী থেকে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চায়।’
ইয়াও বলেন, ‘আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি এবং আমাদের কৌশলগত ও সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। এরই মধ্যে দিয়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের পরবর্তী সোনালী ৫০ বছরে পা রাখি।’
২১০ দিন আগে
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে চীনের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক ও শক্তিশালী করতে প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের বিচারকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও বিনিময়ে সহযোগিতা করতে চীনের প্রস্তুতির কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে।
চীনের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।
৩৩৯ দিন আগে
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বাংলাদেশকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ ও এর জনগণকে অতীতের মতো সমর্থন দিতে চীনের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে চীন।
বেলা ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, 'অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমাদের আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর চীনা রাষ্ট্রদূতকে আমাদের অফিসে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি বলেন, বিশেষ করে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে তাদের দল।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি চীনের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। ‘তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করে না। তারা এর আগে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং এখন তারা সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানসহ চীনের উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক ভূমিকার প্রশংসা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ইয়াও ওয়েন বিশ্বাস করেন বিএনপি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
ফখরুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেব।’
ইয়াও ওয়েন বলেন, বিএনপি মহাসচিব ও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বৈঠকে আমরা আমাদের সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছি এবং আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও বিনিময়ের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা উভয়ে এই চমৎকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যতে বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে চীনের সমর্থন দেওয়ার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করুন, বিচারের মুখোমুখি করা হোক: ভারতকে ফখরুল
৪৭০ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
৬৮৯ দিন আগে
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
৮০১ দিন আগে
‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অভিন্ন উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং বিভাজন বা সংঘাত এড়ানোর জন্য নেয়া যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে চীন সমর্থন করে।
তিনি বলেন, একটি দেশের যে কোনো উদ্যোগ শুধু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে বা কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে না হয়ে ‘উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হওয়া উচিত।
সোমবার একজন সাংবাদিক ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক উদ্যোগ সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছেন বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজের চীন অভিমুখে যাত্রা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছেন এবং আশা করছেন যে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ এবং কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে প্রভাবিত করবে না।
তিনি আরও বলেছিলেন যে সেগুলোর ওপর ‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি।
বাংলাদেশ রুশ পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৬৯টি জাহাজ বাদে, অন্য যেকোনো জাহাজ পাঠাতে পারে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজ উরসা মেজর (স্পার্টা-৩) গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে নোঙর করার এবং পাবনার রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ পক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানোর পর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
রিয়েল-টাইম জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী ভেসেলফাইন্ডার ডটকম-এর তথ্যানুসারে, বর্তমানে জাহাজটি চীনের সাংহাই বন্দরের দিকে যাচ্ছে। ১০ দশমিক ৪ নট গতিতে জাহাজটি যাচ্ছে এবং ৩১ জানুয়ারি সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১০৪৬ দিন আগে