বৈশ্বিক উষ্ণতা
নিরাপদ বিশ্ব গড়তে এখনই উদ্যোগী হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে যা বিশ্ব দরবারের স্বীকৃতি পেয়েছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে বিশ্ববাসীকে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার ধরিত্রী দিবস ২০২১ উপলক্ষে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'রোড টু গ্লাসগো: আমাদের পৃথিবীর পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু সুরক্ষা' শিরোনামের ভার্চুয়াল সংলাপে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এবারের বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উদযাপন তাৎপর্যপূর্ণ। এর কারণ করোনা মহামারির রূঢ় বাস্তবতা আমাদের শিখিয়েছে যে, আমরা যতই অর্থ-সম্পদে বিত্তশালী হই না কেন প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা যায় না। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় মূল উপকরণগুলো আসে প্রকৃতি থেকে। আমরা বুঝতে পেরেছি প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডারকে ধ্বংস করে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। আজ আমরা যখন বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালন করছি, তখন করোনার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আরও বিপর্যয়কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে আমাদের দেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ তাদের আবাসন হারাতে পারে, হারাতে পারে তাদের আজন্মের পরিচিত গ্রাম ও অসংখ্য স্মৃতি। অথচ এই দরিদ্র ও নিরীহ মানুষগুলো নিজেরা কোনোভাবেই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশ সমূহ। তাই এর দায় তাদের নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। সামাজিক বনায়নসহ বনায়ন কার্যক্রম ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের ফলে দেশে বর্তমানে মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৩৭ শতাংশ। এটিকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বনজ সম্পদের ঘাটতি পূরণ, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বন অধিদপ্তর ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বনায়ন কার্যক্রম, উপকূলীয় বনায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, সামাজিক বনায়ন, বনায়ন কার্যক্রমে নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কৃষি বনায়ন, বসতবাড়ি বনায়ন, রাস্তার ধারে বনায়ন, জবরদখল করা জমিতে অংশগ্রহণমূলক বনায়ন, উপকূলীয় এলাকায় জেগে ওঠা চরে ম্যানগ্রোভ বনায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বনভূমির অবক্ষয় হ্রাসকরণ এবং বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা উল্লেখযোগ্য।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে প্রশমন ও অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করার জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল তবে এখনো এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় যোগদানের মধ্যে বিশ্ব নেতারা ‘জলবায়ু বিষয়ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে’ দৃঢ় ‘রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি’ ব্যক্ত করায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে (জলবায়ু তহবিল সম্পর্কিত ১০০ বিলিয়ন ডলার) দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেখতে পেয়ে আশাবাদী।
তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি প্রশমনে বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই প্ল্যাটফর্মে জো বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিশ্ব ফোরামে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার পাশে রাখতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে জো বাইডেনের আগ্রহের মূল কারণ ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তার সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের কিছু আশাব্যঞ্জক কৌশল আছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে ২০০৮ সালে জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (বিসিসিএসএপি) গ্রহণ করে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজস্ব অর্থায়নে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ক্লাইমেট ট্রাস্ট তহবিল গঠন করে। নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনমূলক বিভিন্ন সফল কর্মকাণ্ডেরর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের নজর কেড়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় প্রতিবছর আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করি। যা মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ। শুধু তাই নয় ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এই খাতে ব্যয় করবে আরও চার হাজার কোটি ডলার। ইতোমধ্যে ৬০ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে। তারপরও আমরা ১ কোটি ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছি, আর সেজন্য আমাদেরকে পরিবেশগত মূল্যও চুকাতে হচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনন্য দক্ষতা ও সাফল্য প্রদর্শনের সুবাদে সমগ্র বিশ্বের কাছে আজ একটি রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ অনুমোদিত এবং গৃহীত হয়েছে। তাছাড়াও গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন’র আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে এ বিষয়ক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) মো. মনিরুজ্জামান, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, জেন্ডার ও মানবাধিকার কর্মী শীপা হাফিজা, ক্লাইমেট ফিন্যান্স এন্ড ক্লাইমেট ইন্ডিউসড মাইগ্রেশন প্রকাশ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইবিপি ম্যানেজার আবুল বাশার, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা প্রমুখ।
৩ বছর আগে
লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি পরামর্শ তুলে ধরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে শুরু হওয়া বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন ‘লিডার্স সামিটের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই পরামর্শগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সম্বনিত উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে বাংলাদেশের দাবিদাওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সারা বিশ্বের ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধানকে জলবায়ু বিষয়ক ভার্চুয়াল সম্মেলন 'লিডারস সামিট'-এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে অবিলম্বে একটি উচ্চাভিলাষী কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে হবে, যা অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য বজায় রাখবে।
প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় পরামর্শ হলো, প্রধান অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্ভাবনের পাশাপাশি জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বিশেষভাবে ছাড় দিতে হবে। তিনি তার শেষ পরামর্শে, সবুজ অর্থনীতি ও কার্বন প্রশমন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং এ লক্ষ্যে দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তির বিনিময়ের প্রতি জোর দেন।
পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনা মহামারি আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, বৈশ্বিক সমস্যা নিরসনে সকল দেশের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজন।'
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসায় এবং জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন ও এই আয়োজনে তাকে আমন্ত্রণ করায় শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের জন্য আরও জ্বালানি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে জলবায়ুর সংকট নিরসনে বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমনত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও সীমিত সম্পদের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ মোট জিডিপির প্রায় ২.৫ শতাংশ বা প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলা এবং টেকসই জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যয় করছে।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, 'মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তারা দেশের প্রতিবেশকে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বৃদ্ধিতে এবং জলবায়ুর পরিবর্তন সহনীয় টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কার্বন হ্রাসের পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে দেশব্যাপী ৩০ কোটি গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া কম-কার্বনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ প্রণয়নের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০ (ভালনারেবল টুয়েন্টি) এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত রাখা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ‘লিডার্স সামিটের’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করবে।
৪ বছর আগে
ক্যানভাসে বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রতিবাদে প্রকৃতিকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের জয়নুল আর্ট গ্যালারীতে সোমবার বিকাল থেকে এক যৌথ প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে।
৪ বছর আগে