মৎস্য কর্মকর্তা
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় পৃথক অভিযানে জেলেদের হামলার শিকার হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় জব্দ করা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জের তেঁতুলিয়া নদীর মোস্তফাবাজার এলাকায় ও দুপুর ২টায় বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নদীতে মাছ শিকাররত জেলেদের ধাওয়া করে তিনটি ইঞ্জিনচালিতসহ পাঁচটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এর পরপরই দেড় থেকে দুইশত নারী পুরুষ এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেয়। আর নৌকা দু’টি রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তিন মাঝিকে পিটিয়েছে হামলাকারীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ জানান, হামলার পর একটি ইঞ্জিনচালিতসহ তিনটি নৌকা ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। হামলায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে যারা সামান্য আহত হয়েছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হবে। আর নৌকা তিনটি নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এদিকে বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গিয়ে জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ও মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুপুরে সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের দেখে ইট-পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আমিসহ মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা আহত হয়েছি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পরে ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে হামলাকারীদের নাম পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করেছি। এতে আটজন নামধারী ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
১ বছর আগে
সিলেটে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা
আকস্মিক বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘী, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে দুই কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং দুই হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। মাছ ভেসে যাওয়া ছাড়াও হয়েছে অবকাঠামোগত ক্ষতি।
এর ফলে সিলেট জেলার ১৫ হাজার ১৬৩ জন খামার মালিকের দুই হাজার ১৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী এলাকার মাছ চাষি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'পুকুরে মাছ চাষের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে।'
আরও পড়ুন: নদীর পানি কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিবন্যায় জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।জকিগঞ্জে ছয় হাজার ৩৫০টি মাছের খামার তলিয়ে ৬২২ কোটি টাকা, গোয়াইনঘাটে দুই হাজার ৫৯২টি খামার তলিয়ে ১৪০ কোটি টাকা, কানাইঘাটে দুই হাজার ৩৫০টি খামার তলিয়ে ৬৪ কোটি টাকা, বিশ্বনাথে দুই হাজার ১৫০টি খামার তলিয়ে ১৫৫ কোটি টাকা, জৈন্তাপুরে দুই হাজার ১০০টি খামার তলিয়ে ৬৭৪ কোটি টাকা ও বিয়ানীবাজারে এক হাজার ৪০২টি খামার তলিয়ে ২১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।এ ছাড়া, সিলেট সদর উপজেলায় ৫৩৫টি মাছের খামার, গোলাপগঞ্জে ৮৪৫টি, বালাগঞ্জে ৭০টি, কোম্পানীগঞ্জে ১৪৫টি ও দক্ষিণ সুরমায় ২১০টি খামার তলিয়ে গেছে।সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'জেলায় মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা অপূরণীয়। আর এ ক্ষতির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।'সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সুরমা নদীর পানি সিলেটের সব পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় দুর্ভোগ কমাতে ক্লাস-পরীক্ষায় সহনশীল শাবিপ্রবি প্রশাসনবন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ রবিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার এবং সিলেট নগরী পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর এবং বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে, বন্যায় মাছের খামার, পুকুর ও দিঘী তলিয়ে মাছ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অনেক এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরার উৎসব চলছে।বন্যা কবলিত প্রায় প্রতিটি রাস্তা বা যেকোনো উঁচু সড়কের পাশে অসংখ্য শিশু-কিশোর ও যুবককে ছোট ছোট জাল নিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার এলাকায় মাছ ধরতে থাকা শিশু কবির আহমেদ জানায়, বন্যার পানিতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। সকাল থেকে জালে বেশ কিছু মাছ ধরা পড়েছে, যা দিয়ে কয়েক বেলার রান্না চালানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় দুর্ভোগে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে ধরা পড়লো ১৭ কেজির বাঘাইড়
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে ১৭ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় জেলে আছর উদ্দিনের জালে এ মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে আছর উদ্দিন উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর বাগুয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা।
জেলে আছর উদ্দিন মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে সাতদরগাহ বাজারে নেয়। সেখানে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন উলিপুরের মাছ ব্যবসায়ী আওলাদ মিয়া। এরপর উলিপুর পৌর বাজারে মাছটি এক হাজার টাকা কেজি দরে মোট ১৬ হাজার টাকায় খুচরা বিক্রি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জেলে আছর উদ্দিন জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক জেলেদের জালে প্রায়ই বিভিন্ন ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ছে। বাজারে এ মাছের চাহিদাও রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতই বড় বড় বাঘাউড় মাছ ধরা পড়ছে। এতে জেলে ও ব্যবসায়ীরা উভয়ই খুশি।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় ৪টি মাছের দাম ১৬ লাখ টাকা
২ বছর আগে
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং প্রাণনাশের হুমকি ও সরকারি কর্তব্য পালনে হেনস্তা করার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৪ বছর আগে