বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
মহান বিজয় দিবসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুই গ্রুপকে আলাদা সময় নির্ধারণ করে দেয়। তবে তারা একই সময় শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপি নেতা মামুন, আব্দুল আলী, সোলায়মান, কবির হোসেন, মাসুদ মিয়া প্রমুখ। তাৎক্ষণিক বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রেজাউল করিমের লোকজনের উপর প্রথমে হামলা করে মান্নানের লোকজন। তারা রেজাউল করিমের লোকজনের উপর হামলার পুর্ব প্রস্তুতি নিয়েই আসে। এসময় রেজাউল করিমের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। এ সম্পর্কে জানতে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলাম। তখন মান্নানের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই অভিযোগ দেননি।
৬ দিন আগে
যশোরে সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
যশোরের শার্শায় বিএনপির সমাবেশে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, সমাবেশের আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। তবে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা আজ বিকাল ৩টায় গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিপক্ষ নেতারাও একই মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সোমবার থেকেই গোড়পাড়া এলাকায় উত্তেজন বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবদলকর্মী নিহত
এ কারণে সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বেলা ১টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির গ্রুপ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও শার্শা উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
এ সময় তারা সমাবেশের মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে অন্তত ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি, হামলায় তাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
৩ সপ্তাহ আগে