জামায়াত আমির
জুলুমের শিকার হলে প্রতিবাদ করবেন, আমাদের সাথে রাখবেন: অমুসলিমদের উদ্দেশে জামায়াত আমির
অমুসলিমদের ওপর কোনো জালেম জুলুম করলে তা প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করতে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে কোনো জালেম যদি আপনাদের(অমুসলিম) উপর জুলুম করে আপনারা প্রতিবাদ করবেন, প্রতিরোধ করবেন, আমাদেরকে সাথে রাখবেন। আমরা চাইনা জুলুমের শিকার হয়ে কেউ ধুকে ধুকে কষ্ট পাক; তার প্রিয় জন্মস্থান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাক।’
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার জন্মস্থানে থাকবো এবং সম্মানের সাথে থাকব। যারা অতীতে এই অপরাধ করেছেন তাদের চিহ্নিত করে যার হক তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সে তার হক বুঝে পাক।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ আমাদের সবার সুতরাং এদেশে আমরা মর্যাদা ও শান্তির সঙ্গে নিরাপদে বসবাস করতে চাই। বিগত ১৫ বছর আমাদের উপর বিভিন্নভাবে জুলুম নির্যাতন গিয়েছে। এর অবসান হয়েছে গত ৫ আগস্ট। ঐ রাতেই আমি আমার দলের সকল সহকর্মীকে আহ্বান জানিয়েছি আল্লাহর ওয়াস্তে কারও উপর কোনো প্রতিশোধ নেবেন না। জাতিকেও একই কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আপনাদের স্মরণ থাকার কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন তাদের সরকারের পতন হলে কমপক্ষে ৫ লাখ লোককে হত্যা করা হবে। এরকম হলে প্রত্যেক গ্রামে এক দুইজন লোক মারা যেত। এরকম হয় নাই। প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না।
জামায়াতপ্রধান বলেন, আমরা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আমরা যাই আর নাই যাই, আপনাদের সাথে আছি। আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবে না যাবে, সেটা আল্লাহ ফায়সালা করবেন। যারা জোর করে ক্ষমতা নেয়, তারা অপদস্থ এবং অপমানিত হয়। তারা যেমন রাষ্ট্রের সেবাও ভালোভাবে করতে পারে না, তেমনিভাবে তারা পদে পদে অপমানিত ও অপদস্থ হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিলেন না।
শফিকুর রহমান বলেন, অন্যায় অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। যিনি মামলা দায়ের করবেন অপরাধ প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। যদি তিনি অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে সেই অপরাধী সংবিধান অনুযায়ী শাস্তি পাবে। আমি কে আইন হাতে তুলে নেবার? আইন হাতে তুলে নিয়ে আরেকজনকে খুন করা, আঘাত করা, বাড়ি লুট করার ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আমি কে? রাষ্ট্র কী আমাকে এই অধিকার দিয়েছে? না, কাউকে দেয়নি।
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে সক্ষমতা যাচাই করুন: সরকারকে জামায়াত আমির
কুলাউড়া উপজেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন কুলাউড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অরুনাব দে, সাধারণ সম্পাদক অজয় দাশ, সদস্য অশোক ধর, কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য ও পূজা উদযাপন পরিষদ কুলাউড়া পৌরসভার আহবায়ক বিচিত্র দে।
৩ দিন আগে
ইতেকাফে বসেছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফে বসেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার বিভাগের একটি সূত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ (আরবী শাওয়াল মাসের চাঁদ) দেখা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফে থাকবেন। রোযা ২৯টি হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর রোযা ৩০টি হলে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ইতিকাফে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
সাধারণত মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অধিকতর আত্মশুদ্ধির জন্য ইতেকাফে বসে থাকেন। এসময়টিতে ইতেকাফে থাকা ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য সকল কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ইবাদাত ও জিকির আযকারে মশগুল থাকেন।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসের ২০ তারিখ থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত সময়কে ধরা হয়।
৪১ দিন আগে
সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
দেশে শিক্ষা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষার কোনো নৈতিক মান নেই। যার কারণে আমরা বিশ্বের কোথাও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি না। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো র্যাংঙ্ক নেই বললেই চলে। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শেখায়, মানুষকে সম্মান দিতে শেখায়—সেই শিক্ষা না থাকায় সমাজে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আদালত অঙ্গনে আমি বহুবার এসেছি, মুক্ত মানুষ হিসেবে নয়—বন্দী হিসেবে। আজ মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে বহু পেশা আছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, সাংবাদিক কিন্তু কারো নামের আগে বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয় না—শুধু আইনজীবীদের নামের পূর্বেই বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বার ও বেঞ্চ নিয়েই বিচার কার্যক্রম। আইনজীবীরা বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইজীবীদেরকে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড (রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত) না হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, মানবজীবনের জন্য দুটো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক দিক রয়েছে। একটি আদালত আরেকটি চিকিৎসা। এ দুটো জায়গা ঠিক হয়ে গেলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে—অর্থাৎ সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই দুটোই করুণ অবস্থায়। বলতে গেলে ন্যায়বিচার আজ নির্বাসনে। আর স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম অনিয়ম।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ব্রিটিশ ল’কে মাদার ‘ল’ বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত মাদার ‘ল’ হচ্ছে কোরআনের আইন। ইসলামের আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। অনেক আইন আছে—যা এসেছে কোরআন থেকে। যার কারণে বিদ্যমান অনেক আইন কোরআনের সঙ্গে খুব বেশি সাংঘর্ষিক নয়। কোরআনের আইনের ভিত্তিতে এক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচারকার্যে বিচারকদের সহায়তা করে থাকেন। এমন এক দিন আসবে যেই দিনটিকে শেষ বিচারের দিন বলা হয়। সেইদিন কেউ কাউকে সহায়তা করতে পারবে না। সেই দিন বাদী, আসামি, আইনজীবী, সাক্ষী, বিচারক সকলকে এক কাতারে থাকতে হবে। সেইদিন বিচারকের আসনে থাকবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং অ্যাডভোকেট মশিউল আলম প্রমুখ।
৪৪ দিন আগে
বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর হত্যার শিকার মন্টু চন্দ্র দাশের ১৮ মাস বয়সী শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে পৌরশহরের কালিবাড়ী কড়ইতলায় মন্টু দাশের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এসময় মন্টু চন্দ্রের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের দৈনন্দিন দুঃখ-কষ্টের কথা শোনেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান এসময় নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন রকমের ফল ও ঈদ সামগ্রীসহ নগদ টাকা উপহার দেন।
আরও পড়ুন: আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
নিহত মন্টু দাসের দেড় মাসের ছোট শিশু কন্যাটিকে কোলে নিয়ে তিনি বলেন, এই কন্যা শিশুটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের সকল ধরনের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা আমরা করব। আপনাদের সব রকম সহযোগিতা করার জন্য আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে নেমে নিহত মন্টু দাস ও ধর্ষিতা নন্দিনী দাসের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান।
পরে বরগুনা শহীদ মিনার চত্বরে পথসভায় তিনি বলেন, বরগুনার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও তার বাবাকে হত্যার এ ঘটনায় মামলার রায় ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না।
বরগুনা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবাকে হাড়ানো শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জমায়াত প্রধান।
এ সময় তিনি তাদের মেয়েদের লেখাপড়া এবং সংসারের অন্যান্য খরচের ব্যবস্থা করাপর জন্য কিছু সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এ জন্য মন্টুর স্ত্রী শিখা রানী দাশকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনসহসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
উল্লেখ্য, ১১ মার্চ রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি স্টাফ কোয়ার্টার দীঘির দক্ষিণ পাশে ঝোপঝাড় থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মন্টু চন্দ্র বরগুনা বাজারের একটি মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তার পরিবারে দেড় মাসের এক কন্যা শিশু, চার বছরের এবং ১২ বছরের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
মন্টুর পরিবারের দাবি, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মন্টু বরগুনা থানায় মামলা করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মন্টুর স্ত্রী আরেকটি মামলা করেছেন। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সৃজীব চন্দ্র রায়, তার সহযোগী কালু ও রফিক কারাগারে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
৪৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ২৫ ফেব্রুয়ারির অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
আজ এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তার স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন।’
৬৭ দিন আগে
আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আজহারুলের মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দেশ পুরোপুরি মুক্তি পাবে না। শুধু একজন মজলুম মুক্তি পাবে। দেশকে মুক্ত করতে হলে যুব সমাজকে আগাতে হবে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় এ দাবি জানান ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু সেই সমস্ত কষ্ট দুঃখ-যাতনা, জুলুম একত্রিত হয়ে যে শক্তি তৈরি হয়েছিল, আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তিতে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে।’
যুবকদের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজ গড়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হলে তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। যে সমাজের যুবকেরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপ্লব সফল হয়।’
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
তিনি বলেন, আমি যুবকদের থেকে দুটি জিনিস চাই— একটি হচ্ছে গভীর দেশপ্রেম ও আরেকটি হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ভয়। এই দুইটা জিনিস নিয়ে যদি যুবকের এগিয়ে আসে তারাই হবে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হিমালয় পর্বত। এই পর্বত যারাই ভেঙে দিতে আসবে, তার মাথা চুরমার হয়ে যাবে।
জেলার নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুর রব হাশেমী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
৬৭ দিন আগে
যানজটে আটকা জামায়াত আমির, ছাড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল কর্মীর
কুমিল্লার লালমাইতে যানজটের কবলে পড়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাসচাপায় জসিম উদ্দিন নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কর্মী জসিম উদ্দিন (৫৩) উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমির শফিকুর রহমানে বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তর বাজারে যানজটে আটকা পড়ে। এ সময় জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: আজহারের মুক্তি দাবি: কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের
লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, জামায়াত আমির লক্ষ্মীপুরে জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজারে তার গাড়িবহর যানজটে আটকা পড়ে। আমিসহ সংগঠনের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিকের সাময়িক দায়িত্ব পালন করি। এক পর্যায়ে আমাদের কর্মী জসিম উদ্দিন বাসচাপায় মারা যান।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাসচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিশা পরিবহনের একটি বাস আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৬৯ দিন আগে
ফ্যাসিস্টরা ইতিহাসের করুণ পাঠ থেকে শিক্ষা নেয় না: জামায়াত আমির
অতীতের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারেরা ইতিহাসের করুণ পাঠ পড়লেও শিক্ষা নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘অতীতে এরকম স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট যারা ছিল— তাদের নাম বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে অঙ্কিত হয়ে আছে। একই পরিণতি সবার বরণ করতে হয়েছে। কিন্ত ইতিহাসের দুর্ভাগ্যজনক শিক্ষা হচ্ছে— ইতিহাসের করুণ পাঠ পড়ে, কিন্ত সেখান থেকে শিক্ষা নেয় না।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদদের নিয়ে স্মারকের উদ্বোধন করেন ডা. শফিকুর রহমান।
এছাড়াও একযোগে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রামে জুলাই শহীদদের নিয়ে রচিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যখন তারা থাকেন, তখন তারা সদর্পে অনেক দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়ালা এসব দাম্ভিকদের ছাড় দেন— ছেড়ে দেন না।
তিনি বলেন, যে জাতি তার বীরদের ও জ্ঞানীদের সম্মান করতে জানে না, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই জাতিকে সম্মানিত করেন না। আমাদের জাতির ইতিহাস বিস্মৃতির ও বিকৃতির ইতিহাস। এই ইতিহাস অনেক সময় রচনা হয়েছে বহু বছর পরে। ইতিহাসের জায়গা থেকে ইতিহাসকে সরিয়ে দিলে সেটা আর ইতিহাস থাকে না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় বিষাদের, কিছু হয় আনন্দের, আর কিছু হয় গৌরবের। জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে যারা জীবন দেন, অতীতেও এরকম যারা দিয়েছেন, ৪৭, ৫২ সর্বশেষ ২০২৪ যারা জীবন দিয়েছেন— তারা গৌরবের। শহীদ পরিবারগুলোর জন্য এটি কান্নার ইতিহাস, আর দেশবাসীর জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার ইতিহাস।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত এরকম একটি আয়োজন আমরা কিংবা কোনো বিরোধী দল কখনো কল্পনাও করেনি। এমনকি সমাজের যারা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে সভ্য সমাজের প্রতিনিধি বলা হয়— তারাও সাহস করেনি।
জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে সত্যিকার অর্থে একা জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিকামী সকল মানুষ ছিলেন মজলুম। এদেশের আপামর ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী-সমর্থক— এমনকি সাধারণ জনতাও।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরাও ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিলেন না। ওই সময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে— কারাগারে যেতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা দেশের মুক্তির জন্য কলম যুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশে তাদের আপনজনকে হেনস্তা করা হয়েছে। জেলে ভরা হয়েছে, নারীদেরকেও ক্ষমা করা হয়নি। এদের রুচি কত নিম্নস্তরের ছিল এখান থেকে উপলব্ধি করা যায়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সেই শ্বাসরুদ্ধকর বন্দিদশার অবস্থা থেকে জাতি মুক্তির জন্য যারা নিজেদের পবিত্র জীবনটি বিলিয়ে দিয়ে আমাদেরকে এমন একটি পরিবেশ করে দিলো আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে জামায়াত: ডা. শফিক
জামায়াত আমির বলেন, দেশ আমাদের সকলের। দেশের পাহাড়াদারির দায়িত্ব সকল নাগরিকের। এ কাজ কিছু লোক করে, আর কিছু লোক নাগরিকদের শান্তি কেড়ে নেওয়ার অপকর্মে লিপ্ত হয়। অপকর্মে যারা করে তারা এটাকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করে। এক সময় তারা এটিকে অধিকারের মতো মনে করে। বাকী জনগণকে তারা তাদের প্রজা মনে করে। নিজেরা রাজা হয়ে বসেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অনুভব করেছে— দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াতের কিছু কর্তব্য আছে। আমারাও এই আন্দোলনে শরীক ছিলাম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে গোটা জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, এদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত দল হিসেবে কৃতজ্ঞতাও আদায় করার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি। নিজেরদেরকে প্রশান্তি দিতে, সান্তনা দিতে। দোয়া করতে যাইনি দোয়া নিতে গিয়েছি। কারণ তারা বড়িই সৌভাগ্যবান। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে জাতির জন্য আল্লাহর কাছে উপহার দিয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, স্মারক প্রস্তুতে জনগণ স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা করেছে। স্মারকের কাজ পরিপূর্ণ করতে পারি নাই। প্রক্রিয়া চলমান। শহীদ পরিবার, আহতরা বিভিন্নভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এই সময়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে কিছু জিনিস নিয়ে অন্তত তাদের সামনে আসা দরকার। এজন্য অসমাপ্ত রেখেই স্মারকের প্রাথমিক পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য পাঠক ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন জামায়াতপ্রধান।
যাদের নাম এখনো আসেনি তাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা আহ্বান জানান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে অনলাইনের মাধ্যমে এই ইতিহাসকে বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং পৃথিবীর প্রধান সকল ভাষায় স্মারক প্রকাশ করা হবে। যাতে বিশ্ববাসী আমাদের বীরদের সম্পর্কে জানতে পারে। কৃতিত্ব ও গৌরবগাঁথা তাদেরও যেন অনুপ্রাণিত করতে পারে।
তিনি বলেন, আবু সাঈদের শাহাদাত ছিল এই আন্দোলনের বিশাল একটি টার্নিং পয়েন্ট। নিভৃত পল্লীর ছেলে ছিল সে। তার আশেপাশে তার মতো শিক্ষিত আরেকজন সদস্য নাই। সেই ছেলেটাই দুনিয়ায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। খোলা বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে ডানা মেলে বলেছিল- বুকের ভিতর অনেক ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর। তার পথ ধরে বাকী শহীদরা বলেছিল আবু সাঈদ আমার ভাই। আমরাও তার মতো শাহাদাতের সিঁড়িতে পা রাখতে চাই— এটাই হয়েছে।
রাজনৈতিক দল ও সকল অংশীজনের কাছে অনুরোধ রেখে জামায়াত আমির বলেন, তারা (শহীদরা) বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিল। একটি মানবিক সুন্দর বাংলাদেশ চেয়েছিল। দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ চেয়েছিল। এখন দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে। তাদের রক্তের দিকে একটু তাকান। জীবন দেওয়া সেই তরতাজা শিশু-কিশোর-যুবক ও নারী-পুরুষের দিকে তাকান। বিপ্লবের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অপকর্ম মেহেরবানি করে কেউ করবেন না। যদি করেন শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে, তাদের রক্তকে অপমান করা হবে। আর জীবিত শহীদ যারা— পঙ্গু হয়ে আছেন তারা ভীষণ কষ্ট পাবেন। তারা অভিশাপ দেবেন। মজলুম দেশবাসী অভিশাপ দেবে। সুতরাং, সকল অংশীজনের কাছে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, এমন কোনো কাজে আমরা জড়াবো না, যে কাজ করলে সকলের অভিশাপ আমাদের উপরে পড়বে।
আরও পড়ুন: ধর্ম নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে: জামায়াত আমির
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যে কাজটিতে জামায়াত হাত দিয়েছে, এটি জামায়াতের একার সম্পত্তি নয়— এটি জাতীয় সম্পত্তি। এটা একার দায়িত্বও নয়, সকলের দায়িত্ব। সরকার ও আরও যারা অংশীজন আছেন, তাদেরও দায়িত্ব। আমরা এই কাজের কোনো ক্রেডিট (কৃতিত্ব) নিতে চাই না। আমরা শুধু নৈতিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে আরও সুন্দর করে, আরও নিখুঁতভাবে করার জন্য আরও সংস্থা, সংগঠন ও অংশীজন এগিয়ে আসুক। তাহলেই আমাদের এই ভূমিকা নেওয়াটা সার্থক হবে। সেক্ষেত্রে জামায়াত সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও জানান জামায়াত আমির।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পররওয়ার।
এতে আরও বক্তব্য দেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও কবি আব্দুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, জাগপার সহসভাপতি প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান, ১২ দলের মুখপাত্র সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল: জামায়াত সেক্রেটারি
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবারেরর সদস্য, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম খান মিলন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
৮৬ দিন আগে
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য চান জামায়াত আমির ও চরমোনাই পীর
দেশের ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রশ্নে জনসাধারণের কাছে দোয়া চেয়েছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ইসলামি দলগুলো ভোটকেন্দ্রে একটি বাক্স পাঠাতে চায় বলে জানিয়েছেন দুই দলনেতা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা ও পীরের দরবার পরিদর্শনে যান জামায়াত আমির। এ সময় চরমোনাই মাদ্রাসায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর ও পীর রেজাউল করীম।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা মূলত ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাকি যারা আছে ৯ ভাগ, তারাও এই দেশের মানুষ। তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী; এছাড়া কিছু নাস্তিকও থাকতে পারে। সবমিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এটার মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না, সেখানে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আসবেই। নামাজের বিধান মানলে সমাজে আল্লাহর বিধানও মানতে হবে। কিছু মানা ও কিছু না মানার কারণে দেশ এমন হয়েছে।’
‘আমাদের মনের আকাঙ্ক্ষা—পুরাটা মানতে চাই। এজন্য আমরা দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। দেশের জনগণের মনে আকাঙ্ক্ষা—একবার এই দেশে ইসলাম কায়েম হোক। কারণ মানবরচিত মতবাদ দেশবাসী দেখেছে।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমাদের মিলন মেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা—নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামি দলগুলোর যেন একটা বাক্স থাকে।’
এ সময় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও চলছে। বিভিন্ন কৌশলে গত ৫৩ বছর ইসলামি দলগুলোকে দূরে রাখা হয়েছে।’
‘৫ আগস্ট নতুন স্বাধীনতার মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে একটি ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রের যদি আমরা সময় উপযোগী বিচার না করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য তা অকল্যাণকর।’
আরও পড়ুন: ৭ ইসলামি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান এই দুই নেতা।
এদিন চরমোনাইয়ের প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাকের কবর জিয়ারত করেন জামায়াত আমির। এরপর মধাহ্নভোজ শেষে ডা. শফিকুর বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দলটির কর্মীসভায় যোগ দেন।
১০১ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাত করতে যান রাষ্ট্রদূত। মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও গুরুত্বের আলোচনা করেন তারা। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
১০৮ দিন আগে