সতর্ক
নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তি’র চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তির নোংরা প্রচেষ্টা’ ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এখন মানুষ লক্ষ্য করতে শুরু করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ নষ্ট করার জন্য অশুভ শক্তির অপচেষ্টা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে (আইইবি) ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতাচ্যুত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখার পথে হাঁটছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচনের নামে শর্ত আরোপ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি করে তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে।’
৯৫ দিন আগে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক, সতর্ক থাকার আহ্বান
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি হ্যাক করা হয়েছে। এটি পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত পেজ থেকে প্রকাশিত কোনো পোস্ট বা বার্তায় বিশ্বাস না করতে, শেয়ার না করতে এবং এতে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পেজটি রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় রয়েছে এবং ঘটনার তদন্তসহ ভবিষ্যতে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা রোধে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পেজটি হ্যাক হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কিছু সময়ের জন্য ওই পেজ থেকে অননুমোদিত ও অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট শেয়ার করা হয়েছেে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট, ৪৫০০০ টাকা জরিমানা আদায়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘হঠাৎ এ ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। কারণ এই ফেসবুক পেজটি মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয়।’
‘পেজটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে—এই ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত কোনো পোস্ট বা বার্তায় বিশ্বাস না করতে, শেয়ার না করতে এবং এতে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হতে।’
এই সময়ের মধ্যে সরকারি আপডেট ও যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিসহ অন্যান্য যাচাইকৃত মাধ্যম ব্যবহার করার অনুরোধ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২১৫ দিন আগে
বাংলাদেশ অবস্থানরত অবৈধ বিদেশিদের আবারও সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ অবস্থানরত অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের আবারও সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বৈধতা অর্জন না করলে তাদের বিরুদ্ধে ফরেন অ্যাক্ট ১৯৪৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীর সই করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইউরোপীয় দেশগুলোর ভিসা সেন্টার খোলার চেষ্টা চলমান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বা কর্মরত রয়েছেন। এমতাবস্থায়, অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত বা কর্মরত ভিনদেশি নাগরিক যারা ইতোপূর্বে জারি করা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে দ্য ফরেন অ্যাক্ট ১৯৪৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩২৪ দিন আগে
আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করল সরকার
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অসদাচরণের দায়ে তাদের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনসেবা ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই তা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি। কাজেই কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে বা কোনো বাধা দিতে পারবেন না, অন্য কোনো ব্যক্তিকেও তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে ও নিষেধ করা হয়েছে।
সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ, অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করা বা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে ও অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। এছাড়া যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করতে বা অন্যকে প্ররোচিত করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর যে কোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ধারাবাহিক আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গেল ৫ অক্টোবর আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ব্যানারে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের প্রত্যাখান করে যেটা শুরু করেছেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী ঘোষণা দেন যে তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্যাডারকে ক্যাডারের বাইরে রাখার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছেন।
পাশাপাশি উপসচিব পদে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং বাকি ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা নিয়ে পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। মূলত এই ঘোষণার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
৩৩৭ দিন আগে
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে আবারও নতুন বিপদে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বিপদ এখনও কাটেনি। নতুন বিপদ সামনে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আবারও গণতন্ত্রকে দুর্বল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে মহিলা দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলতেন। তার কারণে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেই ভয়ংকর দানবকে সরিয়ে দিয়ে ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এটা সত্য যে, শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে জনগণের সেবা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম সরকার।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কেউ দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। ‘বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করে আমরা এগিয়ে যাব এবং নিঃসন্দেহে নির্বাচনে জিতে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
৩৯৪ দিন আগে
ইরানে ইসরায়েলি হামলার সমাপ্তি ও প্রতিশোধের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত: যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলা এবং দুই শত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি গুলি বিনিময় বন্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে তেহরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা প্রতিক্রিয়া জানালে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসন বিশ্বাস করে ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়েই ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সামরিক হামলা বন্ধ করা উচিত।
ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার সারাদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের মাধ্যমে ইসরায়েলিদের পরিচালিত হামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনেছেন।
হোয়াইট হাউসের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি অভিযানে 'ব্যাপক, ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিল।’ এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল যুদ্ধের ঝুঁকি
৪০৫ দিন আগে
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান বিএনপির
সকল চক্রান্ত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।’
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না, তাতে কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলায় আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা জানি এই সরকার খুব শক্তিশালী নয়, কারণ এটি কোনো দল বা মতের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা দখল করেনি, জাতি তাদের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। যেহেতু আমরা সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি সেহেতু আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। ‘দেশের বিভিন্ন খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক দুর্গাপূজার সময় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমরা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকের সমতা নিশ্চিত করার দাবির কথা তিনি কখনো শোনেননি। ‘তবে, এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, বন্ধ হয়ে যায়। যারা এই আন্দোলন করেছে তারা কি আসলেই শ্রমিক?’
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু ক্ষমতায় নেই এবং দলের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেছেন বলেই আওয়ামী লীগের দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সামর্থ্য নেই, এমনটা ভাবা ভুল।
তিনি বলেন, ‘তাদের সেই সক্ষমতা আছে এবং তারা বিভিন্নভাবে সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ অন্যায় দমনের দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি, কিন্তু সরকারের পক্ষে তা করতে পারি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রেখে জনগণকে স্বস্তি দিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি হঠাৎ কেন সামনে এল তা নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’
৫ আগস্ট কারাগারে থাকা নজরুল বলেন, 'কারাগার থেকে আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়া উচিত নয়।’
এরপর তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। পরে আমরা একটি টেলিফোন আলাপ শুনেছি যেখানে শেখ হাসিনা বলেছেন যেভাবে পদত্যাগ করা উচিত ছিল সেভাবে তিনি পদত্যাগ করেননি। এর অর্থ তিনি পদত্যাগ করেছেন... তাই তার পদত্যাগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা, যেহেতু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, সেহেতু তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল হঠাৎ করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করছে। ‘তারা এর আগে কখনো এটি নিয়ে আলোচনা করেনি এবং এমনকি কয়েকটি বড় দলও এখন এটি সমর্থন করছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।’
তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত তাদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে না, বিধানসভাতেও করে না। ‘পিআর সিস্টেমটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ফ্রান্সেও প্রয়োগ করা হয় না। এমনকি ইংল্যান্ডে, যেখানে গণতন্ত্রের উৎপত্তি, সেখানেও পিআর সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় পিআর সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ‘আমরা এটাও দেখেছি যে নেপালে গত ৫-৭ বছরে কতবার সরকার বদল হয়েছে।’
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ থাকা উচিত নয়। ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়, বরং সবার জন্য যেটা কল্যাণকর সেটাই আমাদের গ্রহণ করা উচিত।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দোসররা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। ‘এই সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তবে তাদের রাজনীতিতে ফেরা এত সহজ হবে না।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৪০৮ দিন আগে
শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দেওয়ায় ‘বহিরাগতদের’ সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে বেশিরভাগই বহিরাগত উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার
মিটিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণী উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। আমরা খবর পাচ্ছি প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। এটা বহিরাগতরা এসে করেছে। তাদের আপনারা (শ্রমিকরা) বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এমনভাবে তারা মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘প্রকৃত শ্রমিকরা এ ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যেখানে তার জীবিকা, সে স্থান সে (শ্রমিক) ধ্বংস করবে না। আপনারা খেয়াল করে থাকবেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারখানা, কুমিল্লায় প্রাণ কোম্পানির কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানিতে কোনোদিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেয়ে ফেলছে, তাহলে এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে,’ যোগ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে যাবে, তাহলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে কারণে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে। আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেপ্তার কিংবা আটক হতে পারেন।’
৪৫৬ দিন আগে
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ভাঙচুর, হত্যাযজ্ঞ ও রক্তপাত হবে- সেখানেই তারা তাদের কাজ দায়িত্বসহকারে পালন করবে।’
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মনে হয় একটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এ বিচারে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটা দেখা উচিত ছিল। না দেখেই নানা ধরনের প্রোগ্রাম দিচ্ছে, রাস্তা অবরোধ করছে। রাস্তা অবরোধ করলে তো সবাই ভুক্তভোগী হয়ে যায়, অনেক কাজে বিঘ্ন ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কোর্টে যেতে পারেন, যেটা প্রধান বিচারপতি বলেছেন কিংবা তারা এসে যোগাযোগ করতে পারেন। এসব কিছুই করতে পারেন, এ সমস্ত রাস্তা তাদের জন্য খোলা রয়েছে। খোলা রাস্তায় না গিয়ে, এ ধরনের রাস্তায় যাওয়া তাদের জন্য আমি মনে করি ভালো না। এই জায়গাটি থেকে তাদের চলে আসা উচিত। এটাই তাদের প্রতি মেসেজ।’
গতকাল (সোমবার) ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, আজকে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি কিংবা ছাত্রদল- এগুলোকে সংজ্ঞায়িত করছি না; আমি বলছি ছাত্ররা। ছাত্ররা হয়তো একদল পক্ষে রয়েছে, আরেক দল বিপক্ষে; এমন হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোন দল পক্ষে, আর কোন দল বিপক্ষে- সেগুলো আমাদের জানার বিষয় নয়। আমাদের বিষয় হলো, তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাউকে কষ্ট না দিয়ে তাদের কথাগুলো যাতে বলে। তাহলে সবাই সেটা উপলব্ধি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যে মারামারির কথা বলছেন, এগুলো ছাত্রদের মধ্যে... সবসময়ই একমত হতে পারে না। মতবিরোধ থাকে, মতবিরোধ হলেই বাগবিতণ্ডা হয়। সেরকমই কিছু কিছু জায়গায় হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি। ঢিল ছোড়াছুড়ি আমরা দেখেছি, এগুলো সবই দেখেছি।’
সারাদেশে অবরোধ করা হচ্ছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে কি না- জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভেঙে পড়েছে- এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিকভাবেই আছে। আপনারা চলছেন, আমিও চলছি; সবই চলছে, সবকিছুই হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা ভুল করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়- এটা সঠিক পন্থা নয়। রাষ্ট্রপতির কাছে তারা আবেদন দিয়েছে, সেটি স্টাডি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আমাদের একটা নির্দেশনা দেবেন, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এগুলো শেখানো বক্তব্য, এগুলো ছাত্রদের বক্তব্য নয়। কটুক্তি যে করছে, এগুলো তারা করেনি। তাদের এগুলো হয়তো কেউ শিখিয়ে দিয়েছে, শেখানো বুলিই তারা বলেছেন। আমার মনে হয়, তারা এই বুলি ভুলবশতই করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেগুলো দেখছি, তাদের কাছে যে সমস্ত মেসেজ বিভিন্ন মহল থেকে দিচ্ছে, সেগুলো আমরা লক্ষ্য করছি। সেখানে তাদেরকে এ ধরনের আন্দোলন করার জন্য উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০৬ দিন আগে
দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সতর্ক থাকুন: হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী
দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সেজন্য হজ গাইডদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয় বরং আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশি। তাই আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চলাফেরার মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে।’
হজ গাইডদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও সম্মানহানি যেন না ঘটে, সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকবেন।’
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
হজ পালনের ফজিলত তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ। ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহিহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনও যদি নিয়ম অনুযায়ী না হয় সেই দায়ভার হজ গাইডের উপরই বর্তাবে।
হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন।
তিনি বলেন, হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদের বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী হজ গাইডদের উদ্দেশে বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজযাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হজযাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
এসময় হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এতে মোট ১০২ জন হজ গাইড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
৬৩৫ দিন আগে