স্বাধীনতা পুরস্কার
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন, প্রজ্ঞাপন জারি
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
এছাড়া সাংস্কৃতিতে ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিন্ধান্ত রহিত
শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্য ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
গত বছর (২০২৪) ১০ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
১১ দিন আগে
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে যোগ্যদের এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রবিবার (২ মার্চ) জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আগে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘র্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটা আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার।’
তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে আমরা এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন—এ পুরস্কার দেখে আরও খুশি হবেন। মনে হবে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আল্লাহ কি হাসিনাকে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি: প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
১০ জনের কম ব্যক্তিকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
এ সময়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য আমাদের সুপারিশ উপদেষ্টা পরিষদে যাবে। এরপর নাম প্রকাশ হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি। আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারব। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয়—এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কিনা আমি জানি না।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার জীবনব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হবে। এত বছরেও তারা কিন্তু কোনো পুরস্কার পাননি। কাজেই আপনাদের অনুমান করে নিতে হবে—কি ধরনের মনোনয়ন দিয়েছি। এ তালিকা উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীতে না-হওয়া পর্যন্ত নামগুলো প্রকাশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ৩-৪টি মামলার রায় পাওয়া যাবে: আসিফ নজরুল
গত বছর ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
২০ দিন আগে
ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার: শিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবে এ বছর কারা ও কতজন এই পুরস্কার পাচ্ছেন তা জানাননি উপদেষ্টা।
রবিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষে জীবনের সর্বস্তরে সংযমের বার্তা প্রধান উপদেষ্টার
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বছর দশজনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০ দিন আগে
শিল্পী শাহাবুদ্দিনের বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে সাজানো ‘এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩’- শীর্ষক বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন তিনি।
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে মাসব্যাপী একক এ শিল্প প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা প্রায় ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে রেট্রোস্পেকটিভের উদ্বোধন করেন এবং চারুকলা প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাসব্যাপী প্রদর্শনীর সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউয়ে শিশু নেফ্রোলজি বিভাগে আইসিইউ উদ্বোধন
তিনি বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখনো তার শিল্পকর্মে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনা প্রতিফলিত হয়, যা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে।’
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘শাহাবুদ্দিন, এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩’- শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপু, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
৫৫৪ দিন আগে
‘প্রতিটি পুরস্কারই আমাকে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে’
আইসিডিডিআর,বি-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর ফিরদৌসি কাদরী গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার (স্বাধীনতা পদক)-২০২৩ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দুটি বিশেষ কারণে আজ আমার জন্য খুব আনন্দের দিন। আর প্রথমটি হলো বাংলাদেশ সরকার আমাকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এবং দ্বিতীয়টি হলো- আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছি। যাকে ২০১৯ সালে দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স জিএভিআই ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে ভূষিত করেছিল।
ডা. কাদরী বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সংস্থার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব হতো না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পুরস্কারই আমাকে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। তবে আজ যে সম্মানটি পেয়েছি তা অবশ্যই দেশ ও জনগণের জন্য আরও বেশি অবদান রাখার অনুপ্রেরণা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ডক্টর কাদরীও এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে তার সকল সহকর্মী, তার চার দশকের কর্মজীবনের শুভানুধ্যায়ী, আসিডিডিআর,বি এবং এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগটি গ্রহণ করেন।
এই উপলক্ষে, আসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ ডা. কাদরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশে এবং এর বাইরে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের অগ্রগতির জন্য তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি। ডক্টর কাদরীর কৃতিত্ব গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এবং আমরা তাকে আসিডিডিআর,বি -এ আমাদের দলের একজন অংশ হিসেবে পেয়ে গর্বিত।’
ডা. কাদরী বর্তমানে আসিডিডিআর,বি -এর সংক্রামক রোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করছেন। কলেরা, টাইফয়েড এবং অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তার কাজ তার অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত বিজ্ঞানীদের একজন করে তুলেছে। ২০২১ সালে, ডক্টর কাদরীকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, প্রায়ই এটিকে ‘এশিয়ার নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তিনি ২০২০ লোরেল-ইউনেস্কো ফর উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীও। ডক্টর কাদরী ২০১২ সালে ফাউন্ডেশন ক্রিস্টোফ এট রোডলফ মেরিক্সের বার্ষিক বৈজ্ঞানিক 'গ্র্যান্ড প্রাইজ'-এ ভূষিত হন।
২০০৫ সালে আইসিডিডিআর,বি মর্যাদাপূর্ণ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। আইসিডিডিআর,বি ডক্টর ফিরদৌসি কাদরী এবং এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের সকল প্রাপকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানায়।
১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ পালিত স্বাধীনতা দিবসের আগে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে আসছে।
৭৩০ দিন আগে
বিজয়ীদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশিদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরনোত্তর)ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিভাগে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদানের জন্য বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং আইসিডিডিআরবি'র ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরীকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
সাহিত্যে অবদানের জন্য মরহুম মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) এই পুরস্কার লাভ করেন।
সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পবিত্র মোহন দে ও এএসএম রকিবুল হাসানকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পাবলিক সার্ভিস বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে।
বাংলাদেশ প্রতি বছর ২৬ মার্চ উদযাপিত স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৭৭ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
৭৩০ দিন আগে
সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতই পরবর্তী চ্যালেঞ্জ: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করাই সরকারের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সবাই সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে কাজ করবো।’
সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
আরও পড়ুন: পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াটে উন্নীত এবং দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদ্যুৎ বিভাগসহ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন।
নসরুল বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। ‘এখন মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ চায়।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম এই মুহূর্তে বাড়াতে চায় না সরকার: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয় এখন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
এই গ্রীষ্মে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন চাহিদা তৈরি হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।’
১০৯৪ দিন আগে
‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বৃহস্পতিবার নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২' তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার তুলে দেন।
এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক সম্মাননা দেয়া হয়।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে এই পুরস্কার দো হয়।
১০৯৪ দিন আগে
আমির হামজাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের নতুন তালিকা
সমালোচনার মুখে আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে শুক্রবার ‘স্বাধীনতা পদক ২০২২’ এর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে আমির হামজাকে (মরণোত্তর) সাহিত্য বিভাগে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল।
১৫ মার্চ গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার ‘পুনর্বিবেচনা’ করা উচিত: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
যারা পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডাব্লিউএমআরআই) এই পুরস্কার পাবেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
১১০০ দিন আগে
আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার ‘পুনর্বিবেচনা’ করা উচিত: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মো. আমির হামজার নাম ঘোষণার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এবারে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার উপযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা জাতির জন্য অসম্মানজনক।’
শুক্রবার (১৮ মার্চ) এফডিসিতে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতা দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল রাজাকারদের প্রকৃত তালিকা করা। রাজাকার ছাড়া বাকি সবাই কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা ছিল জনযুদ্ধ। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে সত্য কিন্তু সমসুযোগ ও সুশাসন বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা এখনও পাই নি। কেবল ভোটেই গণতন্ত্র নয়, সমসুযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তাই হল প্রকৃত গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের চেয়েও বর্তমানে বড় সমস্যা হল ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে দেশপ্রেম ছিল, আজ সে দেশপ্রেম নেই, আজ কেবল আত্মপ্রেম। আজ সমাজের উন্নয়ন হচ্ছে না, হচ্ছে ব্যক্তির উন্নয়ন। যখনই সমাজে বিপদ আসছে তখনই ধনীদের আরও উন্নয়ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, উন্নয়ন মানে কেবল দালানকোঠা ও রাস্তাঘাট গড়া নয়, মেধাকে মুক্ত করা ও মেধার বিকাশ। আজ বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক চর্চা নাই, ছাত্র সংসদ নাই, সংস্কৃতিচর্চা ও খেলাধুলা নাই। ফলে ছাত্রদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না। তারা বিপথগামী হচ্ছে। বর্তমানে আর একটি উদ্বেগের বিষয় হল আমাদের সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে। শুধু সম্পদ নয় তার সঙ্গে মেধাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে আমরা স্বাধীন হলেও পাকিস্তানের মতো পুঁজিবাদ ও আমলাতান্ত্রিকতা থেকে আমরা এখনও পুরাপুরি মুক্ত হতে পারিনি।
স্বাধীনতার দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ঢাকা সিটি কলেজকে পরাজিত করে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন দলের বিতার্কিকদের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার আপ দলকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
১১০০ দিন আগে