বিয়ের ১৬ দিনের মাথায়
বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় স্ত্রীকে ‘বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা’
নীলফামারীতে বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে শহরের কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ (রবিবার) সকালে নিহতের স্বামী রানাকে আটক করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তা কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ১৬ দিন আগে রানার সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। রানা প্রায়ই তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন। শনিবার রাতে ঘুমাতে গেলে রানা বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুক্তাকে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে রানা বলেন— তোর ভাবি মুক্তাকে মেরে ফেলেছি। মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাক। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে রানাকে তাদের হাতে তুলে দেন।
মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘১৬ দিন আগে রানার সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন শুরু করে। শনিবার রাতেও মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘রানার আগেও বিয়ে ছিল। মুক্তাকে বিয়ের সময় সে আগের বিয়ের কথা গোপন করে।’
আরও পড়ুন: শশুরবাড়ি যাওয়ার পথে যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
‘আগের সংসারে রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তাই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে রানা নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। নিহতের পরিবার মামলা করলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
৮২ দিন আগে