ঢাকাবাসী
অসহনীয় যানজট থেকে মুক্তি মিলছে না ঢাকাবাসীর
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে রাজধানীতে অসহনীয় রূপ নিয়েছে যানজট। আগেও যানজটের সমস্যা ছিল তবে এখন যতই সময় যাচ্ছে তা আরও প্রকট হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যত্রতত্র পার্কিং, যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করানো, ফুটপাত দখল, গাড়ির তুলনায় রাস্তার সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপকদের অদক্ষতা, দুর্নীতি ও অনিয়ম, পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার অভাব, আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া, রাজধানীকেন্দ্রিক শিল্পকারখানা স্থাপন এবং অফিস-আদালত ঢাকায় কেন্দ্রিকরণ বাড়তে থাকায় যানজটও ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়ে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বেশ কিছুদিন কর্মবিরতির পর সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে আগের মতো কাজে গতি দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন নগরবাসী।
তারা মনে করে, পুলিশ যদি আগের মতো সড়কে কাজ না করে তবে এই যানজট দিনকে দিন বেড়েই চলবে।
এদিকে রাজধানীতে বাড়ছে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, মালবাহী ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও ট্রাকের সংখ্যা। সড়কের তুলনায় যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যাধিক্য এবং অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত চলাচলই যানজট বাড়ার অন্যতম কারণ, যার ধকল পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
গণঅভ্যুত্থানের পর জনরোষের শিকার হয় পুলিশ। থানা ও সড়ক ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। এই অবস্থায় ছাত্র-জনতা সড়কে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব নেয়। সেসময় অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক অবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে উঠে আসে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ হাজারো অবৈধ যানবাহন।
অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাফিক পুলিশ সড়কে আসলেও সড়ক আইন মানতে চাননি এসব যানবাহনের চালকরা। এমন কি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তাচ্ছিল্য করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন তারা।
আগে শহরের অলিগলিতে চললেও ৫ আগস্টের পর থেকে প্রধান সড়কে ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা। এতে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।
যানজট নিয়ে গণপরিবহন যাত্রীদের যেসব অভিযোগ—
প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, মৌচাক ও নতুন বাজার মোড়ে অপেক্ষমাণ বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় যানজট প্রতিদিনের চিত্র হলেও আগের থেকে এখন প্রকট আকার দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হয়। পুলিশ থাকলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায় না।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আগেই যানজট নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি জানান যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: ১৫টি খাল খনন করলেই দূর হবে ঢাকার ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা
ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘সড়কে দিনকে দিন যানজট বেড়েই চলেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাস্তায় আগের চেয়ে বেড়েছে যানজট। ট্রাফিক পুলিশ সড়কে যেন থেকেও নেই। কারণ আগের মতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে না। আগে যেভাবে তারা সড়কে দায়িত্ব পালন করতেন এখন অনেকটা তারা নীরব দর্শকের মতো দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ যদি আগের মতো সড়কে কাজ না করে তবে এই যানজট দিন দিন বেড়েই চলবে।’
কুড়িল-নতুনবাজার থেকে প্রতিদিন গণপরিবহন গ্রীন ঢাকায় যাতায়াতকারী ফেরদৌস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে ঢাকায় অসহনীয় যানজট বাড়ছেই। আগের থেকে এখন বেশি যানজট, কেউ কাউকে মানছে না ফলে রাস্তায় একটা অরাজকতা চলছে। ট্রাফিক পুলিশ আরও কঠোর থাকলে এসব কমে যেত। কিন্তু আগের মতো সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে যানজট ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। পল্টন থেকে বাসে উঠলে আগে কুড়িল আসতে সময় লাগত ১ ঘণ্টা। এখন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়।’
এছাড়াও মূল সড়কগুলোতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকগুলো চলে আসায় যানজট ও দুর্ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানো, প্রায়ই উল্টো দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া-এসব কারণে দুর্ঘটনা ঘটছেই। সড়ক আইন মানছেন না কেউই। ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে তারা চলছেন নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো।
যানজট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা—
ঢাকার যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: একাধিক মাস্টারপ্ল্যান, ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই সিটি ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যানজট নিরসন হবে। আমাদের অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
যানজট নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ কি বলছেন—
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, সড়কে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। যানজটের জন্য পুলিশ কখনোই দায়ী না। এখানে বেশ কিছু বিষয় কাজ করছে। পুলিশ আগের চেয়েও অনেক বেশি কর্মস্পৃহা নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া সড়কে এখন প্রায় দেখা যায় দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হচ্ছেন। এতে করে সড়কের ট্রাফিক সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে ৫ আগস্টের পর কাভার্ড ভ্যানগুলো সড়কে নেমে যাচ্ছে আর এসবে কারণেও ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। এই বিষয়টি নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি।’
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন সড়কে উঠে যাচ্ছে, তবে আমরা তাদের প্রতিহতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা শুরুতে কয়েক দফা তাদের বুঝিয়েছি, কয়েক দফা তাদের ওয়ার্নিং দিয়েছি, এখন আমরা মামলা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’
ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন শত শত ব্যাটারির রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারও রিকশার তার ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে, কারও সিট খুলে নেওয়া হচ্ছে। এ রকম লঘুশাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে জনবল ও যানবাহন স্বল্পতার কারণে রেকারিং কিংবা ডাম্পিং করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দিন দিন কঠোর হচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সড়কে এ ধরনের একটি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী: মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ
নাজমুল হাসান বলেন, রাজধানীর ১২৮টি রুটের বাস চালকদের সচেতন করতে কাজ করা হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার পাশাপাশি বেশ কিছু লাইসেন্সবিহীন বাস সড়কে উঠে যাচ্ছে, আর এতে যানজট বাড়ছে। আমরা এই লাইসেন্সবিহীন বাসগুলোকে সড়কে উঠা বন্ধ করতে কাজ করছি।
নগর পরিকল্পনাবিদ যা বলছেন—
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল বিভাগের অধ্যাপক নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে গাড়ির সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে অনুযায়ী রাস্তা বাড়ছে না। গত কয়েকবছর বছরে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যেখানে প্রাইভেট গাড়ি কমানোর কথা, সেখানে প্রতিনিয়তই গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এক্সিসটিং রোড এত গাড়ির ভার নিতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেগা সিটি মানেই প্রচুর গণপরিবহন; কিন্তু সেই গণপরিবহনের মাত্রা কিন্তু বাড়ছে না। গণপরিবহন যত ভালো করা যায়, ততই প্রাইভেট গাড়ির প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হবে এবং তারা গণপরিবহনে যাতায়াত করবে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে ২০০৫ সালে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) প্রণয়ন করে সরকার। ২০০৫ সালের সেই প্ল্যানটাকে যদি বাস্তবায়ন করা যেত তাহলে ২০২৪ সালে এসে অনেক উন্নতি করার কথা ছিল। অর্থাৎ যানজট বাড়ার কথা ছিল না। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
ড. আদিল আরও বলেন, বিশ্বের অনেক বড় বড় শহরেই যানজট দেখা যায়। কিন্তু সেটা পরিমিত লেভেলের। কিন্তু ঢাকার যানজট বড় সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা যদি সঠিকভাবে করা যায়, তবে যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বড় অভাব রয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে খারাপ। এটিকে আরও আধুনিক করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৮ কিলোমিটার যানজট
১ মাস আগে
ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ শেষ করে তা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যান্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনেও ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আজিমপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটি তুলা মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। এখানে মাত্র ১৫ জন দোকানি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনোরকমে তাদের দোকানের কার্যক্রম চালাতেন। করোনার মাঝেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মার্কেট নির্মাণে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। তখন অনেকেই শঙ্কিত ছিল। কারণ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতীতের ইতিহাসে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্তই থেকে গেছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসে। ১৩, ১৫ ও ১৮ বছর হয়ে গেলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা শঙ্কায় ছিলেন যে, তারা আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন কি না?’
‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নির্মাণ সম্পন্ন করব এবং আবারও এখানে ব্যবসা পরিচালনার সুব্যবস্থা করে দেব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে। অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক এই নগর মার্কেট শুধু ক্ষতিগ্রস্তরাই নয়, আমরা ১১৭ জনের রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ওয়াসার সড়ক খননের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসময় মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমরা লক্ষ করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করা হয়েছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সই জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক! এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে যদি কোনো সংস্থা লিপ্ত হয়, তাহলে সমন্বয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী সড়ক খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং লালবাগের ঘটনায়ও ওয়াসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে (প্রতিষ্ঠানকে) কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়াও, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করব, মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মাঝে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
৪ মাস আগে
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল।’
নগর ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগর ভবন অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধনকালে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসীকে দ্রুততর সময়ে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘এখানে ঢাকাবাসী সরাসরি এসে জানতে পারবে যে- তার কাজের জন্য কোন জায়গায়, কোন দপ্তরে বা কোন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে, কী করতে হবে। এতে করে জনগণ তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবে এবং সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবে। সুতরাং সেবাগুলো যেন আরও সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত হয় ও ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় যেন পৌঁছানো যায়, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা অবারিত রাখতে সিটি করপোরেশন সজাগ থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনিক সংস্কার যেমন চলমান রয়েছে তেমনি আমরা বিভিন্ন বিভাগে জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কাজের জন্য আমরা প্রকল্পের ওপর নির্ভর করি না। সব কাজই নিয়মিত সূচি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা হয়। এছাড়াও সেবার উৎকর্ষতা বাড়ানের পাশাপাশি সেবার মান যেন প্রতিনিয়ত বাড়ে, সেসব বিষয়ের ওপর আমরা নজর দিয়েছি। সুতরাং এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা স্থায়ীভাবেই চালু থাকবে। এখান থেকে ঢাকাবাসী সহজে তাদের সেবা পাবে।’
উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
৪ মাস আগে
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এবং নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ডিএসসিসি এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে চায়।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ডিএসসিসির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময়’ সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা হলে আমরা মাঠ পর্যায়ে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের অনেক রোগীর তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এছাড়া যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আমাদের শুধু তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না,তাদের তথ্যও অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, যিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আবার যিনি ডেঙ্গু রোগী কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তার তথ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজউক প্রতিনিধির কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা চেয়ে মেয়র বলেন, আপনাদের কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা থাকে। রিহ্যাবের বাইরেও অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়। সেজন্য আপনারা যদি সেসব নির্মাণাধীন ভবনের তালিকাটা আমাদের কাছে সরবরাহ করেন তাহলে আমরা যৌথভাবে অভিযানগুলো পরিচালনা করতে পারব।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা সরবরাহ করা হবে বলে জানায় রাজউক।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
৬ মাস আগে
বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর যাতায়াত ব্যাহত
ঢাকার বাতাসের মান কয়েকদিন ধরেই ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে। এর মূল্যে রয়েছে ধুলাবালি। এর থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় বৃষ্টি। কিন্তু সেই বৃষ্টি বৃহস্পতিবার দেখা দিলেও ঢাকাবাসীর যাতায়াতে তৈরি করেছে সমস্যা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এবং শুক্রবার আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১০ মিলিমিটার এবং যশোরে সর্বোচ্চ ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গণপরিবহনের স্বল্পতায় অনেককে হাঁটতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
অফিসগামীরা, বিশেষ করে বেসরকারি খাতে কর্মরতদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এদিকে, সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: ভারতের দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
১১ মাস আগে
ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী।
তিনি বলেন, অক্টোবরে বিএনপি নাকি ঢাকা অচল করে দিবে। ঢাকা অচল করতে আসলে ঢাকাবাসী বিএনপিকেই অচল করে দিবে। নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
কাদের বলেন, তারা রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিবে বলেছে। বেশি লাফালাফি, নাচানাচি করতে আসলে রাশিয়ার ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।
তিনি বিএনপিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বেশি লাফালাফি করলে ভালো হবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। শেখ হাসিনা জনগণের কথা চিন্তা করে নিদ্রাহীন। জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। মানুষ বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ বাঁচবে, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসীকে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা প্রস্তুত: শেখ তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাতে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ঢাকাবাসীকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, রাষ্ট্রপতি আমাদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, কূটনীতিকসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকাবাসী ও সাধারণ মুসল্লিরা সবার জন্য সুষ্ঠু আয়োজন করা হয়েছে। ওজুখানাসহ মহিলাদের জন্য আলাদা পথ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাতের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে করে এই ভ্যাপসা গরমে কেউ যেন কষ্ট না পান। সবদিক বিবেচনা করে হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি হলে যাতে পানি জমতে না পারে, বা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে, তাই পুরোটাই আমরা ত্রিপল দিয়েছি এবং পর্যাপ্ত পাখা (স্ট্যান্ড ফ্যান) ও চিকিৎসা সহযোগিতার ব্যবস্থাও রেখেছি। গতবারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র বেশি রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকও বেশি রাখা হয়েছে। কারণ, যে তীব্র তাবদাহ চলছে, তাতে কেউ অসুস্থ হলে যেন সেবা দেওয়া যায়, সেজন্য সিভিল সার্জন অফিসসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে। আর যেহেতু রাষ্ট্রপতি আসবেন, তাই এসএসএফসহ আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
শেখ তাপস বলেন, আমরা আশাবাদী, একটি সুন্দর-সুষ্ঠু পরিবেশে ব্যাপক মুসল্লির অংশ্রগহণে আমরা ঈদের মূল জামাতের আয়োজন করতে পারছি। সুতরাং, আমরা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি।
এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে সবাইকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা অপেক্ষায় আছি।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে
এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
১ বছর আগে
৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করল ঢাকাবাসী
ঢাকাবাসী শনিবার ১৯৬৫ সালের পর সবচেয়ে উষ্ণতম একটি দিন অতিবাহিত করেছে। এতে সবাইকে দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) অনুসারে, এদিন রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
১৯৬৫ সালে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
শুক্রবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ঠিক ৯ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান
আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ট্রাফিক সতর্কতা: ঢাকাবাসীদের আগামীকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিমানবন্দর-উত্তরা রুট পরিহার করার অনুরোধ
ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ রাজধানীর যাত্রীদের বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর হয়ে উত্তরা রুট ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করেছে।
বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের কারণে ঢাকা বিমানবন্দর-উত্তরা রুটে যানজট পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিআরটির প্রকল্প পরিচালক এএসএম ইলিয়াস শাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ও ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের জন্য বিশেষ সড়ক উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা হবে।
এ পরিস্থিতিতে ঢাকা বিমানবন্দর-উত্তরা রুটে সরকারি-বেসরকারি যানবাহন চলাচল এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক সতর্কতা: খিলক্ষেত-উত্তরা-গাজীপুর রুট এড়াতে ঢাকাবাসীদের অনুরোধ ডিএমপির
খুলনা মহানগরীর ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ব্যবস্থা অকার্যকর
দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
১ বছর আগে
ট্রাফিক সতর্কতা: খিলক্ষেত-উত্তরা-গাজীপুর রুট এড়াতে ঢাকাবাসীদের অনুরোধ ডিএমপির
দীর্ঘ যানজটের কারণে মঙ্গলবার খিলক্ষেত থেকে উত্তরা হয়ে গাজীপুরমুখী সড়ক এড়িয়ে চলার জন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা ট্রাফিক বিভাগ জনগণের জন্য একটি সতর্কতা জারি করে বলেছে যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সৃষ্ট ভারী বর্ষণে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বলা হয়, সড়কে বড় বড় গর্তে জলাবদ্ধতার কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরা হয়ে মহাখালী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ অবস্থায় কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নগরবাসীদের এ সড়ক ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২ বছর আগে