ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল, রাজনীতিক বা নির্বাচনী ফলাফলের পক্ষে নয়। বরং আশা করে আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার(১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন এই কূটনীতিক এমন মন্তব্য করেন।
ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের কর্মসূচি ও লক্ষ্য বোঝার জন্য বৈঠক করে থাকি।
তিনি বলেন, আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদকেও সমর্থন করি না। তবে তাদের লক্ষ্য বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনী ফলাফলও সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আপনাদের সর্বোচ্চ সফলতা কামনা করি।
পড়ুন: নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা
জ্যাকবসন বলেন, আমি আমার কিছু সহকর্মীকে নিয়ে এখানে এসেছি শুনতে, জানতে এবং বুঝতে। যেহেতু বাইরে অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়াচ্ছে।
মার্কিন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ও ইসিকে সমর্থন করি, যাতে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
সভার সময় জ্যাকবসনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। অন্য দুই সদস্য হলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান ডেভিড মু ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ।
৯৪ দিন আগে
ঢাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মার্কিন দূতাবাস থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নিয়মিত কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা ও অবস্থান সম্পর্কে আরও বোঝাপড়া ও ধারণা পেতে এসব বৈঠক করা হয়েছে।
এর আগে, গেল ২০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্যারিস চুক্তি প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল যুক্তরাষ্ট্র
রাষ্ট্রদূত তখন বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে আপনার সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ওপর রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আশা করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
৩১০ দিন আগে