জাতীয় সঞ্চয় স্কিম
জুলাই ২০২৫ থেকে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
দেশের প্রচলিত সঞ্চয়পত্রগুলোতে লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে নতুন ভাবে প্রকাশিত হলো জাতীয় সঞ্চয় স্কিম। ২০২৫-এর জুলাই–ডিসেম্বর সময়কালের জন্য জারিকৃত এই নির্দেশনার আওতাভূক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিম পেনশনার সঞ্চয়পত্র। অন্যান্য সঞ্চয় ক্যাটাগরিগুলোর মতো এই সঞ্চয়পত্রেও বার্ষিক মুনাফার হারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগে মেয়াদের আগে ও পরে নগদীকরণে বার্ষিক হার ভিন্ন ভিন্ন। যার স্পষ্ট রেশ থাকছে গ্রাহকদের নগদায়নকালীন অর্থপ্রাপ্তিতে। চলুন, ৫ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নতুন নির্ধারিত রিটার্ন রেটের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত মুনাফার হার
নতুন রেট অনুযায়ী পূর্ববর্তী ও বর্তমানের সমূদয় বিনিয়োগের রিটার্ন হিসাব হবে। ধার্যকৃত মুনাফা দেওয়া হবে মূলত দুটি বিনিয়োগসীমার বিপরীতে, সেগুলো হলো:
i) ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা কিংবা তার কম
ii) ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার অধিক
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
পেনশনার সঞ্চয় স্কিমে মেয়াদের আগে ও পরে নগদীকরণে নিম্নোক্ত রেট অনুযায়ী প্রদেয় অর্থ নিরূপণ হবে:
টেবিল: ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের জন্য পেনশনার সঞ্চয়পত্রে দুটি ভিন্ন বিনিয়োগ সীমায় প্রদেয় ভিন্ন বার্ষিক মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৮৪
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.৩২
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৮৪
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.৩৯
১১.২৩
৫ম বছরান্তে / মেয়াদপূর্তিতে
১১.৯৮
১১.৮০
.
সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) মূল্যের পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদপূর্তিতে রয়েছে সর্বাধিক মুনাফাপ্রাপ্তির সুযোগ। আর এর পরিমাণ হলো ১১.৯৮ শতাংশ (১১.৯৮%)। মূল্য ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকা ছাড়িয়ে গেলে এই পরিমাণটি হবে ১১.৮০ শতাংশ (১১.৮০%)।
মেয়াদপূর্তির পূর্বেই নগদায়ন করা হলে মুনাফা বন্টন হবে উপরোক্ত টেবিলে উল্লেখিত হারে। এমতাবস্থায় অনুর্ধ্ব সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ নগদায়নে প্রথম বছরে মুনাফা দাড়াবে ৯.৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০.৩২ শতাংশ, ১০.৮৪ শতাংশ এবং ১১.৩৯ শতাংশ হারে।
অপরদিকে, ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার অধিক বিনিয়োগ নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে মুনাফা মিলবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে রিটার্ন পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০.১৯ শতাংশ, ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ হারে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য থেকে কার্যকর পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নতুন রিটার্ন রেট কারা পাবেন?
মুনাফার এই পুনঃনির্ধারিত হার পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সেই সকল গ্রাহকরা পাবেন, যারা স্কিমটি ক্রয় করবেন ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে কিংবা তার পরে। এর আগের যাবতীয় বিনিয়োগসমূহের মুনাফা বন্টন হবে পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুসারে।
এই সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের ছয় মাস পর মুনাফার বার্ষিক হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে যে সঞ্চয়পত্রগুলো ইস্যু করা হবে সেগুলোর স্ব স্ব মেয়াদ ও রিটার্নের হার বহাল থাকবে। সুতরাং বিনিয়োগকারীরা তাদের সঞ্চয়পত্র ইস্যুকালীন ধার্যকৃত হার অনুসারে নির্ধারিত পুরো মেয়াদ জুড়ে মুনাফা পাবেন।
শেষাংশ
বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ১১.৯৮ শতাংশ। ৭,৫০,০০০ টাকার অধিক বিনিয়োগকারীরা লাভ পাবেন ১১.৮০ শতাংশ হারে। এই মুনাফা বন্টন নীতি শুধুমাত্র ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ও তার পরবর্তীতে ইস্যুকৃত পেন শনার সঞ্চয়পত্রের জন্য অনুসরণ করা হবে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
১৫৩ দিন আগে
জুলাই ২০২৫ থেকে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
২০২৫-এর জুলাই-ডিসেম্বর সময়সীমাকে সামনে রেখে জারি হলো জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণ। এর আওতাভূক্ত অন্যতম একটি স্কিম ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র। অন্যান্য স্কিমগুলোর পাশাপাশি এই সঞ্চয়পত্রেও প্রধান পরিবর্তন হচ্ছে মুনাফার হার। নির্দিষ্ট বিনিয়োগসীমার অধীনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ও পরে উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বার্ষিক হার। স্বভাবতই, এই রদবদলের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকছে সামগ্রিক অর্থপ্রাপ্তিতে। চলুন, ৫-বছর মেয়াদী সঞ্চয় স্কিমটির পুনঃনির্ধারিত মুনাফার বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন রেট
নতুন রেটে পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বর্তমানের এক বা একাধিক যাবতীয় মুলধন অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। প্রযোজ্য রিটার্নসমূহ নির্ধারিত হবে দুটি বিনিয়োগসীমার উপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো:
i) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা ও তার কম
ii) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার বেশি
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে ৩-মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
৫-বছর মেয়াদী স্কিমের অধীনে মেয়াদান্তে ও মেয়াদের আগে নগদীকরণে ভিন্ন ভিন্ন বার্ষিক রিটার্ন রেটগুলো নিম্নরূপ:
টেবিল: ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে দুটি বিনিয়োগ সীমায় প্রদেয় বার্ষিক মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৭৪
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.২১
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৭২
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.২৬
১১.২৩
৫ম বছরান্তে / মেয়াদপূর্তিতে
১১.৮৩
১১.৮০
.
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (৭,৫০,০০০ বা তার কম) বিনিয়োগে মেয়াদপূর্তিতে রয়েছে সর্বাধিক মুনাফার সুযোগ। আর তা হলো ১১.৮৩ শতাংশ (১১.৮৩%)। ৭ লক্ষ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি) টাকার বেশি মূল্যে কেনা সঞ্চয়পত্রে এই হারের পরিমাণ ১১.৮০ শতাংশ।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নগদায়নে উপরোক্ত টেবিলে উল্লেখিত হার অনুসারে মুনাফা বন্টন করা হবে। এমতাবস্থায় অনুর্ধ্ব ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মুলধন নগদায়নে প্রথম বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে ৯.৭৪ শতাংশ হারে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরের জন্য দেওয়া হবে যথাক্রমে ১০.২১ শতাংশ, ১০.৭২ শতাংশ এবং ১১.২৬ শতাংশ করে।
অপরদিকে, সাড়ে ৭ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগের অগ্রিম নগদায়ন থেকে প্রথম বছরের লাভ আসবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরের ক্ষেত্রে সেই রিটার্ন হয়ে যাবে ১০.১৯ শতাংশ। তৃতীয় ও সর্বশেষ চতুর্থ বছরে নগদায়নে বার্ষিক হার হবে যথাক্রমে ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ।
জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের নতুন রিটার্ন রেট কারা পাবেন?মুনাফার এই নতুন হার ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সেই সকল গ্রাহকদের জন্য, যারা স্কিমটি কিনবেন ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে অথবা তার পরে। এর আগের বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন সমূহ পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুসারে বন্টন করা হবে।
এই আদেশ বাস্তবায়নের ছয় মাস পর রিটার্নের হার আবার নতুন করে নির্ধারিত হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রগুলোর জন্য তাদের স্ব স্ব মেয়াদ ও মুনাফার হার বিদ্যমান থাকবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন তাদের স্কিম ইস্যুকালীন প্রদত্ত বার্ষিক হার অনুসারে এবং নির্ধারিত মেয়াদের পুরোটা জুড়ে।
আরো পড়ুন: জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
শেষাংশ
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার ১১.৮৩ শতাংশ। ৭,৫০,০০০ টাকার অধিক বিনিয়োগে লাভ আসবে ১১.৮০ শতাংশ হারে। এই মুনাফা মডেল শুধুমাত্র ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বা তার পরবর্তীতে ক্রয়কৃত ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের জন্য প্রযোজ্য।
১৫৪ দিন আগে
জুলাই ২০২৫ থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফার হার: বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের পুনঃনির্ধারিত রিটার্ন রেট
বছরের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে সরকারি প্রজ্ঞাপনে জারি হলো দেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন এক সংস্করণ। এ অনুসারে নতুন মুনাফার হারের ভিত্তিতে প্রচলিত সবগুলো সঞ্চয়পত্রে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবতর্ন। এর আওতায় জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রও অন্তর্ভূক্ত। বার্ষিক হারের সাথে সাথে আমূল বদলেছে সর্বমোট অর্থপ্রাপ্তির। এটি মেয়াদান্ত ও মেয়াদপূর্তির পূর্ব নগদায়ন উভয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। চলুন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের পুনঃনির্ধারিত মুনাফা ব্যবস্থার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত রিটার্ন রেট
পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে শুরু করে এক বা একাধিক স্কিমের যাবতীয় বিনিয়োগে রিটার্ন রেট প্রযোজ্য হবে দুটি বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী:
১) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকা বা তার কম
২) ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০) টাকার অধিক
৫ বছর মেয়াদী এই স্কিমে মেয়াদপূর্তি এবং নগদায়নে ধার্যকৃত মুনাফার নতুন হার নিম্নরূপঃ
টেবিল: জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন বিনিয়োগ বাবদ প্রাপ্য মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ
৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
৯.৮১
৯.৭২
২য় বছরান্তে
১০.২৯
১০.১৯
৩য় বছরান্তে
১০.৮০
১০.৭০
৪র্থ বছরান্তে
১১.৩৫
১১.২৩
৫ম বছরান্তে/ মেয়াদপূর্তিতে
১১.৯৩
১১.৮০
.
পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুলধনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০০ বা তার নিচে) টাকা হলে মাসিক মুনাফা হবে ১১.৯৩ শতাংশ (১১.৯৩%)। তবে পরিমাণ সাড়ে ৭ লক্ষাধিক হলে (৭,৫০,০০১ বা তার বেশি), লাভের হার ১১.৮০ শতাংশে কমে আসবে।
মেয়াদপূর্তির আগেই নগদায়ন করা হলে উপরোক্ত টেবিলে উল্লিখিত বার্ষিক হারে মুনাফা প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র নগদায়নে, প্রথম বছরে মাসিক মুনাফা হবে ৯.৮১ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে এই পরিমাণ দাড়াবে যথাক্রমে ১০.২৯ শতাংশ, ১০.৮০ শতাংশ এবং ১১.৩৫ শতাংশে।
অন্যদিকে, ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের মূল্য সাড়ে ৭ লক্ষাধিক হলে অগ্রিম নগদায়নে প্রথম বছরের লাভ পাওয়া যাবে ৯.৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে রিটার্ন আসবে ১০.১৯ শতাংশ। তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে ধার্য হবে যথাক্রমে ১০.৭০ শতাংশ ও ১১.২৩ শতাংশ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গুগল পে-এর যাত্রা শুরু: গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট কেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন
জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর পরিবার সঞ্চয়পত্রের রিটার্ন রেট কাদের জন্য
নতুন এই হারে মুনাফা কেবল তারাই পাবেন, যারা ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখ বা তার পর থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনবেন। এই তারিখের আগের বিনিয়োগগুলো পূর্ববর্তী শর্তাবলি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
সরকারি এই আদেশ কার্যকর হওয়ার ছয় মাস পরে মুনাফার হার পুনঃনির্ধারিত হবে। তবে এর মাঝে বিনিয়োগকারীরা উপরোক্ত টেবিল অনুযায়ী পুরো মেয়াদের জন্যই নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন। সুতরাং, প্রাথমিকভাবে জারি করা হার বিনিয়োগের পুরো সময়কাল জুড়ে অপরিবর্তিত থাকবে।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়কালের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদান্তের সর্বাধিক মুনাফা ১১.৯৩ শতাংশ। এই হারটি ধার্য হবে অনুর্ধ্ব ৭,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য। ৭,৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফার হার হবে ১১.৮০ শতাংশ। যারা ১ জুলাই, ২০২৫ তারিখ বা তার পর থেকে পরিবার সঞ্চয় স্কিমের গ্রাহক হবেন, কেবল তাদের জন্য এই রিটার্ন কাঠামোটি প্রযোজ্য।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
১৫৬ দিন আগে
পেনশনার সঞ্চয়পত্র ২০২৫: নতুন নির্ধারিত বার্ষিক হারে মাসিক মুনাফা
২০২৫-এর শুরুতেই জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় পেনশনার সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য সঞ্চয়পত্রগুলোতে আনা হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এখানে মেয়াদান্তে এমনকি নগদায়নের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পেয়েছে মুনাফার হার। এই রিটার্নটি যে মুলধনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেই বিনিয়োগের সীমাতে লক্ষ্য করা গেছে যথেষ্ট পরিব্যাপ্তি। ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর উৎসে করের বিষয়ের তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করে। এর ফলে মেয়াদপূর্তি বা নগদায়নে ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগকারিদের প্রাপ্য অর্থের হিসেবের একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, ২০২৫ সালে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পরিবর্তিত মুনাফা হারের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পুনর্নির্ধারিত মুনাফার হার
নিম্নের টেবিলে ৫-বছর মেয়াদী এই স্কিমে বিভিন্ন বিনিয়োগ সীমায় নগদায়নকালে এবং মেয়াদপূর্তীতে ধার্যকৃত মুনাফা উল্লেখ করা হলো:
টেবিল: পেনশনার সঞ্চয় প্রকল্পে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে পুননির্ধারিত মুনাফার হার
সময়
বিনিয়োগ সীমা সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা
বিনিয়োগ সীমা ৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব
সর্বোচ্চ ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
৫,০০,০০১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
উৎসে কর (%)
মুনাফার হার (%)
১ম বছরান্তে
কোনও উৎসে কর নেই
১০.২৩
১০
১০.২৩
১০
১০.১১
২য় বছরান্তে
১০.৭৫
১০.৭৫
১০.৬২
৩য় বছরান্তে
১১.৩১
১১.৩১
১১.১৭
৪র্থ বছরান্তে
১১.৯১
১১.৯১
১১.৭৫
৫ম বছরান্তে
১২.৫৫
১২.৫৫
১২.৩৭
আরো পড়ুন: ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ২০২৫: নতুন রেটে কত মুনাফা পাবেন
সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ লাখ (৭,৫০,০০০) টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে মুনাফা পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ (১২.৫৫%) হারে। ৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১) টাকার বেশি মূলধন জমা করলে তার বিপরীতে এই লাভের হার কমে হবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পেনশনার সঞ্চয় ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ (৫,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কোনও উৎসে কর কাটা হবে না। তবে ৫ লাখ টাকার বেশি (৫,০০,০০১ বা তার চেয়ে বেশি) হলে ১০ শতাংশ উৎসে কর ধার্য হবে।
মেয়াদপূর্তির আগে মূলধন উত্তোলনের ক্ষেত্রে ফেরতকৃত সুদ-আসলের মধ্যে সুদের অংশ উপরোক্ত টেবিল অনুসারে প্রতি বছর শেষে উল্লেখিত হারে হিসেব করা হবে। এই স্কিমের মুনাফা যেহেতু প্রতি মাসে দেওয়া হয়, সেহেতু ৫ বছরের জন্য কেনা সঞ্চয়পত্রে ক্রেতার নামে সর্বোচ্চ হারে মুনাফা জমা হবে। তাই সিদ্ধান্ত বদলে আগেই নগদায়ন করলে প্রদানকৃত অতিরিক্ত অর্থ মূলধন থেকে কেটে রাখা হবে।
৫ লাখ (৫,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত মূলধন জমাকারিদের প্রথম বছর শেষে নগদায়নে প্রদেয় মুনাফা হবে বার্ষিক ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে। এখানে কোনও উৎসে কর আরোপ হবে না। একই ভাবে ২য় বছরান্তে লাভের হার দাড়াবে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৩য় বছর শেষে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, এবং ৪র্থ বছর পর ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আরো পড়ুন: ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: মেয়াদপূর্তি ও নগদায়নে নতুন মুনাফার হার
৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার (৫,০০,০০১ - ৭,৫০,০০০) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে নগদায়নের প্রতি বছরান্তে মুনাফার উপর উৎসে কর আরোপ হবে ১০ শতাংশ। প্রথম বছর শেষেই বিনিয়োগকৃত টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রদেয় মুনাফা ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে ধার্য হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বছর শেষে নগদায়নে মুনাফা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, এবং ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ হারে।
৭ লাখ ৫০ হাজার (৭,৫০,০০১) টাকার বেশি মূলধন জমাকারিদেরও একই ভাবে ১০ শতাংশ উৎসে কর দিয়ে যেতে হবে। প্রথম বছরান্তের নগদায়ন হিসেবে বার্ষিক ১০ দশমিক ১১ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বছর অতিক্রান্তের পর নগদায়নে এই হার হবে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছর পর ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, এবং চতুর্থ বছর শেষে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার কারা পাবেন
১লা জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখ ও তার পর থেকে যারা পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনবেন শুধুমাত্র তারাই এই পুনর্নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন।
আরো পড়ুন: পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা হার: প্রতি লাখে ধার্য করা মাসিক মুনাফা
কারা পেনশনার সঞ্চয় স্কিম কিনতে পারবেন
· অবসরপ্রাপ্ত স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি, ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী
· সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতি
· সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য
· মৃত চাকরিজীবীর স্বামী, স্ত্রী, বা সন্তান যারা ইতিপূর্বে পেনশনের সুবিধা পেয়ে এসেছেন
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের অন্যান্য সুবিধা
· মাসিক মুনাফা প্রদানের নিয়ম
· উত্তরাধিকার নিয়োগের সুবিধা
· বিনিয়োগকারির মৃত্যুর পর নিয়োগকৃত উত্তরাধিকার মেয়াদ উত্তীর্ণের পর সুদাসল তুলতে পারবেন। এছাড়া উত্তরাধিকার চাইলে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেও নগদায়নপূর্বক প্রাপ্য মুনাফা-আসল তুলে ফেলতে পারবেন।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে নতুন মুনাফা হার, জানুন ২০২৫ সালে কোন স্কিমে আপনি কত পাবেন!
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা
ভবিষ্য তহবিলের চূড়ান্ত অর্থ ও প্রাপ্ত আনুতোষিক বা গ্রাচুইটি সব মিলিয়ে একক নামে অনুর্ধ্ব ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যাবে।
পরিশিষ্ট
২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্রেতারা এই পুনর্নির্ধারিত মুনাফা হারের সুবিধা পাবেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফা দেওয়া হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে। আর সাড়ে ৭ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগকারিদের প্রদেয় মুনাফার হিসেব হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। এর মধ্যে ৫ লাখের জন্য কোনও কর দিতে হবে না, তবে এর বেশি মূলধনের জন্য আরোপকৃত উৎসে করের পরিমাণ ১০ শতাংশ।
উপরন্তু, অন্যান্য সঞ্চয় স্কিমগুলোর মতো এই প্রকল্পেও নগদায়নকালে প্রাপ্ত রিটার্ন বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি হবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
২৭৭ দিন আগে
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: মেয়াদপূর্তি ও নগদায়নে নতুন মুনাফার হার
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের পুনর্নির্ধারিত মুনাফার হার
নিম্নের টেবিলে ৩ বছর মেয়াদি স্কিমটির মেয়াদান্তে এবং নগদায়নে উৎসে করসহ বছরান্তে ধার্যকৃত মুনাফার হার বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
টেবিল: ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় স্কিমে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য মুনাফা
সময়
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
বিনিয়োগ ৭ লাখ ৫০ হাজার ১ টাকা
২৯৮ দিন আগে
পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা হার: প্রতি লাখে ধার্য করা মাসিক মুনাফা
বছরের শুরুতেই জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের নতুন সংস্করণে দেশের প্রচলিত সঞ্চয়পত্রের প্রতিটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাড়ানো হয়েছে বিনিয়োগের সীমা এবং মুনাফার হার। গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে উৎসে করের তথ্যটি হালনাগাদ করা হয়। এর মাধ্যমে মেয়াদপূর্তি এবং নগদায়নে গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, সর্বাধিক জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফা ব্যবস্থার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
৩০৫ দিন আগে