ভয়ংকর
‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
আয়নাঘর নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালাগুলোর মধ্যে তিনটি পরিদর্শনের পর এগুলোকে ‘ভয়াবহ ও অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘বর্ণনা করতে চাইলে বলা যায়, সে এক ভয়াবহ দৃশ্য! সেখানে যা ঘটেছে সবই ছিল ভয়াবহ। আমি যা শুনেছি তা অবিশ্বাস্য! ভাবছি এটাই কি আমাদের পৃথিবী? আমাদের সমাজ?’
ঢাকায় আগে ‘নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) ও গোপন কারাগার’ হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী ও কয়েকজন উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘আয়না ঘর’ পরিদর্শন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা কিভাবে আল-জাহিলিয়াহ (অজ্ঞতার যুগ) প্রতিষ্ঠা করেছিল— এটি তার নমুনা এটি।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কথা শুনেছি। এর কোনো ব্যাখ্যা হয় না। তাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা হয় এবং জঙ্গি, সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করা হয়। এখন জানতে পেরেছি সারা দেশে আরও অনেক টর্চার সেল রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে আট থেকে নয় বছরে নিরাপত্তা বাহিনী আয়না ঘর ও গোপন বন্দিশালায় হাজার হাজার ব্যক্তিকে গুম করে আটকে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
শফিকুল আলম বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকার আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় অবস্থিত আয়না ঘর ও টর্চার সেল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, ভুক্তভোগী, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সদস্যরা।
প্রধান উপদেষ্টাকে আগারগাঁওয়ের একটি টর্চার সেলে ব্যবহৃত 'ইলেকট্রিক চেয়ার' দেখানো হয়।
টর্চার সেল ও গোপন কারাগার পরিদর্শনের সময় গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
২৯৬ দিন আগে