চীনে
চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের জনবিরল অংশে মঙ্গলবার ভোরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। হিমশীতল আবহাওয়ার আবহাওয়ার মধ্যে এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন এবং ১২০টিরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধসে পড়েছে।
চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টার কিছু পরে আকসু প্রিফেকচারের উচতুরপান কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রায় ২০০ উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ওয়েইবোতে উল্লেখ করেছে, আহত ৬ জনের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর ও ৪ জনের সামান্য। এছাড়া ৪৭টি বাড়ি ধসে পড়েছে, ৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু কৃষি কাঠামো ধসে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭ মাত্রার এবং ভূমিকম্প সক্রিয় তিয়ান শান পর্বতমালায় আঘাত হানে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গত শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ১ মাত্রার এবং ১৯৭৮ সালে মঙ্গলবার ভোরের দিকে আঘাত হানা স্থান থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) উত্তরে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
১০ মাস আগে
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কিত গবেষণা
সারসংক্ষেপ
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ চীনের শিক্ষার ক্ষেত্রে ‘নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ’র প্রতিভা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই নিবন্ধে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভার (চীনের বাংলা ভাষার শিক্ষার্থী) বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরে চীনে বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন দেশে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার, বেশি মানসিক রোগ?
মূল শব্দ: ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’, বাংলাভাষী প্রতিভা
ভূমিকা
প্রাচীনকাল থেকেই চীন ও বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ছিল। নিউ তাং রাজবংশের দ্বিতীয় খণ্ডের ২২১(পর্ব) প্রাচীন ভারতীয় মগধ রেকর্ড করেছে। মিং ইতিহাসের ৩২৬ খণ্ডেও ‘বাংলা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয়পক্ষ রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতা করেছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা দুই দেশ সফর করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় বাড়ছে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে।
(১) নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণের কৌশলগত তাৎপর্য
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, "আপনি যদি কোনো লোকের সঙ্গে এমন ভাষায় কথা বলেন যা তিনি বোঝেন, এটি তার মনে থাকবে। আপনি যদি তার নিজের ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলেন, তিনি স্মরণ করবেন।” ভাষা ও চিন্তার সম্পর্ক নিয়ে অনুমানকে সামনে রেখেছিলেন আমেরিকান সাপির ও তার শিষ্য ওল্ফ। তারা বিশ্বাস করেন, সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের চিন্তাভাবনা ভাষার উপর নির্ভর করে। (সাপির, ১৯২১), ভাষার কাঠামো একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের আচরণ ও চিন্তাভাবনা নির্ধারণ করে অনুমানটি স্পষ্ট করেন সাপির-ওল্ফ। সুতরাং, অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি ও চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য, আরও ভালো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও মিডিয়া বিষয়ক যোগাযোগ বাড়াতে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ।
বৈশ্বিক কৌশলগত বিন্যাস ও সম্প্রসারণে, অনেক দেশ নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ নির্মাণকে জাতীয় কৌশলের উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। চীনের নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ কৌশল নির্মাণকাজ একবিংশ শতাব্দীতে একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারগ্রাজুয়েট ট্যালেন্ট ট্রেনিং বেস’ ও ‘স্পেশালিটি কনস্ট্রাকশন সাইটস’ সহায়তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। চীন তার নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর সরকারি ভাষা (৮৮টি নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজ) পড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা দেবে।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণের মূল চাবিকাঠি হলো আন্তঃসংযোগ। আর ভাষার আন্তঃযোগিতা হলো আন্তঃসংযোগ অর্জনের ভিত্তি। ভাষা পরিকল্পনার কৌশলগুলো প্রচারের ফলে নন-কমন ল্যাঙ্গুয়েজের প্রতিভা প্রশিক্ষণের পরিমাণ, গুণমান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উচ্চতর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
(২) চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশলগত তাৎপর্য
বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির মাতৃভাষা, জাতিগত সংস্কৃতি, ধারণার বাহক ও জাতীয় আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সাহিত্য সৃষ্টির জন্য বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন। ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য ‘ভাষা আন্দোলন’ হয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের জাতিগত ভাবনা জাগিয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশিদের কাছে বাংলা ভাষা হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক প্রতীক, জাতীয় গর্ব ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ‘বাংলাদেশি সংস্কৃতি একটি সম্মিলিত সংস্থান; যা শ্রেণি, অঞ্চল ও ধর্মীয় সীমানা জুড়ে বাংলাদেশিদের ঘনিষ্ঠ ইউনিটে আলোকিত করতে পারে।’ (উইলিয়াম ভন শ্যান্ডেল, ২০১১)
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’র অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ হিসাবে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং মূলত কয়েকটি বড় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে একমত হয়। আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীন ও বাংলাদেশের নেতারা নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরালোভাবে বিকাশ লাভ করেছে। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ এবং তৃতীয় বৃহত্তম ইঞ্জিনিয়ারিং চুক্তি বাজার। বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে এবং আন্তঃসংযোগ বাড়ানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বিকাশে নবদিগন্তের হাতছানি
২. ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের বর্তমান পরিস্থিতি
(১) পেশাদার প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির পরিমাণ কম
চীনের মূল ভূখণ্ডে বর্তমানে শুধু পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক পর্যায়ের কোর্স চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনান ন্যাশনালিটিস বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ও ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়াও, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইনর কোর্স হিসেবে বাংলা ভাষা চালু রয়েছে।
নিবন্ধনের বছর অনুযায়ী, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখানে বাংলা বিভাগ ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি ব্যাচ এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মেজর ২০১৬ সালের পরে নামভুক্ত হয়। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটি ২০১৬ সালে, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ ২০১৭ সালে, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ২০১৮ সালে এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালে।
তালিকাভুক্তির পরিমাণের ক্ষেত্রে, চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০ জন, গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে প্রায় ১২ জন, ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ১৫ জন, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ জন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। সামগ্রিক অর্থে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিসর ছোট এবং প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনাও নেই। ২-৪ বছরের মধ্যে শুধু একবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
তবে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ প্রতি বছর বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি করে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এত ঘন ঘন শিক্ষার্থী ভর্তির স্কুল আর নেই। বর্তমানে গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের প্রথম বাংলা ভাষা স্নাতক কোর্সের দুটি ব্যাচ রয়েছে।
(২) শিক্ষকদের দক্ষতা অপর্যাপ্ত
শিক্ষকদের দৃষ্টিকোণ থেকে, চীনের বাংলা ভাষা বিষয়ে চীনা শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বল্প, পেশাগত ডিগ্রি কম এবং শিক্ষণ অভিজ্ঞতাও অপর্যাপ্ত। যে কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রবীণ শিক্ষক ছিলেন তারা অবসর নিয়েছেন, কেবলমাত্র একজন শিক্ষক আছেন যিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা ভাষা পড়াচ্ছেন। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব শিক্ষক আছেন তাদের বেশিরভাগই সবেমাত্র স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দুজন চীনা শিক্ষক আছেন। ইউনান ন্যাশনালিটিস ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। বেইজিং ফরেন স্টাডিজের বাংলা বিভাগে শুধু একজন চীনা শিক্ষক আছেন এবং ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে তিনজন চীনা শিক্ষক আছেন। গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের বাংলা ভাষা বিভাগে মোট ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন চীনা শিক্ষক ও ২ জন বাংলাদেশি শিক্ষক। মোট শিক্ষকের সংখ্যায় এখানে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে সর্বাধিক। তবে শিক্ষকদের একাডেমিক স্তর ও পাঠদানের অভিজ্ঞতাও উন্নত করা দরকার।
(৩) উচ্চ পর্যায়ের বাংলাভাষী প্রতিভার ঘাটতি
চীনে বাংলাভাষী প্রতিভার কাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে। প্রশিক্ষণ এখনও স্নাতক ডিগ্রি পর্যায়ে রয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা বিষয়ে এখনও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোনো কোর্স চালু হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়েন বা সরাসরি চাকরি করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চাকরির সঙ্গে বাংলা ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে, বাজারে এমন উচ্চ-পেশাদার প্রতিভার প্রয়োজন আছে; যারা দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিস্থিতি জানে এবং অর্থায়নে পেশাদার জ্ঞান অর্জন করে, যেমন- আইন, অর্থনীতি, বাণিজ্য ইত্যাদি। যে দেশে বিনিয়োগ করছেন, সে দেশের জাতীয় পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি না বোঝার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ব্যর্থতা ও বিনিয়োগের ক্ষতির অনেক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বেদনায় ভরা দিন: শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকে র্যানসমওয়্যার হামলা, ট্রেজারি মার্কেটের লেনদেন ব্যাহত
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকের একটি আর্থিক পরিষেবা ব্যবসা বলছে, র্যানসমওয়্যার হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মার্কেটে বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি) ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ট্রেড এবং অন্যান্য পরিষেবাগুরো পরিচালনা করে। শুক্রবার(১০ নভেম্বর) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে র্যানসমওয়্যার হামলায় তাদের কিছু সিস্টেম বিঘ্নিত হলেও হামলার প্রভাব সীমিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেমের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা চাপ অব্যাহত থাকলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে পারে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবার সম্পাদিত সমস্ত ট্রেজারি ট্রেড এবং বৃহস্পতিবার রেপো ফাইন্যান্সিং ট্রেডগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। আইসিবিসির ব্যাংকিং, ইমেইল ও অন্যান্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ ভাষাভাষী র্যানসমওয়্যার সিন্ডিকেট লকবিট এই হামলা চালিয়েছে, যা সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে টার্গেট করে না। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম এমসিসফটের মতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর র্যানসমওয়্যার ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় হয়ে এটি হাজার হাজার সংগঠনকে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
১ বছর আগে
উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও উন্নত ব্যবস্থাপনায় তাদের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক নদীগুলোর ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বুধবার রাষ্ট্রদূত ইয়াও (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মতবিনিময়কালে বিদ্যমান বর্ষা এবং দেশের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির উপর এর প্রভাব, বিশেষ করে আকস্মিক বন্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন সহজতর করার প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন।
তারা বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পর্যালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈশ্বিক দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত স্বার্থে 'দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা' আরও জোরদারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উদ্ভাবনী পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেন, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ জনগণের কল্যাণে চীনের অনেক ব্যবহারিক, সহজ ও কার্যকর উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।
চীনা রাষ্ট্রদূত চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে বাংলাদেশে চীনের বৃহত্তর বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
মোমেন দু'দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত চীনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে রাষ্ট্রদূত তাকে ধন্যবাদ জানান এবং তা আমলে নেন।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে।
তিনি বলেন, আমার চ্যালেঞ্জ হল-তিনটি দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন। এগুলো শক্তিশালী দেশ। আমাকে এই তিনটি দেশের সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যাতে প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।
আরও পড়ুন: র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কোনো দেশকে উপেক্ষা করতে পারে না এবং ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া তাদের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া তিনি মনে করেন ভবিষ্যত বিশ্ব হবে এশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিশ্ব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘প্রধান শক্তি’ এবং বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
তাছাড়া আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছি।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি ‘সোনালী অধ্যায়’ অতিক্রম করছে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোমেন জি-২০-এর সকল বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে, যা ১ ও ২ মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
মোমেন বলেন, সব বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সমানভাবে সুসম্পর্ক রাখা এত সহজ নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন ‘মহান ও বাস্তববাদী নেতা’ থাকায় বাংলাদেশ এটিকে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে সৌভাগ্যবান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তিনটি প্রধান সম্পদ রয়েছে: মানবসম্পদ, উর্বর জমি ও পানি।
তিনি বলেন, এই তিনটি সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা সোনার বাংলার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মোমেন বলেন, তার উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মোমেন বলেন, তার উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
চীনে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমেছে
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর না পাওয়ায় এবং আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায়ই শূন্যের কাছাকাছি চলে আসায় চীন বৃহস্পতিবার গোটা দেশকেই কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।
৪ বছর আগে
চীনে করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত ৬৪৮, আরও ৯৭ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে শনিবার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আরও ৬৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
৪ বছর আগে