পণ্যবাহী ট্রেন
মোংলা বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
প্রথমবারের মতো মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চালু হওয়া পণ্যবাহী এ ট্রেনে পরিবহন করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে আমাদনি করা চিটাগুড়।
এদিন বন্দর এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৩০টি ওয়াগনে এক হাজার ৫০ মেট্রিক টন চিটাগুড় লোড করে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে। সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে পৌঁছাবে পণ্যবাহী এ ট্রেনটি।
পাকিস্তান থেকে আসা চিটাগুড় সড়ক পথে ও ট্রেনের ওয়াগনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পৌঁছাবে সেখানে। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া মোংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীদের ব্যয় সাশ্রয় হবে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরাও আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পরিবহনে এ বন্দর ব্যবহারে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন। আর এতে আরও বেশি চাঙ্গা হবে সমুদ্র এ বন্দরটি। বন্দর প্রতিষ্ঠার পর পণ্যবাহী ট্রেন চালু হওয়ায় আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে মোংলা বন্দরের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (উপ-সচিব বোর্ড ও জনসংযোগ) মাকরুজ্জমান জানান, পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯ গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৫শ টন চিটাগুড় নিয়ে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। পরে লিকুইড এ পণ্য মোংলা বন্দর খালাস করে ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দর থেকে চিটাগুড় পরিবহনে প্রথমবারের মতো আসে পণ্যবাহী ট্রেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্যবোঝাই করে শুক্রবার সকালে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
৩৮ দিন আগে