জাতীয় শহীদ সেনা দিবস
জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরপরই তিন বাহিনী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, পিলখানায় শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারের দাবি ছিল জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার। সেটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন 'পিলখানার ঘটনায়, হত্যা মামলার রায় হয়ে গেছে। সেই মামলায় যারা খালাস পেয়েছেন তাদের অনেকে বিস্ফোরক মামলার আসামি। হত্যা মামলা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।'
বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত ছিল। সেটি শুরু করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমাদের হাতে নাই। এটা কোর্টের হাতে। কোর্ট চাইলে জামিন দিতেই পারে।’
উল্লেখ্য, পিলখানা ট্র্যাজেডির আজ ১৬ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ নিহত হন।
প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবটি পালন হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা
৫১ দিন আগে
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা
সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উপসচিব তানিয়া আফরোজের সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওই তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরিপত্রে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে ১২তম ‘বিমান বিটিটিএফ-২০২৪’ আয়োজন করবে টোয়াব
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তখনকার বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) শতাধিক বিদ্রোহী পিলখানা দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করলে ৭৪ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৫৬ জন ছিলেন বিভিন্ন পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে বিডিআরপ্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও ছিলেন। তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হয়ে আছে।
৫৩ দিন আগে