উন্নয়ন প্রকল্প
'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট, বরাদ্দে বড় ধরনের সংকোচন
২০২৪-২৫ অর্থবছরে আগের সরকারের অনুমোদন করা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বরাদ্দে বড় ধরনের সংকোচন দেখা দিতে পারে। কারণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনগণের অর্থের অপচয় রোধে এসব 'অপ্রয়োজনীয়' প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের পর চলতি বছরের ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে নেওয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্প ব্যয়ের তুলনায় সন্তোষজনক ফলাফল দেয়নি।
সম্প্রতি একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হবে।’
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উন্নয়ন বরাদ্দ বাস্তবায়নের হার ব্যতিক্রম হিসেবে ৮ শতাংশ কম হয়েছে। আর এটি বৈদেশিক অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির গতি ধীর রয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার রেকর্ড করা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ, যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আইএমইডি’র তথ্যমতে, বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভায় উন্নয়ন বরাদ্দ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আগের অনেক প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ব্যয়ের অনুপাতে ইতিবাচক ফল বয়ে আনার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করিনি যে এগুলো কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল আনবে, তাই আমরা সেগুলো কাটছাঁট করেছি। সাধারণত সংশোধিত উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হয়, তবে এবার কমানোটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’
অনেক প্রকল্প পরিচালক পালিয়ে যাওয়াকে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির আংশিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র।
সূত্র বলছে, তাদের পালিয়ে যাওয়ার ফলে প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখতে সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোনো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প থেকে সরে এসে উদ্ভাবনী ও নতুন ধরনের প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
সূত্র জানায়, পরিকল্পনা উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা তাদের ব্যয়ের তুলনায় একাধিক ইতিবাচক ফল দিতে পারে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত, ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।
নতুন এডিপিতে ১ হাজার ১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সমীক্ষা প্রকল্প, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৮৭টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের ৮০টি প্রকল্পসহ মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১টি।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিসহ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এডিপির মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন ও ব্যবহারে সর্বোচ্চ অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু, স্মার্ট এগ্রিকালচার ও উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত ইসলাম ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
১০ মাস আগে
উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী-খালের ক্ষতি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে নদী ও খালসহ জলাশয়ের অবাধ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নদীগুলোর নিরবচ্ছিন্ন পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
পানিসম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে প্রায়ই দেখা যায় সব জলাশয় ভরাট হয়ে যায়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি এটা খুবই বোকামি। যখনই কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়িত হয়, তখনই পানি সম্পদ সংরক্ষণে সবাইকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বর্ষা মৌসুমে পানি সংরক্ষণের ওপরগুরুত্বারোপ করেন।
জলাশয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মিত মৌলিক ড্রেজিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নদী, খাল, বিল (হ্রদের মতো জলাভূমি) এবং অন্যান্য জলাশয়ের প্রাকৃতিক প্রবাহ যেন ব্যাহত না হয়।
তিনি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে কমপক্ষে একটি জলাধার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
পানিকে দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল জলাশয়কে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হবে এবং সেই প্রবাহের সঙ্গে চলতে থাকা আমাদের সম্পদ সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর দুটি পৃথক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের প্রতিটি উপজেলায় এই চক্ষু কেন্দ্র স্থাপনের অংশ হিসেবে চতুর্থ ধাপে ২৮টি জেলার ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে '৬৫টি কমিউনিটি চক্ষু কেন্দ্র' ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই কর্মসূচি থেকে তিনি ৮০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, ৪৩০টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলা, পাবনার সাথিয়া উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হয়।
গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে 'জয়যাত্রা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
রাঙামাটিতে ৬ কোটি টাকার ৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পাচঁটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে সরকারি এসব উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থরের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
আরও পড়ুন: দেশে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা
সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ছয় কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পাঁচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাবির উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন -পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, রাঙামাটি পৌরসভার কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমির উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
২ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো প্রকল্পে পরিবেশের দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। পানির জলাশয়, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপস্থাপিত চারটি প্রকল্পের নকশা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প চারটি হলো- কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি, কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভলপমেন্ট, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ।
অপরিকল্পিতভাবে যেন শিল্প-কারখানা গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট শিল্প জোনে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যত্রযত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।’
নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও আইটি ডিভাইস-সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
মোংলা বন্দরে ১২ বছরে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলার উন্নয়নে বর্তমান সরকাররের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত ১২ বছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
প্রকল্পের সংখ্যা (জিওবি অর্থায়নে) এবং বরাদ্দে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মোংলা বন্দর। বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ‘যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে মোট ৭৫ টি ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে যা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জহিরুল হক জানান, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্দরে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আউটার বারে ড্রেজিং কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ইনার বারে ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের সপ্তম চালান
আউটারবারে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মোংলা বন্দরের অ্যাংকোরেজে ইতোমধ্যে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সারাদেশে যখন ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৯৭০টি জাহাজ, ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিকটন কার্গো, ৪৩ হাজার ৯৫৯ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডেল এবং ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা বন্দরের ৭০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তিনি আরও বলেন, বন্দর কেন্দ্রিক অন্যান্য অবকাঠামোসহ পদ্মা সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে বন্দরের ব্যবহার বহুগুনে বেড়ে যাবে। এ বিবেচনায় ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মোংলা বন্দরকে আরও সক্ষম করে তোলার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
২ বছর আগে
দেড় হাজার কোটি টাকা অনুমোদন, বদলে যাবে কুসিক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে (কুসিক) গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রায় ১ হাজার ৫শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ায় নগরবাসীর পক্ষ থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হলে কুমিল্লা সিটির চেহারা বদলে যাবে।
জানা যায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ১৫ তলাবিশিষ্ট আধুনিক সেবাসম্বলিত নগরভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট দুটি সেবক কলোনি, আঞ্চলিক অফিসগুলোর উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে নগরীর জলবদ্ধতা দূরীকরণ, যানজট নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ। পুরাতন গোমতী নদী এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন করে ঢাকার হাতিরঝিলের ন্যায় রূপদান করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রিজাইডিং অফিসারকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দিকনিদের্শনা অনুসরণ করে কুসিকের মেয়র, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা প্রায় এক বছর ধরে নগরীর উন্নয়নের জন্য বৃহৎ এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করেছি। এখন প্রকল্পটি পাস হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের স্বপ্নের আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য নগরী গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
৩ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন দেবে ফ্রান্স, ৩ চুক্তি স্বাক্ষর
উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ফ্রান্স। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স এই বিষয়ে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৩৩০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে এজেন্সি ফ্রান্স ডেভলোপমেন্ট (এএফডি)। এছাড়া ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের জন্য দেবে ১৩০ মিলিয়ন ইউরো। এই প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে বাংলাদেশকে এএফডি’র দেয়া মোট সহায়তা এক বিলিয়ন ইউরো ছাড়াল। এর আগে সংস্থাটি ৮০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছিল।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এএফডি’র সবচেয়ে বেশি সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
ইআরডি সচিব বলেন, আগামীতে ফ্রান্সের সাথে হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে ফ্রান্স: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেসামরিক বিমানপরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মচারিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা জোরদারে ফ্রান্সের বেসামরিক বিমানপরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পর্যটন সচিব বলেন, ফ্রান্স বিমান পরিবহন নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করছে।যেটা কিনা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমানপরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: কাদের
স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বৃহস্পতিবার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৩ বছর আগে
অল ওয়েদার রোডে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ
হাওর অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামকে যুক্ত করা ‘অল ওয়েদার রোডে’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
৪ বছর আগে