মেগা প্রকল্প
চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএ, চসিক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চারটি প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত এই চার প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬০-৮০ শতাংশ। এত কিছুর পরেও মানুষের অসচেতনতা এবং পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনার অভাবে জলাবদ্ধতার এই দুর্গতি থেকে স্থায়ী রেহাই মিলছে না।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে নগরীর নিচু এলাকায়। জলাবদ্ধতা মুক্তির প্রকল্পে খাল সংস্কার হওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় পানি দ্রুত নেমে গেছে। তবুও বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে নগরীর চকবাজার, মেহেদীবাগ, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর ও আগ্রাবাদ।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে নগরীর পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সতর্কতা দেওয়া হলেও কাউকে সরতে দেখা যাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নগরীর মেহেদীবাগ, চকবাজার, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ আবাস থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ থাকলেও সেখান থেকে কাউকে নিরাপদ এলাকায় যেতে দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ৩৬টি খাল খননের মধ্যে ২১ খালের কাজ হয়েছে। এছাড়া ১২টি খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউসের জায়গায় চারটি খালের মুখে কাজ শেষ হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শানস বলেন, প্রকল্প কাজ অব্যাহত থাকায় আগের চেয়ে নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। তবে অপচনশীল বর্জ্যের কারণে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, নগরীতে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোর মালিকানায় যেসব ব্যক্তি ও সেবা সংস্থা আছে, তাদেরকে জবাবদিহিতার জায়গায় আনা দরকার। না হলে পাহাড় ধসে মৃত্যুর শঙ্কা থাকবেই।
তবে নগরীর বাসিন্দারা জানান, মূলত নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের জন্য দায়ী মানুষের অসচেতনতা এবং পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনার অভাব। আগের তুলনায় জলাবদ্ধতা কমলেও দুর্ভোগ থেকে স্থায়ী রেহাই মিলছে না। এখনও ভরা বর্ষায় প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার আতঙ্কে থাকে নগরবাসী। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই জনদুর্ভোগ। অথচ নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তিন মেয়র প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এই টাকা ব্যয় হয়েছে নালা-নর্দমা ও খাল থেকে মাটি উত্তোলন, প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ, খালের তলা পাকাকরণ, খননযন্ত্র ও মাটি সরানোর কাজে ট্রাক কেনায়। জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রতি বছর গড়ে খরচ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীদের মতে, পরিকল্পিতভাবে ওই টাকা খরচ হয়নি। রুটিন কাজ করেই দায় সেরেছে সিটি কর্পোরেশন। জল দূর করার টাকা যেন জলেই গেছে। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। আবার সমস্যা যতটা ব্যাপক, সে অনুযায়ী ব্যয় হওয়া অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বিগত বছর এপ্রিল মাসে প্রবল বৃষ্টিতে দুবার ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এরপর গত জুন বৃষ্টিতে আবার ডুবে যায় নগরীর বড় একটি অংশ। সেদিন থেকে টানা চার দিন ডুবে ছিল নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আগ্রাবাদ এক্সেস রোড।
পরবর্তীতে বৃষ্টিতে নগরীর প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। ডুবে যায় আগ্রাবাদের একটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। তখন আবারও প্রায় তিন দিন ডুবে ছিল আগ্রাবাদ এক্সেস রোড। এ সময় সড়কে নৌকাও চলতে দেখা যায়। সর্বশেষ গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে আবারও তলিয়ে যায় নগরী। তবে পানি দ্রুত সরে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী হয়নি। এতে কিছুটা স্বস্তিতে নগরের বাসিন্দারা।
সূত্র মতে, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ২২টিতেই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কম-বেশি জলাবদ্ধতা হয়। নগরীর ৬০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৩ জন এসব ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হয় চান্দগাঁও, পূর্ব ষোলশহর, শুলকবহর, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, উত্তর আগ্রাবাদ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, বকসিরহাট, গোসাইলডাঙা, উত্তর মধ্যম হালিশহর এলাকার মানুষদের। এই ১৩ ওয়ার্ডে মোট বাসিন্দা ১৮ লাখ ২৮৫ জন।
পড়ুন: ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
এ ছাড়া পাঁচলাইশ, মোহরা, পশ্চিম ষোলশহর, উত্তর কাট্টলী, রামপুর, উত্তর হালিশহর, পাথরঘাটা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দাদেরও জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে। এ ৯টি ওয়ার্ডে বাস করেন ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৩২৮ জন।
সিটি কর্পোরেশনের বাজেট বই ও বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে ২০০৩-০৪ থেকে ২০০৮-০৯ অর্থবছর পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যয় হয় ৬৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করে ২০১০ সালের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মনজুর আলম। তার মেয়াদে ব্যয় হয় ২০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব নিয়ে দুই বছরে খরচ করেছেন ৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, জলাবদ্ধতা এটি সমাধানযোগ্য সমস্যা। কয়েকটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিলে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হতো। তবে এই সমস্যা নিরসনের জন্য বসে না থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয় না থাকার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনে সমাধান হয়নি বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
চট্টগ্রাম নগরীতে শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে ১১৮টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ১৮২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পাকা ও কাঁচা নালা-নর্দমা আছে যথাক্রমে ৭১০ কিলোমিটার ও ৫৫ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বরাদ্দ পায়। কর্পোরেশনের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের হার ১৭ থেকে ৩৫ শতাংশে ওঠানামা করে। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়। খাল ও নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা দূর করতে সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার বিকল্প নেই। আর বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সময় সিটি কর্পোরেশন নালা-নর্দমা ও প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে ৮২ কোটি ৮২ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং নালা-নর্দমা ও খাল থেকে মাটি অপসারণে ২১ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়। যখন নাগরিক দুর্ভোগ চরমে ওঠে, তখন লোক দেখানোর জন্য সব মেয়রই খাল খননের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি কেনেন। এত টাকা পরিকল্পিত উপায়ে খরচ করা হলে নগরবাসী সুফল পেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে মেলখুম ট্রেইল থেকে পড়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু, আহত ৩
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
তাদের মতে, কেবল জোড়াতালির কাজ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বৃষ্টি ও জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা কিংবা বন্যা—এসব দুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ১৯৯৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘চিটাগাং স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনেজ অ্যান্ড ফ্লাড কন্ট্রোল মাস্টারপ্ল্যান’। এটি ‘ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা’ নামে পরিচিত। নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে কী করণীয়, এই মহাপরিকল্পনায় এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের।
জলাবদ্ধতার কারণ
পাহাড় কাটার কারণে এর মাটি ও বালু বৃষ্টির পানির সঙ্গে এসে নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার যেসব নালা-নর্দমা আছে, সেগুলো মানুষ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে এবং সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ কারণটি হচ্ছে, খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি যেখানে পড়বে (কর্ণফুলী নদীতে), সেখানে মুখগুলো উঁচু হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের সময় নদীর পানি সহজে প্রবেশ করছে, পরে আর বের হতে পারছে না।
দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে, পরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। মানুষ যত্রতত্র বাড়ি তৈরি করছে। আগে যেখানে পানি জমত, সেগুলো ভরাট করছে। পাহাড় কেটে ফেলছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এই নগর।
নিচু এলাকা এবং জলাধার ও জলাশয় ভরাট করে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ড্রেনেজ এলাকা কমে যাচ্ছে। আবার নালা-নর্দমা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি বালু নালা ও খালে পড়ে তা ভরাট হয়ে গেছে। খালের ভিতর দিয়ে সেবা সংস্থার পাইপলাইন গিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতাও জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হওয়ার একটি কারণ। চট্টগ্রাম নগর সাগর ও নদীর পাশে গড়ে উঠেছে। ফলে জোয়ারের পানি অবাধে শহরে প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়। যখন একই সময়ে বৃষ্টিপাত ও উচ্চ জোয়ার থাকে, তখন অবস্থা ভয়াবহ হয়।
সম্ভাব্য সমাধান
শহরের জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য পুনরায় যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
নিয়মিত ড্রেজিং করে কর্ণফুলীর গভীরতা বাড়াতে হবে। নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। নগরীর সব খাল নিয়মিত খনন এবং রাস্তার পাশে নালার গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। জলাশয়, ডোবা ও পুকুর ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা নালা-নর্দমার মাধ্যমে খাল ও নদীতে চলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। ময়লা ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার করতে হবে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, খাল ও নালা-নর্দমার অপদখল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নতুন তিনটি খাল খনন এবং খালগুলোর অপ্রয়োজনীয় বাঁক সংশোধন করে সোজা করা প্রয়োজন।
পাহাড়ের বালু রোধে সিলট্র্যাপ (পাহাড়ি বালু আটকানোর ফাঁদ) করা প্রয়োজন। জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য জোয়ার প্রতিরোধক ফটক নির্মাণ প্রয়োজন। সাগর ও নদীর কাছাকাছি নিচু এলাকায় জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। নালা ও খালের ভিতর থাকা সেবা সংস্থার পাইপলাইন সরিয়ে নিতে হবে। নালা-নর্দমা ও খালগুলোর কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। নালা-নর্দমা ও খালে যাতে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয়গুলোকে সক্রিয় ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রণয়নের পর অনেক সময় চলে গেছে। এখন এই মহাপরিকল্পনাকে সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাদের যে বাজেট, তাতে তাদের পক্ষে কঠিন। এ জন্য সরকারি সব সংস্থা, যেমন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে।
আশার আলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
নগরীর দীর্ঘদিনের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চার উপদেষ্টাকে বিশেষ দায়িত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সফর করেন।
আরও পড়ুন: কুকি-চিনের উত্থান বনাম বান্দরবানের পর্যটন: ক্ষতির পাহাড়
চার উপদেষ্টা হলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
দায়িত্ব পেয়ে চার উপদেষ্টা চট্টগ্রাম এসে নালা, খাল পরিদর্শন করে আটটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে খাল-নালা সংস্কার ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে। এর ফলে কমেছে জলাবদ্ধতা। সবশেষ গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। তবে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এবার তেমন জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি। খাল ও নালা পরিষ্কার করায় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পুরো নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে, তখন পুরোপুরি সুফল মিলবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
১৪৬ দিন আগে
একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষকরা এখনও জানেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা একথা বলেন।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একনেক সভায় প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কেরাণীগঞ্জে সম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে এত বড় ক্যাম্পাস আগে কখনও তৈরি করা হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাবি ক্যাম্পাস স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে, শপথ নিচ্ছেন আরও ৫ জন
এত বড় মেগা প্রকল্প আমরা নেব কি না দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একনেকের গত মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে, তবে এই বিষয়ে ছাত্ররা-শিক্ষকরা জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত কার্যবিবরণী জারি হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাস থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, স্কুল থাকবে, চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে- এরকম একটা প্ল্যান করার অনুমতি একনেক থেকে পাস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটাকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটা মেগা প্রকল্প হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এটার শুরুটা হবে এখন।
উপদেষ্টা বলেন, আর তাদের যে চলমান প্রকল্প আছে সেখানে কিছু জমি অধিগ্রহণ করা এবং জমিগুলো ঠিকঠাক করে কিছু প্রাথমিক কাজ করার। সেটা হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফেইজ। প্রথম ফেইজটাও ওরা জানার আগে আমি নিজ উদ্যোগে, পরিকল্পনা কমিশনে পড়েছিল অনেকদিন ধরে। আমি সেটা পাস আগেই করিয়ে দিয়েছিলাম।
চলমান প্রকল্প নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রকল্প নিয়ে আমি তাদের অভিযোগ বুঝতে পারি। এত বছরে প্রকল্পটা কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি, তারা বলছে- প্রকল্প পরিচালকের অনেক দুর্নীতি হয়েছে। আমি বলেছি তদন্ত করে দেখুক অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হোক।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বুয়েটের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রকল্প পরিচালনা করছে। এটা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তারা চাচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি সেটা চায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনতো স্বায়ত্তশাসিত অনেকাংশে, তারা যদি সেটা চায় তাহলে ইউজিসির মাধ্যমে, মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহায়তা করব কি করে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যায়। মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টা তারা নিজেরাও বলেছে ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। তাদের আন্দোলনের আগেই অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রথম ফেইজ পাস করিয়ে দিয়েছি নিজের উদ্যোগে। মহাপরিকল্পনাটাও আমরা একনেক সভায় পাস করিয়ে দিয়েছি। তারা এটা অবগত ছিল না।
উপদেষ্টা বলেন, তাদের কিছু দাবি আছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। তারা চাচ্ছে এতদিন যত দুর্নীতি হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার (শ্বেতপত্র)। আমি বললাম আমি কি তোমাদের জন্য পেপার তৈরি করব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে তারা তৈরি করবেন।
ছাত্ররা কি আন্দোলন থেকে ফিরে যাচ্ছে- এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ওরা আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে শুধুমাত্র ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এসেছি। মনে করেছি যে আমি তাদের সমস্যার সকল সমাধান দিতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
৩৮৭ দিন আগে
আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, ‘আমি একটা কাজে লেগে থাকতে পারি। আমি কষ্ট করতে পারি। আমি দৌড়াতে পারি মন্ত্রণালয়ে। অফিস থেকে অফিসে আমি দৌড়াদৌড়ি করেছি বলেই আজকে মেগা প্রকল্প নড়াইলে আসছে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচনী প্রচারে বের হয়ে লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পথসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মাশরাফি।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাশরাফি উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপি ও শালনগর ইউপির ১০/১৫টি পথসভায় বক্তব্য দেন।
এসব পথসভায় তিনি বলেন, ‘আইটি পার্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এগুলো আপনাদের বাড়ির পাশেই হয়েছে। এগুলো যদি না আসে আপনাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করবে কোথায়, ট্রেনিং করবে কোথায়। সন্তানরা বড় হয়ে তাদের পরিবারকে সাপোর্ট দেবে, নিজেরা ভালো থাকতে পারবে। তবে সেই জায়গাটা আমাদের তৈরি করে দিতে হবে। ৭ জানুয়ারি আপনারা কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মূল্যবান ভোটটি দেবেন। আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনার সন্তানকে ভোটটা দিয়ে আপনার সন্তানদের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আইয়ুব আলী, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আ. হান্নান রুনু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসী আলাউদ্দীন, লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিযুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল হক রোম, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, মো. ওবায়দুর রহমান বিপ্লবসহ প্রমুখ।
নড়াইল জেলা নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নড়াইল-২ আসনে দুটি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৯০ পুরুষ ভোটার ও ১ লাখ ৮৩ লাখ ৭৩৬ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
৭০৩ দিন আগে
আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দর-ফার্মগেট ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি।
রবিবার সকালে যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
এর সাহায্যে একটি গাড়ি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে।
বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটিই প্রথম প্রকল্প।
এক্সপ্রেসওয়েটি প্ল্যাকার্ড ও পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) সকাল ৬টায় যান চলাচল শুরুর আগে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িটি টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা এলাকায় উত্তর প্রান্ত থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করে।
তিনি আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিতে তেজগাঁও এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে যে সকল যানবাহন
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে।
এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা শহরের উত্তর অংশের সঙ্গে মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে শহরের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশে ট্রাফিক সক্ষমতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ফলে আশেপাশের ওভারলোডেড রাস্তাগুলোর যান চলাচলও সহজ হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করবে।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টাকা টোল দিয়ে চলবে গাড়ি
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী কোম্পানি ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি সংশোধিত চুক্তি সই করে।
এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক ইতালিয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন গ্রুপ (৩৪ শতাংশ) এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড (১৫ শতাংশ) এর অংশীদারিত্বে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটি তিন ধাপে শেষ হচ্ছে। বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। যার ফলে ঢাকায় যাতায়াতের সময় ও যানজট কমবে।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
চীনা ফার্ম চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল করপোরেশন, পিপিপি প্রকল্পের তিনটি ব্যক্তিগত অংশীদারের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিচালনা করবে।
কুড়িল, বনানী, মহাখালী ও তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রুট বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।
১৫টি র্যাম্প সহ এটি যানবাহনগুলোকে যানজটপূর্ণ রাস্তা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করবে। আজ ১৩টি র্যাম্প খোলা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, অন্যান্য যানবাহন শুরুতে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে।
৮২৪ দিন আগে
নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারের মেয়াদে সড়ক, সেতু, রেলপথ ও বিমান চলাচলসহ মোট ৯টি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রকল্পটি হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি প্রকল্পগুলো হলো- মেট্রোরেল প্রকল্প (বাকি অংশ), পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল), খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগ প্রকল্প ও পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার ইউএনবিকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ৩ ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত অংশের ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে সুধী সমাবেশ করা হবে।
মেট্রোরেল
২০ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ।
কাদের বলেন, ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন এবং ওইদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে সাভারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে নগরবাসীরা উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন মাত্র ৩৮ মিনিটে।
৮২৬ দিন আগে
সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার স্পষ্টভাবে বলেছেন, তার সরকার কখনোই এমন কোনো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেনি যা জনগণের জন্য সর্বোচ্চ উপকার বয়ে আনবে না।
'চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উদ্ভাবনী প্রকৌশল' (ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন) প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) পাঁচ দিনব্যাপী ৬০তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের আগে তিনি সবচেয়ে বেশি যা মনে করেন তা হলো- তা (পরিকল্পনা) দেশের মানুষের জন্য সর্বোত্তম সুফল বয়ে আনবে কি না এবং সরকার তা থেকে আয় করতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, ‘মেগা প্রকল্প নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু যখন প্রকল্পগুলো শেষ হবে এবং জনসাধারণ এর সুফল ভোগ করতে শুরু করবে তখন আমি শুনতে চাই তারা কী বলে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যে প্রকল্পই নিই না কেন, প্রথমে আমরা ভাবি দেশের মানুষ কতটা উপকৃত হবে এবং তা শেষ হওয়ার পর সেই প্রকল্পের প্রত্যাবর্তন (রিটার্ন) কী হবে ও তা কত দ্রুত আসবে।’
তিনি বলেন যে কোনো দেশ বা কোনো প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে এমন কোনো প্রকল্প তিনি কখনোই গ্রহণ করেন না, যা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
আরও পড়ুন: সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিন বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে এটা জানাতে চাই। এবং আমি এটা কখনোই মেনে নেব না। কারণ, আমি কেবল তাই করব যা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।’
অনুষ্ঠানে দেশের মেগা প্রকল্পসমূহের ওপর একটি ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়।
আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এন নুরুল হুদা, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন (শিবলু) এবং আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের অনারারি সেক্রেটারি প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই (অ্যাসোসিয়েট মেম্বারশিপ অব দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স) বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
৯৩৬ দিন আগে
২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এছাড়া মেট্রোরেল ও পাতাল রেলের কাজও চলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জনগণ দেশের উন্নয়নের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা হাই স্কুল কাম মাদরাসা মাঠে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ। তাই বাংলাদেশের মানুষ এখন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন চায়।
সম্মেলনে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
১০০৭ দিন আগে
নির্দিষ্ট সময়ে মেগা প্রকল্পে নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ইবি
চার বছর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জন্য ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিলেও নির্ধারিত সময়ে একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের আওতায় ৯টি ভবন, পাঁচটি আবাসিক হল, দুটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আবাসিক কোয়ার্টার এবং একটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য দুইবার সময় বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
মঙ্গলবার ইবি প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মেগা প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ কাজের বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একনেক ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও চার বছরে মাত্র ৩২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে যে সময়মতো টেন্ডারে ব্যর্থতার কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ধীরগতি হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ১০টি দরপত্র ছাড়া প্রথম দুই বছর আট মাসে কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
ইবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেক ইউএনবিকে বলেন, ‘শুরুতেই টেন্ডার করে নির্মাণ কাজ শুরু করলে সময়মতো কাজ শেষ হতো। করোনা মহামারির কারণে কাজগুলো কয়েক মাস ধরে স্থগিত ছিল এবং পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদাররা সরকার কর্তৃক ভর্তুকি পাওয়ার আশায় কাজ বন্ধ করে দেয়।’
তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে কাজ শেষ করতে আড়াই বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করেছে। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইবিতে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
এদিকে মেগা প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের কাজ এখনও শুরু হয়নি। গ্যালাক্সি অ্যাসোসিয়েট মজুমপুর, কুষ্টিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজের দরপত্র পেলেও কার্যাদেশ পাওয়ার পর ৯ মাসেও কাজ শুরু করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ভূমি উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এম নওয়াব আলী বলেন যে তারা ঠিকাদারকে বেশ কিছু চিঠি পাঠিয়ে। চিঠির জবাব দেননি তিনি। শিগগিরই তার কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।
ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন যে কোভিড-১৯ সহ বড় ধরনের বিধিনিষেধ ও বাধার কারণে কাজ সময়মতো শেষ করা যায়নি। দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়তি দুই বছরে যেতে চাই না, বড় ধরনের বাধা না থাকলে আশা করি তার আগেই কাজ শেষ করে ফেলব।’
আরও পড়ুন: প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে ইবির ১৪৩৭ আসন খালি
১০৭৩ দিন আগে
বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে; ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এসব প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে।
শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানাসির ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে ‘পিএম গতি শক্তি মাল্টিমোডাল ওয়াটারওয়েজ সামিট-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুর্বেদ, ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানী, সিদ্ধাহ, হোমিওপ্যাথি (এ ওয়াই ইউ এস এইচ-আয়ুষ) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১-১২ নভেম্বর-২০২২ ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভারানাসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়ালের আমন্ত্রণে প্রতিমন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সাব-রিজিওনে একটি নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সে লক্ষ্যে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীন ১০টি রুট চালু রয়েছে; যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের নদীপথগুলোকে আরও কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। আমরা আমাদের সকল উৎস থেকে বেনিফিট পেতে চাই এবং সেজন্য দক্ষ ও টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে চাই।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তিনি কৃতঞ্জচিত্তে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের দেশের শরণার্থীদের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতঞ্জতা জানান। তিনি ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ ও ভারতের সৈনিকদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের বস্ত্র, বাণিজ্য, শিল্প, কনজ্মুার্স অ্যাফেয়ার্স, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রবিউশন মন্ত্রী পিযুষ গোয়াল, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ সচিব ড. সঞ্জীব রঞ্জন, ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ১২ নভেম্বর সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ: ফোকাস অন রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’- বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১১১৯ দিন আগে
নতুন কোনো মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা নেই: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপাতত নতুন কোনো মেগা প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে নতুন কোনো মেগা প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা নেই।’
রবিবার গাজীপুরের টঙ্গীতে বাংলাদেশ র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় ফ্লাইওভারের দুই লেন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটি প্রকল্পের কারণে জনদুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং অচিরেই জটিলতার অবসান হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোনো মেগা প্রকল্প হাতে নেয়নি এবং তাদের আমলে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। কারা ক্ষমতায় যাবে আর কারা সেফ এক্সিট নেবে তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বিএনপিকেও আহ্বান জানান।
এসময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী দুটি লেন চালু হলে গাজীপুরসহ ৩৭টি জেলার মানুষ উপকৃত হবে বলে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, যানজট কমবে এবং ঢাকাগামী যাত্রীরা সহজেই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন।
বিআরটি সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে গাজীপুর, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় প্রথম পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা।
বিআরটির ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার প্রকল্পের আওতায় চার দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ছয়টি এলিভেটেড স্টেশন, দশ লেনের টঙ্গী সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে, যার ব্যয় চার হাজার ২৬৮ দশমিক ৩২ কোটি টাকা।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
১১২৪ দিন আগে