এনসিপি
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। কমিশনের মেয়াদ ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়সীমা ৩৪ দিন বাড়িয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬–এর সেকশন ৩–এর দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিককে সভাপতি করে গত ২৪ জুলাই ছয় সদস্যের এই তদন্ত কমিশন গঠন করে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সহিংসতা: আরেক মামলায় আসামি সাড়ে ৫ হাজার
প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। গত ১৩ আগস্ট সেই মেয়াদ শেষ হয়। এরপর কমিশন ও প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১৪ দিন বাড়ানো হয়। সেই সময়ও শেষ হয় গত ২৭ আগস্ট।
তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর নতুন আদেশ গত ২৮ আগস্ট থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম, ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক সরদার নূরুল আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
কমিশনকে উদ্ভুত ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ উদঘাটন, রাজনৈতিক জনসভায় আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠনকে চিহ্নিতকরণ, উল্লিখিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান, উক্ত ঘটনাকালীন জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার বিষয়সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
৯১ দিন আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনসিপির শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এ সময় এনসিপি নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ফুল গ্রহণ করেন।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে এনসিপি নেতা শামান্তা শারমিন বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের একটি নাম হচ্ছে বিএনপি। তাদেরকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বাগত জানাতে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন আলাপ করছিলাম সেই আলাপের মধ্যে উঠে এসেছে গত ১৭ বছরে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরে যে হামলা-নির্যাতন-মামলা নেমে এসেছিল শেখ হাসিনার আমলে।
তার পরবর্তীতে আমরা যখন দেখেছি যে এই মামলাগুলো তুলে নেওয়া এবং তাদেরকে জেল-জরিমানা পোহাতে হচ্ছে, তারা পারিবারিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সকল রাজনৈতিক দলের উদ্বেগ রয়েছে।আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি প্রতিষ্ঠার ৪৭তম বার্ষিকী পালন করছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
এইদিন সকালে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় পতাকা উত্তোলন, প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ভোর ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে বিএনপির সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন।
এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে দলটি একাধিক মেয়াদে দেশ শাসন করেছে।
৯৪ দিন আগে
সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও ভিপি নূরের মতো হবে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে এনসিপির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। তারেক জিয়াকে আমরা দেখেছি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। উনাকে নৃশংসভাবে মেরে মাজা (কোমর) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়ার যে পরিণতি হয়েছিল আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে, যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি।’
‘নিয়ম পরিবর্তনের জন্য যেটার নাম আমরা দিয়েছি সংস্কার। এটার জন্য সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বিএনপি, জামায়াতসহ যারাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কথা বলেছে, তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেফ হাউজ নামে কারাগারে রেখেছে। এই ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের পরিবর্তন দেশের মানুষ এখনো দেখে নাই। এ অবস্থায় কোন বিশ্বাস ও ভরসায় দানবীয় ব্যবস্থার কাছে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া হবে?’
জামায়াতে ইসলামকে সবচেয়ে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘১৯৭১-পূর্ববর্তী সময়ের জন্য জামায়াতে ইসলামের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে যে জুলুম হয়েছে তারও জবাবদিহি করতে হবে। তাই তাদের বলতে চাই, ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারো আগের অস্ত্র দিয়ে তাদের দমন-নিপীড়নের শিকার হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২৪-পরবর্তী সময়ে আমরা আর কোনো সহিংসতার দিকে ফিরে যেতে চাই না। কারণ সহিংসতা হচ্ছে গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আওয়ামী তরিকার রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন বলা হয় নির্বাচনবিরোধী। বিএনপি নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা নির্বাচনসহ আরও দুটি বিষয়ের জন্য কথা বলছি। আমরা বলছি, আমাদের নির্বাচনও লাগবে, আবার বিচার ও সংস্কারও লাগবে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এই যে পুলিশ আমাদের বিনা বিচারে, বিনা মামলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাবে না— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? নেওয়ার পরে যে আমাদের পরিবারকে অবগত করবে— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? হয়নি তো!’
‘আমরা দেখি একজন মাইক দিয়ে বলে, যদি ধানের শীষ না থাকে প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই ব্যালট পেপার ছাপাব। আমি বলছি না যে এটা একটা রাজনৈতিক দলের অবস্থান। আমি বলছি অনেক রাজনৈতিক দলের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা হচ্ছে এমন। এটা সবাই যে ধারণ করে, তা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’
এ ছাড়া এনসিপি যেন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ ও ডা. মাহমুদা মিতা, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং বিজয়নগর উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
৯৫ দিন আগে
এনসিপিসহ তিন দলের নেতাদের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ রবিবার বিকেলে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তার আগে জামায়াতের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং এনসিপির সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর আহত হওয়ার পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
৯৫ দিন আগে
শেরপুরে এনসিপির সমন্বয় কমিটি থেকে ১৫ জনের একযোগে পদত্যাগ
শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটির ১৫ জন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে পদত্যাগ করা ব্যক্তিরা পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদত্যাগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১০ জন সদস্য।
যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন— মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন।
সাধারণ সদস্যরা হলেন— মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম শান্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপি’র নকলা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশ একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ আত্মবিশ্লেষণ শেষে তারা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাশাপাশি দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদত্যাগের ঘোষণা
পদত্যাগের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. মমিনুল ইসলাম আরব বলেন, ‘প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশের বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। একজন অযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই আমরা সবাই পদত্যাগ করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরে নকলা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে হুমায়ুন কবির আকাশকে প্রধান সমন্বয়কারী, ১০ জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ২১ জনকে সদস্য করে মোট ৩২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রথম দিন থেকেই পদত্যাগের গুঞ্জন চলছিল, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিল।
১০৬ দিন আগে
শোকজের জবাব: নাহিদের সম্মতিতেই কক্সবাজার গিয়েছেন হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাবে জানিয়েছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্মতি দেওয়ার পরেই তিনি কক্সবাজার গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন বরাবর দেওয়া শোকজ নোটিশের জবাবে হাসনাত লেখেন, ৪ আগস্ট রাতে প্রথমে তিনি নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে না পেয়ে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে জানান এবং অনুরোধ করেন নাহিদকে জানাতে।
প্রায় ৩০ মিনিট পর নাসীরুদ্দীন জানান, নাহিদ হাসনাতকে কক্সবাজার যাওয়ার সম্মতি দিয়েছে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এনসিপির বাকি নেতারা যুক্ত হোন বলে জানান হাসনাত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে হাসনাত লেখেন, ‘সরকারের উচিত ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, যা সেই মানুষগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। কিন্তু আমি এবং অনেকেই ব্যথিত হই, যখন দেখি যে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় সেই মানুষদের কথা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। শহীদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি।’
‘আমার এ সফর ছিল অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।’ লেখেন হাসনাত।
তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় এমন কিছু উপাদান দেখি, যা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন— ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে সংবিধান সংস্কারের জন্য জনগণ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর দায়িত্ব অর্পণের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। এই দাবিটি অসত্য এবং সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনার পথে একটি বড় অন্তরায়।'
পড়ুন: শোকজের জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে
শোকজের জবাবে হাসনাত বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে, যা রাষ্ট্রের কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনবে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাবে। উপরন্তু, ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে পারি যে আমাদের আন্দোলনের আহত এবং নেতৃত্বদানকারী অনেক ভাইবোনকে এই অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি আমার কাছে শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে হয়েছে।'
হাসনাত বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যেখানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনকে, শহীদ ও আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা এবং মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকার কোনো ইচ্ছা বা প্রয়োজন আমি বোধ করিনি। কাজেই, এরপরের দিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। উদ্দেশ্য ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে চিন্তা করা।'
কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পর যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিমানবন্দর থেকে এনসিপি নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও করে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মিডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু মিডিয়া সেখানে ক্রাইম মুভির মিউজিক জুড়ে ইচ্ছেমতো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগসহ সেইসব উপস্থাপন করেছে।
ক্ষোভ ঝেড়ে হাসনাত বলেন, ‘কিছু মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে অপরাধপ্রবণ এবং সন্দেহজনক হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে, যে আমরা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করতে। অথচ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।
‘রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রবণতা, যেখানে কাউকে টার্গেট করে রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়ে ফেলা যায়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার এই সম্মিলিত ডিমোনাইজেশন টেকনিক আজকে আমাদের টার্গেট করেছে। ভবিষ্যতে অন্য যে কাউকে করতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়া এই একই প্যাটার্নে হাসিনার আমলেও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের নামে প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করত। নতুন বাংলাদেশেও গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়ার এই পুরনো অপরাধপ্রবণতা আমাকে একইসঙ্গে অবাক এবং ক্ষুব্ধ করে।’ বলেন হাসনাত।
৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। পরদিন দলের পক্ষ থেকে তাদের শোকজ করা হয়।ৎ
১১৯ দিন আগে
শোকজের জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে অনুপস্থিত থেকে মঙ্গলবার কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির ৫ শীর্ষ নেতাকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব দিয়েছেন তারা।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ যথাসময়ে শোকজের জবাব দিয়েছেন।
তারা দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন বরাবর এ নোটিশের জবাব পাঠিয়েছেন।
৫ শীর্ষ নেতার শোকজের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনসিপি।
পড়ুন: সভা-সমাবেশেই না, সাগরপাড়েও জন্ম নেয় ইতিহাস: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
এর আগে বুধবার এনসিপির সামনের সারির এই পাঁচ নেতাকে পৃথক পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় দলটি।
আলাদা আলাদা দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে আগে অবগত করা হয়নি। এমন অবস্থায় আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
এদিকে নোটিশের লিখিত জবাব ফেসবুকে পোস্ট করেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। বলেন, ‘আমি মনে করি শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে।’
১১৯ দিন আগে
সভা-সমাবেশেই না, সাগরপাড়েও জন্ম নেয় ইতিহাস: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা। এ ঘটনায় দলের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন তাদেরই একজন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। কারণ, ইতিহাস কেবল সভা-সমাবেশে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরপাড়েও জন্ম নেয়।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন বরাবর বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দেওয়া লিখিত জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ৫ আগস্ট কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও তাঁকে এ–সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি। তাই তিনি কক্সবাজারে যান।
ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নাসীর জানান, ৪ আগস্ট হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর কোচিংয়ের সহকর্মীর মোবাইল থেকে ফোন করে জানান, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে তিনি দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবেন—বিষয়টি যেন দলের আহ্বায়ককে জানানো হয়। এর আগে দলীয় পদযাত্রার সময় হাসনাতের ফোন চুরি হয়েছিল।
সেদিন রাতেই পার্টি অফিসে নাহিদ ইসলামকে বিষয়টি জানান বলে দাবি করেন নাসীর। তিনি বলেন, দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন তাঁকে জানান যে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এনসিপির তিনজন প্রতিনিধি যাবেন, যেখানে নাসীরের কোনো দায়িত্ব নেই। তাই তিনিও হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নাসীর বলেন, ‘আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তাভাবনা করা। সাগরপাড়ে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি—গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনই এখন প্রধান কাজ: প্রধান উপদেষ্টা
কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়ার কারণে গুজব ছড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে গুজব ছড়িয়েছেন যে এনসিপির শীর্ষ নেতারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায়, সেখানে পিটার হাস নামের কেউ নেই। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।
নাসীর বলেন, ‘আমি মনে করি, শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার সুযোগ মাত্র। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি—অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে।’
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে শোকজ পান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
১১৯ দিন আগে
হাসনাত, সারজিস, জারাসহ এনসিপির পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ দলটির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হওয়ার দিনে উপস্থিত না থেকে ওই পাঁচ নেতা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে যান। তবে এই সফরের বিষয়ে তারা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেননি।
আরও পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
এ কারণে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে উপস্থিত না থেকে কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
১২০ দিন আগে
এনসিপির নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার প্রকাশ
২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির এক বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বহুল আলোচিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন আন্দোলনের সময়কার ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের একজন ও বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির ঘোষণায় বলা হয়েছে—নতুন সংবিধান তৈরি, গত বছরের জুলাই গণআন্দোলনের স্বীকৃতি, সেই সময় নিপীড়নের শিকারদের বিচার, বিচারব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
দলটির নেতারা বলেন, ‘জুলাইতে ছাত্র আন্দোলনের ডাকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার পতন হয়েছিল। এবার সেই জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।’
তারা গত এক বছরে গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার নিশ্চিত না করায় জনগণের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেন।
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে জায়গা পেতে হবে। জনগণই এখন নতুন বাংলাদেশের রক্ষক।’
তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যেন আর কোনো রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে না থাকে। সরকার যা করবে, তা জনগণের জানার অধিকার নিশ্চিত করে করতে হবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাদের ভয় দেখানো হয়, আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করব। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।’
এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
১২৩ দিন আগে