ঈদ শপিং ২০২৫
অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
প্রযুক্তির উৎকর্ষে ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রত্যেকে এখন অনলাইনমুখী হচ্ছেন। পরিবারের ছোট থেকে বড় প্রতিটি সদস্যের জন্য পছন্দনীয় ড্রেসটি ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। কেননা কয়েক দশক ধরে প্রসিদ্ধ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো এখন আর কেবল শো-রুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বিপণনের যুগে প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব অনলাইন স্টোর। চলুন দেখে নেওয়া যাক- ঈদকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেডিমেড গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঈদের অনলাইন কেনাকাটায় তৈরি পোশাকের ১০টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
.
আড়ং (Aarong)
১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আড়ং-এর পথ চলা। দেশীয় বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের এই সামাজিক উদ্যোগটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য পোশাক ব্র্যান্ড।
আসছে ঈদে পুরনো ঐতিহ্য বহাল রেখে আবারও দেশীয় সিল্কে সাজতে যাচ্ছে Aarong। হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারির বিশেষত্বে কারুকাজের প্রতিটি পরতে মিলবে উৎসবের আমেজ। তারই স্পষ্ট ছাপ রয়েছে পুরো ওয়েবসাইট জুড়ে।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
নতুন আয়োজনে মেয়েদের ক্যাটাগরিতে শোভা পাচ্ছে বর্ণীল সালোয়ার কামিজ। পুরুষদের সেকশনে রয়েছে পাঞ্জাবি ও কোটি। বাচ্চাদের পোশাকেও এম্ব্রয়ডারি, ও সিল্ক প্রিন্টের সরব উপস্থিতি।
পৃথক মেনুতে নজর কাঁড়ছে সাব-ব্র্যান্ড তাগা Taaga ও তাগা ম্যান (Taaga Man)-এর কালেকশন। প্রতিটি পণ্যের জন্য প্রদর্শিত হয় আলাদা ওয়েব পেজ। প্রতি পেজেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিবরণী থেকে তার মাপ জেনে নেওয়া যায়। অতঃপর সব ঠিকঠাক হলে ঘরে থেকেই সেরে ফেলা যায় অর্ডারের কাজ।
আড়ং-এর সেবা ছড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বত্রে। উত্তরা, গুলশান, মগবাজার, ধানমন্ডি, বনানী, মিরপুর, ওয়ারি’তে রয়েছে প্রশস্ত শো-রুম।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.aarong.com
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
ইয়োলো (Yellow)
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন এই পোশাক ব্র্যান্ডটির আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালে। দীর্ঘ এক দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে অফলাইনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনেও সমান জনপ্রিয়।
ওয়েবসাইটের সাবলীল ইন্টারফেসে প্রথমেই রয়েছে বসন্ত ও গ্রীষ্মের সমন্বয়ে ঈদ কালেকশন মেনু। তারপরেই পাওয়া যাবে নতুন সংযোজিত পণ্যসমূহ। অতঃপর একে একে পুরুষ, নারী, ও বাচ্চাদের ড্রেসের জন্য পৃথক ট্যাব। প্রত্যেকটি সেকশন আলাদা ওয়েব পেজে নিয়ে যেখানে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ড্রেস বাছাই করা যায়।
যথারীতি সর্বত্রে Yellow-এর ফরমাল ও ক্যাজুয়াল সমন্বয়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ছোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের জন্য সাজানো আছে স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও জিন্স দিয়ে। অপরদিকে নারীদের জন্য সালোয়ার কামিজ, টপ্স ও বটম, কুর্তি, এমনকি শাড়িও আছে।
ঢাকাসহ সারা দেশব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে ইয়োলোর ডেলিভারি সেবা। ঢাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অবস্থিতি হলো বসুন্ধরা সিটি, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, বেইলি রোড, ওয়ারী ও মগবাজারে।
স্টোর লিঙ্ক: https://www.yellowclothing.net
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
এক্সট্যাসি (Ecstasy)
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত একটি ব্র্যান্ড এক্সট্যাসি। এর অনলাইন স্টোরে প্রবেশের পরপরই স্বাগত জানায় তানজিম স্কোয়াড। Ecstasy-এর অধীনে পুরুষদের হাল ফ্যাশনের সাব-ব্র্যান্ড এই ‘তানজিম’ (Tanjim)। একই ভাবে নারীদের জন্য রয়েছে ‘জারজাইন’ (Zarzain)।
দুটো ক্যাটাগরির ওয়েব পেজগুলোতেই রয়েছে রকমারি পোশাকগুলোকে দামসহ এক নজরে দেখার সুবিধা। তানজিমে চোখে পড়ে পিন্স্ট্রিপড শার্ট, স্কোয়াড টি-শার্ট, এবং ঈদের পাঞ্জাবি। অন্যদিকে, জারজাইনে কাফতান, শ্রাগ, ও টপ্স-এর প্রাধান্য বেশি।
রাজধানীতে এক্সট্যাসির মূল আউটলেটগুলো হলো যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান এভিনিউ, ধানমন্ডি, উত্তরা ও ওয়ারি।
ওয়েব লিঙ্ক: https://ecstasybd.com/
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
সেইলার (Sailor)
এপিলিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেইলারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। বর্তমান সময়ে পোশাক-কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলোতে দারুণ একটি সংযোজন এর ডিজিটাল স্টোরটি।
ট্রেন্ডি ও আরামদায়ক পোশাকগুলো এখানে নিজেদের পছন্দ মতো বেঁছে নিতে পারেন ক্রেতারা। স্পষ্ট ক্যাটাগরি বিভাজন থাকায় পুরুষ, নারী ও শিশুদের পোশাক সহজেই খুঁজে বের করা যায়। ছবি, পণ্যের বিবরণ ও ফিল্টারিং সুবিধা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
পুরুষদের সেকশনে ঈদের জন্য রয়েছে ফিউশন পাঞ্জাবি, যা ঐতিহ্য ও আধুনিক স্টাইলের অনন্য মিশ্রণ। পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্যও রাখা হয়েছে আরামপ্রদ এই পরিধেয়টি। নারীদের ক্যাটাগরিতে নজর কাঁড়ছে কুর্তি ও নিটেড টপ-বটম সেট।
Sailor সারা দেশ জুড়ে ড্রেস ডেলিভারি করে থাকে। ঢাকার মধ্যে এর প্রধান শাখাগুলো রয়েছে ওয়ারি, উত্তরা, ধানমন্ডি, আদাবর, মিরপুর, এবং খিলগাঁও-এ।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.sailor.clothing
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
লা রিভ (Le Reve)
রিভ টেক্স লিমিটেডের লা রিভ ব্র্যান্ডের গোড়াপত্তন হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে এটি দেশীয় ফ্যাশনে নিজস্ব স্বকীয়তা ও মানের জন্য সুপরিচিত। সমগ্র ঢাকা জুড়ে Le Reve-এর সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। তন্মধ্যে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, ধানমন্ডি, ওয়ারী, মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর ও গুলশানের স্টোরগুলো প্রায় ক্রেতাদের সমাগম থাকে।
অফলাইনের মতো এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিও বেশ ইন্টারঅ্যাক্টিভ। বিভিন্ন বয়সের জন্য নির্ধারিত এদের সেরা ড্রেসগুলো সৃজনশীল শিরোনামে প্রদর্শিত হয়েছে হোমপেজ জুড়ে। ফলে প্রাসঙ্গিক মেনু বা ট্যাবগুলোতে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির খোঁজে।
নারীদের সালোয়ার কামিজ এবং পুরুষদের পাঞ্জাবির সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত ঈদ কালেকশনে প্রমাণ মিলছে লা রিভের স্বকীয়তার। রেস্পন্সিভ ডিজাইনের ওয়েবসাইট হওয়ায় যে কোনও ডিভাইস থেকেই তা খুটিয়ে দেখে নিতে পারছেন ক্রেতারা।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.lerevecraze.com/
আরো পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
কে ক্র্যাফ্ট (Kay Kraft)
ঐতিহ্য ও আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে নান্দনিক বুনন শৈলীর এক অনন্য নাম কে ক্র্যাফ্ট। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি। বর্তমানে ঢাকার ব্যস্ততম কেনাকাটার জায়গা মানেই Kay Kraft। এদের আউটলেট রয়েছে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ওয়ারী, বসুন্ধরা, ও গুলশান-এ।
ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব হচ্ছে চক্ষু শীতল রঙের আভরণে অভিজাত ডিজাইন। এর সুবিন্যস্ত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে ডিজিটাল শো-রুমের প্রদর্শনীতেও। পুরুষদের ড্রেসে কাট নির্ভর এক রঙা ফিটেড মাপ আর নারীদের ক্ষেত্রে রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্নের প্রাধান্য। একই বৈশিষ্ট্যের দেখা বাচ্চাদের পোশাকেও।
প্রতিটি ড্রেসের বিশদ পর্যালোচনার জন্য পুরো ওয়েব পেজ জুড়ে রয়েছে ধরণ, রঙ, ও পরিমাপসহ বিভিন্ন মাপকাঠি। সহজ ইন্টারফেস শপিং কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত ক্রেতাদের সাবলীল বিচরণ অব্যাহত রাখে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.kaykraft.com/
আরো পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রঙ বাংলাদেশ (Rang Bangladesh)
১৯৯৪ সালে খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া রঙ এখন ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর মতো জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার। রাজধানী জুড়ে Rang Bangladesh-এর বর্ণীল অবস্থিতি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
প্রতি ঈদের মতো এবারেও প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংগ্রহশালার মূল উপজীব্য দেশীয় রঙ ও আবহ। তারই উন্মুক্ত প্রতিফলন সমগ্র হোমপেজ জুড়ে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলের জন্য বিশদ তথ্যে ভরপুর প্রতিটি ড্রেসের প্রদর্শনী। লিনেন, ভিসকস, জ্যাকার্ড কটন, বারফি, ও জর্জেট প্রতিটি ধরণ চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভিন্ন রঙ ও পরিমাপ নিয়ে।
নিয়মিত বিপণীতে মুখর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, টোকিও স্কয়ার এবং ওয়ারি; প্রতিটিতেই রয়েছে রঙ বাংলাদেশের শো-রুম।
অনলাইন স্টোর: https://rang-bd.com/
আরো পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
অঞ্জন্স (Anjan’s)
দেশের ফ্যাশন হাউজের অন্যতম অগ্রপথিক অঞ্জন্স-এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতি উপলক্ষে তাদের নতুন কালেকশনে থাকে সমসাময়িক ঋতুর আবহ।
এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। চৈত্রের মধ্য দিয়ে বসন্তের পরিসমাপ্তি অতঃপর গ্রীষ্মের আগমন। ঋতুর এই পালাবদলের প্রতিমূর্তি যেন Anjan’s-এর ঈদ কালেকশন-২০২৫ ওয়েব পেজটি।
পরিধেয়ের সৌষ্ঠবে হাল্কা আরামপ্রদ ভাব রাখা হলেও মোটেই কারপণ্য করা হয়নি শৈলীর সৃজনশীলতায়। প্রদর্শনীতে দেওয়া পটভূমির সাথে মানানসই ছবিগুলো অকপটেই ঘোষণা করে যে ঠিক কোন পরিবেশে ক্রেতাকে কেমন দেখাবে।
ফিল্টারিং ও সার্চিং-এর সহজ ইন্টারফেসের সাথে এরা আরও যুক্ত করেছে একাধিক পণ্যের মধ্যে তুলনা করার ফিচার। তাই শপিং কার্ট থেকে চেকআউটের সময় সিদ্ধাহীনতার কোনও অবকাশ নেই।
ঢাকায় অঞ্জন্স-এর শাখা আছে উত্তরা, বেইলি রোড, মালিবাগ, বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি, এবং ওয়ারিতে।
ডিজিটাল স্টোর লিঙ্ক: https://www.anjans.com/
আরো পড়ুন: জেনে নিন কোন লিপস্টিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে
টুয়েল্ভ ক্লদিং (Twelve Clothing)
টিম গ্রুপের দ্বাদশ উদ্যোগ হিসেবে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হয় টুয়েল্ভ ক্লদিং। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত সময়ে নির্ভরতা অর্জন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে Twelve Clothing একটি।
এর ড্রেসগুলোর আসল বিশেষত্ব লুকিয়ে থাকে এর তৈরি প্রক্রিয়ায়। এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, ও কারচুপির অনবদ্য পরিস্ফুটন ঘটে প্রতি পোশাকে। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পোশাকের ওয়েব পেজে প্রবেশ করলে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাইটের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার। এর মাধ্যমে যে কোনও পোশাকের পেজে ঢুকে নিজের ছবি আপলোড করে ভার্চুয়াল ট্রায়াল দেওয়া যাবে।
এছাড়াও রয়েছে কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির তুলনামূলক যাচাইয়ের সুবিধা।
রাজধানী কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানটির শাখাগুলো হলো- বেইলি রোড, বনশ্রী, খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারি, উত্তরা, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, এবং গুলশান।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://twelvebd.com/
আরো পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
দেশাল (Deshal)
দেশীয় ঘরানা ও পদ্ধতির পোশাকশিল্পীদের একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। এমনই সুদূরপ্রসারি ভিশন নিয়ে ২০০৫ সালে শুরু হয় দেশাল-এর কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিব্যাপ্তি ঢাকার প্রতিটি ব্যস্ত এলাকায় লক্ষণীয়। এর মধ্যের রয়েছে বনানী, উত্তরা, বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি, শাহবাগ, বেইলি রোড, মোহাম্মদপুর, ও মিরপুর।
তৈরি পোশাক শিল্পের প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে Deshal একটি। দেশীয় সংস্কৃতির উদাত্ত বহিঃপ্রকাশের ছাপ মেলে সাইটের হোমপেজ থেকেই। অতঃপর প্রধান মেনুগুলোর মধ্যে শিশু, নারী, পুরুষ ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে একই সংস্কৃতির পরিচয়।
এবার আলাদা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ঈদ ২০২৫ ট্যাবটি। ক্রয়ের জন্য যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি প্রাঞ্জল বাংলা শিরোনাম বিকশিত করছে পোশাকের মানকে।
অর্ডার থেকে চেকআউট অব্দি নেই ঘন ঘন পেজ পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। তাই সাবলীলতার দিক দিয়ে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় এখানকার অনলাইন শপিংটা একটু এগিয়ে।
সাইট লিঙ্ক: https://www.deshal.net/
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
পরিশিষ্ট
তৈরি পোশাকের এই ১০টি স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোরগুলো ক্রেতাদের কেনাকাটায় যুগান্তকারি প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘ দিনের নির্ভরতার দৌলতে প্রিয় ব্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছেন প্রত্যেকে।
স্বতন্ত্র শৈলীর গুনমুগ্ধরা পুরনো ‘আড়ং’ ও ‘কে-ক্র্যাফ্ট’ তে দেখছেনই। সেই সাথে চোষে বেড়াচ্ছেন নতুন ‘রঙ বাংলাদেশ’ এবং ‘অঞ্জন্স’-এর স্টোরগুলোও। ডিজিটাল স্ক্রিনিং-এর যথাযোগ্য সদ্ব্যবহার করে নিজেদের বিশেষত্বগুলো মেলে ধরছে ‘এক্স্ট্যাসি’, ‘সেইলার’, ও ‘টুয়েল্ভ ক্লদিং’। পিছিয়ে নেই হাল ফ্যাশনের ‘ইয়োলো’, ‘লা রিভ’, এবং ‘দেশাল’ও।
সর্বপরি, এই অনলাইন ঈদ শপিং সামগ্রিকভাবে নতুন মাত্রা যোগ করছে ক্রেতাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনধারণে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
২৭১ দিন আগে