দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় হামুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন,ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে এটি গতি বাড়ালে আগেই অতিক্রম শুরু করতে পারে। সে কারণে আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।
‘ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে বরিশাল ও চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। এর বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া দপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে বলে জানান এনামুর রহমান ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ও চরিত্রটা বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি আজকে আজ রাত ১০টা থেকে কাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাত ৮টার মধ্যে যেন সব ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো আমরা প্রস্তুত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসওডি (দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী) অনুযায়ী ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মাঠ প্রশাসন ও আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গত লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু করবে।’
আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় ২০ লাখ টাকা, ৫০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। গো ও শিশু খাদ্যের জন্য এক কোটি টাকা করে মোট দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’
আজকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
হামুনের গতিপথ গত বছরের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মতো জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছি। গবাদী পশুকেও আমরা সরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছি। মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রয়েছে। বরিশাল থেকে চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে এটি অতিক্রম করবে। এর কেন্দ্র বা চোখ বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে যাবে।’
‘হামুন’ মোকাবিলাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো এটিও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
১ বছর আগে
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়।'
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদরদপ্তরে দুইদিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বৈঠকের প্রথম দিনে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে তিনি ব্যয় হিসেবে মনে করেন না।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশের রোল মডেল হয়ে ওঠা এবং গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে সরকারের বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, করোনা মহামারির ভেতর বাংলাদেশ ২০২০ সালে পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, 'ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০৭ সালে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৩ দশমিক ১০ সেখানে ২০২০ সালে সেটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকটি আগামী শুক্রবার (১৯ মে) শেষ হবে।
এই বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
উপকূলীয় ১৩ জেলায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘সকালে ভাটা শুরু হয়েছিল এবং মোখা এখন ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২২০ কিলোমিটার। তাই জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ইতোমধ্যে সাত লাখ মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ অর্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যখন মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত এলাকা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত ১০ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আমাকে সমুদ্র সৈকতে মানুষ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।’
সমুদ্র সৈকতে কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও ঘনীভূত হয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে সময় এটি ভূমিতে আঘাত হানবে, এটি সম্ভবত একটি গুরুতর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার (১৪ মে) নাগাদ কক্সবাজার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বুধবার বিকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোকার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের আগাম ধান ও অন্যান্য ফসল কাটার নির্দেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা পূর্বাভাস দিয়েছি যে এটি একটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০-২৩২ কিলোমিটার হতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দেশের পূর্বাভাস সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি এখনও বাংলাদেশের উপকূল থেকে গড়ে দেড় হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ১২ মে এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে।’
প্রকৃতপক্ষে, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, সিস্টেমটি বুধবার ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত, এটি পোর্ট ব্লেয়ার (আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী শহর) থেকে প্রায় ৫৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং সিত্তওয়ে (মিয়ানমার) এর এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত ছিল।
আরও পড়ুন: ‘মানদৌস’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বাংলাদেশে আঘাত হানবে না: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ(আইএমডি) বলেছে যে গভীর নিম্নচাপটি আজ সন্ধ্যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি সিস্টেমকে ঘূর্ণিঝড় হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় যখন এর ৩ মিনিটের গড় সর্বোচ্চ স্থায়ী বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬৩-৮৮ কিলোমিটার হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা তারপর উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ ধীরে ধীরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (বাতাসের গতিবেগ ৮৯-১১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) এবং তারপরে একটি খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার সকালে (১১৮-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) হবে।
তারপরে, এটি ধীরে ধীরে ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশের উপকূলের উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।
যদিও আইএমডি অনুসারে এটি শনিবার (১৩ মে) দুর্বল হতে শুরু করবে।
রবিবার (১৪ মে) বিকালে, এটি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূলে — বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং কিয়াউকপিউ (মিয়ানমার)-এর মধ্যে-একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে, সর্বোচ্চ ১১০-১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগসহ প্রতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিকরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি: সংসদে এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নিয়ে ১০ বার সতর্কতামূলক নোটিশ দিলেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিক সমিতি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে সরকারও মার্কেট উচ্ছেদ বা ভাঙতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ১ দশমিক ৬৯৭ একর জমি পায়। ১৯৯৫ সালে বাজার সমিতি নিজস্ব খরচে তিনতলা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স নির্মাণ করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট সেখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। কর্তৃপক্ষ ১৪১টি গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং ৪ হাজার ৪১৩টি দোকানসহ প্রতি ফ্লোরে ৬৭ হাজার ৩৩২ দশমিক ৫৩ বর্গফুটসহ একটি স্টিলের কাঠামোর বহুতল ভবন অনুমোদন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
এনামুর বলেন, ২০১৯ সালে কর কর্মকর্তা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিকে ৩০ দিনের মধ্যে মার্কেট খালি করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছিলেন।
কিন্তু দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তিনটি মামলা করা হয় এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশের আদেশ দেন; যা বারবার বর্ধিত করে আজ পর্যন্ত বহাল রয়েছে।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠির মাধ্যমে ছয়বার অবহিত করা হয়েছে যে কোন সময় আগুন লাগতে পারে এবং মার্কেটটি পুরাতন টিন, কাঠের তৈরি ও জরাজীর্ণ, ব্যবহারের অযোগ্য ও বিপজ্জনক। তাই বাজারটি খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এনামুর বলেন, ‘কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খালি করেনি, বরং সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালতের আদেশের কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে মার্কেট ভাঙা বা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০১৯ সালের এপ্রিলে এটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছিল এবং বাজারে ব্যানার ঝুলিয়ে সতর্ক করেছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতিকে বারবার নোটিশ জারি করে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় টিকে থাকতে সুদমুক্ত ঋণ চান বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
এসময় এনামুর রহমান বলেন, সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। খুব দ্রুতই উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে। ছয় হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ লোককে আশ্রয় দিতে পেরেছি। রাত ১০টায় এটি আঘাত হানার পর দ্রুতই এটি দুর্বল হয়ে যায়। লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুরু থেকেই সিত্রাং এলোমেলো আচরণ করতে শুরু করে। বারবার পাল্টাতে থাকে গতিপথও। তাই এর গতিবিধি ঠিকমতো বোঝা যায়নি। আসতে পথে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করেছে। এসেছে দ্রুত, চলেও গেছে দ্রুত।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের উপকূলে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
‘১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যা কবলিত’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যা কবলিত। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা ভয়াবহ। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।
শনিবার বিকালে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং এ মন্ত্রী এসব জানান।
তিনি বলন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে সেনাবাহিনী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে আগামী দুই দিনে বন্যার আরও অবনতি হবে। মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে। এই সময়ে ওপরের পানি নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ: সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, এক লাখ মানুষ পানিবন্দি
২ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় ২৫৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের খাদ্য সহায়তা প্রদানে বিশ্বব্যাংক অনুদান হিসেবে ২৫৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ দেবে।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ডব্লিউএফপির ( বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি) মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং ডব্লিউএফপি-এর পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর জিন্স পেয়ারস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় মন্ত্রণালয় এবং ডব্লিউএফপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তির অধীনে ডব্লিউএফপি সেফটি নেট সিস্টেম ফর দা পুওরেস্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করবে। প্রকল্পটি বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক অনুদানের পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদেরকে পুষ্টি বিষয়ক শিক্ষা প্রদান, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহায়তা প্রদান, সবজি বাগান তৈরিতে উপকরণ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া, বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ করা, পাহাড়ের ঢাল সংরক্ষণ করা, রাস্তা ও নর্দমা পরিষ্কার করা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন প্রকার সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে ৬০টি ‘রেসকিউ বোট’ দিচ্ছে নৌবাহিনী
২ বছর আগে
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে, দাবি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর
সাভার, ২৮ আগস্ট (ইউএনবি)- সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
৫ বছর আগে