ফ্লাইট
ভারতের নাগপুরে ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ ও ঘটনার বিষয়ে বিমানের ব্যাখ্যা
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের নাগপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে ২ জন বৈমানিক, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ৩৯৬ জন যাত্রী ছিলেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলামের সই করা এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-দুবাই রুটের নির্ধারিত ফ্লাইট বিজি৩৪৭ ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৮টা বেজে ৪০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে।
যাত্রা পথে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় ক্যাপ্টেন পেছনের কার্গো কোম্পার্টমেন্ট থেকে ককপিটে ফায়ার সতর্কীকরণ সংকেত পান। এসময় যাত্রীদের নৈশভোজ পরিবেশন করা হচ্ছিল। এই ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড আইসিএও/বোয়িং/সিএএবি’র নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং উড়োজাহাজ পরিচালনার দিক নির্দেশানুযায়ী নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরের ‘ড. বাবা সাহেব আমবেদকা’ বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সময় রাত ১১ বেজে ২৭ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেন।
বৈমানিক নাগপুরে বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই সব যাত্রীকে ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাগপুরে অবতরণের’ সিদ্ধান্তটি ইন-ফ্লাইট অ্যানাউন্সের মাধ্যমে অবহিত করেন। ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণের পর সব যাত্রীর উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ ক্রুসহ সর্বমোট ৪০৮ জনকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাসে করে উড়োজাহাজটি থেকে আনুমানিক অর্ধ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি সময় ওই ৪০৮ জনকে বিমানবন্দর টার্মিনালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এসময় পানি এবং টয়লেট সুবিধার জন্য যাত্রীরা বার বার অনুরোধ করা সত্যেও ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির আনুষ্ঠানিকতার প্রসঙ্গ তুলে তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এতে করে বিশেষভাবে বৃদ্ধ এবং নারী যাত্রীরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পতিত হন। পরবর্তী সময়ে রাত একটায় টার্মিনালে যাত্রীদের লাউঞ্জে নেওয়ার অনুমতি দেন।
ইতোমধ্যে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলের মাধ্যমে যাত্রীদের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সেইসঙ্গে আশ্বস্ত করা হয় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের সুবিধার্থে সব বিষয়ের যাবতীয় খরচাদি বহন করবে। নাগপুর কর্তৃপক্ষ অবহিত করে যে, এই বিপুল সংখ্যক খাবার প্রস্তুতের জন্য তাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭ এর মতো এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওই বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। একারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।
যাত্রীদের দেখা-শোনা করার জন্য বিমানের দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজারকে বলা হলে তিনি সেখানে ইনডিগো এয়ারে করে ৯টা ১৫ মিনিটে নাগপুরে পৌঁছান। অনুমানিক ভোর ৩টার দিকে যাত্রীদেরকে পানি সরবরাহ করা হয়। সকাল ৭টার দিকে পানি ও চা দেওয়া হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাগপুর ক্যাটারিং-এর সীমিত সক্ষমতা থাকার কারণে নাস্তা দিতে সময় বেশি লেগেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম উড়োজাহাজের সব কার্গো ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহৃত হওয়ায় ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দুবাইতে পরিবহন করা সম্ভব নয় জানিয়ে মতামত প্রদান করে।
সেই মোতাবেক বিমান ঢাকা অপারেশন্স কন্ট্রোল উদ্ধারকারী ফ্লাইটের পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা ঢাকা থেকে বিজি১২৬ (দোহা-চট্টগ্রাম-ঢাকা) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে নামার পর সকাল সাড়ে ৯টায় এ যাত্রার সময় পরিকল্পনা করা হয়।
ভারতের প্রয়োজনীয় অনুমতিপ্রাপ্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ২৮ মিনিটে ঢাকা থেকে যাওয়া উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা বেজে ৪৯ মিনিটে নাগপুরে অবতরণ করে।
নাগপুর বিমানবন্দর রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অবগত হয়ে নাগপুরে অবতরণের পরপরই যাত্রীদের উদ্ধারের ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অপেক্ষমান যাত্রীদের বিমানে আসন গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজবহনকারী কন্টেনারগুলো উদ্ধারকারী ফ্লাইটে লোড করার নির্দেশনা দেন।
যাত্রীরা উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ করলেও নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হওয়ায় বৃহদকার উড়োজাহাজের ব্যাগেজ কন্টেনার লোড করার জন্য শুধু একটি যন্ত্র এবং অপর্যাপ্ত কন্টেনার ট্রলির কারণে কল্পনাতীত সময়ক্ষেপণের পর কন্টেনার লোডিং সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়।
পুনরায় সিএএবি কর্তৃক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি নাগপুর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে এবং নিরাপদে দুবাইতে অবতরণ করে। নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষাকালীন সময়ে যাত্রীদের দুপুরের খাবার উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে পরিবেশন করা হয়। উড্ডয়নের পর যাত্রীদের জন্য রাতের খাবারও পরিবেশিত হয়।
যাত্রীদের দুর্ভোগের সম্ভাব্য কারণ
১. ভারতের নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা সীমিত।
২. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির দীর্ঘসূত্রতার কারণে যাত্রীদের টার্মিনালে না নিয়ে বহু সময় বাসে অবস্থানের কারণে পানি এবং টয়লেটের ব্যবস্থা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হন।
৩. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানের যাত্রীদের অস্থায়ী অবতরণের অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি। ফলে বাধ্য হয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীদেরকে হোটেলে না পাঠিয়ে টার্মিনালে অপেক্ষমান রাখতে বাধ্য হয়।
৪. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৯৬ জন যাত্রীর খাদ্য প্রস্তুতে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় বেশি সময় গ্রহণ করে।
৫. ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের স্বল্পতার জন্য যাত্রীদের ব্যাগেজবাহী কন্টেনার লোডিং এ দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। ফলত, বিমানবন্দর বন্ধের পূর্বে উড্ডয়ন সম্ভব হয়নি।
৬. টার্মিনালের অভ্যন্তরে যাত্রী লাউঞ্জে বিমানের দিল্লির স্টেশন ম্যানেজার প্রবেশের পাশ ইস্যুতে নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করায় যাত্রীদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
ভারতের স্থানীয় বিধিনিষেধ এবং নাগপুর বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতার কারণে উপরোল্লিখিত উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ছিল।
স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত প্রোপাগান্ডার বিষয়ে প্রতিবাদ প্রসঙ্গে:
এয়ারক্রাফটের ভেতরে ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ থাকার পরেও নাগপুরের ওই উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে বর্তমান সরকার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বিব্রত করার জন্য একজন নারী এবং একজন পুরুষ যাত্রী ফ্লাইটের ভেতরে যাত্রী সাধারণের প্রতি উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং ভিডিও ধারণ করে স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচার করেন।
ওই দুই যাত্রী ফ্লাইটে ক্রমাগত উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করলেও অন্য যাত্রীরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তারা ধৈর্য নিয়ে ফ্লাইটে অবস্থান করে কর্মরত ক্রুদের সহযোগিতা করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ধৈর্য ধারণ এবং ফ্লাইটে ক্রুদের সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছে এবং উল্লিখিত প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সর্বোপরি নিয়ন্ত্রণবর্হিভূত পরিস্থিতির কারণে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘটিত অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
১৭ দিন আগে
ভারতে বাংলাদেশ বিমানের জরুরি অবতরণ
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের উদ্দেশে প্রায় ৪০০ আরোহী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ফ্লাইটটি। অক্ষত রয়েছেন সব যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোসরা জানান, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে বিজি-৩৪৭, বোয়িং-৭৭৭ এয়ারক্রাফট ৩৯৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে দুবাইয়ে উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় মাঝ আকাশে ক্যাপ্টেন একটি টেকনিক্যাল সিগন্যাল পান, যার ফলে কাছাকাছি ভারতের নাগপুর এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ
তিনি আরও বলেন, নাগপুর এয়ারপোর্টে সব যাত্রীকে অত্যন্ত সুচারুরূপে সবধরনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে আজ সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ নাগপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে ১২টা ৩৯ মিনিটে পৌঁছে গেছে এবং নাগপুরে অপেক্ষমান যাত্রী নিয়ে ইতিমধ্যে দুবাই রওনা দিয়েছে।
যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করছে বলে জানান বোসরা ইসলাম।
২১ দিন আগে
ঝাপসা আকাশ, শাহজালালে অবতরণ করতে পারেনি ৬ ফ্লাইট
ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ ঝাপসা ছিল। স্পষ্টভাবে রানওয়ে না দেখতে পেরে ৬টি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি বিমানবন্দরে। পরে ৩টি ফ্লাইট কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ৩টি সিলেটে গিয়ে অবতরণ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আগত কুয়েত এয়ারওয়েজের ২টি ফ্লাইট ও ওমানের মাস্কাট থেকে আগত সালাম এয়ারের ফ্লাইটটিসহ ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। এছাড়াও আরও ৩ ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করে। পরবর্তীতে সকাল ৯টার পর তারা ঢাকায় ফিরে অবতরণ করে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করে কলকাতা পাঠানো হয়েছে। এখন ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।। সকাল ১০টা থেকে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: এইচএমপিভি: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দেশনা
অনেক ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের অপেক্ষায় থাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে কিছুটা ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই, মাস্কাট, রোম, জেদ্দা ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাই, গাল্ফ এয়ারের বাহরাইন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, দোহা, শারজাহ, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, ড্রুক এয়ারের পারো থেকে আগতসহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানায়, কুয়াশার কারণে মধ্যরাত ফ্লাইট চলাচল ব্যহত হয়। এসময় অনেক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত আড়াইটা থেকে সোমবার সকাল ৯ পর্যন্ত চলে এই অবস্থা।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো অভিনেত্রী নিপুণকে
৩৮ দিন আগে
‘কক্সবাজার-সৈয়দপুরে অবতরণের সময় ঝাঁকুনির কবলে পড়ছে ফ্লাইট’
কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের অবতরণের পথে উঁচু উঁচু গাছ থাকায় অবতরণের সময় ফ্লাইটগুলো ঝাঁকুনির কবলে পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন নভোএয়ারের চিফ অব সেফটি ক্যাপ্টেন আশফাক-উর-রহমান খান।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নভোএয়ার-এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
কক্সবাজারের লং বিচ হোটেলের কোজি রেস্টুরেন্টে 'এভিয়েশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইমপ্যারেটিভস ফর এভিয়েশন সেফটি' শীর্ষক এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে এটিজেএফবির সদস্য ও এভিয়েশন খাতের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এইচএমপিভি: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দেশনা
কর্মশালায় নভোএয়ারের চিফ অব সেফটি ক্যাপ্টেন আশফাক-উর-রহমান খান বলেন, ‘এই দুই এয়ারপোর্টে ফ্লাইট অবতরণের পথে গাছের কারণে তীব্র বাতাসের সৃষ্টি হয়। এতে প্লেনে টার্বুলেন্সের (তীব্র ঝাঁকুনি) সৃষ্টি হয়। অনেকেভাবে এই ঝাঁকুনি পাইলটের কারণে হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে এটা প্রাকৃতিক কারণে হচ্ছে। এ বিষয়টি অবগত করে ইতোমধ্যে বেবিচককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রেজেন্টেশনে তিনি ফ্লাইট সেফটির সঙ্গে রানওয়ের সারফেস (পৃষ্ঠ) সমতল থাকা, উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি ফ্লাইট চলাকালীন ফ্লাইট কর্মীদের এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সম্পূর্ণ নিয়মগুলো তুলে ধরেন।
ফ্লাইট সেফটির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরের সেফটির বিষয়ে বলতে গেলে বার্ড হিট ও লেজার লাইটের বিষয় চলে আসে। বিভিন্ন সময়েই বার্ড হিটের কথা শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাউন্ড গান ব্যবহারসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকাগুলো থেকে পাখির খাওয়ার উৎসস্থল বিভিন্ন কসাইখানা, মাছ চাষ ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা থেকে পাইলটদের চোখে লেজার লাইট মারার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন দেশে এধরনের লেজারলাইট মারার ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ১ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা করতে পারে না।’
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন এটিজেএফবির সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি তানজিম আনোয়ার।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মেজবাহ-উল ইসলাম।
কর্মশালা অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো অভিনেত্রী নিপুণকে
৫৬ দিন আগে
থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে অক্টোবরে, ২০২৫ সালে ফ্লাইট শুরুর আশা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলতি বছরের অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে। আর আগামী বছরের শুরুতে থার্ড টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে বলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেবিচক জানায়, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের সময়সীমা অনুযায়ী আগামী অক্টোবরেই শেষ হবে। অক্টোবরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বেবিচক দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর আগামী বছর থেকে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক করা হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ যথাসময়ে শেষ করা নিয়ে তৈরি হয় এক ধরনের অনিশ্চয়তা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিন পর আবার থার্ড টার্মিনালের কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় থার্ড টার্মিনাল ভবনের ওপর দৃষ্টিনন্দন নকশার কাজ সবার নজর কাড়ছে। ভেতরে বাইরে ছোট-খাট বিভিন্ন ধরনের ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন করে টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান ইউএনবিকে বলেন, থার্ড টার্মিনালের কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষজনক। অবশিষ্ট কাজসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দশনা দিয়েছি।
কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্টোবরেই সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। টার্মিনাল ভবন বুঝে পাওয়ার পর আমরা ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেব।
কনসালটেন্সি ফার্ম নিপ্পন কোইয়ের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, টার্মিনালে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৬ হাজার দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৪ হাজার কর্মীর প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু এত লোকবল অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে না, তাই প্রথম কয়েক মাসে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু নাও হতে পারে। শুরুর কয়েক মাস বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আর বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০ থেকে ১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এই হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের ফিজিক্যাল পার্ট শেষ হয়ে যাবে। আর ডিসেম্বর বা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। শাহজালালের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের অধিকাংশ কাজ ম্যনুয়ালি হয়। তৃতীয় টার্মিনালে সবকিছু অনলাইনভিত্তিক হবে। এজন্য বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে
বেবিচক জানায়, ২০১৭ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।
বেবিচক সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে জায়গা রয়েছে ১ লাখ বর্গমিটারের কিছু বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে থাকছে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ভবন। একসঙ্গে ১ হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তৃতীয় টার্মিনালের মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টারের মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারও থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের ভেতরে ঢুকতে ও বের হতে সুবিধা হয়। টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এছাড়া হজযাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আরেকটি টানেল দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন: মন্ত্রী
১৯৬ দিন আগে
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-জনতাকে ধৈর্য ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান আসিফ নজরুলের
এরপর বিকাল পৌনে ৫টা থেকে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৫টা থেকে ৬ ঘণ্টার জন্য বিমানের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।’
এর আগে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভারতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ ঘোষণা
২২০ দিন আগে
ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী দুই দেশ
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার ব্যবসায়িক, বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
সোমবার (২০ মে) উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শনে বাংলাদেশের জনগণের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে বিকশিত করবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়াকে আরও গভীর ও শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এ সময় উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচ ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার তাৎপর্য ও যৌক্তিকতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের মতামতকে সমর্থন করেন।
এ বিষয়ে উজবেক এয়ারওয়েজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেক এয়ারলাইনস চালুর বিষয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো নিরসনে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন সুখরাট সাভকাতোভিচ। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করার প্রয়াসে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে উভয়ই তাদের চলমান প্রচেষ্টা ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের ডেপুটি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
২৯৭ দিন আগে
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আগস্ট মাস থেকে প্রবাসী ও শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের উন্নত যাত্রীসেবা দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হয়েছে ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস
সপ্তাহে প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাসসহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
রাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা ঢাকা-জেদ্দা রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া ও যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী সময়কে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাসকাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
১৯ এপ্রিল থেকে চেন্নাই রুটে বাড়ছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
৩১১ দিন আগে
ককপিটের কাচে ফাটল, ঢাকায় ফিরল বিমানের দাম্মামগামী ফ্লাইট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে দাম্মামগামী একটি ফ্লাইটের ককপিটের উইন্ডশিল্ডে (সামনের অংশের কাচ) ফাটল দেখা দেওয়ায় তা আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন তানিয়া রেজা।
আরও পড়ুন: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন বিমান বাংলাদেশের
শনিবার বিকেলে ওড়ার দুই ঘণ্টা পর সেটি আবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বর্তমানে মেরামতের জন্য উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে, আকাশে সেটির উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক (ফাটল) দেখা দেয়। দেখার পর ক্যাপ্টেন সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে রয়েছেন।
গককাল বিকাল পৌনে ৪টায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর সমস্যা জানা গেলে আবার ফেরত আসে। ঢাকায় পৌঁছায় রাত ৮টায়। যাত্রীদের হোটেলে রেখে রববিার সকালে অন্য ফ্লাইটে যাত্রী পাঠানো হয়।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, দাম্মামগামী বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজটিতে ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। ঢাকা থেকে ওড়ার পর ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ককপিটের কাচে ফাটলের বিষয়টি দেখতে পেয়ে কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতের আকাশসীমা থেকে আবার ঢাকার পথ ধরেন।
আরও পড়ুন: সৌদিগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট ৫ দিন স্থগিত
করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
৪১৬ দিন আগে
ঘন কুয়াশা: ঢাকাগামী দুটি ফ্লাইটের কলকাতায় অবতরণ
ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ থেকে যাত্রী নিয়ে দুটি ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে ভারতের কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার অবস্থা উন্নতি হতে শুরু করলে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো অবতরণ শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৩টি ফ্লাইটকে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত, নামতে পারেনি ১৩ ফ্লাইট
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতে দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত
৪২৪ দিন আগে