ফ্লাইট
থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে অক্টোবরে, ২০২৫ সালে ফ্লাইট শুরুর আশা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলতি বছরের অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে। আর আগামী বছরের শুরুতে থার্ড টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে বলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেবিচক জানায়, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের সময়সীমা অনুযায়ী আগামী অক্টোবরেই শেষ হবে। অক্টোবরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বেবিচক দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর আগামী বছর থেকে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক করা হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই তৃতীয় টার্মিনালের কাজ যথাসময়ে শেষ করা নিয়ে তৈরি হয় এক ধরনের অনিশ্চয়তা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিন পর আবার থার্ড টার্মিনালের কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় থার্ড টার্মিনাল ভবনের ওপর দৃষ্টিনন্দন নকশার কাজ সবার নজর কাড়ছে। ভেতরে বাইরে ছোট-খাট বিভিন্ন ধরনের ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন করে টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান ইউএনবিকে বলেন, থার্ড টার্মিনালের কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষজনক। অবশিষ্ট কাজসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দশনা দিয়েছি।
কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্টোবরেই সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। টার্মিনাল ভবন বুঝে পাওয়ার পর আমরা ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেব।
কনসালটেন্সি ফার্ম নিপ্পন কোইয়ের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, টার্মিনালে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৬ হাজার দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৪ হাজার কর্মীর প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু এত লোকবল অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে না, তাই প্রথম কয়েক মাসে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু নাও হতে পারে। শুরুর কয়েক মাস বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। আর বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০ থেকে ১৩০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এই হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর তড়িঘড়ি করে টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনালের ফিজিক্যাল পার্ট শেষ হয়ে যাবে। আর ডিসেম্বর বা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। শাহজালালের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের অধিকাংশ কাজ ম্যনুয়ালি হয়। তৃতীয় টার্মিনালে সবকিছু অনলাইনভিত্তিক হবে। এজন্য বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে
বেবিচক জানায়, ২০১৭ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।
বেবিচক সূত্র জানায়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে জায়গা রয়েছে ১ লাখ বর্গমিটারের কিছু বেশি। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে থাকছে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ভবন। একসঙ্গে ১ হাজার ৩৫০টি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তৃতীয় টার্মিনালের মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টারের মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারও থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের ভেতরে ঢুকতে ও বের হতে সুবিধা হয়। টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এছাড়া হজযাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আরেকটি টানেল দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন: মন্ত্রী
৩ মাস আগে
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-জনতাকে ধৈর্য ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান আসিফ নজরুলের
এরপর বিকাল পৌনে ৫টা থেকে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৫টা থেকে ৬ ঘণ্টার জন্য বিমানের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।’
এর আগে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভারতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ ঘোষণা
৪ মাস আগে
ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী দুই দেশ
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার ব্যবসায়িক, বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
সোমবার (২০ মে) উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শনে বাংলাদেশের জনগণের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে বিকশিত করবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়াকে আরও গভীর ও শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এ সময় উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান সুখরাট সাভকাতোভিচ ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার তাৎপর্য ও যৌক্তিকতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের মতামতকে সমর্থন করেন।
এ বিষয়ে উজবেক এয়ারওয়েজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেক এয়ারলাইনস চালুর বিষয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো নিরসনে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন সুখরাট সাভকাতোভিচ। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করার প্রয়াসে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে উভয়ই তাদের চলমান প্রচেষ্টা ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজের ডেপুটি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
৭ মাস আগে
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আগস্ট মাস থেকে প্রবাসী ও শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের উন্নত যাত্রীসেবা দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হয়েছে ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস
সপ্তাহে প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাসসহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
রাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা ঢাকা-জেদ্দা রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া ও যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী সময়কে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাসকাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
১৯ এপ্রিল থেকে চেন্নাই রুটে বাড়ছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
৭ মাস আগে
ককপিটের কাচে ফাটল, ঢাকায় ফিরল বিমানের দাম্মামগামী ফ্লাইট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে দাম্মামগামী একটি ফ্লাইটের ককপিটের উইন্ডশিল্ডে (সামনের অংশের কাচ) ফাটল দেখা দেওয়ায় তা আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন তানিয়া রেজা।
আরও পড়ুন: নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন বিমান বাংলাদেশের
শনিবার বিকেলে ওড়ার দুই ঘণ্টা পর সেটি আবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বর্তমানে মেরামতের জন্য উড়োজাহাজটি গ্রাউন্ডেড রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে, আকাশে সেটির উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক (ফাটল) দেখা দেয়। দেখার পর ক্যাপ্টেন সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে রয়েছেন।
গককাল বিকাল পৌনে ৪টায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর সমস্যা জানা গেলে আবার ফেরত আসে। ঢাকায় পৌঁছায় রাত ৮টায়। যাত্রীদের হোটেলে রেখে রববিার সকালে অন্য ফ্লাইটে যাত্রী পাঠানো হয়।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, দাম্মামগামী বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজটিতে ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। ঢাকা থেকে ওড়ার পর ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ককপিটের কাচে ফাটলের বিষয়টি দেখতে পেয়ে কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতের আকাশসীমা থেকে আবার ঢাকার পথ ধরেন।
আরও পড়ুন: সৌদিগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট ৫ দিন স্থগিত
করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
১১ মাস আগে
ঘন কুয়াশা: ঢাকাগামী দুটি ফ্লাইটের কলকাতায় অবতরণ
ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ থেকে যাত্রী নিয়ে দুটি ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে ভারতের কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার অবস্থা উন্নতি হতে শুরু করলে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো অবতরণ শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৩টি ফ্লাইটকে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত, নামতে পারেনি ১৩ ফ্লাইট
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতে দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত
১১ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় ঢাকা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত, নামতে পারেনি ১৩ ফ্লাইট
ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম ইউএনবিকে বলেন, ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৩টি ফ্লাইটকে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠিয়ে (ডাইভার্ট) দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয় এবং অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করলে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ফ্লাইটগুলো ফিরতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক-সাংবাদিকদের জন্য ঢাকা বিমানবন্দরে প্রস্তুত অভ্যর্থনা লাউঞ্জ
১১ মাস আগে
ঢাকা-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন
ঢাকা-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা-চেন্নাই রুটে বিরতিহীন ফ্লাইট চালু হলো।
এতে প্রতি শনিবার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার থাকছে তিনটি ফ্লাইটের শিডিউল।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা-চেন্নাই রুটের ফ্লাইট ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
এরপর প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীদের হাতে বোডিং তুলে দেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
এরপর ফ্লাইট বিজি ৩৬৩ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি ভারতের স্থানীয় সময় বিকাল তিনটা ২০ মিনিটে চেন্নাই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এরপর সোয়া ৪টায় বিমানটি উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবার ঢাকায় অবতরণ করবে। দক্ষিণ ভারতে এটি বিমান বাংলাদেশের প্রথম গন্তব্য।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমান নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে আকাশ পথের সেবা সম্প্রাসারণ করছে। বিজয় দিবসের দিনে নতুন একটি রুটে এই উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের মানুষের বিজয়ের দিবসের উপহার দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে যান। তাদের কথা চিন্তা করেই এই রুট বিমান নতুন ফ্লাইট উদ্বোধন করেছে। আশা করছি, বাংলাদেশ বিমান এয়ায়লাইনস এই রুটে যাত্রী সেবায় এক নম্বর হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো চলছে। আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতম হবে। বাংলাদেশিরা চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ভারতের যায়। তাদের জন্য এই রুট খুবই ব্যস্ততম রুট। বাংলাদেশ বিমান এই রুটের ফ্লাইট চালু করেছে এটা আনন্দের খবর।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
১ বছর আগে
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা
আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক।
১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ইউএস-বাংলা সপ্তাহে ৫দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
যাত্রীদের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে ১ ডিসেম্বর থেকে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ব্যাংকক অবতরণ করবে। একই দিন বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করে ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
এছাড়া সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা উড্ডয়ন করে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ব্যাংককে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করে ঢাকায় বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে।
কোম্পানিটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ওয়ানওয়ের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৩৩ হাজার ১৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাড়ায় সকল ধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জ অন্তর্ভূক্ত।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা সকল অভ্যন্তরীণ রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, চেন্নাই, মালে, গুয়াংজু, কুয়ালালামপুর, দোহা, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানবহরে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৯টি এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ২০টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে দু’টি ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০ যুক্ত করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিনিধিদলের বৈঠক
১ বছর আগে
বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও সম্পর্ক জোরদার করবে: বিসিসিআইজে সভাপতি
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপান (বিসিসিআইজে)- এর সভাপতি বাদল চাকলাদার জানিয়েছেন, জাপানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুর ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ও সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে টোকিওর একটি রেস্টুরেন্টে বিসিসিআইজে-এর আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বিসিসিআইজে সভাপতি।
এসময় বিসিসিআইজে সভাপতি সরাসরি ফ্লাইট চালু করায় বাংলাদেশ সরকার ও বিমানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ১৭ বছরে আগের মত যেন ফ্লাইট আবারও বন্ধ না হয়। আমরা সব সময় চাই জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। কিন্তু সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে অনেক বিনিয়োগকারী আগ্রহী হতেন না। মালামাল পরিবহনেও খরচ বেশি হয়। আমরা এখন চাইবো এই ফ্লাইট আর যেন বন্ধ না হয়।
তিনি আরও বলেন, জাপানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিমানের সেবার মানও আরও বাড়াতে হবে। তাহলে দেশি- বিদেশি যাত্রীরা বিমানকেই পছন্দ করে নিবে।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
উপস্থিত জাপানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী হন না। বাংলাদেশিদেরও জাপান থেকে দেশে যেতে দীর্ঘ সময় লাগতো। এখন সরাসরি চালু হওয়ায় দু’দেশের জন্য সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ হবে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের লাশ বিনা খরচে দেশে নিতেও আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানান ব্যবসীয়া।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ফলে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপানের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও অনেক বাড়বে। ১৭ বছরে জাপানের টোকিওতে ফ্লাইট চালু করল বিমান। এতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও সহজ হবে। জাপানে ফ্লাইট চালু রাখা বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, জাপান ফ্লাইট চালুর ফলে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ।
জাপানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান একটি উন্নত দেশ। আপনারাও যদি তাদের মতো কাজ করেন, তাহলে অনেকদূর এগিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে জাপানি পর্যটকদের আসার জন্য প্রবাসীদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
বিমান সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, দীর্ঘদিন পরে ফ্লাইট শুরু করতে পেরেছি। তাই জাপান রুট সফল করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেবে না।
বিমানের এমডি বলেন, প্রবাসীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সহয়তা করুন, বিমানে ভ্রমণ করুন। বিমানের প্রমোট করুন। বিমান আপনাদেরই সম্পত্তি।
বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল বলেন, জাপানে ফ্লাইট জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। উনার ইচ্ছার ফলে ফ্লাইটটি আবার চালু করা গেছে। এর পিছনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং জাপানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত অনেক পরিশ্রম করেছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য।
শুক্রবার রাতে ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৪৩ যাত্রী নিয়ে ৬ ঘণ্টায় জাপানে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
পরদিন শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উদ্বোধনী এই ফ্লাইটে বাংলাদেশি ছাড়াও নেপাল থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা হয়ে জাপানে গেছেন।
নারিতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটটিকে ‘ওয়াটার ক্যানন’ স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ফ্লাইটের যাত্রীদেরও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
১ বছর আগে