এনইসি
১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
মূল এডিপির ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আরও কিছু খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া আরএডিপি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার আকার থেকে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত আরএডিপির মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে। আর বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮টি। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩৬টি সম্ভাব্যতা যাচাই, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৫টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্প ৯২টি।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেছেন, চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নে স্বল্প তহবিল ও কম সময় লাগবে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার আলোকে বৈঠকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে স্বাভাবিক বিলম্বের প্রবণতা রোধে সম্ভাব্যতা যাচাই পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো খাতে বরাদ্দ ও বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
'স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত এবং এটি এখন রয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখন সুষ্ঠুভাবে চলছে।
এডিপির আকার কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, এডিপি সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে বর্তমান ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর আরএডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রায় ৩৩০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপি অনুযায়ী, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা (১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ), আবাসন ও কমিউনিটি সুবিধা খাতে ২৮ হাজার ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৯ হাজার ৯৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা (৮ দশমিক ১৫ শতাংশ), শিক্ষা খাতে ১৭ হাজার ২২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ) বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ১২ হাজার ৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ), কৃষিতে ১০ হাজার ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ২১ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা ৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি খাতে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ১২ লাখ (১ দশমিক ৪৮ শতাংশ) টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ ২৭ হাজার ১২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা (৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৪১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা (৩ দশমিক ৮১ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
৮ মাস আগে
২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আগামী অর্থবছরের (২০২৪ অর্থবছর) জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে। এতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা (বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৮৮শতাংশ) বরাদ্দ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মূল এডিপি বরাদ্দের মধ্যে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে এবং ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হবে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ১১ হাজার ৬৭৪ দশমিক ০২ কোটি টাকা (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা থেকে) বরাদ্দ বিবেচনা করে সামগ্রিক এডিপি আকার দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ দশমিক ০২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৩০৯টি যার মধ্যে এক হাজার ১১৮টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২২টি জরিপ প্রকল্প, ৮০টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের ৮৯টি প্রকল্প রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে (অর্থবছর) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক ০৩ শতাংশে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যার ব্যয় হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৪ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় টাকায় হিসাব করলে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব দিক দিয়ে দেশের আত্মসম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলেছেন।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলাসবহুল মানসিকতা পরিহার করে সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে এবং কঠোরতা বজায় রাখতেও বলেছেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, আমরা খরচ করব কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে খরচ করতে হবে।
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর এড়াতে নিরুৎসাহিত করেছেন, বিকল্প রপ্তানি বাজার অন্বেষণ করেছেন যেহেতু বছরের পর বছর উৎপাদন এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের পরিমাণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এডিপির আকার বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদেশি ঋণ সমর্থিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আরও প্রকল্প নিয়ে আসার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাধারণভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কঠোরতা অনুসরণে ব্যয় করতে হবে… প্রতিটি পয়সা যেখানে প্রয়োজন সেখানে নিয়ম-কানুন এবং মানুষের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করা উচিত।’
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার জনগণকে সন্তুষ্ট করার প্রকল্প গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে মান্নান ও আলম উভয়েই বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব... আমরা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।’
তিনি বলেন, এডিপি বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করতে আগামী বছরেও তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরে বিশ্বব্যাংককে বলেছিলেন যে বাংলাদেশ যদি আরও ঋণ দেয় তাহলে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, এখন থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক সাহায্যের পরিবর্তে সরাসরি প্রকল্প ঋণ বা সরাসরি প্রকল্প অনুদান শব্দটি ব্যবহার করবেন।
তিনি জানান যে এনইসি এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে করা বিনিয়োগের প্রতিফলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং এডিপি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মন্ত্রণালয় আরও প্রকল্প নিয়ে আসতে পারে।
সর্বোচ্চ ১০টি খাতভিত্তিক বরাদ্দ বিবেচনা করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা (১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ) এবং তারপরে শিক্ষা খাতে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা (১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবাসন সম্প্রদায় সুবিধা ২৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা (১০ দশমিক ২৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা (সাত দশমিক ১৮), স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ উন্নয়ন ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা (ছয় দশমিক ১৬ শতাংশ), কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা (চার দশমিক ০৭ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ আট হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা (তিন দশমিক ৪২ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা পাঁচ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা (দুই দশমিক ০৪ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে পাঁচ হাজার ৩২১ কোটি টাকা(দুই দশমিক ০২)।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
২০২৪ অর্থবছরের নতুন এডিপি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০টি বরাদ্দ গ্রহীতা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ যার ৪০ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ, ৩৩ হাজার ৭৭৫কোটি টাকা। (১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা (পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ১৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৮ কোটি টাকা (চার দশমিক ৫৭ শতাংশ), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা (তিন দশমিক ৬০ শতাংশ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা (চার দশমিক ৯৪ শতাংশ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ১২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা(চার দশমিক ৬৪ শতাংশ), এবং সেতু বিভাগ ৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা(তিন দশমিক ৪৫ শতাংশ)।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত ১০টি প্রকল্প হলো- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি ৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে এবং তার পরে মাতারবাড়ি ২*৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প ৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা, প্রথম সংশোধিত চতুর্থ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি-৪) আট হাজার ৫৮৬ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ পাঁচ হাজার ৮৭০ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, প্রথম পর্যায় পাঁচ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, ভৌত সম্ভাব্যতা উন্নয়ন (পিএডি) চার হাজার ৬৯৬ কোটি টাকায়, প্রথম সংশোধিত, তিন হাজার ৯১১ কোটি টাকায় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প তিন হাজার ৩৭৭ কোটি টাকায় এবং দ্বিতীয় সংশোধিত ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) তিন হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
১ বছর আগে
একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ঢাকায় ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খাল সংস্কারসহ ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কালুনগর, জিরানী, মান্দা ও শ্যামনগর-এর প্রায় ২০ কিলোমিটার চারটি খাল পুনরুদ্ধার করা হবে জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়নে।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কমিটি পাঁচটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সংশোধিত প্রকল্পসহ ছয়টি প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় প্রায় সাত হাজার ১৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চার হাজার ৩৬২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে ২৬৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ হিসাবে দুই হাজার ৩৮৬ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা বহিরাগত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
একনেক ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করেছে, যার ব্যয় ১০ হাজার ৪৬০ দশমিক ৯১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৫০০ দশমিক ২১ কোটি টাকা হয়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৮৯৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খালের ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পুনরুদ্ধার বা সংস্কারের জন্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ‘খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’- শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এর মধ্যে ৬২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেবে ডিএসসিসি।
প্রকল্পের আওতায় মান্ডা খালের আট দশমিক ৯ কিলোমিটার (দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ বর্গমিটার), শ্যামনগর খালের চার দশমিক ৭৮ কিলোমিটার (৫৭ হাজার ৩৬০ বর্গমিটার), জিরানী খালের তিন দশমিক ৯ কিলোমিটার (৭৮ হাজার বর্গমিটার) এবং কালুনগর খালের দুই দশমিক চার কিলোমিটার (২৮ দশমিক ৮০ বর্গমিটার) খাল পুনরুদ্ধার বা সংস্কার করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- খাল পরিষ্কার করা, পলি অপসারণ, ঢাল সুরক্ষা ও নিষ্কাশন কাঠামো নির্মাণ, ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা সবুজায়ন।
এছাড়া প্রকল্পের অধীনে নাগরিক সুবিধার জন্য ৩৮ দশমিক ছয় কিলোমিটার চোখ ধাঁধানো সুরক্ষা দেয়াল, ৩৬টি পথচারী সেতু, গাড়ি চলাচলের জন্য ১৯টি সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ, চারটি প্লাজা ও সাইকেল লেন স্থাপন করা হবে এবং নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ৭৭১টি বাতি স্থাপন করা হবে।
অন্য চারটি প্রকল্প হলো- ৫৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সীমান্ত হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ (চট্টগ্রামের সল্টগোলায়); ১২২ দশমিক তিন কোটি টাকায় ‘ইন্টারডাকশন অব ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)’ (মুন্সিগঞ্জের কেরানীগঞ্জ ও শ্রীনগর উপজেলায়) দ্বারা বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক করিডোরগুলিতে নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তার উন্নতি করা; ৩৪৭ দশমিক চার কোটি টাকায় ‘ঘোনাপাড়া থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার পর্যন্ত রাস্তাটি (শেখ লুৎফর রহমান সেতুর অ্যাপ্রোচসহ) যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণ’; এবং ৫৫২ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদীর তীর রক্ষা।
আরও পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
২ বছর আগে
২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) বুধবার চলতি অর্থবছরের জন্য দুই লাখ সাত হাজার ৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন করেছে। মূল এডিপির দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এই অনুদান ঘোষণা করা হয়।
এনইসি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সচিবসহ অন্যান্য এনইসি সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
এনইসি সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘এনইসি মূল এডিপির আকার ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা কমিয়ে অনুমোদন করেছে।’
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন পেলো ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন করণ’ শীর্ষক প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এনইসি সম্মেলন কক্ষের বৈঠকে অংশ নেন।
অনুমোদিত এই প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং যান-যন্ত্রপাতিসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্রতত্র বর্জ্যবাহী গাড়ির পার্কিং রোধ করতে একটি আধুনিক পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করে যানজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক ম্যাকানাইজড পার্কিং গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে। ফলে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলোর সড়কের যত্রতত্র পার্কিং রোধ করা এবং মেরামতসহ পার্কিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই গ্যারেজে ৫০০ গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও পার্কিং করার সুযোগ থাকবে। এতে যানজট কমার পাশাপাশি বর্জ্যবাহী গাড়ির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকল্পের গ্যারেজ নির্মাণ অনুষঙ্গে গ্যারেজের সীমানা প্রাচীর, কার ওয়াশ রুম, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার পার্কিং ফ্লোর ডেভেলপমেন্ট ও পার্কিং শেড নির্মাণ, মটর গ্যারেজের ইলেকট্রিফিকেশন, শেড লাইটিং, টয়লেট ফ্যাসিলিটিস, আন্ডারগ্রাউন্ড রিজারভার, নামাজের ঘর ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, অফিস বিল্ডিং, সাব-স্টেশন, ইন-আউট গেইট, গভীর নলকূপ ও ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ, ফ্যাসিলিটিজ এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, অফিস ব্লক সংলগ্ন এরিয়ার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন ইত্যাদি উপাদান থাকবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত যান যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ, সড়ক মেরামত ও উচ্ছেদ কার্যক্রমে ব্যবহৃত আধুনিক ভারী যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।
এই অনুষঙ্গে ২০টি হাইড্রোলিক ল্যাডার, পাঁচটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (সর্ট বুম), একটি এক্সাভেটর চেইন মাউন্টেড (লং বুম), পাঁচটি চেইন ডোজার, পাঁচটি বেকহো লোডার, ১০টি চাকার রোড রোলার (১০ টন), পাঁচটি তিন চাকার রোড রোলার (৮ টন),তিনটি জীপ, পাঁচটি ডাবল কেবিন পিকআপ, চারটি পুলিশবাহী প্রটেকশন ট্রাক, পাঁচটি ম্যাজিষ্ট্রেটবাহী মাইক্রোবাস, পাঁচটি পে লোডার, তিনটি টায়ার ডোজার, একটি লো-বেড ট্রেইলর, দুটি হুইল মাউন্টেড স্কেভেটর, ১০টি তিন হাজার লিটার সক্ষমতার পানির গাড়ি ক্রয় করা হবে।
এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান যথা- ঈদ-উল আযহা, ঈদ-উল ফিতর, ১লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৫ই অগাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বৈদেশিক বিভিন্ন ভিআইপি ও সাধারণ ব্যক্তিদের মোবাইল টয়লেট সেবা নিশ্চিত করতে প্রকল্পের আওতায় ১০টি মোবাইল টয়লেট ক্রয় করা হবে।
মোট ৩৩৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২১ সাল থেকে জুন ২০২৪ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা সরকারি অর্থায়নে এবং ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
২ বছর আগে
সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকারি কর্মচারীদের কঠোর শাস্তির পেতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা বিভিন্ন সুযোগ -সুবিধা দিচ্ছি, আমরা কোনো দুর্নীতি সহ্য করব না।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক সভায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার একটি দক্ষ, সেবা-ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এটা অনেক বেশি কার্যকর হবে। কারণ আমরা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতিকে একটি রোগ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর জোর দেন। তিনি সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যখনই আপনারা কাউকে দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দেখবেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিবেন। যে কোনো ভালো কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কার আছে। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
করোনা ভাইরাসের টিকা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে টিকা উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া, আমরা যতটুকু টিকা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ধান সংরক্ষণে ৩০টি আধুনিক সাইলো নির্মাণ করবে সরকার
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মঙ্গলবার ধান সংরক্ষণের জন্য ৩০টি আধুনিক সাইলো নির্মাণে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকাসহ প্রায় ৬ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এর বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকে মোট ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে মধ্যে ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা সরকার দেবে, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৯৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ থেকে আসবে ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সাইলো প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০টি ইস্পাত সাইলো নির্মিত হবে এবং পরে এর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫ হাজার মেট্রিক টন আধুনিক সাইলোতে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সুবিধা থাকবে।
আরও পড়ুন: ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দেড় লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজন, কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রাখা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৪টি জেলার অন্তর্গত ৩০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
যেসব উপজেলা বা পৌর এলাকায় প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে সেগুলো হলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, ফরিদপুর সদর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট জামালপুরের মেলান্দহ, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নোয়াখালী সদর, কুমিল্লা সদর, দিনাজপুর সদর, বিরল, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড়ের বোদা, লালমনিরহাটের হাতিবান্দা, নওগার শিবপুর, রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রাম, জয়পুরহাচের ক্ষেতলাল, সিলেটের কানাইঘাট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া, ভোলার চরফ্যাশন।
মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনায় এই জাতীয় আধুনিক সাইলো নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু এসব জায়গায় প্রচুর ধান হয়।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো
বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষীপাশা-দুমকি সড়কে পান্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ, মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, চিলামারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ, বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
আরও পড়ুন: তিস্তা সেচ এলাকায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
এছাড়াও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ কাজ প্রকল্প এবং ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ, বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পও একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
৩ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খিচুড়ির ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্প বাতিল
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ হিসাবে ‘খিচুড়ি’ বা অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকার প্রকল্প বাতিল করেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার কাঠামো (মোডাস অপারেন্ডি) নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়নি। স্কুলগুলোতে খিচুড়ি রান্না করা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রায় ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন পাঁচ হাজার চার কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ ২৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: খিচুড়ি নিয়ে সংবাদ বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের কাজ: প্রতিমন্ত্রী
নয়টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
মধ্যাহ্নভোজ প্রকল্প সম্পর্কে মান্নান বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের আর জন্য উস্থাপন করা হবে না, তবে মধ্যাহ্নভোজী নতুন প্রকল্পগুলো বিভিন্ন ফরমেটে আসতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজন ব্যবস্থা সমর্থন করেন, তবে তিনি এ জাতীয় প্রকল্পের নকশার জন্য আরও স্টাডির জন্য বলেছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মধ্যাহ্নভোজ প্রকল্পটি প্রণয়ন করে।
৩ বছর আগে
১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের জন্য ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
৩ বছর আগে
সবার জন্য ভ্যাকসিন, খাদ্য, বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, এই কোভিড-১৯ মহামারিতে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকার মানুষের জন্য খাদ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত করা প্রাধান্য দিচ্ছে।
৩ বছর আগে