নির্বাচনের রোডম্যাপ
আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।’
সচিব জানান, নির্বাচনী রোডম্যাপে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, বিদ্যমান নির্বাচন সংক্রান্ত আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়রেখাসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে কমিশন।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে রোডম্যাপ প্রকাশের রেওয়াজ চলে এসেছে। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রোডম্যাপ দিয়েছিল তৎকালীন ইসি। বর্তমান ইসিও এ ধরাবাহিকতা বজায় রাখছে।
পড়ুন: ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, দল নিবন্ধন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সরঞ্জাম কেনাকাটা, দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, আইন শৃঙ্খলা সভা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাসহ তফসিলের আগে-পরে প্রস্তুতির ফর্দ থাকবে এ রোডম্যাপে।
বর্তমান ইসি ২০২৪ সালের নভেম্বরে যোগ দেওয়ার পর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে ধরে একটা প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছিল। এবার ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাব্য সময়ীমানা নির্ধারণ হওয়ার পর নতুন সময় ধরে কর্মপরিকল্পনাটির পরিমার্জন চলছে।
কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ১৮ অগাস্টে এ নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর তা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ হতে পারে।
১১২ দিন আগে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং সংস্কার সম্পন্ন করার দাবিগুলো আবারও উত্থাপন করলেও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আশ্বাস পায়নি বিএনপি।
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, বিচার (ফ্যাসিস্টদের) এবং নির্বাচন – এই তিনটি বিষয়ই বৈঠকে আলোচনায় এসেছে। আমরা বলেছি, এগুলো একে অপরের পরিপূরক নয়।’
নির্দিষ্ট সময়সীমার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি… কিন্তু তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) এ বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট বলেননি।’আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
তবে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।’
বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে একটি চার সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকটি সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় শুরু হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
১৯৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আলোচনায় তিনটি বিষয়—সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচারিক কার্যক্রম ও নির্বাচন—বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আর কোনো পথ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই।’
বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কীভাবে ও কত দ্রুত আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই।’আরও পড়ুন:রাজনৈতিক উত্তেজনা: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল
তিনি জানান, দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ধরে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তারা এখন ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের সুযোগ চায়।
অন্যদিকে, ড. মঈন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরই এখন একমাত্র সমাধান। ১৫ বছরের স্বৈরতন্ত্র থেকে ৫ আগস্ট মুক্তির পর জনগণ নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই রূপান্তর থেমে গেলে গণতন্ত্রও থেমে যাবে।’
সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৪ দিন আগে
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি, অন্তর্বর্তী সরকারকে অসহযোগিতার হুঁশিয়ারি
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে বিএনপি। কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বিএনপি।
নিরপেক্ষতা ও সুনামের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে যেসব উপদেষ্টা ‘বিতর্কিত’—তাদের অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা—যাতে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই, আমরা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ অবিলম্বে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
মোশাররফ বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত— জনগণের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা, যা একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। অন্যথায়, জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের উপদেষ্টার ভূমিকায় রাখা সরকারের ভাবমূর্তি ও জনসাধারণের আস্থা উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, ‘সবাই জানেন ও বোঝেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় পরিচয়কে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের
ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বুধবারের মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য, তাকেও তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আমরা অতীতে বহুবার ফ্যাসিবাদের সহযোগী কিছু উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তুলেছি।’
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬ দিন আগে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় বিএনপি একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের কারণগুলো তাকে জানিয়েছি। প্রধান যে বিষয়টি ছিল, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ—যেটা আমরা বেশকিছুকাল থেকেই বলে এসেছি—সে বিষয়ে তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
‘বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি, এখানে একটি অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। একইসঙ্গে চলমান যে সংস্কার কমিশনগুলো, সেগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি,’ বলেন তিনি।
‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন দেনটি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চান।’
আপনারা তাতে সন্তুষ্ট কিনা; জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বলেও জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে সংস্কার নিয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি। আগামীকাল এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক আছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, যে বিষয়গুলোতে সব দলের ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে আমরা চার্টার করতে রাজি আছে।’
‘তার পরে সেটির ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি সংস্কার, যেগুলোতে ঐকমত্য হবে—সেটা অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা নির্বাচনে হয়ে ক্ষমতায় আসবেন—তারা বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নেবে।’
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন, দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
২৩২ দিন আগে