ভূমধ্যসাগর
ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লিবিয়া থেকে বিমানযোগে লাশগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী, কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজী সজীব, কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, ফতেহপট্টি গ্রামের রাসেল ও গয়লাকান্দি গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
এ ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের অভিযোগ, ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন শরিফুল হাসান।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে নৌকায় করে একটি অভিবাসী দল ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়।
নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন।
বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক ছিলেন।
ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ছিলেন। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলা দায়ের করার দুই দিন পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। সজলের পূর্বপরিচিত যুবরাজ কাজী ও লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সজলের কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় দুবাই রওনা হন তিনি।
এরপর ৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে আসেন সজলের বাবা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।
পরে গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সজল একজন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ জনের একটি চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করে থাকে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২৫০০ অভিবাসনপ্রতাশী নিহত বা নিখোঁজ
৭ মাস আগে
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
১০ মাস আগে
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২৫০০ অভিবাসনপ্রতাশী নিহত বা নিখোঁজ
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করার সময় ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষের মধ্যে ৮৩ শতাংশ, যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ইতালিতে অনুপ্রবেশ করেছে।
তিনি বলেছেন, এ ছাড়া গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টাসহ আরও কিছু দেশেও লোকেরা অনুপ্রবেশ করেছে।
রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, বিপজ্জনক সমুদ্র পারাপারে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।’
২০২২ সালের একই সময়ে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।
মেনিকদিওয়েলা আরও বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা অভিবাসপ্রত্যাশী মানুষদের সমুদ্রে বা স্থল পথে ইউরোপে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সমান বিপজ্জনক বলে মনে করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি কাউন্সিলকে ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার জন্য অভিবাসনপ্রতাশীরা সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তিউনিসিয়ান ও লিবিয়ান উপকূলে পৌঁছান।
এই স্থল যাত্রাকে তিনি ‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক’ যাত্রা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, স্থলপথে জনশূন্য প্রান্তরেও বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তার মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও উদ্বাস্তুরা ‘প্রতি পদে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা গত বছরের তুলনায় ২৬০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ ছাড়া ইউএনএইচসিআর-এর উত্থাপিত পরিসংখ্যানগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন অফিসের (আইওএম) পরিচালক পার লিলজার্টের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
লিলজার্ট নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আইওএম এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে এ সময়ের মধ্যে আইওএম ২ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথে।
তিনি বলেন, এত বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও ২০২৩ সালে এই রুট ধরে গ্রিসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমনের সংখ্যা ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে, স্পেনে এ সংখ্যা স্থির রয়েছে।
আইওএম জানায়, ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বেড়েছে।
২০২৩ সালে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছে। যেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
১ বছর আগে
লিবিয়ায় নৌকাডুবি: ৩৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
লিবিয়ার উপকূলে একটি অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুক্রবার পশ্চিম লিবিয়ার শহর সাবরাথার কাছে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এটি প্রধানত আফ্রিকান অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রার প্রধান লঞ্চিং পয়েন্ট।
আইওএম জানিয়েছে,ছয় অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২৯ জন নিখোঁজ বা মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নৌকাডুবির কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধ করতে অনুসন্ধান, উদ্ধার ক্ষমতা এবং নিরাপদ অবতরণ ব্যবস্থা খুবই জরুরি।
আইওএম অনুসারে,গত সপ্তাহেই উত্তর আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে ইউরোপে যাওয়ার পথে অন্তত ৫৩ জন অভিবাসী মারা গেছে বা মৃত বলে ধারণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ঘানায় নৌকাডুবিতে অন্তত ৭ জন নিহত
২ বছর আগে
দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি
ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের বিমান যোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানি সহায়তা করা হয়। ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরিয়তপুরের সাত জন, মাদারীপু্রের ছয় জন, গোপালগঞ্জের চারজন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুরের দুই জন, কিশোরগঞ্জের দুই জন, সিলেটের দুই জন, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার এক জন করে রয়েছেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ সাত বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে ৪০ অভিবাসীর মৃত্যুর শঙ্কা জাতিসংঘের
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এখন এতোটাই বেড়েছে যে বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সাথে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করে।
৩ বছর আগে
দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন।তাদেরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১.১৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।মানব পাচারের শিকার এই ভুক্তভোগীদের ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের জন্য বর্তমানে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের তত্বাবধানে আছেন। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় তাদের খাবার-পানিসহ জরুরি সব সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তে আটক ১৫ জন বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেনদেশে ফেরা ১৩ কর্মীর মধ্যে শরিয়তপুরের ৯, মাদারীপুর ২, চাঁদপুরের ১ ও কুমিল্লা জেলার একজন রয়েছেন।এরা হলেন, শরিয়তপুরের মোশাররফ খান, সাগর চন্দ্র বর্মন, সামিম খা, রমজান সুয়েল, নাজমুল ফকির, মো. শাকিল হোসেন, সিপন হাওলাদার, সালাম হাওলাদার ও অনিক বেপারী।মাদারীপুরের রাশেদুল ইসলাম ও শাকিল লসকর। চাঁদপুরের আবুল হোসেন এবং কুমিল্লার মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুনঃ লিবিয়ায় আটকা পড়া ১৪১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেনভুক্তভোগীরা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া তারপর তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সকলেই তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।এর আগে গত ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ জন বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইটালি পাড়ি জমানোর সময়ে অভিবাসীবাহী এক নৌকা তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেছে। নৌকা ডুবির ফলে, বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ৮৪ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিবাসীদের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী ২৫ হাজার অভিবাসীকে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন বাইডেন
তিউনিসিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রধান মঙ্গী স্লিম বার্তা সংস্থা এপিকে জানায়, শুক্রবার লিবিয়ার উপকূলীয় শহর জুয়ারা থেকে ইটালির উদ্দেশ্যে ১২৭ জন অভিবাসীকে নিয়ে যাত্রা করে ওই নৌকাটি। তার মতে, নিখোঁজ অভিবাসীদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি, ৪৬ জন সুদানি এবং ১৬ জন ইরিত্রিয়ার নাগরিক।
ভ্যমধ্যাসগার পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া হয়ে উঠেছে অন্যতম ডিপার্চার স্থান। সম্প্রতি আবহাওয়া ভাল থাকায় এই রুটে অভিবাসীদের যাতাযাত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রশংসায় সৌদি কর্তৃপক্ষ
এর আগে গত সপ্তাহে দেশটির কোস্ট গার্ড দেশটির এক দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে সাতজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তাদের অভিবাসীদের জন্য প্রস্তুতকৃত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
৩ বছর আগে
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৭৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
লিবিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার অন্তত ৭৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম।
৪ বছর আগে
ভূমধ্যসাগরে ৪০ অভিবাসীর মৃত্যুর শঙ্কা জাতিসংঘের
কায়রো, ২৮ আগস্ট (এপি/ইউএনবি)- ভাগ্য বদলাতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে অন্তত ৪০জন অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
৫ বছর আগে