ডিএমপি
নির্বাচনের আগে ব্যস্ত সড়কে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশ না করার আহ্বান ডিএমপির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জনদুর্ভোগ এড়াতে ব্যস্ত সড়কগুলোতে সমাবেশ না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়ক অবরোধের ফলে প্রায়শই গর্ভবতী নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়।
পড়ুন: ডিএমপিকে পেশাদার ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে: আইজিপি
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য ঢাকায় ৯১টি স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মতিঝিল বিভাগে ১৫টি, তেজগাঁও বিভাগে ১২টি, লালবাগে ১৭টি, ওয়ারীতে ১৪টি, গুলশানে ৮টি, মিরপুরে ১১টি, উত্তরায় ১০টি এবং রমনা বিভাগে চারটি স্থান রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনের জন্য ডিএমপির প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
বৈঠকে রাজনৈতিক নেতারা যানজট, মাদকের অপব্যবহার এবং কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ নগর সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা নির্বাচনের আগে যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা শহরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
১০৩ দিন আগে
ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আ.লীগের সভাপতি
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপুকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে শফিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ তিনটি মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে।
তাকে আজ (সোমবার) সকালে আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী মসিউর রহমানকে পরাজিত করেন। তবে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: সাভারে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে খুন, দায়ীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ
এরপর ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শফিকুল ইসলামকে জেলা সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ জানান, শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা আছে।আজ (সোমবার) সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমদধ্যে পুলিশের একটি দল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
১০৯ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ধানমণ্ডি থানায় রুজু করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আজিজুর রহমানকে ১৬ আগস্ট আদালতে পাঠানো হয়।
রবিবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা পুলিশের নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আজিজুর রহমানকে যে মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে, সেটি পেনাল কোড অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা, কোনো হত্যা মামলা নয়। অথচ অনেকেই বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
এ বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
১০৯ দিন আগে
‘চোরাই তারের’ ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে খুন হন সোহাগ: ডিএমপি
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতসহ এখন পর্যন্ত মোট ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলেও ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন মাহবুব ও মহিনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে এ মামলার মোট ৯ জন আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এই মামলায় সবশেষ গতরাতে পটুয়াখালী থেকে এক যুবক গ্রেপ্তার হন। সে সময় এমনকি আজ (বুধবার) সকালেও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান এখনো চলমান থাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তবে ওই ব্যক্তিই যে সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী, সকালে ডিএমপির এক সূত্র তা ইউএনবিকে নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সোহাগ হত্যাকাণ্ড: এবার সেই পাথর নিক্ষেপকারী গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সোহাগকে পাথর ছুঁড়ে আঘাতকারী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তখন তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরবর্তীতে পুলিশের বিশেষ টিমের সহায়তায় তাকে শনাক্ত করে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
শেখ সাজ্জাত আলী জানান, ওই ব্যক্তির নাম রেজওয়ান উদ্দিন অভি। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন বসু ও মায়ের নাম বিউটি দেব মিলা। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকতেই পারে। যেকোনো নাগরিক কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা নেতা হতেই পারেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।’
এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অত্যন্ত নারকীয়’ আখ্যা দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এতে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রচ্ছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই অ্যালুমিনিয়ামের তারের ব্যবসা করতেন। বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা চোরাই তার বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিল বিক্রি করা হয়ে থাকে। গত ১৭ বছর ধরে সোহাগ এই কাজ করে আসছিলেন। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি ভোল পাল্টে এদিকে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এরই মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়। তারা একই এলাকার ও পূর্বপরিচিত ছিলেন। ফলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই সোহাগ খুন হন।’
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
আরও একটি প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। পুলিশ তদন্তে এরকম কিছু পায়নি। এটি ছিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে।’
গত ৯ জুলাই বিকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নির্মমভাবে খুন হন ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে তাকে কংক্রিটের বড় বোল্ডার দিয়ে মাথা ও শরীরে বারবার আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঘটনার পরদিন সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। পাশাপাশি নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই তদন্ত জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে একের পর এক আসামি ধরা পড়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৪১ দিন আগে
কাল থেকে আবারও হাইকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে আবারও প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ হাইকোর্ট এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে, গত ১৪ জুন থেকে এই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
রবিবার (১৩ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সম্মুখে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের বদলে লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন: আলী রীয়াজ
এতে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ জুন হাইকোর্ট এলাকায় এবং ২৬ মে সচিবালয় ও যমুনা-সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
১৪৪ দিন আগে
সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে রবিবার (২২ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
এরপর সেদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে এ কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার (২৩ জুন) তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
১৬২ দিন আগে
ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ডিএমপির
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের মারধরের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তাদের দাবি, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
শনিবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। এতে বলা হয়, ‘ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের একাংশের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নতুনবাজার মোড়ে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কর্মসূচির শুরুতে কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আলোচনা করেন এবং জনগণের চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি না করে রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।’
‘বারবার অনুরোধ করার পরেও জনগণের চলাচলের রাস্তা না ছাড়ায় জনগণের ভোগান্তি কমাতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং পুলিশ আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।’
ডিএমপি জানিয়েছে, ‘পরবর্তীতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুনরায় রাস্তা দখল করে আন্দোলন শুরু করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
‘পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে এবং কোনোরূপ বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও, কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
এমন পরিস্থিতিতে, ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি। বাড্ডা-কুড়িল রোডের এক পাশে যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এদিকে ঢাকার ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) একদল শিক্ষার্থী। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করেন।
সড়ক অবরোধ থেকে শিক্ষার্থীদের সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৬ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়।’
তারা বলেন, পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।
১৬৬ দিন আগে
শনিবার থেকে হাইকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
আগামী শনিবার (১৪ জুন) থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ হাইকোর্ট এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় আগামী শনিবার (১৪ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সম্মুখে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এতে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ মে সচিবালয় ও যমুনা-সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ-জমায়েতে নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
১৭৫ দিন আগে
সচিবালয়ে আজ কোনো দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন না
অনিবার্য কারণে মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ফলে আজ দর্শনার্থীদের সচিবালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেওয়াই উত্তম। এ ছাড়া সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (২৬ মে) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এদিকে, সচিবালয় ও যমুনা সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি।
গতকাল (সোমবার) রাতেই এক নির্দেশনা জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ১০ মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনও ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
আরও পড়ুন: সচিবালয়সহ সারা দেশে মঙ্গলবার বিক্ষোভের ডাক
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সচিবালয় আবারও বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে গতকালই এক ঘোষণায় জানিয়েছিল বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। পাশাপাশ একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে—এমন বিধান রেখে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। রবিবার (২৫ মে) অধ্যাদেশটি জারির পর সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে আইন উপদেষ্টার গতকাল দুপুর ২টায় বৈঠক করার কথা থাকলে তা হয়নি। সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা সেদিন জাননি বলে জানা যায়।
১৯২ দিন আগে
অটোরিকশা চলাচল বন্ধে শিগগিরই অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যৌথ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনগুলো বন্ধ করতে শিগগিরই এ অভিযান শুরু করা হবে বলে তথ্য দেন তিনি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। ডিএমপি ইতোমধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে। শিগগিরই রাতে অভিযান করে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢোকার অনুমতি না দিতে বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ ডিএনসিসি প্রশাসক। তিনি বলেন, আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনায় তৈরি করা হয়েছে, তার বাইরে অন্যকিছু প্রবেশ করতে দেবেন না। আবাসিক এলাকায় কোনো বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় না চড়তে ডিএনসিসি প্রশাসকের আহ্বান
এ সময় জলাধার রয়েছে এমন কোনো প্লট হাউজিং কোম্পানিগুলোর থেকে না কেনার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করেন তিনি। এতে পরবর্তীতে ঝামেলা হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এ সময় পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার খালগুলো উদ্ধারে ডিএনসিসির উদ্যোগের কথা জানান তিনি। এমনকি খালগুলো রক্ষায় মামলা পর্যন্ত করেছিল তারা। উদ্বোধনী বক্তব্যে পল্লবী এলাকায় পরিকল্পনা করে গাছ লাগানোর জন্যও আহ্বান জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি ছোট গাছ না লাগিয়ে বড় গাছ লাগাবেন। পরিকল্পনা করে একটা রোডে কৃষ্ণচূড়া লাগান, আরেকটা রোডে সোনালু লাগান। এতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’
২২২ দিন আগে