ডিবি
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১৮ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
সোমবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডিআইজি, ছয়জন অতিরিক্ত ডিআইজি, চারজন পুলিশ সুপার, চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা হলেন— ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি রিফাত রহমান শামীম, একই কার্যালয়ের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, খুলনার পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান আরাফাত, সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, খাগড়াছড়ির এপিবিএন ও স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাসমূহের এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মূখার্জি এবং একই কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি (সংযুক্ত) আয়েশা সিদ্দিকা।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা: ৮ পুলিশ বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি
তালিকায় আরও রয়েছেন, কক্সবাজারে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ দালাল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাশেদুল ইসলাম, ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক উপকমিশনার ও বর্তমানে ঢাকায় অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটে (এটিইউ) কর্মরত মো. আবু মারুফ হোসেন এবং ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই ১৮ জন কর্মকর্তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(গ) অনুযায়ী পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী তাদের নামের পাশে উল্লিখিত তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
১০৮ দিন আগে
ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আ.লীগের সভাপতি
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপুকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে শফিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ তিনটি মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে।
তাকে আজ (সোমবার) সকালে আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী মসিউর রহমানকে পরাজিত করেন। তবে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: সাভারে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে খুন, দায়ীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ
এরপর ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শফিকুল ইসলামকে জেলা সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ জানান, শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা আছে।আজ (সোমবার) সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমদধ্যে পুলিশের একটি দল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
১০৯ দিন আগে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমদ নির্ঝর (২৮), মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক কামরুল আহসান নিশাদ (২৮), শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালু (২৫), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন ওরফে জীবন (৩০), মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহিদ এম আর রহমান (৫০), আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম শাহরিয়ার (৫৮), ডেমরা থানার পাইটি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন (৬৪), ৩৩ নং বংশাল ইউনিট যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাছুম (৫৮), ঢাকা মহানগর উত্তর ২৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হাসান রতন (৩৪) ও উত্তর বাড্ডা এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী রবিন দেওয়ান (২৯)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে রবিন দেওয়ানকে ও দুপুর ১টায় মিরপুর-১০ এলাকা থেকে সাব্বির আহমদ নির্ঝরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুপুর ১২টায় ফুলবাড়িয়ার আনন্দ বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালুকে এবং সন্ধ্যা ৬টায় উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে কামরুল আহসান নিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে শাকিল হোসেন ওরফে জীবনকে এবং রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ওহিদ এম আর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বংশাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ হোসেন মাছুমকে এবং রাত ১টায় মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল হাসান রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২টায় মগবাজার এলাকা থেকে শামীম শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে ১১টা ৫০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ইলিয়াস কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে দাবি করেছে। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২২৮ দিন আগে
মুক্তিপণ আদায়, ডিবির ৫ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে আরএমপি
বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এ সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তারা কোনো অভিযানে যায়নি বা কাউকে জানিয়েও যায়নি। নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছে এবং সেখানে আটক হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকালে আমি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এখন তদন্ত হবে, এরপর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী। এছাড়া, তাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসানকেও আটক করা হয়েছে।
নগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য আরএমপির ডিবিতে কর্মরত। গতরাতে আমি রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে কিছু না জানিয়েই বগুড়া গেছে। কেন গিয়েছে, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
জানা যায়, বগুড়ার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও তাদের মাইক্রোবাসচালককে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানান, অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য রবিবার ধুনট উপজেলায় গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর নগদ ২ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বগুড়া জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত আবদুল ওয়াহাব নামে এক পুলিশ সদস্য। তিনি ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বগুড়ার ধুনটে নিজ গ্রামে যান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই পাঁচজন সেখানে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
২৫৫ দিন আগে
ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) তালেবুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মেহের আফরোজ শাওনকে তার নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিল ডিবি।
৩০১ দিন আগে
খুলনায় ডিবি সদস্যদের উপর হামলা, আহত ৩
মাদক উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে তেরখাদা উপজেলার কোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জেলা ডিবির এএসআই মইনুদ্দীনকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় কনস্টেবল তবিবুর ও শামীমকে।
খুলনা জেলা ডিবির ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, হামলায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এএসআই মইনুদ্দিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৩৮৬ দিন আগে
সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে রাত ৩টার দিকে ধানমন্ডির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শাজাহান খানকে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
গত মাসে জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিদ্ধান্তের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে তলব করে দুদক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় দুটি গাড়ি, স্ত্রীর ৯৬ ভরি স্বর্ণ ও তার নামে নিবন্ধিত দুটি বাসসহ বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসে।
শাজাহান খান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
৪৫৫ দিন আগে
ডিবি আমাদের জোর করে আটকে রেখেছিল, আন্দোলন চলবে: মুক্তির পর কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির একদিন পর শুক্রবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'নিরাপত্তার' নামে তাদের সাতদিন ধরে 'বলপূর্বকভাবে' আটকে রাখা হয়েছিল।
এই যৌথ বিবৃতিতে সই করেন মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বকর মজুমদার। সরকারের অপপ্রচার ও জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে দেশের শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে নিহত ছাত্র-নাগরিকের বিচার ও আটক নিরীহ মানুষের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।
বিবৃতিতে বলেন, “মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ‘নিরাপত্তার’ নামে ছয় সমন্বয়ককে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।”
ছয় সমন্বয়ক আরও বলেন, 'আমরা গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়। আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক ডিবি থেকে চলে গেছেন: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'যারা নিরস্ত্র ছাত্র-নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউই নিরাপদে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রহসনের নিরাপত্তা চাই না ৷ আমরা আমাদের ভাই বোনদের খুনের বিচার চাই।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়কের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না।’
সমন্বয়কেরা আরও জানান, 'ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে আসলে, দেখা করতে দেওয়া হয়নি।'
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৩০ জুলাই রাত থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের ডিবি অফিসে আটক অবস্থায় অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে সে খবর জানামাত্র সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুলাহ ও নুসরাত তাবাসসুমও অনশন শুরু করেন।
গত সাত দিন ধরে তাদের ও তাদের পরিবারকে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে সমন্বয়কারীরা বলেন, ‘অনশনের কথা পরিবার ও মিডিয়া থেকে গোপন করা হয়। প্রায় ৩২ ঘণ্টারও অধিক সময় অনশনের পর ডিবিপ্রধান ছয় সমন্বয়ককে মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়। গত সাতদিন ডিবি অফিসে আমাদের ও আমাদের পরিবারের সঙ্গে নানা হয়রানি, নির্যাতন ও নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই আমাদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্র-নাগরিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সরকার এখনও শিক্ষার্থীদের ওপর দমননীতি অব্যাহত রেখেছে এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে।’
এর আগে গত ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বক্কর মজুমদারকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। নাহিদ ও আসিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরদিন সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত আবদুল্লাহকে সায়েন্সল্যাব থেকে জোরপূর্বক ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এরপর গত ২৮ জুলাই ভোরে নুসরাত তাবাসসুমকে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
৪৮৯ দিন আগে
কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার বা মামলা দিয়ে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সারজিস আলম বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন,'তারা তাদের কথা রাখেনি। তাই এসব গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
তিনি আরও লেখেন, 'আপনারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছেন। আমার ভাইয়ের (স্কুল-কলেজের ছাত্র) ওপর লাঠিচার্জ করছেন। যাকে খুশি তুলে নিতেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেয়ে তাদের ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন! মাশরুর এর একটি উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমার ভাইদের রিকশা থেকে নামিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে মারলেন। কি ভাবছেন আপনি? এভাবেই কি সব শেষ হয়ে যাবে? যারা একবারের জন্যও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তারা গ্রেপ্তারের ভয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। অনেকে আছেন যাদের পরিবার এখনো তাদের সন্ধান পায়নি। এটা হওয়া উচিত হয়নি!’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' কর্মসূচিতে হামলায় আহত ১০
তিনি আরও লেখেন, ছয়জনকে ডিবি হেফাজতে ৬ দিন আটকে রাখা যায়, কিন্তু বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে আটক করা যায়? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার যা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, সেগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়?
পুলিশ সদস্যদের ভাই বলে সম্বোধন করে তিনি আরও লেখেন, 'এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের ওপর নয়, পুলিশের ওপর নয়। এই রাগ আপনার পোশাকের (ইউনিফর্ম) উপর। বছরের পর বছর ধরে এ দেশের অনেক মানুষ এই ইউনিফর্মধারীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। ঐ পোশাক ছেড়ে আমাদের কাতারে আসুন, আমরা আপনাদেরকে স্বাগত জানাবো এবং আলিঙ্গন করব।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি লেখেন, ‘যেহেতু এই পথ সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই আমরা কোন কিছুর মুখোমুখি হতে ভয় পাই না। যতদিন বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে না, গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান হচ্ছে না, ততদিন পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
৪৯০ দিন আগে
ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনে (সিএন্ডও) বদলি করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে ডিবি অফিস গেটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হারুন জোর দিয়ে বলেন, ‘যারা মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সরকারি-বেসরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যার মতো ঘটনার সঙ্গে সত্যিই যারা জড়িত, তাদেরই বিচার করা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজ-নাশকতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবিপ্রধান হারুন
ডিবিতে নিজের দায়িত্বের মেয়াদের কথা তুলে ধরে হারুন বলেন, 'ডিবিতে আমার সোয়া তিন বছরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ এবং জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আমার পুরো মেয়াদে ডিবিকে সাধারণ মানুষের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য ছিল।’
তিনি উল্লেখ করেন, তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নতুন পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে তিনি থানাগুলোকে জনসাধারণের জন্য একটি বিশ্বস্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘থানা মানুষের আশার শেষ বিন্দু। সাধারণ ডায়েরি বা মামলা দায়েরের জন্য মানুষ স্টেশনে এলে যাতে পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। থানাগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে আমি কাজ করব।’
কোটা আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা অসংখ্য মামলার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'ডিবিতে থাকাকালীন আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা পরিচালনা করেছি। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যা মামলা পর্যন্ত আমরা সত্য উদঘাটনে ভালো তদন্ত করেছি। আমরা কোনও নিরপরাধ লোককে গ্রেপ্তার করিনি এবং জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমতা নির্বিশেষে, আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হবে।’
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
৪৯০ দিন আগে