টর্চার সেল
গাজীপুরে সন্ত্রাসী সুমনের ৫টি টর্চার সেলের সন্ধান, অস্ত্র উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর ৫টি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। টর্চার সেলগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের ৫টি টর্চার সেল গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। সেলগুলো থেকে একটি এয়ার গান, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সুমন বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব টর্চার সেলে বিনা অপরাধে মানুষকে এনে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পর আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। রাতভর চলতো মাদকের আড্ডা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে করা হতো নির্যাতন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পদ্মার চরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র মহড়া, গুলিবর্ষণ
সুমন বাহিনীর মোটরসাইকেলযোগে দলবেঁধে চলাচল ছিল বলেও জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গ্রেপ্তার সুমন শেখদের কয়েকটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়ে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টর্চার সেলগুলো থেকে একটি এয়ার গান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এয়ার গানটিকে বন্দুক হিসেবে দেখিয়ে মানুষকে দেখানো হতো।
পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে সম্প্রতি ছিনিয়ে নেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমনকে গত রোববার (৩১ আগস্ট) ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৯৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক
কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।
আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।
তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’
১৬৩ দিন আগে