বিএনপি মহাসচিব
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ তৈরিতে ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হন। এর একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশিদুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতি এখন একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।’
এতে আরও বলা হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হচ্ছে।
তারা বলেন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের ফলে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিপন্ন হয়েছে। আমরা দেখেছি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ় বিশ্বাসী।’
তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমরা বিশ্বাস করি, মির্জা ফখরুলের মুক্তি রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিবকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন লেখক বদরুদ্দীন ওমর, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, অধ্যাপক সাদরুল আমিন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক এ এফ এম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, অধ্যাপক চৌধুরী আবরার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান।
বিবৃতিটি বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে, ৬৮ জন নাগরিক এতে স্বাক্ষর করেছেন কি না- সে বিষয় ইউএনবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (১৬ অক্টোবর) বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে শিগগিরই চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি।
তরুণদের সমাবেশে তিনি রাজপথে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করা এবং অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য মুক্ত করা।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপির যুব শাখার বিশাল সমাবেশ দুর্গাপূজার কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হওয়া বিরোধী দলের চূড়ান্ত আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করছি, কারণ আমাদের অনেক ভাই তাদের জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করেছে, আমাদের অনেক মা-বোন নির্যাতিত হয়েছে, আমাদের অনেক শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে এবং আমাদের অনেক মা তাদের সন্তানদের হারিয়েছে। সুতরাং, আমাদের পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এবং সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ বিএনপির এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
বিজয়নগর থেকে ফকিরাপুল ক্রসিং পর্যন্ত চলা এই র্যালিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাল-সবুজ টুপি পরিহিত হাজার হাজার যুবক-যুবতী অংশ নেন। তাদের অনেককে মাথায় সাদা কাফন পড়ে সমাবেশে বসে থাকতে দেখা গেছে।
তরুণদের বিশাল সমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, এই সমাবেশ অবশ্যই দেশের জনগণকে নতুন উদ্যম ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই ভয়ানক ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব, যারা আমাদের বুকের ওপর বড় পাথরের মতো বসে আছে।’
শর্ত প্রত্যাহার করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সাংবিধানিকভাবে বৈধ কিনা, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) এটা প্রমাণ করতে হবে। আমি বলছি আপনারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ নন।’
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অসাংবিধানিকভাবে এনে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক প্রথমে দেশ ও জনগণের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন।
এই আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই জনগণকে সম্পূর্ণ প্রতারিত করে সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। আপনারা যেমন বলছেন, নির্বাচন সংবিধানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত; তাই আপনাদেরকে (সরকারকে) প্রথমে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ আপনারা অবৈধ।
সংবিধান লঙ্ঘন এবং জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমা করবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: সঠিক পথে আন্দোলন, এবার ভোটার ছাড়া নির্বাচন হবে না: ফখরুল
পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দয়া করে পদত্যাগ করুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিন, যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার নির্বাচন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এম এম নাসির উদ্দিনের রায় নিয়ে জুডিশিয়াল ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও নিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে যে বিচার ব্যবস্থার সব স্তরের বিচারকদের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা অতীতে পরপর দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি এবং তাদের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না, এতে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে অবাধে তাদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ইইউ কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দল পাঠিয়েছিল। ইইউ পর্যবেক্ষণ দল সমস্ত রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনা করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘তাদের বার্তা দ্ব্যর্থহীন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই, তাই এখানে পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা সম্ভব নয়।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গ্রেপ্তার, আইনি পদক্ষেপ, শারীরিক নির্যাতনসহ অসংখ্য উসকানির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়রের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপসের কথায় যে মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে তা উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা আর হতে দেবে না। জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোট ও জনগণের হারানো অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনকে সফল করার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা (আ.লীগ) ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা এদেশের জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আরেকটি একতরফা নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে এবং খালি মাঠে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসুন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই দানব সরকারকে প্রতিহত করতে হবে, দমন করতে হবে এবং পরাজিত করতে হবে। এই সরকার আমাদের জাতি এবং আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করছে। আমাদের দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা এগিয়ে যাই ও বিজয় অর্জন করি। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঋণ শোধ করি, যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বর্তমান আন্দোলনের মুখে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছে। ভয়ে তারা গণতন্ত্রের সৈনিকদের নিবৃত্ত ও দমন করার উপায় খুঁজতে মরিয়া।
তিনি বলেন, তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান আন্দোলনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা।
আমাদের এই আন্দোলন থেকে পিছু হটবার কোন উপায় নেই।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, তারাই জঙ্গিদের মূল পৃষ্ঠপোষক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কয়েকজন জঙ্গি আটকের পর মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন- মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য না কি এই জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি মহাসচিবসহ বিএনপির নেতারা জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা জঙ্গি দমন করেছি, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি তারা জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করত।’
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার যখন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল, অনেক জঙ্গি আটক হচ্ছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে কিছু দিন আটক করে রাখার পর যখন চুলদাড়ি লম্বা হয় তখন তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। সে কারণেই তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফেটেছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং জঙ্গিদের দিয়ে হাওয়া ভবন তৈরি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ যখন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি ও তাদের দোসররা তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল, মাঝে মধ্যে দু-একটা বিবৃতিও এনেছিল। কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতি নিয়ে আমেরিকার হোয়াইট হাউজে যখন প্রশ্ন করা হলো, তারা বলল এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। অথচ এই চিঠি লেখার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, এই ষড়যন্ত্র করে, বিদেশিদের পেছনে এত ছুটে কোনো লাভ হয়নি। সে কারণে বিএনপি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলা শুরু করেছে। বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করেনি। এ জন্য বিএনপির সুর এখন ভিন্ন। এখন তারা বলছে ভারত কী বলল আসে যায় না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বলল আসে যায় না, যুক্তরাজ্য কী বলল আসে যায় না, চীন কী বলল আসে যায় না।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, এখন ‘লাইফ’ ইস্যু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বার বার করে বলছি যে, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরও তার নেতা-মন্ত্রীরা বলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি এখন ডেড ইস্যু।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড ইস্যু’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, ডেড ইস্যু হবে কেনো? এটাই তো এখন সবচেয়ে লাইফ ইস্যু। কারণ আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির সাবেক এমপি এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতো চুরি করেছে, এতো দুর্নীতি করেছে এবং একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণ নেই।
সেই কারণে আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
কারণ তারা জানে যে, তারা এতো চুরি-চামারি করেছে যে, সাধারণভাবে যদি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয় তাহলে কোনো দিনই তারা ক্ষমতায় ফিরে আসা দূরে থাকুক, পার্লামেন্টে ১০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবে না। সেই সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ দুইটা ইলেকশন দেখেছে। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এছাড়া গত ১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম এ জন্য যে, আমরা মনে করেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয় সেই অবস্থায় আমরা যদি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি তাহলে হয়তবা জনগণের সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
‘ওদেরকে বিশ্বাস করা যায় না’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে কালকে বলেছেন যে, যখন নির্বাচন চলবে, নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা কাউকে আটক করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে?
তিনি বলেন, আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। আগে পদত্যাগ করুন, তারপরে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করবার জন্য সেই ব্যবস্থা নিন।
‘দেশের অর্থনীতি আন্ডারগ্রাইন্ডে’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতো বেশি উন্নয়নের কথা বলেছে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে, খৈ ফুটে মুখের মধ্যে, সব দিকে নাকি তারা উন্নয়নে একেবারে সমুদ্র বইয়ে দিয়েছে।
আমরা তখনও বলেছি, গণতন্ত্র বিহীন উন্নয়ন কখনো উন্নয়ন হতে পারে না। এটা টেকসই নয়। এটা ভেঙে যাবে।
আজকে দেখুন আমাদের কথার প্রতিধ্বনি করছে আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে। সরকার বলছে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো বলছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ঝুঁকিতে।
বাংলাদেশের সাফল্য গল্প টক হয়ে গেছে সাওয়ার। কথাটা আমার নয়, কথাটা ভারতের টেলিগ্রাফের অনলাইন ভাসর্নে পরাণ বালাকৃষ্ণা বলে একজন প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে এসব এসেছে।
আরও এসেছে যে, বাংলাদেশের সরকার ইতোপূর্বে যে সমস্ত দাবি করেছে সেই দাবিগুলো যে কতটা ঠুনকো ছিল, ক্রাইসিসে যখন বাংলাদেশ পড়েছে তখন সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশের পুরো ব্যবস্থটাই এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে। এমনকি রপ্তানি থেকেও ডলার ফেরত আসছে না। রপ্তানির রশিদ সংখ্যা, রপ্তানি শিফমেন্টের সংখ্যা মেলানো খুব কঠিন।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন জোর দিচ্ছে কমপক্ষে ৩০ লাখ ডলারের ওপর যেকোনো এলসিতে তারা ক্লিয়ারেন্স দেবে যা বাণিজ্যের জন্য আরও একটি বোঝা হবে।
অর্থাৎ ইকোনমি অলরেডি আন্ডারগ্রাউন্ডে। এই আন্ডারগ্রাউন্ডে কেনো? এই যে ভয়াবহ নজিরবিহীন দুর্নীতি, এই দুর্নীতি করে তো সব কাজগুলো করা হয়েছে।
শেষ মুহুর্তে আবার পরিচিত ব্যক্তি- আমি নাম বলতে চাই না যাকে আপনারা সবসময় দেখেন, যিনি সব ব্যবসাগুলো করায়াত্ত করছেন। তিনি আবার সেই এয়ারবাস নিয়ে এসেছেন যে, আবার যদি একটা বড় ফান্ড তৈরি করা যায়। আর সেই ফান্ডে একদিকে নির্বাচনেও কাজ হবে আবার তাদেরও পকেট ভর্তি হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সমস্ত কিছুর লক্ষ্য একটাই নিজেদের পকেট ভর্তি করা এবং সেই টাকা বিদেশে পাচার করা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
আমাদের আন্দোলন দ্রুত চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার উৎখাত করতে বিএনপির চলমান আন্দোলন দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে কাজ করায় তাদের আন্দোলন ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তা দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন রাস্তায় তাদের জীবন দিয়েছেন, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং অনেককে গুম ও হত্যার শিকার করা হয়েছে, কিন্তু মানুষ গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।
সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সকল গণতান্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হই।
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ সুগম করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপি কোনো প্রার্থী না দিলেও আগামী পাঁচ সিটি করপোরেশনে সাজানো নির্বাচন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির একটি অংশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। দেশে নির্বাচন নিয়ে জনগণ আগ্রহী নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখেন আপনারা আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
তিনি বলেন, সিলেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ আরিফ (আরিফুল হক চৌধুরী) দুইবার মেয়র হয়েছেন এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন যে এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না।
তিনি বলেন, সিলেট নগরীর জনগণ তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চোখের পানি ফেলেছে। তিনি (আরিফ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, আমিও মনে করি এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।
তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী যারা, এ ধরনের ফ্যাসিবাদী যারা তাদের একটা হাতিয়ার। নির্বাচন একটা টুল, দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা খুব পরিষ্কার, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলছি যে এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে, তাদের যে জোট আছে, ১৪ দলের এক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার যে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না।
আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
‘খেলাপী ঋণ প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় আজ এসেছে যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ান অব ডিফল্ট লোনস, এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। এক নম্বরে শ্রীলঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার মন্ত্রী, আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা ঋণ নিয়ে রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা যদি একটা-দুইটা ডিফল্ট হয় তো তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি একটা মুহূর্ত আর দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে কমিটমেন্টগুলো করেছিলো, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলো প্রত্যকটা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার বিরুদ্ধের দল।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
‘অনেক খেলা হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে অনেক খেলা হচ্ছে, খেলা হবে। এই যে, উনি (ওবায়দুল কাদের) তো প্রায় বলেন খেলা হবে। সেটা হবে। অনেক চেষ্টা হবে আমাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি সৃষ্টি করানোর।
তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিক আছেন তারা কখনো ভুল বুঝবেন না। আজকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের মুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তি, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটা সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক ও অনঢ় হয়ে থাকব।
এছাড়া এই আন্দোলন আমাদের শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় যাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে একাত্তর সালে যেভাবে আমরা নেমেছিলাম আজকেও একইভাবে আন্দোলনে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলেন, এই কাজটা বাইর থেকে কেউ করে দেবে না। অনেকে অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষায় থাকার কোনো কারণ নাই। আপনাকে করতে হবে, আমাদের সবাইকে করতে হবে। এটা প্রত্যেকের দায়িত্ব বিশেষ করে তরুন সমাজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের কি অবস্থা, তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিচ্ছে, নিম্ন আদালতে গেলে সেই জামিন ক্যানসেল করে কারাগারে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
আর গায়েবি মামলার কথা আমরা বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি, আর বলতে ইচ্ছা করে না।
তিনি বলেন, খুলনাতে দেখেন একটা সভায় গিয়ে কিভাবে পুলিশ সেখানে আক্রমণ করেছে, ন্যাক্কারজনক। সেখানে অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধ করেছে, আহত করেছে এবং হয়রানি করেছে।
এছাড়া এক হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ত্রাণ বিতরণ
রবিবার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ জানেনা দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল তারা দিয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা। আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার তার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আমরা মনে করি না তার সেই সাহস আছে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতির ওপর তাদের আস্থা নেই।
ফখরুল জানান, মো. সাহাবুদ্দিনকে মানুষ বেশি চেনে না। তাই ক্ষমতাসীন দল তাকে রাষ্ট্রপতি করায় তারা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। ‘আমরা এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেন মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি করেছে তা বিএনপির কাছে পরিষ্কার না। ‘এই বছরের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ মানুষকে বিস্মিত করেছে।’
এর আগে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।
ফখরুল বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে মানুষের সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, তাদের দল নতুন রাষ্ট্রপতির প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি, কারণ তারা তাকে নিয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারা মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চান।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই, আমরা এ বিষয়টির ওপর ফোকাস করছি।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করলে বিএনপি তাতে যোগ দেবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারকে পাশ কাটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলেই রাষ্ট্রপতি এটা করবেন। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে যে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না। তাই, সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং সংঘাতের রাজনীতি এড়াতে হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলনের ধরন নির্ধারণ করবে দেশবাসী।
আরও পড়ুন: জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল