বিএনপি মহাসচিব
সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
সংস্কার সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যকে একটি মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার সম্পর্কে আমাদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কিছু মহল প্রচার করছে, বিএনপি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার চায়। এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমরা বরাবরই সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছি।’
‘আমরা বলেছি, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সংস্কার এবং বিচার বিভাগের সংস্কারের ওপর বিএনপির জোর সমর্থন রয়েছে বলে অভিমত দেন দলটির এই মহাসচিব।
সংস্কার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তারা জ্ঞানী মানুষ, পণ্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার পরে স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে জনগণই তাদের সরিয়ে দেবে। তাদের পরিস্থিতিও আওয়ামী সরকারের মতো হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতামত থাকবে। জনগণ বেছে নেবেন, কোনটি তাদের জন্য উপযোগী। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণ যাদের সমর্থন দেবেন, তারাই সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন করবে, এটাই গণতন্ত্র।’
এসময় জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ দিন আগে
আগামী নির্বাচন হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে: ফখরুল
সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস। তাই সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে আর নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় মতামত সংস্কার কমিশনকে দিয়েছি। এ বিষয়ে আগামীতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও একসঙ্গে বসবে।’
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিতে পরামর্শ ফখরুলের
চীন সফর অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সাফল্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করেছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী দিনেও তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগ করবে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাবাদী।’
ফখরুল জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় আছে। তবে বিএনপির প্রধান কাজ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। এছাড়া নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার বিএনপির সমর্থন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তারা সংস্কার কমিশন তৈরি করেছেন। সেই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনা করছি।’
১৬ দিন আগে
নতুন কুতুবদের ভাষা-বিবৃতি শুনলে মনে হয়, তারা বিশৃঙ্খলা চাইছে: ফখরুল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আবার ১০০ গাড়ির বহর নিয়ে অনেকে নির্বাচনি প্রচারে যান উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নতিতে এদের ‘ভূমিকা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে। তারা যে বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চান, আমাদের জানা নেই।’
‘তাদের ভাষা, শব্দ কিংবা বিবৃতি শুনলে মনে হয়, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে, গণতন্ত্র চাইছে না; তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল (সোমবার) শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের নির্বাচনি প্রচারে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এ সময় তিনি বলেন, ‘যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন (নির্বাচনি প্রচার) করতে যায়, তারা আসলে কী করবে—সেটা আমরা ভালো বুঝি।’
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জনগণের সঙ্গে অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি অবশ্যই জয়যুক্ত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে যেতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া জনগণের কল্যাণের আর কোনো পদ্ধতি নেই বলে মনে করেন তিনি।
নির্বাচন পিছিয়ে অন্য কাউকে সহায়তা করতে, দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বল মত দেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
এ সময় সম্প্রতি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে এমন সংকট তৈরি হয়েছে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। যারা সংকটে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়, আমাদের সুরক্ষা দেয়, তাদের কখনোই আমরা বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।’
২৩ দিন আগে
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ অনেকটা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন: দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
দলটির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ধুলাবালির কারণে অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসক ও মির্জা ফখরুলের পক্ষ থেকে তাকে দেখতে হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
৪৫ দিন আগে
দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই সংস্কারের পক্ষে। দুর্ভাগ্যজনক, কেউ কেউ বলছে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এই কথাটা সঠিক না। আমরা বার বার বলছি- একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন তা বিএনপি চায়।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন একটি প্রধান ফটক। আমরা সব সময় গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে। তার জন্য আমরা কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব। একইসঙ্গে আমরা মনে করি জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু চাপিয়ে করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যাটা হলো, এ দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি। এ সংস্কৃতিই গড়ে ওঠেনি।’
‘বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত জটিল রাজনৈতিক সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আজকে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে- ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন। জাতিগতভাবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হচ্ছে। খুব ভালো হতো, যদি আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে সামনে এগুতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
বক্তব্যের একপর্যায়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খুব জরুরি কথা, আমরা যেন একাত্তরকে কখনও ভুলে না যাই। একাত্তরের পর থেকে গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক যে লড়াই-সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের প্রত্যেককে আমাদের মনে রাখা দরকার। সেই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আজকে আমরা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’
সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান ড. আলী রিয়াজের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রিয়াজ বলেছেন তার কাছে এক লাখের বেশি প্রস্তাব এসেছে। শুনেছি, এ প্রস্তাবগুলো তৈরি করে তারা সরকারের হাতে তুলে দেবেন, সরকার তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে।
‘উনারাই (রিয়াজরা) যদি প্রথমে পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গে বসতেন, সেটা আরও ভালো হতো। আমার কাছে মনে হয়। তারা গভর্মেন্টের সঙ্গে বসবেন, আরও আলোচনা হবে। আমার কাছে মনে হয়, যত সময় বাড়বে, তত আমাদের সমস্যা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আসল প্রবলেম তো অন্য জায়গায়। এগুলো বাস্তবায়ন করবেন কাদের দিয়ে? প্রশাসন, গভর্মেন্ট মেশিনারি, এগুলো তো এখনও ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে। এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। একটা ফাইলও নড়ে না। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ফাইল কোথায় আটকে আছে দেখবেন? ওখানেই আটকে আছে। এই বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে আমাদেরকে লড়তে হবে।’
মাইন্ডসেট একটা বড় জিনিস এমন মন্তব্য করে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, উনি একটা বক্তব্য দিয়েছেন খুব ভালো লেগেছে যে একটা বন্দোবস্ত তো ছিল, টাকা দেবো কাজ করিয়ে নেবো। ভালো সমস্যা নেই। এখন তো আপনি অন্য সিস্টেমে যাচ্ছেন। সেই মাইন্ড সেটটা তো তৈরি করতে হবে। ওই মাইন্ড সেটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে। ভুল-ত্রুটি হবে কিন্তু ওর মধ্য দিয়েই ডেমোক্রেটিক সিস্টেমকে এগিয়ে নিতে হবে। সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল
১১১ দিন আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১২৪ দিন আগে
তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ফখরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও দলীয় বিষয়ে আলোচনা করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ফিরলে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেবেন। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে ‘ইউনিক নেতৃত্ব’ দিয়েছেন তারেক রহমান: ফখরুল
১৩৯ দিন আগে
আস্থা ফেরাতে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশ চালানোর দায়িত্ব আপনাদের (উপদেষ্টাদের) নয়। দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং রাজনীতিবিদদের এই কাজটি করতে দিন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি আরও বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর কাছে তাদের প্রস্তুত করা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে, যা দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা বাতিল করবেন, কিন্তু সর্বোপরি পর্যন্ত আসল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং আপনি কখন কী করবেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। সেটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।’
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
১৪৯ দিন আগে
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা হাতছাড়া করা যাবে না। হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার একটি সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সহযোগিতাও করতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
১৫৬ দিন আগে
কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কেউ যেন আবার চিন্তা না করে। অথবা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রে যেন লিপ্ত না হন।
স্মরণসভায় তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিরাজনীতিকরণে এবং মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সেই পথ অনুসরণ করার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও পারবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত মন্তব্য করে বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে অস্থির। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তার মতো কোনো ব্যক্তি এ ধরনের মন্তব্য করবেন তা আমরা আশা করি না।’
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং আমরাও আমাদের কাজে ফিরতে চাই।’
ফখরুল বলেন, রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতায় ফেরার আকাঙ্ক্ষাই করেন না, তারা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষে পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ সরকার নির্বাচন যত দীর্ঘায়িত করবে, হাসিনা ও তার দোসরদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এখন, আপনাদের আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। আমরা ক্ষমতায় ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি বলে দাবি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির লক্ষ্য আবার ক্ষমতায় আসা, তার নেতাকর্মীরা দেশ পরিচালনা ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কীভাবে নির্যাতন সয়েছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন তা বর্ণনা করে ফখরুল বলেন, বিএনপির অপরিসীম ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বা দলের সমালোচনা হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ‘কাউকে এটা করতে দেবেন না। এটা মাথায় রাখুন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনও সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা এক ভয়ংকর দানবের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু স্বস্তি নেই, কারণ মনে হচ্ছে জনগণের সরকার এখনও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় আমরা এখনও আটকা পড়েছি।
ফখরুল বলেন, তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়েছেন, যারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধান করবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তাকে সব সময় শ্রদ্ধা করেন এবং আমরাও তাকে শ্রদ্ধা করি। সারা বিশ্ব আপনাকে (ইউনূস) সম্মান করে। বিশ্বব্যাপী আপনার বিশাল খ্যাতি রয়েছে এবং এটি বজায় রাখা এখন আপনার প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আপনাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে, যার অর্থ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিদেশে সরকারি অর্থ লুটপাট ও পাচার করে দেশ ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মনোবলের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এবং এখন ব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য অফিস পর্যন্ত চোর সর্বত্র।
তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতিগঠন ও বিএনপিকে শক্তিশালী করতে সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, খোকা এমন একজন রাজনীতিবিদের চেতনার মূর্ত প্রতীক, যিনি তার কর্মীদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহজবোধ্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ও রাজনৈতিক সংকটে খোকার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতার অভাব তারা অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১৬৫ দিন আগে