বিএনপি মহাসচিব
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
বিএনপি কোনো প্রার্থী না দিলেও আগামী পাঁচ সিটি করপোরেশনে সাজানো নির্বাচন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির একটি অংশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। দেশে নির্বাচন নিয়ে জনগণ আগ্রহী নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখেন আপনারা আজ নির্বাচনের অবস্থা কেমন? এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
তিনি বলেন, সিলেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ আরিফ (আরিফুল হক চৌধুরী) দুইবার মেয়র হয়েছেন এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন যে এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না।
তিনি বলেন, সিলেট নগরীর জনগণ তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চোখের পানি ফেলেছে। তিনি (আরিফ) স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, আমিও মনে করি এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।
তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী যারা, এ ধরনের ফ্যাসিবাদী যারা তাদের একটা হাতিয়ার। নির্বাচন একটা টুল, দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা খুব পরিষ্কার, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলছি যে এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে, তাদের যে জোট আছে, ১৪ দলের এক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার যে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না।
আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
‘খেলাপী ঋণ প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় আজ এসেছে যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ান অব ডিফল্ট লোনস, এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। এক নম্বরে শ্রীলঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার মন্ত্রী, আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা ঋণ নিয়ে রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা যদি একটা-দুইটা ডিফল্ট হয় তো তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি একটা মুহূর্ত আর দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে কমিটমেন্টগুলো করেছিলো, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলো প্রত্যকটা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দল, আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার বিরুদ্ধের দল।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
‘অনেক খেলা হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে অনেক খেলা হচ্ছে, খেলা হবে। এই যে, উনি (ওবায়দুল কাদের) তো প্রায় বলেন খেলা হবে। সেটা হবে। অনেক চেষ্টা হবে আমাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি সৃষ্টি করানোর।
তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিক আছেন তারা কখনো ভুল বুঝবেন না। আজকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের মুক্তি, বাংলাদেশের মুক্তি, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটা সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক ও অনঢ় হয়ে থাকব।
এছাড়া এই আন্দোলন আমাদের শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় যাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে একাত্তর সালে যেভাবে আমরা নেমেছিলাম আজকেও একইভাবে আন্দোলনে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলেন, এই কাজটা বাইর থেকে কেউ করে দেবে না। অনেকে অপেক্ষায় আছেন। অপেক্ষায় থাকার কোনো কারণ নাই। আপনাকে করতে হবে, আমাদের সবাইকে করতে হবে। এটা প্রত্যেকের দায়িত্ব বিশেষ করে তরুন সমাজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের কি অবস্থা, তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিচ্ছে, নিম্ন আদালতে গেলে সেই জামিন ক্যানসেল করে কারাগারে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
আর গায়েবি মামলার কথা আমরা বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি, আর বলতে ইচ্ছা করে না।
তিনি বলেন, খুলনাতে দেখেন একটা সভায় গিয়ে কিভাবে পুলিশ সেখানে আক্রমণ করেছে, ন্যাক্কারজনক। সেখানে অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধ করেছে, আহত করেছে এবং হয়রানি করেছে।
এছাড়া এক হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ত্রাণ বিতরণ
রবিবার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ জানেনা দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল তারা দিয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা। আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’: হাছান মাহমুদ
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার তার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আমরা মনে করি না তার সেই সাহস আছে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতির ওপর তাদের আস্থা নেই।
ফখরুল জানান, মো. সাহাবুদ্দিনকে মানুষ বেশি চেনে না। তাই ক্ষমতাসীন দল তাকে রাষ্ট্রপতি করায় তারা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। ‘আমরা এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কেন মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি করেছে তা বিএনপির কাছে পরিষ্কার না। ‘এই বছরের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ মানুষকে বিস্মিত করেছে।’
এর আগে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।
ফখরুল বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে মানুষের সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, তাদের দল নতুন রাষ্ট্রপতির প্রেক্ষাপট নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি, কারণ তারা তাকে নিয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তারা মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে চান।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই, আমরা এ বিষয়টির ওপর ফোকাস করছি।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করলে বিএনপি তাতে যোগ দেবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারকে পাশ কাটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলেই রাষ্ট্রপতি এটা করবেন। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে যে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে না। তাই, সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং সংঘাতের রাজনীতি এড়াতে হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলনের ধরন নির্ধারণ করবে দেশবাসী।
আরও পড়ুন: জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে: ফখরুল
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ‘অস্বাভাবিক চোর’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (এসসিবিএ) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতাসীন দলকে 'অস্বাভাবিক চোর' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের (আ. লীগের) লক্ষ্য একটাই, চুরি করা। আমরা সাধারণত তাদের ভোট চোর বলি। তারা জাতীয় নির্বাচনে এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কারচুপি করে। ‘এখন তারা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারে ভোট কারচুপি করেছে। আসলে, তারা অস্বাভাবিক চোর।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চুরি ছাড়া কিছুই করে না। ‘তারা চুরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে এবং এটি তাদের পেশা এবং নেশা... তারা চুরির মাধ্যমে দেশের সম্পদও নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক চুরি করে দেশের বিদ্যুৎ খাত ধ্বংস করেছে।
সুপ্রীম কোর্ট বার নির্বাচনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে (মঙ্গলবার রাতে) ভূয়া ও স্ট্যাম্পযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে তোলপাড় শুরু হয়। ‘তারা (আ.লীগপন্থী আইনজীবীরা) আমাদের সাতবারের নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারিকে (মাহবুবউদ্দিন খোকন) লাঞ্ছিত করে আহত করেছে।’
এ ঘটনায় খোকনসহ বিএনপিপন্থী এক হাজার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এখন কোন দেশে বাস করি? এই দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে এসেছি? এর জবাব জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে দিতে হবে। তারা এ দেশকে চরম ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তারা আমাদের সকল সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে। তারা আমাদের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসসিবিএ নির্বাচনে দুই দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, কিন্তু কিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালে তা স্থগিত করা হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ বইয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
আ.লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে: বিএনপি মহাসচিব
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে এদেশের মানুষ যে সংবিধান রচনা করেছিলেন সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়া করে অকার্যকর একটা সংবিধান করেছে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ভিত্তি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে সংবিধানকে ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ত্রাণ বিতরণ
শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে সিলেট মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এই সরকারের অপকীর্তি বলে শেষ করা যাবে না। তাদের একটাও ভালো কাজ নেই, তারা এই দেশের সমাজকে পুরোপুরি বিভক্ত করে ফেলেছে এবং একটা দূষিত সমাজে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আজ ভয়াবহ নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে গত আগস্ট থেকে। এ পর্যন্ত ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। জীবিত সকল নেতাকর্মী মামলার আসামি।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে লুট হচ্ছে। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে দেড় লাখ কোটি টাকা লোকসান হবে। চুক্তির ফলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হবে।
তিনি বলেন, ৭০ টাকা মোটা চাল, মিহি চাল ১৭০ টাকা, ডিমের দাম ৩/৪ গুন বেড়েছে। জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। অথচ সরকার মুখে বাগাড়ম্বর করছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম এ জাহিদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, এনামুল হক চৌধুরী, সিসিক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নয়: কর্মীদের প্রতি বিএনপি মহাসচিব
এটা জনগণের সঙ্গে তামাশা, মোমেনের মন্তব্য নিয়ে বিএনপি
বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছে, বেহেস্তে আছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এমন উক্তি জনগণের সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, কষ্ট করছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, (মানুষ) বেহেশতে আছে, এটা হাস্যকর।’
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেও এমন কিছু হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু জনগণের সঙ্গে এরকম পরিহাস করার কোনো অধিকার উনার নেই।’
তিনি বলেন, আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি। ইদানীং উনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) চেহারার মধ্যে যেটা ফুটে উঠেছে…ক্ষিপ্ত হয়েছেন; বেশিরভাগ মন্ত্রীদের যেটা হয়েছে…প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। সেই লুটপাটের কারণে তারা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সিলেটে সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ অন্য অনেক দেশের তুলনায় সুখে আছে, বেহেশতে আছে।
পড়ুন: বোয়ালখালীতে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
নিউমার্কেটে সহিংসতায় ছাত্রলীগ জড়িত: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় রক্তক্ষয়ী সহিংসতার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতায় দেশে এখন অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ সম্পূর্ণভাবে সরকারের ব্যর্থতা এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য হয়েছে।’
শুক্রবার এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করার পরিবর্তে পুলিশ সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে যে ছাত্রলীগের সন্ত্রসীরা এ সহিংসতার সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিল।’
নগরীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই ইফতারের আয়োজন করে।
পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষে মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় আরেক মামলা
ফখরুল অভিযোগ করেন, সহিংসতার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে এই ধরনের সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সরকারের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
সোমবার রাতে একটি ফাস্টফুডের দোকানে বাকবিতণ্ডার জেরে মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দোকানদারদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
পরে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী নাহিদ হাসান ও দোকানের কর্মচারী মোরসালিন মারা যান।
সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওপর হামলা এবং সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের অভিযোগে একটি মামলায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার হরণ করে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে জনমত গড়ে তুলতে সকল পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেপ্তার
ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক সংবাদ পাঠক কাফি খান আর নেই
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক সংবাদ পাঠক কাফি খান যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কাফি খান ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ভার্জিনিয়া সেন্টার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বিকালে কাফি খান মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে কাফি খান দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
কাফি খান ১৯৬৬ সালে ভয়েস অব আমেরিকাতে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর কাফি খান আবার ভয়েস অব আমেরিকাতে যোগ দেন এবং ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
৬০ এর দশকে তিনি মঞ্চনাটকে অভিনয় ছাড়াও ঢাকার বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাফি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
শোকবার্তায় তিনি জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাফি খানের ভূমিকা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিএনপিকে আগে ভ্যাকসিন দিতে অনুরোধ করবেন হাছান মাহমুদ
বিএনপি আগে ভ্যাকসিন নিতে চাইলে তাদের যেন আগে তা দেয়া হয় সে বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মহামারিতেও ‘ডাকাতি শাসন ব্যবস্থা’ কায়েম করেছে আ’লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতেও সরকার ব্যাপক ‘লুণ্ঠন’ করে দেশে ‘ডাকাতি শাসন ব্যবস্থা কায়েম’ প্রতিষ্ঠা করেছে।