বিএনপি মহাসচিব
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১ সপ্তাহ আগে
তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ফখরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও দলীয় বিষয়ে আলোচনা করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ফিরলে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেবেন। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে ‘ইউনিক নেতৃত্ব’ দিয়েছেন তারেক রহমান: ফখরুল
৩ সপ্তাহ আগে
আস্থা ফেরাতে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশ চালানোর দায়িত্ব আপনাদের (উপদেষ্টাদের) নয়। দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং রাজনীতিবিদদের এই কাজটি করতে দিন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি আরও বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর কাছে তাদের প্রস্তুত করা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে, যা দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা বাতিল করবেন, কিন্তু সর্বোপরি পর্যন্ত আসল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং আপনি কখন কী করবেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। সেটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।’
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
১ মাস আগে
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা হাতছাড়া করা যাবে না। হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার একটি সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সহযোগিতাও করতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
১ মাস আগে
কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কেউ যেন আবার চিন্তা না করে। অথবা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রে যেন লিপ্ত না হন।
স্মরণসভায় তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিরাজনীতিকরণে এবং মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সেই পথ অনুসরণ করার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও পারবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত মন্তব্য করে বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে অস্থির। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তার মতো কোনো ব্যক্তি এ ধরনের মন্তব্য করবেন তা আমরা আশা করি না।’
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং আমরাও আমাদের কাজে ফিরতে চাই।’
ফখরুল বলেন, রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতায় ফেরার আকাঙ্ক্ষাই করেন না, তারা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষে পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ সরকার নির্বাচন যত দীর্ঘায়িত করবে, হাসিনা ও তার দোসরদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এখন, আপনাদের আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। আমরা ক্ষমতায় ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি বলে দাবি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির লক্ষ্য আবার ক্ষমতায় আসা, তার নেতাকর্মীরা দেশ পরিচালনা ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কীভাবে নির্যাতন সয়েছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন তা বর্ণনা করে ফখরুল বলেন, বিএনপির অপরিসীম ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বা দলের সমালোচনা হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ‘কাউকে এটা করতে দেবেন না। এটা মাথায় রাখুন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনও সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা এক ভয়ংকর দানবের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু স্বস্তি নেই, কারণ মনে হচ্ছে জনগণের সরকার এখনও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় আমরা এখনও আটকা পড়েছি।
ফখরুল বলেন, তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়েছেন, যারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধান করবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তাকে সব সময় শ্রদ্ধা করেন এবং আমরাও তাকে শ্রদ্ধা করি। সারা বিশ্ব আপনাকে (ইউনূস) সম্মান করে। বিশ্বব্যাপী আপনার বিশাল খ্যাতি রয়েছে এবং এটি বজায় রাখা এখন আপনার প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আপনাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে, যার অর্থ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিদেশে সরকারি অর্থ লুটপাট ও পাচার করে দেশ ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মনোবলের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এবং এখন ব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য অফিস পর্যন্ত চোর সর্বত্র।
তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতিগঠন ও বিএনপিকে শক্তিশালী করতে সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ফখরুল বলেন, খোকা এমন একজন রাজনীতিবিদের চেতনার মূর্ত প্রতীক, যিনি তার কর্মীদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহজবোধ্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ও রাজনৈতিক সংকটে খোকার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতার অভাব তারা অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ মাস আগে
প্রশাসন থেকে ‘ফ্যাসিবাদের ভূত’ সরানোর উপর নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য: ফখরুল
প্রশাসন থেকে 'ফ্যাসিবাদের ভূত' নির্মূল করা না গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরেন।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের ‘ভূতের’ মদদেই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের সহায়তায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। এখনো সেসব ভূত প্রশাসনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ভূত নির্মূল করতে হবে; অন্যথায় আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই সময় দেব, তবে তা হতে হবে যৌক্তিক। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সরকার অবশ্যই জাতির নেতৃত্ব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরাজনীতিকরণ সমর্থন করি না। আমরা 'মাইনাস টু' ফর্মুলার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি, পাশাপাশি মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানকেও প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ফখরুল আরও বলেন, 'এজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা যোগ্য ও সক্ষম এবং আমরা তাদের দ্রুত গতিতে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা কখনো ব্যর্থ হইনি। ১৯৫২, '৬৯, '৭১ সালের যুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বর্তমানে আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইনশাল্লাহ এবারও আমরা বিজয়ী হব।’
শিক্ষক জাতীয়করণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, 'শুধু জাতীয়করণ দিয়ে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে থাকতে হবে; তা না হলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু আমি জানি আওয়ামী লীগ পিয়ন থেকে শুরু করে গভর্নিং বডির সভাপতি পর্যন্ত সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যারা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত, শিক্ষিত এবং একটি পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম, তাদের আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এটি আন্তরিকভাবে করা হয়, তবে পরিবর্তন আসবে; অন্যথায় তা অধরাই থেকে যাবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশে নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব এবং এদেশে সত্যিকারের জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ও তারেক রহমানের স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।’
সভায় চৌধুরী মুগিস উদ্দিন মাহমুদ, জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
২ মাস আগে
‘শান্ত থাকুন’: দেশবাসীর প্রতি ফখরুলের আহ্বান
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জনগণকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার মির্জা ফখরুলের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমি দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কেউ যেন জনগণ ও সম্পদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
৪ মাস আগে
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি নৈতিক সমর্থন করে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিএনপি নৈতিকভাবে সমর্থন করে।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার 'প্রত্যয়' স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আন্দোলন ও সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিএনপি উস্কানি দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেল করিডোর ও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচার করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, 'তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) যা বলছেন তা অযৌক্তিক। আন্দোলনে বিএনপির উস্কানি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না এবং বিএনপি আন্দোলনকারীদের ওপর নির্ভর করছে না।’
তিনি বলেন, দায়িত্বশীল দল হিসেবে দেশের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সম্পর্কে বিএনপি অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাবে।
তিনি বলেন, 'তারা (শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা) তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক সমর্থন রয়েছে । এখনও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা কি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারি না?
শিক্ষকদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন স্কিম বাতিল এবং সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে এনে আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
৫ মাস আগে
ভারতের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে ১০টি চুক্তি সই হয়েছে, যার মধ্যে দুটি চুক্তি, ৫টি নতুন এমওইউ এবং তিনটি নবায়নকৃত চুক্তি রয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, চুক্তিগুলোর কারণে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বিএনপি এই চুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ জুন এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের ফলাফল জানাতে মঙ্গলবার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিনে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে, যার মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সংহত করতে পুনর্নবায়ন করা হয়েছে।
৫ মাস আগে
টোপ নয়, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সম্পদ নতুন করে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাছ ধরার জন্য টোপ ব্যবহার করার বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাজেট দেখলেই বোঝা যাবে, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বাজেট দেশের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট, কারণ দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম তাদের জীবন অসহনীয় করে তুলেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কালো টাকা আগে বৈধ পথে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নামমাত্র (ট্যাক্স) দিয়ে প্রথমে অর্থ একটি উপযুক্ত জায়গায় (ব্যাংকিং চ্যানেলে) আনতে হবে। তাহলে তাদের (কালো টাকার মালিকদের) নিয়মিত কর দিতে হবে। মাছ ধরতে হলে টোপ ব্যবহার করতে হবে।’
মাছ ধরতে টোপ ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আপনি আর কতদিন মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন?’
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-রব)।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
সিরাজুল আলমের মৃত্যুর পর শোকবার্তা না দেয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। ‘ভেবে দেখুন, তারা কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মৃত্যুর পরও তারা কোনো শোক প্রকাশ করেনি। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারছে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক ভয়াবহ সংকটে পড়েছে, তার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ‘সরকার ক্ষমতা দখল করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও নিপীড়ন করছে এবং প্রতিনিয়ত দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
গণতন্ত্র ও ভোটদান এবং জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে সব ভুল বোঝাবুঝি ও সিদ্ধান্ত পরিহার করে সব রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বাজেটে দুর্নীতির আশঙ্কা আরও বেশি: ফখরুল
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
৬ মাস আগে