কুয়ালালামপুর
মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সফর গুরুত্বপূর্ণ ও কর্মমুখর হবে: প্রেস সচিব
মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন তিন দিনের সরকারি সফরটি ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর’ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘সফরটি কর্মব্যস্তময় হবে। আমরা এই সফরের সফলতার প্রত্যাশা করছি। এতে সব বিষয়ে গভীর ও বিস্তৃত আলোচনা হবে।’
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল হিসেবে বিবেচিত এবং এ সফরে কর্মী নিয়োগ ও ভিসা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
‘সফরে মাইগ্রেশন ও বিনিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে,’ শফিকুল আলম বলেন।
গভীর সাগরের মাছ ধরা ও বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনের জন্য যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চাইবে বলে জানান তিনি।
এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক শাহ আসিফ রহমান জানান, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও তিনটি অতিরিক্ত নোট সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পুত্রজায়ায় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করা ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শ্রম সহযোগিতাসহ একাধিক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণ এই আলোচনার প্রধান লক্ষ্য।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস সোমবার (১১ আগস্ট) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। আনোয়ার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও একনিষ্ঠ সমর্থক।
সফরে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ, শক্তি, বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, হালাল খাদ্য উৎপাদন, ব্লু ইকোনমি এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানসহ নানা বিষয় আলোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: জিরো রিটার্ন’ দাখিল বেআইনি, শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত অক্টোবর মাসে প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সরকারি সফর করেছিলেন।
মঙ্গলবার পুত্রাজায়ার পারদানাপুত্রায় সরকারি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
আনোয়ার ইব্রাহিম এরপর মালয়েশিয়ান প্রতিনিধি দলকে পরিচয় করিয়ে দেবেন এবং প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে পরিচয় করিয়ে দেবেন, এরপর অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করবেন তিনি।
সোমবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বুংগা রায়া ভিভিআইপি কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনুসকে বোর্ডিং ব্রিজে মালয়েশিয়ার প্রধান প্রোটোকল কর্মকর্তা গ্রহণ করবেন।
এরপর তাকে ভিভিআইপি কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে মালয়েশিয়ার গৃহমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ান বিন ইসমাইল স্বাগত জানাবেন এবং একটি স্থির গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক বিনিময়ের পর একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে সরকারি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
সফর শেষে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় ফিরবেন।
১১৬ দিন আগে
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্তে কুয়ালালামপুরকে সহযোগিতা করবে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অভিযানে ‘চরমপন্থি উগ্রবাদী’ আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) বলেছে, ‘সন্ত্রাস-সংক্রান্ত তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চেয়েছে।’
বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গ্রেপ্তার বা আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তার আশ্বাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সাম্প্রতিক ঘটনার হালনাগাদ তথ্যে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বাকি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বা তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর (ডিপোর্টেশন) প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ সরকার ঘটনাপ্রবাহ ‘ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে এবং কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করে যাবে।
মালয়েশিয়ার সরকার শুক্রবার জানায়, মালয়েশিয়ার পুলিশ সম্প্রতি যে বাংলাদেশি চরমপন্থি গোষ্ঠী (জিএমআরবি) ভেঙে দিয়েছে, তা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সদস্য নিয়োগে লিপ্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৬ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৬এ অনুযায়ী অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৬ জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০১২ (এসওএসএমএ)-এর আওতায় তদন্ত ও বিচারের জন্য আটক রাখা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশির বিষয়ে দেশটি ইতোমধ্যে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, তারা এখন মালয়েশিয়ার উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন বাংলাদেশির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি এবং এখন তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই করবে, তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
‘যদি তারা জড়িত থাকে, তাহলে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে,’ বলেন উপদেষ্টা হোসেন। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এখনো কিছুটা ‘ফ্লুইড’ বা অস্থির।
এই ঘটনা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়ান ভিসা ইস্যুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো নেতিবাচক ঘটনা ভিসা ইস্যুতে প্রভাব ফেলতে পারে, এবং তারা একথা বলতে পারেন না যে এর কোনো প্রভাবই পড়বে না।
তবে তিনি বলেন, যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে প্রভাব কমানো সম্ভব।
মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক তান শ্রী মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, এই গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক সদস্যপদ ফি হিসেবে জনপ্রতি ৫০০ রিংগিত এবং আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী অন্যান্য স্বেচ্ছা অনুদান গ্রহণ করে তহবিল সংগ্রহ করত।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ছিল ১০০ থেকে ১৫০ জন, যারা সবাই মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণকাজ ও পেট্রোল পাম্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক।
তিনি বলেন, সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট অ্যাপ এবং আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সেবার মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো। গোষ্ঠীটি নতুন সদস্য নিয়োগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করত।
মোহাম্মদ খালিদ বলেন, পুলিশ এখনো তদন্ত করছে ঠিক কত টাকা আইএস নেটওয়ার্কে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, গোষ্ঠীটি সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে আইএস-এর প্রচারণা ছড়াত, ‘বাইআহ’ (আনুগত্যের শপথ) সম্পন্ন করত এবং গোপন ধর্মীয় ক্লাস ও সদস্য সভার মতো কার্যক্রম আয়োজন করত।
তিনি বলেন, ‘যারা অনলাইনে আনুগত্যের শপথ করত, তাদেরকে সেল নেতা বানানো হতো, যাতে তারা গোষ্ঠীর প্রভাব আরও বাড়াতে পারে। নতুন সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল ধাপে ধাপে—স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে অভিজাত দলের গঠন পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প সংক্রান্ত অভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীতে কোনো মালয়েশিয়ান নাগরিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে এই গোষ্ঠী মালয়েশিয়ায় প্রায় এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও গোষ্ঠীটি মালয়েশিয়ায় কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিল না, তবে তারা দেশটিকে তহবিল সংগ্রহ ও সদস্য নিয়োগের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তদন্তে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ও ইন্টারপোল সহায়তা করছে।
মোহাম্মদ খালিদ বলেন, মালয়েশিয়ান আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে আইএস মতাদর্শ ছড়াতে থাকা বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে গোষ্ঠীটির কার্যক্রম শনাক্ত করা হয়।
১৫২ দিন আগে
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান,শপিংমল ও জনপ্রিয় খাবার
শিল্প ও অবকাঠামোগত সৌন্দর্যের দিক থেকে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হলো মালয়েশিয়া। দেশটির বিখ্যাত ল্যান্ডস্কেপগুলোর অধিকাংশই অবস্থান করছে রাজধানী কুয়ালালামপুরে। সীমান্তজুড়ে তিতিওয়াংসা পর্বতমালা এবং মালাক্কা প্রণালী দ্বারা পরিবেষ্টিত এই দেশের বৃহত্তম নগরীটি একটি বিশেষ স্থানের অধিকারী। এখানকার প্রতিটি স্থাপনায় আভিজাত্য ও সৃজনশীলতার এক মনোমুগ্ধকর মেলবন্ধন রয়েছে। দিনের আলো নিভে গেলেও শহরের জনাকীর্ণ রাস্তাগুলো আলোকসজ্জায় ভরিয়ে রাখে গোটা কুয়ালালামপুরকে। চলুন, এই কুয়ালালামপুর শহরের বিশ্বখ্যাত স্থাপনা, শপিং সেন্টার এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
.
পেট্রোনাস টাওয়ার্স
১ হাজার ৪৮৩ ফুট উচ্চতার ৮৮-তলা এই দালান জোড়ার আরেক নাম পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত দালান দুটি আলাদাভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনার তালিকা থেকে অনেক আগেই নেমে গেছে। তবে দুটোকে একসঙ্গে বিবেচনা করা হলে এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে উচু টুইন টাওয়ার হিসেবে রয়ে গেছে।
এর ৪১ ও ৪২তম তলায় দুটি টাওয়ারকে যুক্ত করেছে একটি ডাবল ডেকার স্কাইব্রিজ যা বিশ্বের সর্বোচ্চ দোতলা সেতুর রেকর্ড ধারণ করে আছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৮৬তম তলায় রয়েছে অবজারভেশন ডেক যেখান থেকে শহরের প্যানোরামিক দৃশ্যে চোখে পড়ে আরও অনেক পর্যটন স্থান। এমনকি লিফ্ট করে উপরে ওঠা ও নামার সময়টা এক দারুণ রোমাঞ্চকর অনুভূতির সঞ্চার করে।
কেএলসিসি পার্ক
স্থাপনার নামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কুয়ালালামপুরকে উপস্থাপনের নিমিত্তে সংক্ষেপে কেএল ব্যবহার করা হয়। সে অনুসারে কেএলসিসি বলতে বোঝানো হয় কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার।
টুইন টাওয়ারের ধাতব অবয়বে সবুজায়নের অলঙ্করণ দিতেই এর ঠিক নিচে রয়েছে কেএলসিসি পার্ক। এর প্রধান আকর্ষণ ১০ হাজার বর্গ মিটারের লেক সিম্ফনি যেখানে রয়েছে বেশ কিছু কৃত্রিম ফোরায়া। সবচেয়ে উচু ফোয়ারাটির উচ্চতা ২৮০ মিটার। লেকের বাইরে পার্কের স্থলভাগগুলোর বিভিন্ন অংশেও দেওয়া হয়েছে সঙ্গীতের তালে তালে ফোয়ারা-সজ্জা। জগিংয়ের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের রাবারজাত উপাদানের তৈরি ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত। পার্কের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাবলিক পুলসহ শিশুদের জন্য একটি খেলার মাঠ।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় এবং যাবতীয় খরচ
কুয়ালালামপুর টাওয়ার (কেএল টাওয়ার)
৩৬০ ডিগ্রি কোণ করে চারপাশের কুয়ালালামপুরকে দেখতে হলে আরহণ করতে হবে শহরের এই সর্বোচ্চ ভিউ পয়েন্টে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ারগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা এই দালানে লিফ্ট দিয়ে পর্যবেক্ষণ ডেক পর্যন্ত উঠতে ৫৪ সেকেন্ড সময় নেয়। আর নেমে আসতে সময় লাগে ৫২ সেকেন্ড। কেএল টাওয়ারের অন্যান্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ এবং কালচারাল ভিলেজ। আর স্কাই বক্সের গ্লাস কিউবের ভেতরে দাড়িয়ে নিচের শহর দেখার দৃশ্যটি রীতিমতো রোমহর্ষক।
কুয়ালালামপুর বার্ড পার্ক (কেএল বার্ড পার্ক)
২০ দশমিক ৯একর প্রশস্ত এই পাবলিক এভিয়ারিটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ড পার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই পার্ক ভ্রমণে একসঙ্গে আরও তিনটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যায়।
সেগুলো হচ্ছে- পের্ডানা বোটানিক্যাল গার্ডেন, কেএল বাটারফ্লাই পার্ক এবং রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ মিউজিয়াম।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বার্ড পার্ক ২০০ টিরও বেশি প্রজাতির ৩ হাজারেরও বেশি পাখির আশ্রয়স্থল। এগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই স্থানীয় পাখি। বাকি ১০ শতাংশ আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া,চীন,হল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া,নিউ গিনি, তানজানিয়া এবং থাইল্যান্ডের থেকে।
অ্যাকোরিয়া কেএলসিসি
শহরের প্রাণকেন্দ্রে কেএল কনভেনশন সেন্টারের ঠিক নীচেই অবস্থিত এই বিশাল অ্যাকোয়ারিয়ামটি। পানির নিচে ৩০০ ফুট গভীরতার টানেলসহ ৬০ হাজার বর্গফুট বিস্তৃত জায়গাটি রীতিমত বলা যায় সামুদ্রিক সাফারি পার্ক। দেশি-বিদেশি সব মিলিয়ে এখানে ২৫০টিরও বেশি প্রজাতির স্থল ও জলচর প্রাণী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি। দর্শনার্থীদের অ্যাকোরিয়া যাত্রা শুরু হয় কুয়াশায় ঢাকা উচ্চ ভূমিতে। তারপর রেইনফরেস্ট এবং ম্যানগ্রোভ হয়ে ক্রমশ এগিয়ে চলে। অতঃপর নদীর মধ্য দিয়ে গিয়ে যাত্রা শেষ হয় প্রবাল প্রাচীরের গভীর নীল সমুদ্রে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৩৭১ দিন আগে
গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আস্থাশীল থাকার আহ্বান কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের
মিথ্যা বা বানোয়াট সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে দূতাবাসের প্রতি আস্থাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, একটি অসাধু মহল কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপ্রপচার চালাচ্ছে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সালে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিতে আসা একজন প্রবাসী বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় দূতাবাসের আম্পাংস্থ পাসপোর্ট অফিসে আসার পথে গাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুনা
সম্প্রতি একটি অসাধু মহল সেই মৃত ব্যক্তির ছবিকে উপজীব্য করে ভুয়া তথ্য দিয়ে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে, দূতাবাসের অসহযোগিতার কারণে উক্ত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেতরে সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ ধরনের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে দূতাবাসের প্রতি আস্থাশীল থাকার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
দূতাবাস এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চেয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বদা বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাক্ষাৎ
১২৮৫ দিন আগে
‘ভাষার স্পষ্ট ব্যাখ্যা’ মহামারির সময় গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনা মহামারির সময়ে ভাষা ও অভিব্যক্তির ‘স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন’ ব্যাখ্যার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিশ্বের কোনো কোনো নেতা যেখানে জাতীয়তাবাদী/সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে মহামারিকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মতো নেতারা এ সময়ে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সংহতি, এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিয়েছেন।
কুয়ালালামপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স, টেলরস্ ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ‘মহামারী ও ভাষা’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। হয়। এ উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
ইভেন্টটি একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভাষাকে একত্রিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সারমর্মকে প্রতিফলিত করে।
মালদ্বীপের কলা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়কমন্ত্রী ইউমনা মামুন তার ভিডিও বার্তায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি ১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের কথাও স্মরণ করেন।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের চেতনাকে বহন করে।
টেলরস ইউনিভার্সিটির নির্বাহী ডীন প্রফেসর ড. লীথিয়ানান্থন আরি রাগাভান বলেন যে, ভাষা-সৃষ্ট যোগসূত্র সংস্কৃতির দেয়াল পেরিয়ে যেতে পারে । তিনি আরও বলেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলমান মহামারি কাটিয়ে উঠতে হলে ভাইরাসের ভাষা, রাষ্ট্রের ভাষা এবং জনগণের ভাষার মধ্যে মেল-বন্ধন তৈরির কোন বিকল্প নেই।
পড়ুন: সিমলা সংলাপ: আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ঢাকার
১৩৮৫ দিন আগে
হাইকমিশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়াতে বিএডিসি’র আলু রপ্তানি
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়াতে রপ্তানি করা শুরু হয়েছে।
বিএডিসি এ পর্যন্ত ৪টি কনটেইনারের মাধ্যমে মোট ১১১ মেট্টিক টন ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। বিএডিসি’র ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম আলু রপ্তানি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা বিশ্বের মতো উন্নত হবে বাংলাদেশের কৃষি: মন্ত্রী
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর মনে করে, আলু রপ্তানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিএডিসি’র মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ডায়মন্ড জাতের উন্নতমানের এ আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানিকৃত এ আলু বগুড়া, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যানো গ্রুপ ও বিএডিসি’র মধ্যে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি মাইডিন মালয়েশিয়া, চিন হুয়াত ট্রেডিং ও টেনবিলি গ্রুপ এ আলু আমদানি করে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মালয়েশিয়া প্রতিবছর প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু আমদানি করে চীন থেকে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য প্রধান আলু আমদানিকারক দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলু রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফর করে। প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভায় মিলিত হয় এবং আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের আলু সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে মোট ৯.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আলু রপ্তানি করে। এর ফলে মালয়েশিয়াতে আলু রপ্তানি পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
মালয়েশিয়াতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কৃষিপণ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের বাঁধাকপি রপ্তানি উল্লেখযোগ্য্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিপণ্যের সাথে সাথে অন্যান্য প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
১৭০২ দিন আগে
কর্মী নিয়োগে প্রটোকল চূড়ান্ত করতে কুয়ালালামপুরকে ঢাকার অনুরোধ
মালয়েশিয়ার বাজারে নতুন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য বিদ্যমান সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সংশোধন করে প্রটোকল চূড়ান্ত করতে দেশটির সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
১৭২৯ দিন আগে
শ্রমিকদের কর্মসংস্থান প্রোটোকল চূড়ান্ত করতে কুয়ালালামপুরকে ঢাকার অনুরোধ
শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের (জি টু প্লাস) মধ্যে সমঝোতা চুক্তির সংশোধন প্রোটোকল চূড়ান্ত করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
১৭৬৬ দিন আগে
বুধবার মালয়েশিয়া থেকে ফিরছেন একজনের লাশ ও ১৫৭ বাংলাদেশি
একজনের মরদেহসহ মোট ১৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মালয়েশিয়া থেকে বুধবার দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
২০৩২ দিন আগে
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন
মালয়েশিয়ার রাজা দেশটির অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
২১০৫ দিন আগে