নির্মাণ কাজ
কাজ শেষ হওয়ার আগেই রংপুরে নদী তীর রক্ষা বাঁধে ধস
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই আখিরা শাখা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের একাংশ ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে বাঁধের এই দশা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
শনিবার (২৩ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আখিরা শাখা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃষ্টির মধ্যে তড়িঘড়ি করে কাজ করায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নদীর তীর সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যই ভেস্তে যেতে বসেছে।
তবে ব্লক ধসে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে মাটির সমস্যার কথা জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, নদী তীর সংরক্ষণ, খালবিল পুনর্খনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন (১ সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নে ৮০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ চলছে। ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪৭ টাকার কাজটি করছেন রংপুরের ঠিকাদার ভরত প্রসাদ। দুই বছর মেয়াদি কাজটি শুরু হয় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। ২০২৬ সালের ৩০ জুন কাজটি শেষ হওয়ার কথা।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের অধিকাংশ কাজই প্রায় শেষ। বসানো হচ্ছে ব্লক। তবে, ব্লক বসানো শেষ হওয়ার আগেই অনেক অংশের ব্লক খসে পড়েছে। ওয়াকওয়ের টাইলস উঠে যাচ্ছে। পাশে কোনো সাইনবোর্ডও নেই।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শতবর্ষী ভবনের ছাদ ধসে গুরুতর আহত মা-ছেলে
স্থানীয়রা বলেন, কাজের মান এতই নিম্নমানের যে বন্যা হলে তীর সংরক্ষণ বাঁধ রক্ষা করাই সম্ভব হবে না। তাদের অভিযোগ, মাটি ফেলে তা সঠিকভাবে ডাম্পিং করা হয়নি। মাটি নরম থাকায় ব্লক ঠিকমতো থাকছে না।
কাজের তদারকিতে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, কাজের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। যেখানে যেখান সমস্যা হচ্ছে বা হবে, সেখানে মেরামত করা হচ্ছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, দায় সারা কাজ করার কারণে বাঁধ বেশিদিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে ভেসে যাবে। নদীর পাড় রক্ষায় সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ করছে যাতে স্থানীয়দের উপকার হয়। কিন্তু যে কাজ করছে তা শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই কাজে আমাদের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি রক্ষা পাবে না। বন্যা হলে আবারও নদীর পাড় ভাঙতে পারে।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারের লোকজন তড়িঘড়ি করে ব্লক নির্মাণ করে পাড়ে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেন। সে কারণেই এই অবস্থা। সেখানে ব্লক নির্মাণেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারক কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার ভরত প্রসাদ বলেন, দুই পাশে ৪৮০ মিটার কাজ প্রায় শেষ করেছি। ১৩০ মিটার কাজ ঠিক আছে। তবে কোথাও কোথাও মাটির লেয়ারে সমস্যা থাকায় ধসে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘একবার ঠিক (মেরামত) করেছি, আবারও সমস্যা হয়েছে। এই মৌসুমে ঠিক করা যাবে না। মাটির লেয়ারে সমস্যা ছিল। পরিস্থিতি ভালো হলে আবার কাজটি ঠিক করা হবে।’
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী টিএম ইসরাফিল হক বলেন, ‘কোনো অনিয়ম হয়নি। প্রকল্পটি ছিল সৌন্দর্যবর্ধনের। চুক্তিতে ডাম্পিং ছিল না। অতিরিক্ত পানির চাপের কারণে কিছু অংশ ধসে গেছে। আমরা ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে সেটি মেরামত করতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: রংপুরে তিস্তা বাঁধে ধস, শঙ্কায় হাজারো পরিবার
স্থানীয়দের অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। ব্লক তৈরিতে বুয়েট থেকে টেস্ট করিয়েছি। শুরুতে কিছু সমস্যা ধরা পড়লে সেগুলো বাতিল করা হয়। এক বছরে এই ব্লকে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদার তা মেরামত করবেন—তার সঙ্গে আমাদের এই চুক্তি রয়েছে।’
পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কাজটিতে তাড়াহুড়োর কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই খাল লিজ দেওয়া ছিল। এপ্রিল পর্যন্ত তাতে পানি ছিল, আবার মে মাসে নতুন করে পানি হয়েছে। মূলত পানি ও মাটির সমস্যার কারণে এই ধস।’
‘তিনি বলেন, ‘কাজের কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদার এক বছর মেরামত করে দেবেন। সেই হিসেবে তারা কাজ করছে।’
১০২ দিন আগে
২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে দেশের অবকাঠামো নেটওয়ার্কে একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচল শুরু হওয়ায় প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অবশিষ্ট নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে দৈনিক ২ কোটি টাকা টোল রাজস্ব আয় হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট টোল আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই আয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
এ ছাড়া চলতি বছরের জুনের মধ্যে গাজীপুরে বিআরটিএ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের, যা বাংলাদেশের পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের 'অযৌক্তিক' বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। দেশের উন্নয়নে ঈর্ষা পোষণ না করে জাতীয় উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সেতু ভবন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং সারাদেশে চলমান অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
৬৮৮ দিন আগে
ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু
হিমালয়ের লীলাভূমি ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুটান ও বাংলাদেশ নিজ নিজ রাজধানীতে দু’দেশের পরস্পরের দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ একর জমি প্রদান করে। উক্ত জমিতে দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, ভুটান সরকার প্রদত্ত জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দেশটির ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: থিম্পুতে স্থাপিত হবে বিশেষ বার্ন ইউনিট
৭৩৭ দিন আগে
ঢাকায় পাতাল রেল: নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ২৬ জানুয়ারি
আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ইউএনবিকে জানান, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এছাড়া রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জের এমআরটি লাইন-১ এর ডিপোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই মেট্রোলাইনের হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ মাটির নিচ দিয়ে যাবে এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত অংশ উড়ালপথে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের মানুষের চলাচলের জন্য দেশের প্রথম পাতালরেলের ডিপো নির্মাণ করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চিতলগঞ্জে। এই প্রকল্পটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১ বা এমআরটি লাইন-১ নামে পরিচিত।’
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের ওপর চলে মেট্রোরেল, বাস্তবায়নে এল অ্যান্ড টি
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালি প্লটে লাইন-১ পাতালরেলের শুভসূচনা করবেন। তিনি একটি ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে লাইন-১-এর ডিপোর কাজ শুরু হবে।
এছাড়া পিতলগঞ্জের ডিপো নির্মাণ এলাকায় জায়গার সংকুলান হবে না তাই এখানে করা হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ইউএনবিকে বলেন, মেট্রোরেলের পর এখন পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
এছাড়া ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
সচিব বলেন, হযরত শাহজাহাল (রহ.) বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ। এটি মাটির নিচ দিয়ে যাবে। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেললাইন উড়ালপথে যাবে।
তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের দুইটি লাইন থাকবে। হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর থেকে মাটির নিচ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত এই পাতাল পথে রেলের স্টেশন থাকবে ১২টি।
স্টেশনগুলোর নির্ধারিত জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে-কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, রামপুরা, আফতাবনগর, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দর।
আর এমআরটি লাইন-১ এর অপর অংশ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত উড়ালপথে। স্টেশন থাকবে ৭টি।
সেগুলোর নির্ধারিত জায়গা হলো-জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্ট্রাল, পূর্বাচল পূর্ব ও পূর্বাচল টার্মিনাল।
এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাকি ১২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ সরকার।
এছাড়া ২০২৬ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ জানুয়ারি থেকে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আরও বলেন, এমআরটি লাইন-১ চালু হলে এই রুটে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে সময় লাগবে ২৪ দশমিক ৩০ মিনিট। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে সময় লাগবে ২০ দশমিক ৩৫ মিনিট।
এমআরটি লাইন-১ এর প্রতিটি পাতাল স্টেশন হবে তিনতলা। টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে প্রথম বেজমেন্টে। প্ল্যাটফরম থাকবে দ্বিতীয় বেজমেন্টে। আর উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার এবং প্ল্যাটফরম থাকবে তিনতলায়।
এছাড়া যাত্রীদের চলাচলের জন্য উড়াল ও পাতাল-দুই পথের স্টেশনেই থাকবে লিফট, সিঁড়ি ও এস্কেলেটর সুবিধা।
এদিকে স্টেশনগুলোয় পর্যাপ্ত বাতাস ও অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক রাখতে থাকবে অতিরিক্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মেট্রোরেলের লাইন-১-এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে। এই কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশিয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
পুরো প্রকল্পের কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে প্যাকেজে সিপি-১-এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
আরও জানা যায়, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়। এটির নির্মাণ কাজ মোট ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর ডিপোর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্যাকেজ সিপি-১ এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
এমআরটি-১-এর ডিপো ও ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজার ১২ দশমিক ৯৭২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ নভেম্বর পিতলগঞ্জ মৌজায় ৩১ শতাংশ ভূমির দখল নেয়া হয়েছে। শিগগিরই অবশিষ্ট ভূমির দখল নেয়া হবে।
এমআরটি-১ এর রিসিভিং সাব স্টেশন-২ এবং নর্দ্দা, নতুন বাজার ও উত্তর বাড্ডার তিনটি পাতাল স্টেশনের প্রবেশ ও বহির্গমন নির্মাণের জন্য ভুমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পাতাল রেল চালুর প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
১০৪৮ দিন আগে
নির্দিষ্ট সময়ে মেগা প্রকল্পে নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ইবি
চার বছর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জন্য ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিলেও নির্ধারিত সময়ে একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের আওতায় ৯টি ভবন, পাঁচটি আবাসিক হল, দুটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আবাসিক কোয়ার্টার এবং একটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য দুইবার সময় বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
মঙ্গলবার ইবি প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মেগা প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ কাজের বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একনেক ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও চার বছরে মাত্র ৩২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে যে সময়মতো টেন্ডারে ব্যর্থতার কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ধীরগতি হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ১০টি দরপত্র ছাড়া প্রথম দুই বছর আট মাসে কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
ইবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ তারেক ইউএনবিকে বলেন, ‘শুরুতেই টেন্ডার করে নির্মাণ কাজ শুরু করলে সময়মতো কাজ শেষ হতো। করোনা মহামারির কারণে কাজগুলো কয়েক মাস ধরে স্থগিত ছিল এবং পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদাররা সরকার কর্তৃক ভর্তুকি পাওয়ার আশায় কাজ বন্ধ করে দেয়।’
তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে কাজ শেষ করতে আড়াই বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করেছে। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইবিতে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
এদিকে মেগা প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের কাজ এখনও শুরু হয়নি। গ্যালাক্সি অ্যাসোসিয়েট মজুমপুর, কুষ্টিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজের দরপত্র পেলেও কার্যাদেশ পাওয়ার পর ৯ মাসেও কাজ শুরু করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ভূমি উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এম নওয়াব আলী বলেন যে তারা ঠিকাদারকে বেশ কিছু চিঠি পাঠিয়ে। চিঠির জবাব দেননি তিনি। শিগগিরই তার কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।
ইবি’র উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন যে কোভিড-১৯ সহ বড় ধরনের বিধিনিষেধ ও বাধার কারণে কাজ সময়মতো শেষ করা যায়নি। দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়তি দুই বছরে যেতে চাই না, বড় ধরনের বাধা না থাকলে আশা করি তার আগেই কাজ শেষ করে ফেলব।’
আরও পড়ুন: প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে ইবির ১৪৩৭ আসন খালি
১০৭৩ দিন আগে
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মাসুদ আল ফাত্তাহ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ।
এ সময় তিনি প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলওয়ে সেতুর ৪৯ টি স্প্যানের মধ্যে চারটি স্প্যানের সুপার স্ট্রাকচার এর কাজ শেষ হয়েছে। ফলে সেতুর কিছু অংশ এখন দৃশ্যমান।
ঢাকা থেকে একদল সাংবাদিক বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্প পরিচালক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তি স্থাপন করবেন: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, পশ্চিমাংশে কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হলেও বর্তমানে তা এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৪ সালের আগস্ট এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যা কাজের ক্ষেত্রে কোন সংকট তৈরি করবে না। প্রকল্পটি জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ধরা আছে।
দুটি প্যাকেজে এর কাজ নির্মিত হচ্ছে। বর্তমানে ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩৭টি পিলারের ড্রাইভিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে ১৮টি স্প্যান সাইটে চলে এসেছে।
এ পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুলসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ শেষ হবে: মন্ত্রী
১১২০ দিন আগে
শীত ঘনিয়ে আসায় বুধবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
শীত ঘনিয়ে আসায় ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালেও 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১৭ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২৬ তম স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, সড়ক, ইটভাটা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান তীব্রভাবে খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: শীত ঘনিয়ে আসায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের কলকাতা ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে একিউআই ২৫৯, ১৮৯ ও ১৮৮ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’: একিআই
ঢাকার বাতাসের মানে মঙ্গলবার সকালেও উন্নতির দেখা মেলেনি
১১২২ দিন আগে
ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন নতুন রেলপথের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
১৭৬৯ দিন আগে
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হচ্ছে না
করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যার কারণে সরকারের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
১৯২৬ দিন আগে
এগিয়ে চলছে মাতারবাড়ী বন্দরের নির্মাণ কাজ
আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে কাজ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১৯৪৬ দিন আগে