সরকারের ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলমেন্ট প্রজেক্টের কাজ এগিয়ে চলছে।
বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে তার সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে বাংলাদেশের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার সাক্ষাতকালে এ তথ্য জানানো হয়।
পরে প্রতিমন্ত্রী জানান, এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৮.২৩৫ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সওজ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ এবং চবক অংশের অন্তবর্তিকালীন পিডি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প সমন্বয়ক এবং চবক অংশের পিডি নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি চলতি বছরের ১০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ১২ হাজার ৮৯২.৭৬ কোটি টাকা, সরকারি অর্থ ২ হাজার ৬৭১.১৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থ ২ হাজার ২১৩.২৫ কোটি। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। অনুমোদিত প্রকল্পে দুটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। বহুমুখী টার্মিনাল, কন্টেইনার টার্মিনাল ও অন্যান্য কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এবং পোর্টের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সড়ক সংযোগকারী ২৬.১ কিলোমিটার (চারলেন বিশিষ্ট) মূল সড়ক, ১.৬ কিলোমিটার বাঁধ-কাম-সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) মো. রফিকুল ইসলাম খান, যুগ্ম-প্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক ও জাইকার রিপ্রেজেনটেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।