বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র
দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
আগামী সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ এডুকেশন এক্সপো-২০২৩।
মেলায় প্রবেশ করা সকলের জন্য উন্মুক্ত। এতে দেশ বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এক ছাদের নিচে বসেই সব ধরনের তথ্য পাবেন।
এই এক্সপোতে শতভাগ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উপস্থিত থাকবে দেশ বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
আরও পড়ুন: ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন সিস্টেম’ চালু করার কথা ভাবছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
এছাড়া ৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবন নিয়েও হাজির থাকবেন।
জানা যায়, দিনব্যাপী এই এক্সপো সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত। এতে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও একাধিক সেমিনার ও প্যানেল আলোচনা থাকছে।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বিষয় নির্বাচন নিয়ে থাকছে পাবলিক লেকচার।
এতে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সেলিব্রেটিরা। শিক্ষা নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো আয়োজন করছে শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন-ইরাব।
ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম জানান, আমরা যারা শিক্ষা নিয়ে রিপোর্টিং করি তাদের সংগঠন ইরাব। সংগঠনটি গত বছর বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধন লাভ করে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই আমরা এই এক্সপোর আয়োজন করছি। এতে শিক্ষার্থীরা একই স্থানে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তথ্য পাবেন।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নানা ধরনের গবেষণা ও উদ্ভাবন এখানে তুলে ধরবেন।
আয়োজকরা জানান, এক্সপো উপলক্ষে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রেশন।
শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় এই (www.bangladesheducationexpo.com) ওয়েবসাইটে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
রেজিস্ট্র্রেশন করলে লটারিতে থাকছে ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইলসহ অসংখ্য পুরষ্কার।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
১ বছর আগে
শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় বিশ্বে শান্তি বজায় রাখা অতীতের চেয়ে এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিকাশ ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অশুভ শক্তির নতুন হুমকি বাড়ছে’।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি মানুষকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘...তবে আমরা এটাও দেখছি যে অপশক্তিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে’।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের জটিল বহুমাত্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে শান্তিরক্ষা মিশনকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে’।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে তার সরকার বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক অঞ্চলে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিশন এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া এবং ভূখণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করছি।’
এই প্রসঙ্গে, তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার শান্তিরক্ষী যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টে আধুনিক মাইন-প্রতিরোধী এবং অ্যামবুশ-সুরক্ষিত যানবাহন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া যা আমরা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ইন গ্লোবাল পিস’- শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী পাঁচ শান্তিরক্ষীর পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি পাঁচজন আহত শান্তিরক্ষীর হাতে পুরস্কারও তুলে দেন।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল পিসকিপার জার্নাল উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
ডিজিটাল রূপান্তর এবং তরুণদের জন্য আয়ের পথ তৈরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ। দেশের প্রথম কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মানজনক এ স্বীকৃতি পেল মার্কেটপ্লেসটি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকীর হাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কয়েকজন সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং এ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সফলভাবে কাজ করছে ফুডপ্যান্ডা। প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে রেস্তোরাঁ ও শপকে ক্রেতা এবং ডেলিভারি পার্টনাদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। বড় ধরণের বিনিয়োগের ঝুঁকি ছাড়াই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বৃহৎ রেস্তোরাঁ পার্টনার, শপস ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তর করেছে ফুডপ্যান্ডা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তৈরি মার্কেটপ্লেসের সহায়তায় গত ৭ বছরে দেশের রেস্তোরাঁ খাত বিকশিত হয়েছে। এ মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে খাবার, গ্রোসারি, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
মার্কেটপ্লেসটি তাদের প্রযুক্তি এবং অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স রাইডারদের যুক্ত করেছে এবং তরুণদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সুরক্ষার জন্য মার্কেটপ্লেসটির মাধ্যমে বীমা, প্রশিক্ষণ, ঋণ ও অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দেশজুড়ে ৬৪ জেলায় সেবা বিস্তারসহ প্রযুক্তি ভিত্তিক এ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি মানুষের আয়ের পথ তৈরি করেছে ফুডপ্যান্ডা।
এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের সমৃদ্ধির জন্য ফুডপ্যান্ডার বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির হোমশেফ কর্মসূচিতে তিন হাজারের বেশি হোমকুক সক্রিয় রয়েছেন। যাদের ৭০ শতাংশই নারী। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাতটি সূচক নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি খাবারের অপচয় রোধে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং আরও কয়েকটি সংস্থার সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কেটপ্লেসটি।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং তরুণদের আয়ের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী।
পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে ফুডপ্যান্ডার ভূমিকা অগ্রগণ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, শপ, এসএমই ও হোমশেফদের ডিজিটালি রূপান্তরে সহায়তা এবং আমাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তাদের লাখো গ্রাহকের সাথে যুক্ত করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এ খাতটির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
২ বছর আগে
৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রমে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে ছেলে মেয়েরা প্রায় সমান সমান হলেও বুস্টার ডোজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অনেক মেয়ে বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে টিকা যখন দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধদের আগে টিকা দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি।সবশেষে এখন শিশুদের টিকা হাতে পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় চার কোটি ৪০ লাখ টিকা লাগবে। আমরা ইতোমধ্যেই ৩০ লাখের মতো টিকা হাতে পেয়েছি। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দিবে বলে নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
২ বছর আগে
বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বস্তিবাসীদের জন্য মঙ্গলবার মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৪তলার তিনটি ভবনের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ কাগজপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ভবনে লিফট, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, সৌর বিদ্যুত, কেভিএ সাব-স্টেশন, খোলা জায়গা ও সৌন্দর্যবর্ধনের লাইটিংসহ অনেক আধুনিক সুবিধা রয়েছে।
প্রতিটি ৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িং রুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। দৈনিক ১৫০ টাকা এবং মাসিক ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর মিরপুর ১১ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। বস্তির বাসিন্দাদের উন্নত আবাসনে স্থানান্তরিত করার এটি প্রথম পর্যায়।
পড়ুন: করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
সবাই টিকা পাবে: প্রধানমন্ত্রী
এ ধরনের আরও দুটি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং প্রকল্প এলাকার পরিবারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে একটি বস্তি ছিল।
এ প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট থাকবে যার জন্য ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাটগুলো আরও ১ হাজার এক পরিবারের মধ্যে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আজিমপুর সরকারি কলোনিতে রয়েছে ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট, মিরপুরে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মাঝে ফ্লাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন।
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বেড়েছে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রবিবার বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩ বছর আগে
বিকৃত ইতিহাস মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা অবকাঠামো গড়ে তুলবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উদ্দেশে বলেছেন, বিকৃত ইতিহাসকে মোকাবিলা করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও চেতনা ধরে রেখে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
৩ বছর আগে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ২৬টি বিভাগে ৩৩ জনকে ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করেছেন।
৩ বছর আগে
শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত উপহার দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে তারা দেশের কর্ণধার হতে পারে।
৪ বছর আগে
বীমা সেবায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রযুক্তিভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সেবার আওতায় বীমা কার্যক্রম এনে এ খাতের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে